পাকিস্তান অখণ্ডতা ও সংহতি সংরক্ষণ এ্যাকশন কমিটি
৯ আগস্ট
ঢাকার মােহাম্মদপুর শান্তি কমিটির শাখা সংগঠন ‘পাকিস্তান অখণ্ডতা ও সংহতি সংরক্ষণ এ্যাকশন কমিটির সিদ্ধান্তসমূহ। সিদ্ধান্তগুলাে গােপনে বিলিবন্টন করা এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়। |
(১) উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা এবং বিদ্যালয়ের বাধ্যতামূলক বিষয় করা হােক। বাংলা সাইন বাের্ড, নম্বর প্লেট ও নাম অপসারণ এবং সংস্কৃত ধরনের বাংলা অক্ষরের পরিবর্তে রােমান হরফ ব্যবহার করতে হবে।
(২) যে কাফের কবি নজরুল ইসলামের ছেলেদের হিন্দু/বাংলা নাম রয়েছে তার রচনাসহ বাংলাসাহিত্য এবং সংস্কৃতির হিন্দু প্রভাবিত অংশসমূহ বর্জন করতে হবে।
(৩) পূর্ব পাকিস্তানের রেডিও টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের শতকরা পঞ্চাশ ভাগ ব্যয় করতে হবে উর্দু অনুষ্ঠানের জন্য। |
(৪) আমাদের পবিত্র ভূমিতে পাকিস্তান বিরােধীদের আসতে দেয়া হবে না। (যেমন-ইহুদীবাদী দুঃশ্চরিত্র ইসলামের শত্রু এডওয়ার্ড কেনেডী)
(৫) বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতির কারণে বাঙালি সরকারী কর্মচারী, বুদ্ধিজীবী ও ব্যবসায়ীদের উপর চব্বিশ ঘণ্টা নজর রাখতে হবে এবং (পরে তাদের সামরিক বিচার করে হত্যা করতে হবে)।
(৬) জাতির স্বার্থে উচ্চপদ থেকে বাঙালি অফিসারদের দু’বছরের জন্য অপসারণ করতে হবে।
(৭) রাজাকার বাহিনীর বেতন এবং শান্তি কমিটির ব্যয় নির্বাহের জন্য হিন্দু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
(৮) কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে ইউ এস, এস, ইউ কে আর এবং অন্যান্য শত্রু রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
(৯) বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য বাস্তুহারাদের সাহায্য দ্রব্য এবং উর্দুভাষী খাটি পাকিস্তানীদের মধ্যে বিতরণের জন্য বাত্যা বিধ্বন্তদের সাহায্য তহবিল ব্যবহার করতে হবে।
(১০) বীর পাকিস্তানী ও আমাদের সত্যিকারের বন্ধু রাষ্ট্র চীনের সৈনিকদের নামে শহরগুলাের নামকরণ করতে হবে।
(১১) বর্তমান জাতীয় পুর্নগঠনের সময় তিন মাসের জন্য বিদেশী সাংবাদিক ও অনভিপ্রেত ব্যক্তিদের বহিষ্কার করতে হবে।
রেফারেন্স: ১৯৭১ ঘাতক-দালালদের বক্তৃতা ও বিবৃতি- সাইদুজ্জামান রওশন