দৈনিক সংগ্রাম
১৬ জুলাই
২৫ মার্চের রাতে-ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারটিও ভেঙে ফেলে। এ সম্পর্কে পত্রিকাটি মন্তব্য করে যে, আইয়ুব খানের গভর্ণর আজম খান ছাত্রদের খুশী করবার জন্য যে শহীদ মিনার তৈরী করলেন তাকে পূজা মণ্ডব বলা যেতে পারে কিন্তু মিনার কিছুতেই না। যা হােক সেনাবাহিনী এই কুখ্যাত মিনারটি ধ্বংস করে সেখানে মসজিদ গড়ে শহীদদের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন জেনে দেশবাসী খুশি হয়েছে।”
আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে দুর্বার ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ছিলেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। তার অগ্নিঝরা বক্ততা এবং সাহসী নেতৃত্বের জন্য ছাত্র সমাজ তাকে • “অগ্নিকন্যা” উপাধিতে সম্বােধন করতে শুরু করে। মনি সিংহ ছিলেন কমিউনিস্ট
আন্দোলনের কিংবদন্তীর নায়ক এবং স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী সরকারের অন্যতম সদস্য। উক্ত দুজনকে কটাক্ষ করে সংগ্রাম ইতিহাস কথা বলে’ শীর্ষক রচনায় মন্তব্য করে-
“এসমস্ত বাংলা দরদী দলে আরাে ছিল বাপ খেদানাে ‘অগ্নিকন্যা সূর্য সন্তানেরা যারা পাকিস্তানের প্রধান দুশমন এবং ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্মলগ্নে বিদ্রোহী কুখ্যাত মনি সিংহের মুক্তিকে দেশের জনগণের মুক্তি বলে মনে করে।
আজ এই কুচক্রীদের দ্বারাই ভারতের মাটিতে বসে কাল্পনিক ‘স্বাধীন বাংলা সরকার স্বাধীন বাংলা রেডিওর নামে চিৎকার চলছে। তাদের কল্পনায় ‘মুজিব নগর-এর কোন মাটির ঠিকানা নেই। আছে হাওয়াই ঠিকানা। সুতরাং ভারতের এই দালালদের পাকিস্তানবাসীরা কোনদিনই ক্ষমা করবে না।”
রেফারেন্স: ১৯৭১ ঘাতক-দালালদের বক্তৃতা ও বিবৃতি- সাইদুজ্জামান রওশন