You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.04 | পাকিস্তানী প্রতিনিধি মিঃ আগাশাহীর বিবৃতি | জাতিসংঘ ডকুমেন্টস - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
পাকিস্তানী প্রতিনিধি মিঃ আগাশাহীর বিবৃতি জাতিসংঘ ডকুমেন্টস ৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১

পাকিস্তানের প্রতিনিধি জনাব আগা শাহীর বিবৃতি
ডিসেম্বর ৪, ১৯৭১

এই কাউন্সিল মীটিং, যার কথা শোনা গিয়েছিল, তাতে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি আপনাকে, জনাব রাষ্ট্রপতি, এবং নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জাতিসংঘের ইতিহাসের অন্যতম গুরুতর পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা পরিষদের এই সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতিসংঘের একটি সদস্যরাষ্ট্র ভারত, অন্য একটি সদস্যরাষ্ট্র পাকিস্তানের রাজ্যক্ষেত্রের উপর শুধুমাত্র আগ্রাসনই চালু করেনি, উপরন্তু প্রকাশ্যে দাবি জানিয়েছে যে পাকিস্তান যেন নিজেকে বিভক্ত করে এবং তার ভূখণ্ডের যে অংশে জনসংখ্যা বেশি তার উপর দাবি ছেড়ে দেয়।
আমি পরিষদের সামনে যা উত্থাপন করছি তা শুধু একটি অভিযোগ নয়। বিশ্ব জানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে, ১লা ডিসেম্বর যা দেওয়া হয়, যাতে বলা হয় পাকিস্তানের উচিত তার পূর্ব অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা। বিশ্ব এটাও জানে যে ভারতীয় সৈন্য পাকিস্তানের রাজ্যক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে এবং অন্তত ২১শে নভেম্বর থেকে সেখানে আছে। এই দুটি ঘটনা ভারত দ্বারা স্বীকৃত, এবং তর্কাতীত ।
এই দুটি ঘটনাই হল এই পরিস্থিতির প্রকৃত অবস্থা যার উপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা পরিষদের বিবেচনা করতে হবে। সমসাময়িক কালে এই ঘটনার মত আগে কিছুই ঘটেনি।
জাতিসংঘে এমন অন্য কোন সদস্যরাষ্ট্রের উদাহরণ নেই যা অন্য একটি সদস্যরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বীকৃত এবং স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকার পরও দাবি করে যে দ্বিতীয় সদস্যরাষ্ট্রটি যেন নিজস্ব অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে এবং এইভাবে এটির উপর নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে নেয় ও দাবি ত্যাগ করে। ভারত শুধুমাত্র চাহিদাই করেনি, এই অনুসারে পাকিস্তানের বিভেদ ঘটানোর জন্য আক্রমনাত্মক কার্যক্রমও বাড়িয়ে দিয়েছে ।এভাবে একটি চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তান এটি অটলভাবে মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পরিস্থিতি নিরাপত্তা পরিষদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে যেখানে পাকিস্তান একা জড়িত নয়। এটি প্রতিটি রাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্ত করে যারা রাজ্যের অখণ্ডতা নীতিতে বিশ্বাস করে, যা জাতিসংঘের দলিলে অপরিহার্য। এটি সবাইকে উদ্বিগ্ন করে যারা বৃহত্তর, আরো শক্তিশালী এবং শিকারী প্রতিবেশীদের দ্বারা পদদলিত হওয়ার বিপদের মধ্যে আছে।
যতক্ষণ পাকিস্তান এতে জড়িত, আমি অঙ্গীকার করতে পারি আমরা আত্মসমর্পণ করব না।আগামীকাল যাই হোক না কেন, এটা পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ হবে না। আমাদের স্বাধীনতা এতটাই মূল্যবান যে আমরা এটি বিকিয়ে দিতে পারি না।
আমাদের জাতীয় অখণ্ডতার প্রতি আমাদের পণ এত দৃঢ় যে আমাদের হোঁচট খাওয়া বা বিফল হওয়ার কোন সম্ভাবনা ই ছিলনা। সে যাই হোক, নিরাপত্তা পরিষদ যদি পরিস্থিতির সঙ্গে সময়োচিত ব্যবহার করত, যদি বাকচাতুরী করত, যদি অচল হয়ে যেত, যদি আগ্রাসন দমন করতে ব্যর্থ হত, একটি ব্যাপার অবশ্যই ঘটত। জাতিসংঘের সনদ অমান্য করা হত। জাতিসংঘের সক্রিয় থাকার পিছনে মৌলিক উদ্দেশ্যগুলো ধূলিসাৎ হয়ে যেত। জাতিসংঘের প্রতীক্রুপ হয়ে থাকা আন্তর্জাতিক বিন্যাসে এমন ক্ষতি হত যা কখনো পূরণ হতো না।
যেহেতু, জাতিসংঘ সনদের ব্যতিক্রম করে পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বড়মাপের সামরিক শক্তি ব্যবহারের কারণে অভিযুক্ত হওয়ার পর, ভারত এখন নিজেকে পাকিস্তানের পূর্ণস্কেল হামলার বিরুদ্ধে রক্ষা করার কথা বলছে , ২১শে নভেম্বর থেকে গত দুইসপ্তাহের ঘটনাক্রম স্পষ্টভাবে মনে রাখা প্রয়োজন।
পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ২১শে নভেম্বর থেকে ভারত তাদের নিয়মিত সৈন্য, ট্যাংক এবং বিমান দ্বারা বিরাটাকারের আক্রমণ চালিয়ে আসছিল। আক্রমণটি একযোগে ভারতীয় ভূমি সীমান্তের তিন দিক থেকে পূর্ব পাকিস্তানের চারপাশে অর্ধডজন পয়েন্টে চালানো হয়েছিল।
