You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
নিরাপত্তা পরিষদে বিভিন্ন রাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব ও সংশোধনী জাতিসংঘ ডকুমেন্টস ১২-২১ ডিসেম্বর, ১৯৭১

নিরাপত্তা পরিষদ,
মহাসচিবের ৩রা ও ৪র্থ ডিসেম্বর ১৯৭১-এর প্রতিবেদন এবং ৬ষ্ঠ ডিসেম্বর ১৯৭১-এর নিরাপত্তা পরিষদের রেজলুশন ৩০৩ সুচিত করা হল, ১০৪-১১-১০ ভোটে গৃহীত গণপরিষদ রেজলুশন ২৭৯৩(৬) ৭ম ডিসেম্বর সুচিত হল, আরও সুচিত হল যে, গণপরিষদের রেজলুশন ২৭৯৩(৬) অনুযায়ী পাকিস্তান সরকার যুদ্ধবিরতি এবং অস্ত্র প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে এবং ভারতর উক্ত কাজে অপারগতা প্রকাশ করছে। গভীর উদ্বেগপূর্ণ ব্যাপার এই যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈরীভাব এখনও বিদ্যমান যা আন্তর্জাতিক শান্তির পক্ষে হুমকিস্বরূপ। জাতিসংঘ প্রদত্ত অধিকারনামার কাঠামো অনুসারে পরিস্থিতির সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ অনুভব করেই একটি রাজনৈতিক সমাধান সংঘর্ষাক্রান্ত অঞ্চলে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে এবং শরণার্থীদের তাদের নিজ বাসভূমিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অতীব জরুরী বলে উপলব্ধি করা হয়েছে। অধিকারনামার উল্লেখ্য বিধানের অধ্যায় ৩, অনুচ্ছেদ ৪ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সুরক্ষীকরণ সনদের অনুচ্ছেদ ৪, ৫ এবং ৬ মাথায় রেখে, পাকিস্তান ও ভারতের নিজ নিজ সীমান্তে অতিসত্বর অস্ত্র এবং সৈন্য প্রত্যাহার এবং বৈরিভাব সমাপ্তির জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন উপলভ্য হয়। অধিকারনামায় প্রাসঙ্গিক বিধান সমুহের মধ্যে উল্লেখ্য প্রস্তাবনা এবং নীতি এবং নিরাপত্তা পরিষদের উক্ত প্রেক্ষাপটে দায়িত্বসমূহ অনুযায়ী, ১। ভারত সরকারকে, গণপরিষদের রেজলুশন ২৭৯৩(৬) অনুযায়ী অবিলম্বে অস্ত্র এবং সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাবে রাজি হতে হবে, ২। অবিলম্বে ভারত ও পাকিস্তান সরকারকে নিজ নিজ সীমানায় সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে নির্দেশ করে, ৩। দ্রুত জাতিসংঘের অধিকারনামার নীতি এবং প্রস্তাবনা অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীদের স্বপ্রণোদিতভাবে নিজ বাসভূমিতে ফিরে আসার পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা জোড়াল করার আহ্বান জানায়, ৪। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অত্র অঞ্চলের জন সাধারণের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য সকল সম্ভব পদক্ষেপ ও সতর্কতা গ্রহণের আহ্বান জানায়, ৫। মহসচিবকে বর্তমান পরিস্থিতি এবং রেজলুশন বাস্তবায়নের সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদকে অবিহিত করার অনুরোধ করে, ৭। বর্তমান অবস্থানে স্থির থাকার এবং প্রয়োজনে আবারও আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
.
নিরাপত্তা পরিষদ,

১৯৭১ সালের তৃতীয় ও ৪র্থ ডিসেম্বার মহাসচিবের প্রতিবেদন এবং ১৯৭১ সালের ছয় ডিসেম্বার নিরাপত্তা পরিষদের সমাধান ৩০৩ (১৯৭১) উল্লেখপূর্বক,
১৯৭১ সালের সাত ডিসেম্বার সাধারণ পরিষদের সমাধান ২৭৯৩ (VI) উল্লেখপূর্বক যা ১০৪-১১-১০ ভোটে গ্রহণ করা হয়,

আরও উল্লেখ যে সাধারণ পরিষদের সমাধান ২৭৯৩ এবং ভারত সরকারের ডকুমেন্ট এস/১০৪৪৫ ঘোষণা মেনে পাকিস্তান সরকার যুদ্ধ বিরতি ও সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহারের সিধান্ত গ্রহণ করেছে,

