You dont have javascript enabled! Please enable it! 1972.03.06 | পরিবহন সঙ্কট সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রার্থনা- ৫ হাজার ট্রাক ও ৩০টি ফেরী দরকার | দৈনিক আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

পরিবহন সঙ্কট সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রার্থনা ৫ হাজার ট্রাক ও ৩০টি ফেরী দরকার

সরকার সারাদেশে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৭লাখ টন রিলিফ ও পুনর্বাসন সামগ্রী জরুরি ভিত্তিতে পরিবহনের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের কাছে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের সুপারিশ করেছেন বলে জানা গেছে। দেশের পরিবহন পরিস্থিতি সম্পর্কিত এক সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এই সঙ্কটের মোকাবেলা করার জন্য অবিলম্বে প্রায় ৫ হাজার ট্রাক আর ৩০টি ফেরী বোটের দরকার হবে। সরকারি পরিবহন ব্যবস্থা ও জাতিসংঘের ভাড়া করা জাহাজ নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার টন রিলিফ ও পুনর্বাসন সামগ্রী বহনের ক্ষমতা আছে। এতে করে ৪ লাখ ৪০ হাজার টন মাল বহনের ক্ষমতা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। গত ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম ও চালনা থেকে রেল, সড়ক ও নদীপথে মাল টানার ক্ষমতা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার টন। কিন্তু স্বাধীনতার পর জরুরি রিলিফ টানার প্রয়োজনে এই পরিমাণ বাড়ালেও মাল টানার ক্ষমতা জাতিসংঘের ব্যবস্থাসহ মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার টনে পড়ে আছে। এই অবস্থায় কোলকাতা বন্দর আর ভারতীয় রেলওয়ের পরিবহন ক্ষমতা কিছু পরিমাণে ব্যবহার করা যেতে পারে কিন্তু তাতেও দেখা যায়, আরও ৩ লাখ ২০ হাজার টন মাল পরিবহনের চাহিদায় ঘাটতি থেকে যায়। সরকারি রিপোর্টে বলা হয়, জাতিসংঘ যে জাহাজগুলো ভাড়া করেছেন প্রতি মাসে তার বহন ক্ষমতা ১ লাখ ২০ হাজার টন। এজন্য মাসে ভাড়া আসে ৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার। সবচেয়ে বড় কথা, এই ক্ষমতা খুবই অপ্রতুল এবং জাহাজগুলির ভবিষ্যতও খুবই অনিশ্চিত। এগুলির ভাড়ার চুক্তি যদি বাতিল হয়ে যায় তাহলে অবস্থাই বা কি দাড়াবে? সরকারি মহলের মতে এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আসন্য বিষয়ের মধ্যে। অবিলম্বে ৫ হাজার ট্রাক ও ৩০টি ফেরী বোট আমদানি করতে হবে।

রেফারেন্স: ৬ মার্চ ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