You dont have javascript enabled! Please enable it!

ছয়-দফা কেন?

গতকাল (মঙ্গলবার) কমলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়ােজিত সম্বর্ধনা সভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবর রহমান বলেন যে, গ্রেফতারী এবং হয়রানির কথা জানিয়া-শুনিয়াই তিনি ৬-দফা দাবী আদায়ের সংগ্রামে নামিয়াছেন। তিনি আরও বলেন যে, জনগণের ভােটাধিকার নাই এবং ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাওয়ার আশা নাই জানা সত্ত্বেও ভবিষৎ বংশধরদের কথা ভাবিয়াই তিনি ৬-দফা দাবীর সংগ্রামে নামিয়াছেন। কমলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়ােজিত সম্বর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব এম. এ. জলিল। সভার শুরুতে মানপত্র পাঠ করেন জনাব শাখাওয়াত হােসেন। সম্বর্ধনা সভায় কমলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব শফিউদ্দীন আহমদ, শ্রমিক নেতা জনাব গােলাম মর্তুজা, কমলাপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জনাব ময়জুদ্দীন আহমদ এবং আওয়ামী লীগ কর্মী জনাব মােশাররফ খান (হাসু) বক্তৃতা করেন।
মানপত্রে শেখ মুজিবকে লক্ষ্য করিয়া বলা হয়ঃ ‘যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে আমরা ৬-দফা আদায়ের জন্য কমলাপুরের কর্মী বাহিনী দৃঢ়সংকল্প।’ সম্বর্ধনার জবাবে শেখ মুজিবর রহমান বলেন যে, যে দেশে শেরে বাংলা এবং মরহুম সােহরাওয়ার্দীর মতাে লােককেও দেশদ্রোহ আখ্যা দেওয়া হয় সে দেশে কোন দাবী-দাওয়া উত্থাপন করিলে তাহাকে রাষ্ট্রবিরােধী আখ্যা দেওয়া হইবে ইহাতে বিস্ময়ের কিছুই নাই। প্রদেশের খাদ্য পরিস্থিতি আলােচনা প্রসঙ্গে শেখ মুজিবর রহমান অবিলম্বে সারা দেশে পূর্ণাঙ্গ রেশনিং চালু করার দাবী জানান। শেখ। মুজিবর রহমান বলেন যে, শােষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ছাড়া পূর্ব পাকিস্তানের উন্নতির আর কোন পন্থা নাই। সম্বর্ধনা সভায় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব তাজুদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ জনাব নূরুল ইসলাম চৌধুরী, সম্পাদক জনাব জহুর আহমদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক জনাব। আবদুল মােমিন, খােন্দকার মােশতাক আহমদ, জাতীয় পরিষদ সদস্য জনাব এ, বি, এম, নূরুল ইসলাম, প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য জনাব আবদুল মান্নান, ঢাকা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফেজ মােহাম্মদ মুসা, সাধারণ সম্পাদক গাজী গােলাম মােস্তফা প্রমুখ আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মী উপস্থিতি ছিলেন।

দৈনিক ইত্তেফাক, ০৪ মে ১৯৬৬

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!