ভারতীয় আক্রমণ বিনা উস্কানিতে ছিল, বিরাটাকারের ছিল, সমন্বিত ছিল, ভারী অগ্নিকামানের নেতৃত্বে অগ্রবর্তী ছিল, এবং এটা এয়ার কভারের মধ্যে পরিচালিত হয়েছিল। ইহা স্পষ্টতই শুধুমাত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলাদের দ্বারা একটি বর্ধিত ক্রিয়াকলাপ ছিলনা, যেহেতু ভারতীয়রা চেষ্টা করেছিল এটি বজায় রাখার জন্য। পাকিস্তানি ও ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর মধ্যবর্তী যুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যের মৃত্যুর অথবা বন্দী হওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ভারতীয় সেনা ইউনিট চিহ্নিত হয়েছে।
২১শে নভেম্বরে, ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী নিম্নলিখিত হামলা চালিয়াছিল: পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরে,সশস্ত্র হেলিকপ্টার দ্বারা সমর্থিত একটি ভারতীয় সেনা ব্রিগেড গ্রুপ পূর্ব পাকিস্তানের পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় প্রবেশ করেছিল, আমাদের সীমান্তফাঁড়ি ছারখার করেছিল এবং আমাদের অঞ্চলের মধ্যে প্রায় ১০ মাইল অনুপ্রবেশ করেছিল। এই সেক্টরের উত্তরে, ২৩ ভারতীয় ডিভিশনের একটি ব্রিগেড গ্রুপ, ডিভিশনের বাকিদের দ্বারা সমর্থিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের নোয়াখালী জেলার বেলোনিয়াতে হামলা চালিয়ে পাকিস্তান সীমানার আটমাইল ভিতরে অনুপ্রবেশ করেছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-বিভাগে, বিলোনিয়ার উত্তর-পশ্চিমে মুকুন্দপুর এবং সালদানদী বর্ডার পোস্টে ৫৭’তম ভারতীয় বিভাগের একটি ব্যাটালিয়ন আক্রমণ চালিয়ে ছারখার করে দিয়েছিল। আরও উত্তরে, পূর্ব পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে, ভারতীয়রা আমাদের ময়মনসিংহের (ময়মনসিংহ জেলা হিসেবে পরিচিত) কাড়িতলা সীমান্তফাঁড়িতে উর্পুযুপুরি আক্রমণ চালিয়েছিল। এই হামলা প্রতিহত করা হয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বকোণে, দুটি ভারতীয় ব্যাটেলিয়ন গ্রুপ সিলেট জেলার মৌলভীবাজার উপ-বিভাগের ধলাই, আটগ্রাম এবং জাকিগঞ্জে আমাদের সীমান্তফাঁড়ি গুলোতে আক্রমণ করে সেগুলো ছারখার করে দিয়েছিল। এই ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে গুর্খার দুটি কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় ভারতীয়রা রংপুর জেলায় আরেকটি হামলা চালায়। এটি ছিল ভুরাঙ্গামারীতে, যেখানে একটি ভারতীয় ব্রিগেড গ্রুপ পাকিস্তান অঞ্চলের নাগেশ্বরীর ১৫ মাইল পর্যন্ত অনুপ্রবেশ করে। যশোর জেলার তিনদিক সম্পন্ন করে, সাঁজোয়াবাহিনী এবং এয়ারকভার দ্বারা সমর্থিত ৯ম ভারতীয় ডিভিশনের একটি ব্রিগেড গ্রুপ দ্বারা দক্ষিণ-পূর্ব সেক্টরে চৌগাছার বিপরীতে একটি বড় আক্রমণ চালানো হয়েছিল। ভারতীয় ট্যাঙ্ক পাকিস্তান সীমানার মধ্যে প্রায় আট মাইল অনুপ্রবেশ করে। পাকিস্তান এয়ারফোর্স ভারতীয় বিমানহামলাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। একটি ভারতীয় বিমান ধ্বংস হয়, এবং আমরা দুটি পাকিস্তানি এলাকার উপর থেকে কতৃত্ব হারিয়েছিলাম। ভারতীয় আর্টিলারি যশোর বিমান ক্ষেত্রে শেল নিক্ষেপ করেছিল। এই সকল হামলা 21 নভেম্বরে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে সীমান্তের পৃথক পৃথক অংশে ছড়িয়ে চালানো হয়েছিল।
২১ নভেম্বর রিপোর্ট করা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানে ১২ টি ভারতীয় ডিভিশন মোতায়েন করা হয়েছে। উপরন্তু, সেখানে ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৮ টি ব্যাটালিয়ন ছিল। ২য় এবং ৫ম ভারতীয় মাউন্টেন ডিভিশন, যারা পূর্বে ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এজেন্সিতে সংস্থিত ছিল, তাদেরও পূর্ব পাকিস্তানের দিকে এগিয়ে আনা হয়েছে। ছয়টি ব্রিগেড দ্বারা গঠিত ৮ম মাউন্টেন ডিভিশনকে নাগাল্যান্ড থেকে পূর্ব পাকিস্তান সীমান্তে সিলেটের দিকে আনা হয়। নাগাল্যান্ডে আর মাত্র একটি ব্রিগেড ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের চারপাশে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বারোটি স্কোয়াড্রন স্থাপন করা হয়। একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার, কতোগুলো ফ্রিগেট, ল্যান্ডিং জাহাজ, ও দুইটি সাবমেরিনের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহদাকার ভারতীয় নৌবাহিনী বিশাখাপত্তমের কাছে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল; যা ছিল চট্টগ্রাম ও চালনা পোর্টের দিকে জল ও স্থল উভয় মাধ্যমে হুমকি। চালনা পোর্টের দিকে ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণের ফলস্বরূপ খাদ্যশস্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ বহনে নিয়োজিত দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে পূর্ব পাকিস্তানে খাদ্য সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছিল।