অনুতাপের বিষয় ভারত সরকার এখনো কোনো নিঃশর্ত এবং অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার স্বীকার করেনি যা সাধারণ পরিষদের সমাধান ২৭৯৩ তে ঘোষণা করা হয়েছিল,

গভীর উদ্বিগ্নের বিষয় এই যে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলমান যুদ্ধ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি তাৎক্ষণিক হুমকি,

তাই পরবর্তী সময়ে এই ইস্যুটি যা যুদ্ধের সৃষ্টি করেছে তা উপযুক্তভাবে মোকাবিলা করার জন্য জাতিসংঘ সনদ কাঠামোর মধ্যে স্বীকৃতিপ্রদান করতে হবে,

একটি উপলব্ধির বিষয় এই যে উদ্বাস্তুদের ফেরত পাঠানোর জন্য এবং আক্রান্ত এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরেয়ে আনার জন্য একটা প্রাথমিক রাজনৈতিক সমাধান খুবই জরুরি।

চার্টার বিধানের আর্টিকেল ২ বিশেষত অনুচ্ছেদ ৪, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সুদৃঢ় করার ঘোষণা স্মরণ করে বিশেষ করে ৪,৫ এবং ৬ অনুচ্ছেদ,

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধ তাৎক্ষনিক ভাবে বন্ধ ও ভারত এবং পাকিস্তান নিজ নিজ সীমান্ত থেকে সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অনতিবিলম্বে নিতে হবে

সনদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব সম্পর্কে মনযোগী হতে হবে যা সনদের অধীনে প্রাসঙ্গিক
১। পাকিস্তান ও ভারত সরকারকে অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য ডেকে ঘোষণা দেওয়া এবং অন্যর সীমান্ত এলাকা থেকে নিজেদের সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার করা।
২। জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য ও মূলনীতি অনুসারে দ্রুততার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
৩। সকল রাষ্ট্র ও মহাসচিবসহ সকলের পুর্ন সহযোগিতার আহ্বান করে উদ্বাস্তুদের মর্মপীড়া থেকে মুক্তিদানের বাবস্থা নেওয়া

৪। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সকল সম্ভব ব্যবস্থা এবং সাবধানতা অবলম্বন করে জীবন ও এলাকায় বেসামরিক জনসংখ্যার নিরাপত্তা নিচ্ছিত করতে আহ্বান করা।
৫। বর্তমানে সমাধান বাস্তবায়নের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের মহাসচিবকে অবহিত করা
৬। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকে যেন ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি পুনরায় মোকাবেলা করা যায়।
.
নিরাপত্তা পরিষদ
সেক্রেটারি জেনারেল এর ৩য় এবং ৪র্থ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর রিপোর্ট লক্ষ করুন এবং
৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর সিকিউরিটি কাউন্সিল রেজুলেশন ৩০৩(১৯৭১),
উদ্দেশ্য এবং চার্টার নীতির সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং এটা চার্টার প্রাসঙ্গিক বিধানের অধিনে নিরাপত্তা কাউন্সিলের দ্বায়িত্,ব
৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর সাধারণ পরিষদের রেজুলেশন (ষষ্ঠ) এর চিঠি যা মহাসচিব কৃতক পাঠানো হয়েছিল সাধারন পরিষদের রেজুলেশন ২৭৯৩(ষষ্ঠ) বিষয়ে এবং উত্তর হিসেবে পাকিস্তান সরকারের কৃতজ্ঞতা লক্ষ করা যায় যা।
অন্তর্ভুক্ত নথি S/10440ভারত সরকারের আরো উত্তর লক্ষ করুন নথি S/10445
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধবিগ্রহ চলছে তা নিয়ে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন এবং তা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সরূপ।
এছাড়াও জাতিসংঘ এর সনদ কাঠামোর মধ্যে প্রয়োজনীয় স্বীকৃতিপ্রদান ও একটি ব্যাপার যা এই যুদ্ধবিগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্বীকৃতিপ্রদান যে একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান একটি রাজনৈতিক নিষ্পত্তির উপর ভিত্তি করে করা উচিত নয়।এটি আমন ভাবে করা উচিত যাতে
পাকিস্তান জনগণের অধিকার এবং স্বার্থ সম্মান রক্ষা হয় ।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সুদৃঢ় করার ঘোষনা বিশেষ করে অনুচ্ছেদ ৪,৫,এবং ৬ অনুযায়ী এই যুদ্ধ থামাতে অবিলম্বে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হোক এবং সব ধরনের সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার করা হোক।

.

