You dont have javascript enabled! Please enable it!

ষাটের দশকে বাঙালী জাতীয়তার বিকাশ | মীজানুর রহমান চৌধুরী | সাপ্তাহিক বিচিত্রা | ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭

ষাটের দশকে বাঙালী জাতীয়তার বিকাশ সম্পর্কে বলতে গেলে অতীতের কিছু কথা বলা প্রয়োজন। পেছনের দিকে ফিরে তাকানোর দরকার। পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই এই জাতীয়তার বিকাশ ঘটে, নতুন চেতনার সূত্রপাত হয়।
আমি নিজে পাকিস্তান আন্দোলন শরীক ছিলাম। আমরা মনে করেছিলাম মুসলমানদের নিজস্ব বাসভূমি দরকার। সেজন্যে এ উপমহাদেশের মুসলমানরা পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর দেখা গেল তা অর্জিত হয়েছে শুধু পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। সকল সুযোগ সুবিধা আমাদের বঞ্চিত করে ভোগ করতে শুরু করল পশ্চিম পাকিস্তানীরা।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পরই আমাদের ভাষায় উপর প্রথম আঘাত আসে। বলা হলো উর্দুই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে। তখন আমরা এই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত নেই। এরই পরিণতি ভাষা আন্দোলন। আর সে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেখ মুজিব। তার নেতৃত্বেই সে সময় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বেরোয়। গড়ে ওঠে প্রতিরোধ।
এর পর পরই আসে ৫৪ সালের নির্বাচন। সে নির্বাচনে হক ভাসানী সোহরাওয়ার্দী যৌথভাবে মুসলীম লীগের বিরোধিতা করেন। কিন্তু নির্বাচনী বিজয়ে মূল শক্তি ছিলেন শেখ মুজিব। এই নির্বাচনে মুসলীম লীগের ভরাডুবি ঘটে-জয়ী হয় যুক্তফ্রন্ট।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করলেও আমরা হেরে গেলাম প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের কাছে। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই ষড়যত্র চলছিল। প্রতিযোগিতা চলছিল-আমলারা দেশকে শাসন করবে না রাজনীতিবিদেরা দেশকে শাসন করবেন ? এই প্রতিযোগিতাই দীর্ঘ দিন চলে। পাকিস্তানের সকল বিপর্যয়ের জন্য এই প্রতিযোগিতাই দায়ী। বার বার যড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমলাতন্ত্রই জয়ী হয়েছে। তাই ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করলেও, ১২ (ক) ধারা জারী করে সে নির্বাচনী ফলাফলকে বানচাল করে দেয়া হল । কারাগারে নিক্ষিপ্ত হলেন। আওয়ামী লীগের প্রায় সারে চার হাজার নেতা ও কর্মী।
পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৫৭ সালে ১২/১৩ জন সদস্য নিয়ে সোহরাওয়ার্দী কেন্দ্রে সন্ত্রসভা গঠন করেন। এই মন্ত্রীসভার আমলেই সিধান্ত গৃহীত হয়, ১৯৫৯ সালে সারা পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এবারেও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটল। সাতই অক্টোবর আংশিক সামরিক শাসন জারী করে স্তব্ধ করে দেয়া হলো জনগণের চেতনাকে । ২৭শে অক্টোবর পরে ক্ষমতা গ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট হলেন আয়ুব খান। আর প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের হোতা ইস্কান্দর মীর্জাকে পাঠিয়ে দেয়া হলো লুন্ডনে।
১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন জারী হয়েছিল জাতীয়তাবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। কেননা ‘৫৯ সালে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতো। সামরিক শাসন জারী করে আমাদের দমন করা হলেও, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে। সেই চেতনার বহিঃ প্রকাশ হচ্ছে ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন। ‘ এই আন্দোলনে ছাত্ররা ক্ষমতাধর আয়ুবের ছবি পায়ের নীচে মাড়ায়, ভেঙে দেয় ফ্যাসিবাদী শাসনের বেড়াজাল। আন্দোলনের মুখে আয়ুব নতি স্বীকার করতে এবং ধীরে ধীরে জনগণের অধিকার দেয়া শুরু করেন।
৬২ সালে আয়ুব সাহেব শাসনতন্ত্র জারী করেন। সেই শাসনতন্ত্রের প্রথম পাতা থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত আয়ুব খান। বাঙালীরা যাতে ক্ষমতার অধিকার না পেতে পারে তাতে এমন ব্যবস্থা করা হলো যার ফলে রেলওয়ের কতৃত্ব পর্যন্ত কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত হয়।
