You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.13 | ১৩ এপ্রিল শান্তি কমিটি জোহরের নামাজের পর বায়তুল মােকাররম থেকে একটি মিছিল বের করে - সংগ্রামের নোটবুক

শাম্ভিকমিটি

১৪ এপ্রিলের পরিবর্তে ১৩ এপ্রিল শান্তি কমিটি জোহরের নামাজের পর বায়তুল মােকাররম থেকে একটি মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে। মিছিলের পুরােভাগে ছিলেন গােলাম আজম, খাজা খয়েরুদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, পীর মােহসেন উদ্দিন (দুদু মিয়া) সৈয়দ আজিজুল হক (নান্না মিয়া), মাহমুদ আলী, আবদুল জব্বার খদ্দর, এ. টি. সাদী প্রমুখ নেতা।
উক্ত মিছলের শ্লোগানের কিছু নমুনা।
ভারতের দালালী চলবে না
ওয়াতানকে গাদ্দারােসে হুঁশিয়ার,
আমরিকি সমরাজোসে হুঁশিয়ার,
সংগ্রাম না শান্তি শান্তি, শান্তি
পাকিস্তানের উৎস কি
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
পাকিস্তানী ফৌজ—জিন্দাবাদ
কায়েদে আজম জিন্দাবাদ
ইন্দিরা গান্ধী-মুর্দাবাদ
ইয়াহিয়া খান—জিন্দাবাদ
টিক্কা খান- জিন্দাবাদ
আল্লাহ মেহেরবান- ধ্বংস কর হিন্দুস্তান।

মিছিলের কিছু ফেস্টুনের ভাষা
পাক-চীন জিন্দাবাদ
দুষ্কৃতকারী দূর হও-মুসলিম জাহান এক হও
ভারতকে খতম কর, ভারতকে ধ্বংস কর,
পাকিস্তানকে রক্ষা কর।
মিছিলকারীরা বহন করে ইয়াহিয়া খান, আইয়ুব খান, আল্লামা ইকবাল, লিয়াকত আলী খান, ফাতেমা জিন্নাহ, সর্দার আবদুর রব নিশতার, মির্জা গালিব, মােহাম্মদ আলী জিন্না প্রমুখের ছবি।
উক্ত মিছিল শেষে মােনাজাত পরিচালনা করেন ঘাতক গােলাম আজম। তিনি মােনাজাতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, প্রার্থনায় যে সমস্ত বাক্য উচ্চারণ করেন তার দুটি নমুনা।
“পাকিস্তানের সংহতি ও অশেষ ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত পাকিস্তানের বুনিয়াদ যেন অটুট থাকে।”-“ভারতের ঘৃণ্য হামলার বিরুদ্ধে পাকিস্তান যেন উপযুক্ত জবাব দিতে পারে।”
মােনাজাত শেষে শুরু হয় মিছিলকারীদের “আসল” কাজ। মিছিলকারীরা আজিমপুর কলােনী, শাখারী বাজার, শান্তিনগর প্রভৃতি জায়গায় বাঙালিদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয় এবং বেশ কয়েকজন বাঙালিকে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।

রেফারেন্স: ১৯৭১  ঘাতক-দালালদের বক্তৃতা ও বিবৃতি-  সাইদুজ্জামান রওশন