সকল সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহবান, জাতিসংঘের সনদের অধীনে সকল প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ভারত-পাকিস্তান উপমহাদেশের অবস্থা খারাপ করার বা আন্তর্জাতিক শান্তি বিপন্ন করার জন্য কোনও পদক্ষেপ বা পদক্ষেপের হুমকী থেকে বিরত থাকা।
সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে আহবান, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে যুদ্ধের একটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত যুদ্ধ অবসান আনার পদক্ষেপ।
ভারত পাকিস্তান উভয়ের প্রতি আহবান, বিচ্ছিন্নতা ও প্রত্যাহার মূলক কার্যক্রম চালিয়ে সকল প্রকার দ্বন্দের অবসান ঘটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা।
একটি বিশাল রাজনৈতিক নিস্পত্তি অর্জনের লক্ষ্যে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য আহবান।
সেক্রেটারি জেনারেলসহ সকল রাজ্যগুলির প্রতি পুর্ন সহযোগিতার আহবান এবং পূর্ব পাকিস্তানের শরনার্থীদের দুর্দশার জন্য সহায়তা প্রদান
সকল পক্ষের প্রতি আহবান, জীবন রক্ষার্থে সম্ভাব্য সমস্ত ব্যাবস্থা ও সতর্কতা গ্রহন করা, এবং বেসামরিক এলাকার জনকল্যাণে জেনেভা সম্মেলনের সকল পর্যবেক্ষন নিশ্চিত করা।
ভারত ও পাকিস্তান সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
সাধারন সচিবকে অবিলম্বে সিকিউরিটি কাউন্সিল রাখতে এবং সম্প্রতি বর্তমান সমাধান এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
এই ব্যাপারে জব্দ করে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়, এবং পরিস্তিতির প্রয়োজনে আবার দেখা হবে।
.
নিরাপত্তা পরিষদে পোল্যান্ডের খসড়া প্রস্তাব,
অনু ১ ৩, ডিসেম্বর ১, ১৯৭১।
নিরাপত্তা পরিষদ,
ভারতীয় উপমহাদেশে সামরিক সংঘাত, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করেছে, তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনা হয়েছে।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে
১. সংঘাতের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায়, ক্ষমতা শান্তিপূর্ণভাবে আইনগতভাবে নির্বাচিত শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জনপ্রতিনিধিদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
২. ক্ষমতা স্থানান্তর প্রক্রিয়া আরম্ভের পর হতে তাৎক্ষণিকভাবে সকল এলকায় সামরিক হস্তক্ষেপ স্থগিত করতে হবে এবং ৭২ ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক পর্যায় শুরু হবে।
৩. তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক পর্যায় আরম্ভের পর থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সংঘাতের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা থেকে উদ্বাসনের উদ্দেশ্যে প্রত্যাহার শুরু করবে।
৪. একইভাবে, পশ্চিম পাকিস্তানের সকল বেসামরিক কর্মী এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যেতে ইচ্ছুক সেইসাথে পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থানরত পূর্ব পাকিস্তানের সকল বেসামরিক কর্মী এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা ঘরে ফিরতে ইচ্ছুক, তা করতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটা সুযোগ দেওয়া হবে, সম্পর্কিত সকল উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হবে যে কেউ পুনরায় বন্দী হবে না।
৫. ৭২ ঘণ্টা সময়কালের মধ্যে উক্ত উদ্দেশ্যের জন্য পাকিস্তানের সেনা এবং তাদের সমাবেশ প্রত্যাহার শুরু হবে, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে। পশ্চিম পাকিস্তানের উদ্বাসন শুরু হওয়ার সাথে সাথে ভারত তাদের সামরিক কার্যক্রমের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা থেকে তাদের প্রত্যাহার করা শুরু করবে। আইনগতভাবে নির্বাচিত শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জনপ্রতিনিধিদের নিকট ক্ষমতা স্থানান্তরের ফলাফল হিসেবে নতুন প্রতিস্থাপিত কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে।
৬. যে নীতি উপলব্ধি করে সেনাবাহিনী ব্যবহার করে যে প্রাদেশিক অর্জন করা হয়েছে তা সংঘাতের কোনো পক্ষ ই অধিকারে রাখতে পারবে না, – যত দ্রুত সম্ভব উক্ত নীতি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ভারত ও পাকিস্তানের সরকার তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সেনাবাহিনীর যথাযথ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আলাপআলোচনা শুরু করবে।