এই ছিল ২১ নভেম্বরে তাদের অবস্থান। তদবধি, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক কর্ম অব্যাহত রেখেছে, যার মধ্যে আছে আন্তর্জাতিক সীমানা পারাপার সহ আমাদের ভূখণ্ডের উপর প্রতিকূল কার্যক্রম। গত দুই সপ্তাহে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী সব খাতে ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিহত করা অব্যাহত রেখেছে।
বর্তমান যুদ্ধবিগ্রহের প্রকৃতি বোঝার জন্য এ লড়াইয়ের বিবরণ মনে রাখা প্রয়োজন যা অগ্রসর হয়ে ৩রা ডিসেম্বর চরমে পৌঁছে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে পরিণত হয়।
আমি যশোর সেক্টরের প্রসঙ্গ প্রথমে বলব। পূর্ব পাকিস্তানের এই দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রন্টে ২১শে নভেম্বর থেকে ভারতীয়রা ট্যাংক ও ভারী কামান ব্যবহার করেছে। কিছু আক্রমণ ব্রিগেডের মতো শক্তিশালী ছিল। ভারতীয়রা ক্রমে ক্রমে দখল করা পাকিস্তানি অবস্থানের বিরুদ্ধে কিছু সাফল্য পেয়েছিল, এবং আমাদের এলাকার ছয় মাইল অভ্যন্তরে চৌগাছা দখল করেছিল, সেইসাথে জীবন নগর। তাদের আক্রমণ বুইন্দা শিমুলিয়া, কৃশানপুর, জামালপুর ও নবগ্রাম এলাকাসমূহে দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। যশোর সেক্টরে ভারতীয়দের প্রায় ১৫০ নিহত এবং ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছিল। বেশ কিছু ভারতীয় ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছিল। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ইউনিটসমূহ যাদের যশোর সেক্টরে চিহ্নিত করা হয়, তাদের মধ্যে ছিল ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্টে যারা অন্তর্ভুক্ত তারা, এবং ৯ম ভারতীয় পদাতিক ডিভিশনের ৩৫০তম ব্রিগেডের ১ম জম্মু ও কাশ্মীর ব্যাটালিয়ন।
দিনাজপুর-রংপুর সেক্টরে, এই উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টে ভারতীয় আক্রমণ কয়েক দিনের জন্য কেন্দ্রীভূত ছিল দিনাজপুর জেলার পাহাড়ি এলাকায় । অন্যান্য যেসব অঞ্চলে যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছিল সেগুলো হল পঞ্চগড়, নাগেশ্বরী, অউরপাড়া, বান্তারা এবং মির্জাপুর।
ভারতীয় ট্যাংক এবং বিমান এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল। দিনাজপুর-রংপুর সেক্টরে চিহ্নিত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ইউনিটসমূহের মধ্যে ছিল ১০ম ভারতীয় মাউন্টেন ডিভিশনের ১৬৫তম মাউন্টেন ব্রিগেড, ৪র্থ রাজপুত রেজিমেন্ট – ৭ম মারহাট্টা লাইট ইনফ্যান্ট্রি এবং ৯ম ভারতীয় মাউন্টেন ডিভিশন।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট সেক্টর, পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণের প্রথম দিন থেকেই ভারতের প্রবল আক্রমণের সম্মুখীন হয়। পাকিস্তানের দুই মেইল ভিতরে আটগ্রামের নিকটে, এবং রাকিগঞ্জে ভারী যুদ্ধ চলমান ছিল।
.
[নয়া দল্লিী সরকাররে ফাদে পা আমার পা দয়ো ঠকি হবে না কারণ তারা পাকস্তিানরে অভ্যন্তরীণ সঙ্কট এর উপর বাস করে তাতে তাদরে হস্তক্ষপে ও আক্রমণ এর ন্যায্যতা চায়।আমি আশা রাখি এবং বশ্বিাস করি যে নরিাপত্তা পরষিদ জাতসিংঘরে এখতয়িাররে বাইররে বষিয় নয়িে যে বর্তিক তরৈী হয়ছেে তার বরিুদ্ধে ব্যবস্থা নবে।েনরিাপত্তা পরষিদ আর্ন্তজাতকি শান্তরি সাথে সংশ্লষ্টি, শুধুমাত্র একটি সদস্য রাষ্ট্ররে অভ্যন্তরীণ শান্তি ও রাজনতৈকি জীবনরে সাথে নয়।পাকস্তিানরে ভতিরে তাদরে নজিস্ব যে পরর্বিতনই হোক না কনে, তাদরে অবস্থার ঠকি বা ভুল নয়িে একক বা দলগত যে সদ্ধিান্তই নয়ো হোক না কনে,ভারতরে তাতে হস্তক্ষপে করার কোনো যৌক্তকি ভত্তিি নইে।
শান্তপর্িূণ বশ্বিরে ধারা বজায় রাখতে হলে একটি মূলনীতি প্রয়োজন, এবং তা হল প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে আগ্রাসনরে ভত্তিস্বিরূপ কোনো রাষ্ট্র অন্য কোনো রাষ্ট্ররে আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে রাজনতৈকি, র্অথনতৈকি, কৌশলগত, সামাজকি অথবা মতার্দশকিভাবে হস্তক্ষপে করতে পারবে না। আমরা সকলইে জানি যে জাতসিংঘরে সাধারণ পরষিদরে অনকে ঘোষণাই এই মূলনীতকিে স্বীকৃতি প্রদান কর।ে আমি এর সবগুলো উল্লখে করছনিা কারণ এই নীতমিালার স্বীকৃতি এবং জাতসিংঘরে আইনে এর অর্ন্তভূক্তি ওই সব ঘোষণার উপর নর্ভিরশীল নয়। ১৯৬৫ সালে সাধারণ পরষিদ প্রণীত রাষ্ট্রসমূহরে আভ্যন্তরীণ র্কাযক্রমরে মধ্যে মধ্যস্থতার অনুমতি এবং তাদরে স্বাধীনতা ও র্সাবভৌমত্বরে সুরক্ষার উপর ঘোষণাকে উদাহরণ হসিবেে উল্লখে করাই যথষ্ঠে। [এবহবৎধষ অংংবসনষু জবংড়ষঁঃরড়হ ২১৩১ (ঢঢ).]

