You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.06 | মার্কীন যুক্তরাস্ট্রের প্রতিনিধি জর্জ বুশ এর বিবৃতি | জাতিসংঘ ডকুমেন্টস - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
মার্কীন যুক্তরাস্ট্রের প্রতিনিধি জর্জ বুশ এর বিবৃতি জাতিসংঘ ডকুমেন্টস ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১

আমি প্রথমেই চাইব ভারতের রাষ্ট্রদূত এর করা উক্তি সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করতে।আমি তার উদৃতি করা নির্দিষ্ট রচনাংশের যে কলাম বাদ দিয়েছেন তার প্রশংসা করছি।আন্তরিকতার সাথে,আমি বলছি যে তার তরফ থেকে এটি ছিল সবচেয়ে বিবেচিত এবং ভদ্রোচিত।কিন্তু আমি মনে করি একটি সংক্ষিপ্ত উত্তর ক্রমানুসারে দেয়া উচিত।
সে জোর করে কিছু নির্বাচিত কলাম অথবা সম্পাদকীয় মুদ্রিত এখান সেখান থেকে উদ্বৃতি দিয়ে অজর ফন্দি দিয়ে উপ মহাদেশের আগুন সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদের মনোযগ বদল করতে চাচ্ছেন যা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতির সাথে অনুমোদনহীন।আমাদের জনগণ, আমাদের নীতি, সমর্থন করেছিল মহাসচিবের শরনার্থীদের জন্য সাহায্যের আহব্বান এর জন্য,তার পর্যবেক্ষনে আহব্বান এর জন্য। কোথায় আমাদের মহাসচিবের নিরপেক্ষ চেষ্টাগুলো ছিল না? আমরা মনে করি সেগুলো ছিল। আমাদের জনগণ সহায়তা দিয়েছিল পাকিস্তানে বড় ধরনের ত্রান সহায়তার জন্য এবং বড় ধরনের ত্রান সহায়তার চেষ্টা ছিল ভারতের জন্য।.আমাদের জনগণ সমর্থন করেছিল সবল ব্যাক্তিগত কূটনীতি যেটিতে আমাদের রাষ্ট্রপতি জড়িত থেকে চেষ্টা করছেন দুই শক্তিকেই পিছনে টানতে। এবং আমাদের জনগণ সমর্থন করেছিল গর্ব এবং আনন্দের সাথে,সম্প্রতি আমাদের মাটিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিদর্শনকে। আমি আমার সহকর্মীদেরকেও নিশ্চিত করতে পারি যে আমেরিকান জনগন শক্তভাবে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া সিদ্ধান্তকে যেটি অভূতপূর্ব ভোটের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহিত হয়েছিল,একটি সিদ্ধান্ত হত্যকান্ড থামাতে,একটি সিধান্ত যুদ্ধবিরতীর জন্য এবং বন্ধের জন্য,সিদ্ধান্ত- এবং আমাকে সংক্ষেপে কিছু উদ্বৃতি করতে দিনঃ

আমাদের জনগণ সমর্থন করে এভাবে যে,তারা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহাসচিবের শান্তির জন্য মধ্যস্থতার প্রস্তাবটি কে।এটি হয় সেটি যা আমরা সমর্থন করি,তথাপি দেশের প্রতি কিছু নির্বাচিত কলামও।
এটি এক পাক্ষিক রাজনীতি না।আমি আশা করি এটি একটি দয়াশীল রাজনীতি,একটি দয়াশীল রাজনীতি একটি মহাদেশকে আলোক শিখার দিকে নিয়ে যায়।আমি চাই যে খসরা সিদ্ধান্ত যে অভিভূতকারী ভোট পেয়েছিল তার চেয়েও এটি আরো বেশী ভোট পাক।আমি চাই, এটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের আকুন্ট সমর্থন পাবে।