.
.
নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার খসড়া প্রস্তাব
ডিসেম্বর ১, ১৯৭১

গ্রে এলি উপমহাদেশের ভারত-পাক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন, এটি স্বাভাবিক সান্ত অবস্থার প্রতি হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে
উদ্ধৃতিঃ সাধারণ পরিষদের রেজোলিউশন ২৭৯৩ (ষষ্ঠ) ৭ ম ডিসেম্বর, 1971

১। পাকিস্তান সরকারকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে অবিলম্বে সকল রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেয়ের জন্য যাতেকরে পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের ম্যান্ডেট অনুসারে কাজ আবার শুরু করতে পারেন;
২। সিদ্ধান্ত নিচ্ছে-
• সকল পক্ষে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক
• সকল যুদ্ধবিরতি সহ ভারত ও পাকিস্তানের নিজ নিজ সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের নিজের সীমান্তের দিকে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে এবং জম্মু ও কাশ্মিরের সকল গোলাগুলিও বন্ধের অনুরোধ করা হল।

৩। সেক্রেটারি জেনারেলকে নিম্নোক্ত কারণে একজন বিশেষ প্রতিনিধি নিযুক্ত করার জন্য অনুরোধ করা হলঃ
ক) উপর্যুক্ত বিষয়াদি সঠিকভাবে সম্পাদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ;
খ) সংবিধান সম্মত ভাবে, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এবং পাকিস্তান সরকারের মাঝে গ্রহণযোগ্য সমঝতার জন্য সহায়তা প্রদান;
গ) শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় ফিরে আসার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা;
ঘ) ইন্ডিয়া পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিক করণ;

৪। এই প্রস্তাবনা সমূহ বাস্তবায়নের জন্য নিরাপত্তা পরিষদ যেন চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখে সে জন্য মহা-সচিবকে অনুরোধ জানাচ্ছে।
.
নিরাপত্তা পরিষদে সোভিয়েত ইউনিয়নের খসড়া প্রস্তাব
এস১৭, ১ ডিসেম্বর ১৯৭১
GRA ELY( এটা বুঝি নাই) গুরুত্বপূর্ণ ইন্দে-পাকিস্তান উপমহাদেশে সংশ্লিষ্ট সংঘর্ষ, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য তাৎক্ষনিক হুমকি স্বরূপ।
১। পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ডেকে রাজনৈতিক সমস্যার যুগপৎ সমাধান করতে বলুন।
৩।১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকুন।
৪।পরিষদে গঠিত প্রস্তাব গুলোকে শীঘ্রই বাস্তবায়ন করতে মহাসচিব কে অনুরোধ করুন।
৫।ওই এলাকায় শান্তি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সার্বিক আলোচনা অব্যাহত রাখুন।
.
জাপান ও ইউ এস এ দ্বারা সংশোধিত খসড়া রেজোলিউশনের নিরাপত্তা পরিষদ এস ১, ৯রেভারেন্ড ১,১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ নিরাপত্তা পরিষদের,গভীরভাবে ভারত-পাকিস্তান উপমহাদেশ পরিস্থিতি সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি তাৎক্ষণিক হুমকি গঠন তৈরি করছে।সেই ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালের সাধারণ পরিষদের রেজোলিউশন ২৭৯৩ (ষষ্ঠ),বিবৃতি সিকিউরিটি ১৬১৭তম সভায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যে তার দেশের কাউন্সিলের কোন স্থানিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে বলে জানিয়েছে। সেসব হল-
১. emands যে একটি তাৎক্ষণিক এবং টেকসই যুদ্ধবিরতি এবং সকলের শমসংঘাতের সব এলাকায় যুদ্ধবিগ্রহ কঠোরভাবে পালন এবং যতক্ষণ কার্যকারিতা বজায় করা disengagement নেতৃস্থানীয় অধিকৃত অঞ্চল বাহিনীকে অভিযান সঞ্চালিত সশস্ত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ করা।
২. সব সদস্য রাষ্ট্রের ডাকে কোন পদক্ষেপ যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে এবং বিরত থাকলে উপমহাদেশে পরিস্থিতি বা আন্তর্জাতিক শান্তি বিপন্ন হতে পারে।
৩. সব সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট যারা মানুষের জীবন ও ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশন পালনের জন্য এবং আবেদন করতেপূর্ণ তাদের রসদ প্রস্তুত আহত ও অসুস্থদের যুদ্ধের বন্দীদের সুরক্ষা শুভেচ্ছা এবং বেসামরিক জনসংখ্যা;দুঃখকষ্ট ও পুনর্বাসনের ত্রাণ আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য এগিয়ে আসবে।
৪.উদ্বাস্তু ও নিরাপত্তা এবং তাদের বাড়িতে এবং সম্পূর্ণ জন্য মর্যাদা তাদের ফেরতের সঙ্গে মহাসচিব সহযোগিতা প্রভাব বিস্তার করবেন।
৫.মহাসচিব একটি বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগের ধারা তার মানবিক সমস্যার সমাধান করবেন বিশেষ করে ভাল অফিসের মাধ্যমে।
৬. মহাসচিব কাউন্সিল অবিলম্বে এবং বর্তমানে এই রেজল্যুশন রেখে বাস্তবায়নের বিষয়ে অবহিত করবেন।
৭. আরও ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং সম্পূর্ণ এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনুন।
.