উক্ত ঘোষণার র্কাযকরী অনুচ্ছদে ১ অনুযায়ী:
“কোনো রাষ্ট্র অন্য কোনো রাষ্ট্ররে আভ্যন্তরীণ বা বাহ্যকি কোনো র্কাযক্রমরে উপর কোনো কারণইে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে হস্তক্ষপে করার অধকিার নইে। পক্ষান্তরে সশস্ত্র হস্তক্ষপে এবং রাষ্ট্ররে স্বত্তা অথবা এর রাজনতৈকি, র্অথনতৈকি এবং সাংস্কৃতকি উপাদানরে পক্ষে হুমকস্বিরূপ সকল ধরণরে প্রচষ্টো বা হস্তক্ষপে নষিদ্ধি।‌‌”
কার্যকরী অনুচ্ছেদ ২ অনুযায়ী:
কোনো রাষ্ট্র অন্য কোনো রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্খার উপর সহিংস আচরণের জন্য সরাসরি কোনো সশস্ত্র কার্যক্রম অথবা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে প্রণোদনা দেওয়া, অর্থায়ন করা, সহযোগিতা বা সংগঠিত করতে পারবে না অথবা কোনো রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের সমস্যার ভেতর তাবেদারি করবে না।’
কার্যকরী অনুচ্ছেদ ৪ অনুযায়ী:
হস্তক্ষেপ করার যে কোনো ধরণের চর্চা শুধুমাত্র জাতিসংঘের সনদের চেতনা এবং চুক্তিকে ভঙ্গ করে না বরং সেসব পরিপ্রেক্ষিত তৈরী করে যেগুলো আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে।
আমি মনে পড়ে ভারত ও সেই কমিটির একজন সদস্য ছিল যারা রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ের মধ্যে হস্তক্ষেপের অনুুমতির উপর ঘোষণা তৈরি করেছিল। অ-হস্তক্ষেপের নীতির বিষয়ে জাতিসংঘে অধিপরামর্শের জন্য ভারত গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছিল। এই অধিপরামর্শের ফলাফল খুব কমই প্রণোদনা সৃষ্টি করেছিল এবং আমরা পাকিস্তানের মানুষ সেটা ভালভাবেই জানি। ঘটনা পরিক্রমায় অসচেতন ভাবে জম্মু এবং কাশ্মীর হত না এবং স্বীকৃতি পেত না যদিনা ভারতের সাথে চুক্তির প্রেক্ষিতে একটি সুষ্ঠু গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অধীনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত গৃহীত হত। জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের আত্ম-পরিচয়ের সংগ্রামে নৈতিক ও রাজনৈতিক সহায়তা প্রদান করার জন্য ভারত অকার্যকরভাবে পাকিস্তানের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধের দাবি তুলেছিল। এই মুহূর্তে আমি সেই প্রসঙ্গে যাচ্ছি না।
রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের নিষেধাজ্ঞার বৈশি^ক ধারণার উন্নয়নে ১৯৬৮ সালে ২১ শে আগষ্ট চেকোস্লোভাকিয়ায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৪৪১ তম অধিবেশনে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ভারতীয় প্রতিনিধি বক্তব্য রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের বিপক্ষে ভারতীয় প্রণোদনাকে আরও শক্তিশালী করেছে। বক্তব্যের কিছু অংশ নি¤œরূপ:
’শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অত্যন্ত মৌলিক ভিত্তি হল কোনো রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য কোনো দেশের নাগরিকগণের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা। আমরা সবসময় বিশ^াস করি যে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কসমূহগুলো ক্ষুদ্র এবং বৃহৎ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পরিচালিত হওয়া উচিত। প্রত্যেকটি দেশ যাতে নিজেদের ঐতিহ্য, দক্ষতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক তৎপরতার প্রেক্ষিতে স্বীয় সত্তা নির্মাণ করতে পারে সেই অধিকারের স্বপক্ষে আমরা সবসময় দাড়িয়েছি। ভারত সবসময় তার স্বর তুলেছে যখনি এইসব নীতিমালার ব্যতয় ঘটেছে।’
এই ছিল অন্যান্য রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিপক্ষে তদানিন্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য। ]
.
এই শত্রুতা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটের সাথে শুরু হয়নি।পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটে এই শত্রুতা কেবল খুঁজে পেয়েছিলো এর নকশা গুলো সম্পাদনের এক শক্তিশালী মাধ্যম,একটি উপলক্ষ,একটি অভূতপূর্ব সুযোগ।ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট ফর ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যানালাইসেস এর প্রধান উল্লেখ করেন,”আমাদের যা অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে তা হল পাকিস্তানের এই ভাঙ্গন আমাদের নিজেদের স্বার্থেই,একটি সুযোগ যা কিনা দুবার আসবে না।“
একজন ভারতীয় রাজনৈতিক প্রচারবিদ,মিঃ স স্বামী ১৫ ই জুনের “মাদারল্যান্ড”,নিউ দিল্লীতে লেখেন,”পাকিস্তানের ভাঙ্গন কেবল আমাদের বহিঃনিরাপত্তার স্বার্থেই নয় আমাদের অন্তঃনিরাপত্তার স্বার্থেও বটে।ভারতকে আন্তর্জাতিকভাবে একটি সুপার-পাওয়ার হিসেবে উত্থান করতে হবে এবং যার জন্য আমাদেরকে জাতিগতভাবে আমাদের নাগরিকদের একীভূত করতে হবে।এর জন্যে পাকিস্তানের বিভাজন একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত।“
অথচ আরেকজন প্রচারবিদ,মিঃ জ আ নায়েক পাকিস্তানের ভাঙ্গনে দেখেছিলেন এই অঞ্চলে ভারতের জন্য সেরাশক্তির মর্যাদা অর্জনের পথ।পহেলা এপ্রিলের “হিন্দুস্তান” এর রিপোর্ট অনুযায়ী নিউ দিল্লীতে,পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংকটের সূত্রপাতের অব্যবহিত পরেই অনুষ্ঠিত এক রাজনৈতিক সভায় অর্জিত ঐক্যমত্য ছিলো যে ভারতের অবশ্যই “এই সুযোগের যা কিনা শতাব্দীর সেরা সুযোগ হিসেবে আখ্যায়িত,উপযুক্ত ব্যবহার করতে হবে”।
