গোপালগঞ্জের পল্লীতে রেশন বন্টনে অব্যবস্থা চলছে
গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর। গোপালগঞ্জ মহকুমার পূর্বাঞ্চলীয় রঘুনাথপুর ও গোপালপুর ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের শতকরা ৯ জন লোক শরণার্থী। বিগত বিপর্যয়কালে তারা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। বর্তমানে তাদের সকলেই প্রায় প্রত্যাবর্তন করেছে। দেশে ফিরে তারা তাদের কোনো দ্রব্যই ফেরৎ পায়নি অথচ সরকার যে সাহায্য দিচ্ছেন তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। প্রকাশ, বাড়িঘর হারা যেসব শরণার্থীর জন্য তাঁবু দান করেছে তার বিলিবণ্টনেও নানা অব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে। দেখা গেছে যে, যে পরিবারের বাড়িঘর মোটেই নেই তারা তাবু থেকে বঞ্চিত হয়েছে আর যাদের বাড়িঘর আছে তারাই হয়েছে তার অংশীদার। যাদের বাড়িঘর পাকিস্তান দালালেরা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে এমন কি ভিটে মাটিও কেটে নিয়েছে তাদের ভাগ্যে একটি তাঁবু জুটেনি। এছাড়া সদ্য ফিরে আসা শরণার্থীদের ৩/৪ সপ্তাহের মধ্যে রেশন দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ শোনা গেছে। পক্ষান্তরে যারা রেশন পাচ্ছে তার পরিমাণও অতি নগণ্য। মাথাপিছু পৌনে এক সের চাল আর আধা সের গম মাত্র। অধিকন্তু এতে স্থানীয় ও শরণার্থীরাও নাকি ভাগ বসাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, রোগে শোকে জর্জরিত শরণার্থীদের শেষ কোথায়?
রেফারেন্স: ৭ মার্চ ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