আসলে পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই অবিশ্বাসের সূত্ৰপাত হয়েছিল। উর্দু রাষ্ট্রভাষা হবার পর থেকে যে অবিশ্বাস দানা বেধে ওঠে সেই অবিশ্বাসের পরিণতিই স্বাধীনতা সংগ্রাম। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনেই স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ দানা বাধে।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় আর একবার তার প্রমাণ মেলে। এ যুদ্ধের সময়ই প্রমাণিত হয় আমরা অরক্ষিত। যুদ্ধের সময় ইচ্ছে করলেই ভারত ‘পূর্ব পাকিস্তান দখল করে নিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। যুদ্ধে প্রমাণিত হয়, আমাদের প্রতিরক্ষা পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে ন্যস্ত।
এ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ হিসেবে ১৯৬৬ সালে লাহোর থেকে ফিরে এসে মজিবু ভাই ছয় দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচী ছিল আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের কর্মসূচী। ছয় দফা কর্মসূচীকে জনপ্রিয় ও বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গোটা পূর্ব পাকিস্তানে জনসভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সে অনুযায়ী প্রথম স্থানসভা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে। এরপর বিভিন্ন জেলায় জনসভা অনুষ্ঠিত হয় আর পর পর গ্রেফতার করা হয় শেখ মুজিবকে। যশোরে মুজিব ভাই গ্রেফতার হন, তার পর দিন তাকে কোর্ট হাজির করা হলে একজন ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ‘acredited politician of Pakistan’ বলে জামিনে মুক্তি দিয়ে দেন। পরবর্তী কালে এই ম্যাজিস্ট্রেটকে অনেক খুজেছি কিন্তু আর পাইনি। পাকিস্তানের দীর্ঘ ….পচিশ বছরের ইতিহাসে কখনো বাঙালীদের বিশ্বাস করা হয়নি। অথচ, শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত কর্তব্যব্যক্তিরা কখনো মনে করতেননা, পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠার পূর্বে এই বাঙলাদেশেই মুসলীম লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। ভারতবর্ষের অন্য কোথাও এই ঘটনা ঘটেনি। অথচ পাকিস্তান সৃষ্টির পর যখন আমলাদের সঙ্গে রাজনীতিবিদেয় মনকষাকষি শুরু হল তখনই অবস্থা পালটে গেল। ইংরেজদের সাহাচর্য পেয়ে ইংরেজদেয় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পাকিস্তানে প্রথম যুগেয় আমলাদের মধ্যে একটা উদাসিভ্যয় জন্ম হয়। সেই সঙ্গে যুক্ত হয় আরেকটি কারণ। মুসলীম লীগের ছোট থেকে এই কয় বড় পর্যন্ত সবাই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর গুরুত্ব সাত হন। এদের কেউ কেউ আবার ইংরেজ আমলে স্যার, খান বাহাদুর ইত্যাদি উপাধি পেয়েছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা পর এরা আমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন হীনমন্যতাবোধ থেকে মুক্তি লাভের জন্য। অথচ আমলাদের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। এই পৱিস্থিতি সোহরাওয়ার্দী ক্ষমতায় এসেই যা কিছু গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন এর বেশী হয়নি। এর পরেই বাঙালীদের বঞ্চিত করা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া স্বত্বেও বাঙালীয়া কোনদিন দেশ শাসনের সুযোগ পায়নি। বাঙালীয়া এমনকি সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ও পায়নি। মন্ত্রীসভায় বাঙালীরা থাকলে তারা পাকিস্তানী আমলাদের সঙ্গেই সহযোগিতা করছে। এরা বাঙালীদের বিরুদ্ধপ কাটের্ল গড়ে তোলে-বাঙালীদের মর্যাদা দেয়া হয় দ্বিতীয় শ্ৰেনীর নাগরিক হিসেবে। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছায় যে, বাঙালী সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যাত্রা ছিল তারাই ‘পাকিস্তানী’ হবার মর্যাদা লাভ করে। আর তার বিরুদ্ধই ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগ ছয় দফা আন্দোলনের সুত্রপাত করে।
১৯৬২ সালে শাসনতন্ত্র দেয়ার পর যে নির্বাচন হয় তাতে আমিও অন্যান্যদের সঙ্গে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হই। সে সময় পূর্ব-পাকিস্তানের সদস্যৱা সবাই একযোগে কাজ করতাম। এই নির্বাচনের পর যখন জাতীয় পরিষদের প্রথম বাজেট অধিবেশন বসে, সেই অধিবেশনে আমি পিণ্ডিতে সেনাবাহিনী ও সরকারের হেড কোয়ার্টার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বে প্রথম প্রতিবাদ করি। আমার বন্তব্য ছিল ‘একই স্থানে দুটো হেড কোয়ার্টায় হতে পারে না। এটাকে হারালে আমরা অন্যটাকেও হারাব। এ সময়ে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত সলীম লীগ ও ন্যাপ সদস্যরা আমাদের সঙ্গে কাজ করতেন। কিন্তু একদিন রাতের বেলায় দেখলাম ওয়াহিদুজ্জামান, মোনায়েম খান এদের আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এর পরেই এরা হয়ে গেলেন মন্ত্রী।