অন্তত এটা চিন্তা করা যেতে পারে যে এগুলো রাজনৈতিক তাত্ত্বিকদের আকাশকুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়,আমি এখানে ভারত থেকে সরকারিভাবে ঘোষিত কিছু রায়ের কথা বলছি।নিউ দিল্লীর রোটারি ক্লাবকে উদ্দেশ্য করে আগস্টের ১১ তারিখ “স্টেটসম্যান” নিউ দিল্লীতে প্রকাশিত পরের দিনের রিপোর্ট অনুযায়ী,ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মিঃ জগজ্জীবন রাম বলেন,”বাংলাদেশকে অবশ্যই বাস্তব রূপ লাভ করতে হবে এবং তা হবেই,অন্যথায় তারা ভারতের জন্য অনিবার্য বিপদে পরিণত হবে।“এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের প্রাদেশিক অখন্ডতাকে ভারত “অনিবার্য বিপদ”হিসেবে বিবেচনা করে।বস্তুত পহেলা ডিসেম্বর,পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেন যে পাকিস্তান প্রদেশ ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
১৯শে সেপ্টেম্বরের দ্য স্টেটসম্যান এর রিপোর্ট অনুযায়ী ১৮ ই সেপ্টেম্বর,ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আবার বলেন,”এটা ধারণাতীত যে পাকিস্তান,বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দিয়ে দেবে,কিন্তু আমাদের এমন এক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এগোতে হবে যাতে পাকিস্তানেরর জন্য অন্য কোন পথ খোলা না থাকে”।
এই পরিস্থিতি কেমন হতে পারে তা বর্ণনা করেছিলেন ফর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসেস(যার কথা একটু আগেই আমি উল্লেখ করেছিলাম)এর প্রধান।তিনি ১৫ই আগস্টের “ইলাস্ট্রেটেড উইকলি”তে “মাস্ট উই গো টু ওয়ার”শিরোনামে লেখেন,”পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ হবে একটি স্বল্পস্থায়ী ব্যাপার”।এ ধরনের সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের ক্ষেত্রে।অনুক্রমটি নিম্নোধৃতভাবে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট ডিফেন্স স্টাডিজ দৃষ্টিগোচর করেছিলো এবং আমি নিশ্চিত উদ্ধৃতিটি মেম্বারস অব দ্য সিকিউরিটি কাউন্সিলের কাছে মজাদার বলে মনে হবে;
“নিঃসন্দেহে সিকিউরিটি কাউন্সিল এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য উভয় জাতিকে ডাকবে।যুদ্ধ কি বন্ধ ঘোষিত হবে নাকি কিছু সময় ধরে চলমান থাকবে তা ভারতের বিবেচ্য বিষয়।এই অবস্থায় ভারতের উচিৎ বাংলাদেশকে এই বিবাদের একটি স্বীকৃত পক্ষে পরিণত করা।বস্তুত বাঙ্গলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের এটিই যথার্থ পথ।এটি পরিষ্কার ভাবে স্থাপন করতে হবে যে,বেঙ্গল-সেক্টরে অস্ত্র-বিরতি স্বাক্ষর করা যাবে না যদি না বাঙ্গলাদেশের কমান্ডারকে অস্ত্র-বিরতির উদ্দেশ্য গুলোর জন্য স্বাধীন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ সরকারকে একটি পক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়”।
যে কাগজ থেকে এ উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছিলো তা ১৩ই জুলাইয়ের দ্য টাইমস অব লন্ডন এ পুরোপুরিভাবে রিপোর্ট করা হয়েছিলো।আবারো এ সন্দেহের কোন অবকাশ নেই যে এই চিন্তাধারা সরকারি পলিসির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলো।
অক্টোবরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিঃ জগজ্জীবন রাম-এবং আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বারবার উনাকে উদ্ধৃত করার জন্য,কিন্তু যদিও উনার বাচালতা কিছু ব্যবহার্য উপাদানের যোগান দেয়,এটা ভাবা ভুল হবে যে তিনি এমন কোন সরকারের চিন্তা করেন না যার একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি-বলেন যে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ পাকিস্তানের মাটিতেই হবে এবনগ যুদ্ধের সময় দখল্কৃত জায়গা ভারত ছেড়ে দেবে না।তিনি আরো বলেন,”আমরা সরাসরি লাহোর এবং শিয়ালকোট চলে যাবো এবং ফলাফল যাই হোকনা কেন,আমরা ফিরবো না।“
এটা তাই পরিষ্কার যে ভারতের যুদ্ধংদেহী মনোভাবই পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সঙ্গকটকে এমন মাত্রা দিয়েছিলো যা অন্যথায় এটি কখনোই লাভ করতে পারতোনা।বলা যেতে পারে যে এটা কিন্তু আমাদের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে হালকা করা দেখামোর জন্যব বলা হচ্ছে না।যে সঙ্গকটের মুখোমুখি আমরা এ বছর হয়েছিলাম তা ছিলো আমাদের দেশের জন্য চরম দুঃখের বিষয়।কিন্তু আমি কি এই প্রশ্ন করবো না যে যেসকল জাতিরা যারা এওখন সঙ্গযোগের প্রতীক,তারো কি অতীতে এমন দুর্দশাপূর্‌ণ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়নি?একটি পার্থক্য যে পাকিস্তান যে আন্তর্জাতিক প্রচারের বিকৃতির স্বীকার তারা সেই বিকৃতি থেকে রেহাই পেয়েছিলো।অপ্র এবং আরো তীব্র পার্থক্য হলো যে তাদের এমন শত্রুভাবাপন্ন ও বৃহৎ প্রতিবেশী যারা কিনা শুরুতে তাদের গৃহযুদ্ধকে উসকে দেয় পরে একে বর্ধিত করে এবং শেষে আচমকা আক্রমণ করে যা আমাদের ক্ষেত্রে ভারত করেছিলো।
