৬-দফা কর্মসূচীকে দেশবাসীর মুক্তি সনদ
গত সােমবার সিলেটে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব আবদুল হাই-এর সভাপতিত্বে সিলেট রেজিষ্ট্রেশন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে বিভিন্ন বক্তা ৬-দফা কর্মসূচীকে দেশবাসীর মুক্তি সনদ’ হিসাবে আখ্যায়িত করিয়া ৬দফা আদায়কল্পে জনসাধারণকে আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের অস্থায়ী সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, অস্থায়ী সাধারণ সম্পাদিকা মিসেস আমেনা বেগম, ময়মনসিংহ জেলা। আওয়ামী লীগের সম্পাদক জনাব রফিক উদ্দিন ভূঞা, এডভােকেট জনাব এম, এ, রব ও জনাব আবদুর রশিদ প্রমুখ নেতা বক্তৃতা করেন।
বক্তৃতা প্রসঙ্গে অস্থায়ী আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন যে, ৬-দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশের সংহতি দৃঢ়তর করা হয়।
তিনি পারস্পরিক মতবৈষম্য… হইয়া সকল রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ৬-দফার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সহিত সহযােগিতা করার আহ্বান জানান। জনাব ইসলাম দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন যে, নির্যাতন-নিপীড়ন ৬-দফার দাবী বানচাল করা যাইবে না। দাবী স্বীকৃত না হওয়া পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সংগ্রাম অব্যাহত থাকিবে বলিয়া তিনি উল্লেখ করেন। খাদ্য সংকট প্রসঙ্গে তিনি সরকারের ভ্রান্তনীতিই এই অবস্থার সৃষ্টি করিয়াছে।
মিসেস আমেনা বেগম দমননীতির নিন্দা করিয়া আন্দোলনে শরীক হওয়ার জন্য সাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় পুর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জনাব তাজউদ্দিন আহমদ সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি, বিরােধী দলীয় কর্মীদের অযথা হয়রানি বন্ধকরণ, জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার, প্রদেশের সর্বত্র ২০ টাকা মণদরে রেশন চাউল ও স্বল্পমূল্যে গম বিতরণ, ক্রুগ মিশনের রিপাের্ট বাস্তবায়ন, নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বন্যাদুর্গতদের পর্যাপ্ত পরিমাণ রিলিফ দানের দাবী জানাইয়া কতিপয় প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
সংবাদ, ১২ অক্টোবর ১৯৬৬