১৯৬৬ সালে ছয় দফা কর্মসূচী ঘোষণা করায় পর আওয়ামী লীগে উপর চরম নির্যাতন নেমে আসে। ৮ই মে আমি ব্যতীত বঙ্গবন্ধু সহ আওয়ামী লীগেয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দেরকে গ্রেফতার করা হয়। ২০শে মে শেখ মুজিবের অনুপস্থিতিতে তার বাসায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়,ছয়ই জুন সারা দেশব্যাপী হয়তাল পালিত হবে। আমাদের সেই আন্দোলনে কেউ সমর্থন দেয়নি।। তবে ৫ই জুন রায় থেকে মুজাফফর ন্যাপ আমাদের সমর্থন জ্ঞাপন করে। পরবর্তী পর্যায়ে দুই জন যে ঘটনা ঘটেছে তা সকলের জানা। বাবুল, ওয়াজিউল্লাহ, মনু মিয়া প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করে দিলো। বাঙালীরা অধিকার রক্ষায় প্রস্তুত। আর এই ছয় দফা আন্দোলনের পরিণতিতে ৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা এবং ৬৯ সালের গণঅভ্যুথান।
উনসত্তরের গণ আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বন্দী ছিলেন। এই ব্যাপক গণ আন্দোলনের একটা বিশেষ দায়িত্ব ছিল। এ সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানে যতটা না আয়ুব বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল তারচে বেশী হয়েছিল সেনাবাহিনী, আমলাতন্ত্র এবং পূজিবাদের অশুত অতিতের ভাগবাটোয়ারার আন্দোলন। এই আদালনে আমাদের লক্ষ্য ছিল শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি। তাই আময়া গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য আন্দোলনে সহায়তা করি। এই আন্দোলনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কাগজ পএ পুড়িয়ে দেয় জনগণ, মামলার বিচার বিচারকরা লুঙ্গী পরে গেঞ্জী গায়ে দিয়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচান।
এই আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে আয়ুব গোল টেবিল বৈঠকের প্রস্তাব দেন। বৈঠকে সব নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মুজিব ভাই তখনো বন্দী। জনগণের দাবী ছিল, মুক্তির পরই তিনি গোল টেবিলে যাবেন। কিন্তু হঠাৎ করে, শুনিলাম মুজিব ভাই প্যারোলে পিন্ডি যাচ্ছেন। একথা শুনে আমার মন খারাপ হয়ে যায়। আমি রাজনীতি ছেড়ে চাঁদপুরে চলে যাবার জন্য বাক্স পেটরা বেধে তৈরী হয়ে যাই। পরে অবশ্য তা হয়নি।
গোল টেবিল বৈঠকেও সেই পুরনো ঘটনায় পনরাবৃওি ঘটে। মুজিবভাই ফিরে গেল। পুনরায় ২৫শে মার্চ আমাদের বিরুদ্ধে জারী করা হয় সামরিক শাসন। ভেঙে দেয়া হয় ”ফন্টলি ডিবেটিং সোসাইটি”-জাতীয় পৱিষদ। পূর্ণ ক্ষমতা গ্রহণ করেন ইয়াহিয়া খান।
এর পর পুনরায় ৭০ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারেও আমরা সংখ্যাগৱিষ্ঠতা লাভ করি। এখানে একটা জিনিস লক্ষ্যনীয় তা হলো পাকিস্তানে যে দুটি অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সে দুটিতেই আমৱা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করি। এর একটি ‘৫৪ সালের নির্বাচন, অপরটি ‘৭০ সালের নির্বাচন।
সওরের নির্বাচনে পূর্ব-পাকিস্তানে ১৬৮টি আসনের মধ্যে আমরা ১৬২টি আসনে জয়লাভ করি। তিনশ আসনের জাতীয় পরিষদে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হলাম। আর ভুট্টো সাহেব হুমকী দিলেন ‘পাকিস্তানে একজন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না’। এই হুমকির ফলে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত হয়ে গেল।
একাত্তয় সালের পহেলা মার্চ হোটেল পূর্বাণীতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দলমত নির্বিশেষে সবাই সে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। কিছু সংখ্যক দেশদ্রোহী ব্যতীত বাংলার সমস্ত মানুষ বলতে গেলেছিলেন ওদের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে আনতে হবে। এ ভিন্ন গত্যন্তর নেই। এ সময়ে ভুট্টো ও পাকিস্তানের অন্যান্য ষড়যন্ত্র বিশারদৱা ঢাকায় আসেন আমাদেয় সঙ্গে আলোচনার জন্য।
আলোচনা চলতে থাকলেও যড়যন্ত্র চলতে থাকে। সৈন্য, সাদা পোশাকে কমান্ড, অস্ত্র আমদানী চলতে থাকে। নির্যাতনে মাএা যায় বেড়ে। এ অবস্থায় যখন দেখা গেল আলোচনা, নির্যাতন কেন কিছু সাহায্যেই বাংলার মনকে দমন করা যাচ্ছে না। তখন ২৫শে মার্চ পাকিস্তানী সৈন্যরা ঝাপিয়ে পড়ে নিরীহ বাঙালীদের উপর।শুরু করে গণহত্যা।
আমরা চলে যাই ভারতে। গঠন প্রবাসী সরকার । সে আর এক কাহিনী।

[pdf-embedder url=”https://songramernotebook.com/wp-content/uploads/securepdfs/2021/04/1977.09.09-4.pdf” title=”1977.09.09″]

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!