মহাসচিব তার ২০এ জুলাইয়ের স্মৃতিকথায় সিকিউরিটি কাউন্সিলের সভাপতির দিকে তুলে ধরেন যে,”এই সংকটটি উন্মোচিত হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী এবং অমীমাংসিত পার্থক্যের পরিপ্রেক্ষিতে যা কিনা মাত্র ছয় বছর আগেই মুখোমুখি যুদ্ধের সূচনা করেছিলো।“
ভারত-পাকিস্তান প্রশ্নটি ১৯৪৮ সাল থেকেই সিকিউরিটি কাউন্সিলের একটি আলোচ্য বিষয়।দুই দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন বিরোধ বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশের বিভাজন বিষয়ে যা কিনা সিকিউরিটি কাউন্সিলের অন্তত ১০০ টী মিটিং এ আলোচিত হয় এবং যা কিনা সিকিউরিটি কাউন্সিলের অন্তত ২২ টি ইরাদা ও ২ টি ঐক্যমত্যের বিবৃতির মূল বিষয়বস্তু ছিলো।আমি পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই যে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কখনোই প্রকৃত শান্তি আসবে না এবং আমি শান্তি শব্দটি ব্যবহার করছি এমন কিছুর প্রেক্ষিতে যা কিনা যুদ্ধের অনুপস্থিতির চেয়েও বেশি কিছু-যদি না এই বিবাদ মিমাংসিত হয় ভারত আথবা পাকিস্তান কিংবা অন্য কোন বিদেশী শক্তি বা দলগত শক্তির ইচ্ছানুযায়ী নয় বরং জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছানুযায়ী।একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি রয়েছে-জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষ্কতায় গৃহীত-যে একটী প্রদেশের বিভাজন অবশযই নিশ্চিত করতে হবে জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত নিরপেক্ষ গণভোটের মাধ্যমে।ভারত অবিচলভাবে এই চুক্তি পালনে অসম্মতি জানিয়ে আসছে।তাই পাকিস্তান ও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কে ধরা চিড় গত ২৩ বছরেও প্রশমিত হয় নি এই সামান্য কারনে যে সারা দুনিয়া কাশ্মীর বিরোধের কথা ভূলে গেলেও কাশ্মিরের জনগণ কিংবা পাকিস্তানে তাদের ভাইরা কখনোই ভুলবে না এমনকি যদিও এই বিরোধের কারণ হয় ভারতের উগ্র জাতীয়তাবাধের বহিঃপ্রকাশ এবং একটি ন্যায়সঙ্গত নিষ্পত্তিতে মিলিত হতে অসম্মতি যা লিনা দুই দেশের মাঝে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিবেশীমূলক সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারতো।
ভারত-পাকিস্তানের মদঝযকার শত্রুতার মূল কারণ তাই এ বছরের ঘটনাগুলো নয়,বরঞ্চ এতদিন ধরে ভারতীয় নেতৃবৃন্দের অনুসৃত পলিসি-যা কিনা পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক অধিকারকে অস্বীকার করে এবং শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান িস্যুগুলো সমাধানের অসম্মতি তুলে ধরে।দক্ষিন এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে সাংঘর্‌ষিক পরিস্থিতি গুলি সমা্ধানের জন্য ও বিবাদ সমূহ মেটানোর জন্য একমাত্র পন্থা যা বলা যেতে পারে হলো জাতিসংঘের সনদের অনুচ্ছেদ ৩৩ এ বর্ণিত মাধ্যমগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের অংশগ্রহনের দ্বারা,কোন জাদুর ছড়ির দোলার মাধ্যমে নয়,নয় কোন ঘোষনার মাধ্যমে বা “নো ওয়ার”চুক্তির মাধ্যমে।
শত্রুতার উদগিরণ ঠেকাতে পাকিস্তান কেমন সংকিত ছিলো তা যথার্থভাবে বোঝা যায় এই দেখে যে পাকিস্তান সরক্স্র প্রতিটি প্রস্তাবের প্রতি-যা কিনা দুদেশের মাঝে শান্তি আনয়নে সক্ষম-ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন করেছিলো।মাসখানিক আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার তৎপরতা ঘোষনা করেছিলেনযেকোন মুহূর্তে যেকোন স্থানে ভারতের প্রধান্মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের জন্য।ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিলো সম্পূর্ণ নেতিবাচক.২০ শে নভেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভারতের প্রধানম্নত্রীর প্রতি বন্ধুসুলভ হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।ভারতের জবাব ছিলো পাকিস্তানের উপর পরদিনের সশস্ত্র আক্রমন।
শেষ পর্যন্ত সিকিউরিটি কাউন্সিল এসব জেনে ২০ শে অক্টোবর মহাসচিব,পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের প্রধান্মন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠান এই বলে যে,”এই সম্ভাব্য ভয়ংকর পরিস্থিতিতে একজন মহাসচিব হিসেবে আমি মনে করি এটা আমার কর্তব্য এই দুই সরকারকে সাহায্য করা যেকোন উন্নয়ন এড়াতে যা কিনা ভয়াবহ দুর্যোগের দিকে মোড় নিতে পারে।আমি আপনাদের মহামহিমদের জানাতে চাই যে,আমার অফিস সমূহ সম্পূর্ণ আপনাদের আয়ত্তে যখনই এগুলোকে আপনাদের সহায়ক মনে হয়”।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সাথে সাথেই এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান ও ভারতের সীমান্ত হতে উবয় পক্ষের শক্তি সরিয়ে নেবার পন্থা ও মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করার জন্য।কিন্তু ভারতের প্রতিক্রিয়া কি ছিলো?ভারতের প্রধানমন্ত্রী মহাসচিবের চিঠির জবাব দেন ১৬ ই নভেম্বর,একটি ক্রমবর্ধমান দুশ্চিন্তার পরিস্থিতির ২৭ দিন পর,এবং তার চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন যে,”পাকিস্তান আঁটঘাঁট বেঁধে ভারতের সাথে একটি বড় সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছে”।
এখন যদি এই অভিযোগ সত্য হত তাহলেতো ভারতেরই পাকিস্তানের আগে মহাসচিবকে উপমহাদেশে এসে পরিস্থিতি প্রশমনের জন্য আমন্ত্রণ জানানোর কথা।
.
কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী মহাসচিবের কার্যালয়ের ব্যবহারের উপর এমন কিছু শর্তারোপ করেন যা তার সামর্থ্যের অধিক।তিনি ভদ্র অথচ নির্ভুল ভাবে দাবী করেন যে মহাসচিবের “সমস্যাকে পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে হবে”,এবং পাকিস্তানের ব্যাপারগুলোতে “পশ্চিম পাকিস্তানে একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আনয়নের প্রচেষ্টা”চালানোর মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করতে হবে।বলাই বাহুল্য এই বার্তাটি ছিলো এমন যে যদি মহাসচিব ভারতের রাজনৈতিক নকশা অনুসরণ করেন তবেই তিনি আমন্ত্রিত,অন্যথায় নয়।
বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে ভারতের বক্তৃতাগুলোর মূল বক্তব্য ছিলো এমন যে পাকিস্তান ভারতের সাথে বড় পরিসরের সংঘর্ষের পরিকল্পনা করছে।কিন্তু অক্টোবরে,পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পরষ্পরের সীমানা থেকে উভয় দেশেরই সেনা বহর সরিয়ে নেবার প্রস্তাব করেন।যদি ভারতীয় নেতৃবৃন্দ নিজেদের প্রোপাগান্ডায় নিজেরাই বিশ্বাস করতেন,তবে তারা এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানাতেন।কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্তভাবে এ প্রস্তাবকে নাকচ করে দেন এই মর্মে যে সীমানায় পাকিস্তানের যোগাযোগের লাইনগুলি ভারতের গুলির চেয়ে ছোট।
বিতর্ক এড়ানোর লক্ষ্যে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট তার পূর্বোক্ত প্রস্তাবকে কিছুটা পরিবর্তন করেন এবং বলেন যে যদি শান্তি-সময় স্টেশনের দিকে প্রত্যাহার করা সম্ভব না হয় তবে সীমানার উভয় পাশে নিরাপত্তার ভাব তৈরির জন্য অন্তত উভয় সৈন্যবাহিনীকে তাদের সাঁজোয়া এবং অস্ত্রশস্ত্র সহ দুই দেশের পারষ্পরিকভাবে সমর্থিত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে ফেলা হোক।
কোনকিছু কি এরচেয়ে বেশি ন্যায্য হওয়া সম্ভব?ভারতের সাথে যুদ্ধ এড়াতে পাকিস্তানের কামনা কি আর কিছুর মাধ্যমে এর চেয়ে বেশি সুনিশ্চিত করে বলা সম্ভব?সংক্ষেপে সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখোমুখি হওয়া বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি সদস্য প্রদেশ অন্য সদস্য প্রদেশের ভাঙ্গনের জন্য সশস্ত্র আক্রমণ সহ সকল পন্থার শরণাপন্ন হয়েছিলো।যেহেতু দৃঢ়ভাবে প্রতিরুদ্ধ না হলে ভারতের এই আগ্রাসন আগেই সফল হয়ে যেত,পাকিস্তান তাদের যথার্থ প্রতি-আক্রমণের অধিকারকে অস্বীকা র করতে পারছিলো না।এখন ভারতকে তাদের আগ্রাসনের যুদ্ধ হতে বিরত করার উপায় বের করা সিকিউরিটি কাউন্সিলের দায়িত্ব।কেবলমাত্র সিকিউরিটি কাউন্সিলের উদ্ভাবিত পন্থাগুলো যেগুলো আমাদের স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্ব,প্রাদেশিক অখন্ডতা ও আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারগুলোতে অন্যান্য প্রদেশগুলোর হস্তক্ষেপের অনধিকার এর মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে কেবল সেই পন্থাগুলোই আমার সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতা লাভ করবে।
শেষ করার আগে,আমি নিজেকে বাধিত মনে করছি সি বিতর্কের উপর কিছু পর্যবেক্ষণ তৈরি করতে,যেই বিতর্কটি এই কাউন্সিলে তৈরি হয়েছিলো সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিনিধির একট তথা-কথিত স্বত্বার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তাবের মাধ্যমে।ভারতের প্রতিনিধি কিন্তু ইতোমধ্যেই আলোচনার ঊর্ধ্বে চলে গিয়েছিলেন এই প্রশ্নে হস্তক্ষেপ করে কারণ কেবলমাত্র সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্যরাই প্রক্রিয়াগত বিতর্কে অংশ নিতে পারে।প্রক্রিয়ার নিয়মগুলোর ৩৯ তম নিয়মটি জারী করা হয়েছিলো আমন্ত্রণকে বর্ধিত করার পক্ষে।কিন্তু আমি সিকিউরিটি কাউন্সিলকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে প্রক্রিয়ার নীতিগুলোকে অবশ্যই জাতিসংঘের দলিলের অনুচ্ছেদগুলোর অধীন এবং অনুবর্তী হতে হবে এবং সেই দলিলের মৌলিক নীতিগুলোর অন্যতম একটি নীতি হলো সদস্য প্রদেশগুলোর প্রাদেশিক অখন্ডতা।কাউন্সিলের প্রক্রিয়াগত নিয়মের ৩৯ তম নিয়মের অধীনে যেকোন পরিবর্তন যা এই মৌলিক নীতির বিপরত তা হবে জাতি সংঘ ও সিকিউরিটি কাউন্সিলের সামর্থ্যের বহিরভূত,কারণ সিকিউরিটি কাউন্সিলকে জাতি সংঘের দলিলের নীতিগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলতে হবে।
