You dont have javascript enabled! Please enable it! 1972.03.06 | দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে শ্রমজীবীরা হাঁপিয়ে উঠেছে | দৈনিক আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে শ্রমজীবীরা হাঁপিয়ে উঠেছে

কুমিল্লা। শহরের বাজারসমূহে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য গগনচুম্বী হয়ে উঠেছে। ফলে শ্রমজীবী ও নিম্নবেতনভুক্ত কর্মচারী হাপিয়ে উঠেছে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে সরিষার তৈল প্রতি সের ৭টাকা থেকে ৮টাকা, কেরোসিন এক টাকা, ডালডা ৭.৫০ টাকা, লবণ ৩৭ পয়সা, মরিচ ৬ টাকা, হলুদ দেশি ৪.৫০ টাকা, মসুর ২.২৫ টাকা, খেসারী ১.৩৭ টাকা, মটর দুই টাকা, সিং মাছ প্রতি সের ৪ টাকা, মাগুর মাছ ৫ টাকা, শুকনা মাছ ৭ টাকা, গোল আলু ৬২ পয়সা, বড় টমেটো ৬২ পয়সা, কালো বেগুন ৭৫ পয়সা, গোমাংশ ৩.৫০ টাকা থেকে ৪ টাকা, খাশি ৫ টাকা থেকে ৬ টাকা, চিনি ৪ টাকা, গুড় ২.৫০ টাকা, পেয়াজ ১ টাকা, রসুন ২টাকা, সুপারী ১০ টাকা, পান প্রতি ১৮ গন্ডা ৫ টাকা থেকে ৬ টাকা, চাউল প্রতিমণ ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা, আঁটা প্রতিমণ ৪০ টাকা। কিশোরগঞ্জ মহকুমার পাকুন্দিয়া কটিয়াদী এলাকায় বিভিন্ন হাটবাজারে ধান-চালসহ বিভিন্ন নিত্যব্যবহার্য জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতা সাধারণ হাঁপিয়ে উঠেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে এখানকার বিভিন্ন হাটবাজারে ধান চালের মূল্য দিন দিন উর্ধ্বগামী রয়েছে। বর্তমানে এখানে প্রতিমণ ধান ত্রিশ টাকা হতে বত্রিশ টাকা, চাল প্রতিমণ আটচল্লিশ টাকা হতে বায়ান্ন টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

রেফারেন্স: ৬ মার্চ ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