নিরাপত্তা পরিষদে আর্জেন্টিনা, বুরুন্ডি, জাপান, নিকারাগুয়া, সিয়েরা লিওন এবং সোমালিয়ার খসড়া বিশ্লেষণ
এস/১০৪৬৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ১৯৭১
প্রতিরক্ষা পরিষদ,
আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ উপমহাদেশের গুরুতর অবস্থা আলোচনা করা।
৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর সাধারণ পরিষদ প্রস্তাবনা ২৭৯৩(xxvi) উল্লেখ করা।
৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর পাকিস্তার সরকারের প্রত্যুত্তর উল্লেখ করা।
১২ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর ভারত সরকারের প্রত্যুত্তর উল্লেখ করা।
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বিবৃতি গ্রহণ,
১৬১৭ তম নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ওয়েস্টার্ন থিয়েটারে একপাক্ষিক যুদ্ধবিরতি ঘোষনার বিবৃতি পুনঃউল্লেখ করা।
১৭ ডিসেম্বর,১৯৭১ থেকে ওয়েস্টার্ন থিয়েটারে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি চুক্তির উল্লেখ।
এটা উল্লেখ করা যেন পরিনামে অস্ত্রবিরতী ও সংঘর্ষবিরাম স্থান লাভ করে।
১।ভারত ও পাকিস্তানের জন্য গঠিত জাতিসংঘ সামরিক পর্যবেক্ষণ দলের তত্ত্বাবধানে জম্মু ও কাশ্মীরের যুদ্ধ বিরতি লাইনের প্রতি পূর্ন সম্মান রেখে সকল সশস্ত্র বাহিনী কে নিজ নিজ এলাকা ও অবস্থান থেকে যতদ্রুত সম্ভব, সব এলাকায় স্থায়ী অস্ত্র বিরতি ও সব সংঘর্ষবিরাম যেন কঠোরভাবে পালন করা হয় সে দাবী রাখা এবং প্রত্যাহার সংগঠিত হওয়ার আগে পর্যন্ত তা কার্যকর রাখা।
২। সকল সদস্য রাষ্ট্রকে উপমহাদেশের অবস্থাকে উত্তক্ত করে কিংবা আন্তর্জাতিক শান্তিকে বিপন্ন করে এমন কোন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান করা।
৩। সংশ্লিষ্ট সকল কে মানব জীবন রক্ষা ও ১৯৪৯ এর জেনেভা চুক্তি মান্য করার জন্য সব ব্যাবস্থা গ্রহণ এবং যুদ্ধাহত ও অসুস্থ, যুদ্ধবন্দী ও অসামরিক মানুষের পূর্ন সুরক্ষার আহ্বান করা।
৪। শরনার্থীদের দূর্ভোগ দূরীকরণ ও পূনর্বাসনের জন্য এবং তাদের আবাসভূমিতে নিরাপদ ও সম্মানের সাথে ফিরে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা আবেদন এবং এ নিমিত্তে মহাসচিবের পূর্ণসহযোগীতা প্রার্থনা;

৫। মানবিক সমস্যা সমাধানের জন্য মহাসচিব কে – প্রয়োজন হলে, তার সহায়ক অফিসে বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া;
৬। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কাউন্সিল বা পরিষদ কে অবিলম্বে অবগত রাখার জন্য মহাসচিব কে অনুরোধ করা;
৭। পুরো ব্যাপারটি সক্রিয় বিবেচনাধীন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।
 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!