সংক্ষেপে,আমারা এই দেশে আমাদের নীতির ভিন্নমত পোষণকারীদের খুজতে পারি,আমরা সম্পাদকীয় প্রবন্ধও খুজতে পারি।কিন্তু আমি চাই না এই কাউন্সিলকে এই জাতীয় মাধ্যম ব্যাবহার করে কিছু অসন্তোষজনক আভ্যন্তরীণ উৎসের উক্তির দ্বারা সরকারের দৃষ্টি পরিবর্তন করতে।এটা কোন বিষয় না আর্টিকাল গুলো কোথা থেকে এসেছে, তারা পৃথিবীর দৃষ্টি এই বৃহৎ যুদ্ধে থেকে সরাতে পারবে না যেটিতে উপমহাদেশ বর্তমানে অবতীর্ন হয়েছে। এবং যখন যুদ্ধটি চলছে,তখন দোষারোপ করাটা গুরুত্বপূর্ন কিন্তু ইতিহাসের এই সংকটময় মুহুর্তে,দোষারোপ করাটা গুরুত্বপূর্ন নয়।হত্যা বন্ধ করা,আক্রমন বন্ধ করা,একরকম মনে হয় আমাদের জনগনের জন্য প্রচন্ডভাবে গুরুত্বপূর্ন।গত রাতে আমাদের মিটিং এ।আমি লক্ষ করেছিলাম যে কাউন্সিল প্রনোদিত হয়েছিল কারন এটি বিশ্ব শান্তির জন্য একটি চলমান ও পরিস্কার হুমকির মুখোমুখি হয়েছিল, কারন যুদ্ধের এলাকা এবং আয়তন বিস্তৃত হচ্ছে ও তীব্রতর হচ্ছে, এবং কারন যেহেতু এই কাউন্সিলের সনদ অনুযায়ী সদস্য রাষ্ট্রের অখন্ডতা এবং যুদ্ধ বন্ধের দায়িত্ব আছে। এই কাউন্সিলের ১১ জন সদস্যের পরিষ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে দুইটি আলাদা ঘটনা জ্ঞাপন করতে তাদের ইচ্ছা সনদ অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব চর্চা করা। দুইটি খসড়া সিদ্ধান্তের পক্ষে নেয়া ভোট যেটিতে একসময় বলা হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান সরকারকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতী নিশ্চিত করতে এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের অন্যের সীমান্ত এলাকা থেকে প্রত্যাহার করতে। তাদের স্বীকৃতি দিয়ে প্রবল চেষ্টার প্রয়োজন যত দ্রুত সম্ভব সনদের মূল শর্ত অনুযায়ী পশ্চিম পাকিস্তানের স্বরনার্থীদের স্বেচ্ছায় তাদের মাত্রভুমিতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তার জন্য।
কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত যেভাবে আমাদের আর্জেন্টিনার কলিগ উল্ল্যেখ করলেন এবং আমরা গত রাতের মিটিং এ লক্ষ করলাম এই কাউন্সিলের একজন স্থায়ী সদস্য আইনের আওতায় এই উদ্যেগ এবং কৌশল খাটানোকে ঐ দুই খসড়া সিদ্ধানের উপরে ভেটো দিলেন। এই গুরতর অবস্থার মধ্যে, ঐ সদস্যের পদক্ষেপ এই ধারনা প্রদান করবে এই পরিষদ দক্ষিন এশিয়ার শান্তি এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে অক্ষম, এবং এমনকি আমরা সক্ষম না এই সংকটজনক মুহুর্তে যুদ্ধ স্থগিতের একটি আহবানের জন্য ও নিজেদের বর্ডার এলাকা থেকে তাদের সৈন্য ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এমত অবস্থায়, আমরা এই জাতীয় সম্ভাবনার মুখোমুখি হব যে বিশ্ব এই সিদ্ধান্তে উপনীত হবে যে জাতিসংঘ তার সনদের চুক্তি বজায় রেখে বিশ্ব শান্তি এবং নিরাপত্তা যেখানে হুমকির মুখে তা পুনুরুদ্ধারে অক্ষম।
এই কাউন্সিল অবশ্যই তার সামার্থ্য দ্বারা নিশ্চিত করবে যে এটা হচ্ছে না।এটি অবশ্যই ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য সম্ভব্য সকল রাস্তা খুজবে। এবং,আমাদের শেষ মিটিং এ অধিকাংশ সদস্যের বক্তব্যের বিচারে, এটাও পরিস্কার যে বৃহৎ অংশ একমত আমরা বিষয়টিকে এটা যেথায় আছে সেভাবে ফেলে রাখতে পারি না,অবস্থাটি স্থিতিভাবে রাখে অসহনীয়।শান্তির প্রতি হুমকি এতটাই বাস্তবিক এবং শরনার্থীদের সংকটাপন্ন অবস্থা ও সাধারন জনগণ এর অধিকাংশ এর জন্য আমাদের নিযুক্ত হওয়া অধিক জরুরী যাতে পরবর্তীতে এই কাউন্সিল তার সনদের দায়িত্ব যথাযথভাবে প্রদর্শন করতে ব্যার্থ না হয়।সৌভাগ্যক্রমে,সেখানে কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ রয়েছে যেটা আমরা নিতে পারি জাতিসংঘের পুর্নাংগ সদস্য হিসেবে অনুমদোন দানের ক্ষেত্রে এমন জরুরী অবস্থার প্রেক্ষিতে এবং এর প্রভাব আনতে পারি দক্ষিন এশিয়ার শান্তি পুনোরুদ্ধারের ক্ষেত্রে।
শান্তির জন্য এক হওয়া খসড়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী
যদি নিরাপত্ত পরিষদ,স্থায়ী সদস্যদের ঐক্যমতের অভাবের কারনে,আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তা রক্ষা করতে তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হয়,কোন কারনে কোথায় তারা শান্তির প্রতি হুমকি দেখে,শান্তি ভংগ কিংবা আক্রমনাত্মক আচারন,সাধারন পরিষদ এই বিষয়টি নিয়ে জরুরীভাবে যথাযথ সিদ্ধান্তের সুপারিশ করবে…।
মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সোমালিয়ার যুগ্ম প্রতিনিধি,আর্জেন্টিনা,বুরুন্দি এবং আশাকরি আরো অনেকেই এই খসড়া সিদ্ধান্ত সমর্থন করছেন, যেটি সাধারন পরিষদের জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নের রেফালের জন্য ২৬ তম অধিবেশনের জরুরী সিদ্ধান্তের জন্য দেয়া হয়েছে।
আমরা এখন তীব্রভাবে আশা করি যে পরিষদ নিজেকে নিরপেক্ষ প্রমান করবে এই কারনে যে জাতিসংঘ যাতে চুক্তির দায়িত্ব যথাযথভাবে পুরন করতে পারে।