প্রশ্নের সেই তথা-কথিত প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তাবটি ছিলো আপাত নিরীহ।আমাদের বলা হয়েছিলো যে কাউন্সিল লাভবান হবে যেকোন তথ্য থেকে যা পাকিস্তান-ভারতের ক্রম অবনতির দিকে যাওয়া পরিস্থিতি যা পরিনতিতে দু দেশের মাঝে সশস্ত্র যুদ্ধের শুরু করতে পারে এই বিষয় সম্পর্কিত।
কিন্তু এ জাতীয় তথ্য বিষয়ে সিকিউরিটি কাউন্সিল,সাধারণ পরিষদ এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা সেই বিশেষ স্বত্বার তথা-কথিত প্রতিনিধিদের পাঠানো বস্তুগত প্রমান দ্বারা প্লাবিত হয়ে গিয়েছিলেন,এবং এ বিষয়ে প্রেসে এত বেশি প্রচার হয়েছিল যে একে সরকারী স্বীকৃতি ও এর ডকুমেন্টগুলো নিয়ে পরবর্তী কোন প্রস্তাব সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্যদের কাছে দেওয়া সম্ভব হয় নি।
আমি বলেছিলাম যে এই প্রস্তাবটি কেবল আপাতই নিরীহ ছিলো,কারণ কারণ মৌলিকভাবে এটি সরাসরি বোঝায় যে,সে ধরনের তথা কথিত প্রতিনিধিদের বসিয়ে সিকিউরিটি কাউন্সিল একটি সদস্য প্রদেশের প্রাদেশিক অখন্ডতায় আঘাত করতেন এবং এ ধরণের স্বীকৃতির মাধ্যমে পাকিস্তানকে অসদস্যে পরিণত করার পথ তৈরি করতেন।
কি এই অস্তিত্ব যার পক্ষ থেকে ভারতের প্রতিনিধিরা একটি ডকুমেন্ট তৈরি ক রেন এবং যার কিনা তারা কাউন্সিলের টেবিলে অবস্থান ও শুনানী দাবী করেন?এটি হল ভারতের,যে দেশ কিনা পাকিস্তানের বিভাজন ও তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে সহায়তা করেছিলো এবং যারা এখন পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে মত্ত,সেই ভারতের মতলবে সংঘঠিত,প্রতিষ্ঠিত একদল মানুষ এবং এই মানুষগুলোর সিট হলো কলকাতায়।আমরা জানি যে এই নিউ ইয়র্কেই অনেকগুলো সংঘটন ও স্বত্বা রয়েছে যারা কিনা কিছু নির্দিষ্ট বৈধ সরকার বা তথা কথিত বৈধ সরকারের নামে কথা বলার দাবী করে এবং তার বিভিন্ন বস্তুতে আমাদের ভাসিয়ে দেয় এবং আমাদের অনুরোধ করে আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গের সরকারী ডকুমেন্ট হিসেবে ছড়িয়ে দিতে।আমরা কি সনদের বিরুদ্ধাচরণকারী এই মানুষগুলোর অনুরোধের সাথে সহমত প্রকাশ করব?
অনেক তর্কবিতর্ক হয়েছে একটি মিটিং এর কথা জিজ্ঞেস করে সিকিউরিটি কাউন্সিলের কাছে নয় প্রতিনিধির চিঠি যা ছিলো,”সাম্প্রতিক ক্রম অবনতি‌পূর্ণ পরিস্থিতি যা ভারত-পাকিস্তানের মাঝে যুদ্ধের শুরু করে”প্রসংগে(S/10411)।কি সেই পরিস্থিতি যা নয় প্রতিনিধির মিটিং এর জন্য অনুরোধকে চিত্রায়িত করেছিলো?পাকিস্তানের পরিস্থিতি সিকিউরিটি কাউন্সিলের দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছিলো মহা সচিবের ২০ই জুলাইয়ের স্মৃতিকথা এবং আবার নভেম্বরেই সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্যরা মহা সচিবের প্রেরিত তথ্যের ভিত্তিতে মিলিত হতে অসম্মতি জানান কারণ মহা সচিব তখন বস্তুত,যদিও প্রকাশ্যে নয়,সনদের ৯৯ তম অনুচ্ছেদের অধীনে কাজ চালাচ্ছিলেন।যেখানে,সনদে আর কোন বিধান নেই যার অধীনে মহাসচিব শান্তি ও নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে এমন কোন পরিস্থিতি সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্যদের নজরে আনতে পারেন।যেই পরিস্থিতি নয় জন প্রতিনিধিকে চিঠি প্রেরণে উদ্বুদ্ধ করেছিলো তাহলো পুরোদমে শুরু হয়ে যাওয়া ভারত-পাকিস্তানের মধ্যবর্তী শত্রুতা।আমি দাখিল করবো যে সিকিউরিটি কাউন্সিলের অবশ্যই এই ডকুমেন্টকে দৃঢ়ভাবে ব্যবহার করতে,এবং দূরদর্শী প্রভাবের মাধ্যমে নয়,কারণ এটা ভাবা হয়নি যে এটা সঠিক ভাবে পরিস্থিতিকে সামাল দিতে পারবে যখন বিভিন্ন পরিস্থিতি মহাসচিবের দ্বারা সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্যদের সামনে আনা হয়।
চুড়ান্তভাবে,আমরা বিশ্বাস করি উদ্বাস্তু সমস্যাটি একটি মানবিক সমস্যা। উদ্বাস্তুদের সম্মান,জীবনের নিশ্চয়তা ও তাদের সম্পদের পুনঃসংরক্ষণের শর্তে মানবিক অভিগমনের ভিত্তিতে তাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কতৃক অনুরোধ করা যেকোন কিছু করতে রাজি।এবং এখন বলতে যে।উপ মহাদেশে এমন পরিস্থিতিতে,যখন যুদ্ধের শিখা ৭০০ মিলিয়ন মানুষকে হুমকি দেয়,তখন ভারতে থাকা উদ্বাস্তুদের অবশ্যই এমন এক ধরনের স্বীকৃতি সিকিউরিটী কাউন্সিলের ভেতরে ও বাইরে দিতে হবে যা এমনই অভূতপূর্ব যে সিকিউরীটি কাউন্সিলকে এই কাজের ফলাফল নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করতে হবে।আমি একটি আবেদন করবো যেন সিকিউরিটি কাউন্সিল সনদের মৌলিক নীতিগুলির প্রতি পূর্ণ সম্মান ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবে।এবং যদি কোন ভয়ংকর নিদর্শন স্থাপণ করতে হয়,তবে পাকিস্তানকে সিকিউরিটি কাউন্সিল এবং জাতিসংঘের সাথে তার সহযোগিতাকে প্রকৃতই প্রশংসা করতে হবে।