You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.12 | জাতিসংঘ মহাসচিবকে প্রদত্ত জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধির পত্র | জাতিসংঘ ডকুমেন্টস - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সুত্র তারিখ
জাতিসংঘ মহাসচিবকে প্রদত্ত জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধির পত্র জাতিসংঘ ডকুমেন্টস ১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১

জাতিসংঘের কাছে, জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধির চিঠি
A 8 8 S 1, ১২ই ডিসেম্বর, ১৯৭১

৭ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ “৪, ৫ এবং ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত, নিরাপত্তা পরিষদের ১৬০৬তম, ১৬০৭তম এবং ১৬০৮তম অধিবেশনে বিবেচিত পশ্ন” এই শিরোনামে ২৭৯৩ (ঙ) রেজল্যুশনটি সাধারন পরিষদে গৃহীত হয়। মহাসচিব কর্তৃক এটি টেলিগ্রাফের মাধ্যমে সরাসরি ভারত সরকারের কাছে পাঠনো হয়েছিল। নিম্ন লিখিত বিষয়ে ভারত সরকারের জবাব পাঠানোর জন্য আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছেঃ

“রাষ্ট্রদূত,
চার্টার (রাজশাসনপত্র) এর উদ্দেশ্য ও মূলনীতির বিষয়ে ভারতের নিষ্ঠা সুপরিচিত। আমাদের গত ছাব্বিশ বছরের ইতিহাসে এটি প্রতিষ্ঠিত। ভারত শুধু মাত্র জাতিসংঘকে মৌখিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়েই সন্তুষ্ট নয় বরং শান্তি রক্ষায়, উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একটি নিস্বার্থ সংগ্রামে সবার আগে রয়েছে। ভারতীয় সৈন্যরা কোরিয়া, কঙ্গো এবং পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তাদের জীবন দিয়েছে।

জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত এবং এর বিভিন্ন অংগ প্রতিষ্ঠান ও প্রতিনিধি কর্তৃক গৃহীত রেজল্যুশ্ন সবসময় আমাদের সর্বাপেক্ষা আন্তরিকতা ও সতর্ক বিবেচনা পেয়েছে। অতএব, ভারত সরকার ৮ই ডিসেম্বর, ১৯৭১, ভারতীয় উপমহাদেশের বর্তমান মারাত্মক পরিস্থিতির উপর সাধারন পরিষদ কর্তৃক গৃহীত রেজল্যুশন অত্যন্ত যত্নের সাথে পড়েছে।

আমরা আনন্দিত যে,রেজল্যুশনে উদ্বাস্তুদের সেচ্ছায় তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার চরম গুরুত্বকে স্বীকার করা হয়েছে। হয়ত এই লক্ষ্ লক্ষ্ শরনার্থীরা যে পরিস্থিতিতে তাদের স্বদেশ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে তা সংক্ষিপ্তভাবে স্মরন করা উপযুক্ত।

২৫শে মার্চ, ১৯৭১ এ পাকিস্তান সরকার তাদের পুর্ব প্রদেশের লোকেদের ওপর একটি হামলা চালিয়েছিল, যাদের একমাত্র অপরাধ ছিল তারা গণতান্ত্রিকভাবে ভোট দিয়েছিল। লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ, নিরস্ত্র নাগরিদের তাদের বাড়ি থেকে উৎখাত করা হয় এবং হাজার হাজার মানুষ মারা যায় বা পঙ্গু হয়। যাইহোক, আমাদের পরম উদ্বেগ ন্যায় বিচারের নিয়ে এবং সহানুভুতি মানুষের দুঃখের জন্য, এই ভয়ানক ঘটনাগুলো আমাদের কিছু পূর্ব্ প্রদেশের সীমানা বরাবর না ঘটলে, আমরা হয়ত একটা উদাসীন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে থাকতে পারতাম। এখনো পর্যন্ত প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানি আর্মির হাতে মৃত্যু এবং অসন্মান থেকে বাচাঁর জন্য আমাদের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এত অল্প সময়ে এত বড় শরনার্থী প্রবাহের দেখভালের ভার নেওয়া একটি অভিশাপ হয়ে দাড়িঁয়েছে। পুর্বাঞ্চলে আমাদের পুরো প্রশাসন একটি স্থিরাবস্থায় আছে, এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবন পরিবর্তন হয়েছে কারন স্কুল, হাস্পাতাল এবং অন্যান্য সরকারি ভবনগুলো শরনার্থীদের দখলে।

সামাজিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা সারা দেশে সৃষ্টি হয়েছে এবং আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়েছে, নেতিবাচকভাবে আমাদের প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করছে। এমনকি আরো গুরুতর, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে । জাতিসংঘ কি তার এক সদস্য কর্তৃক অন্য সদস্যের জন্য সৃষ্ট এই নজিরবিহীন পরিস্থিতি বিবেচনা করেছে?

ভারত সব সময়ই একটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিষয়ে অন্য একটি রাষ্ট্রের একেবারেই হস্তক্ষেপ না করার পক্ষে ছিল। যাইহোক, যদি একটি রাষ্ট্র এর লক্ষ লক্ষ নাগরিককে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য একটি রাষ্ট্রের এলাকায় পাঠিয়ে দেয় এবং সেই রাষ্ট্রের উপর অযৌক্তিক বোঝা চাপিয়ে দেয় তাহলে সেই রাষ্ট্রের জন্য প্রতিকারের আর কি পথ খোলা থাকে যে কিনা জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন নীতির শিকার হয়েছে?

কোন দেশ কি বিনাদোষে এরকম ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে? দীর্ঘ নয় মাসের জন্য। ভারত এই ভার বহন করতে হিমশিম খাচ্ছিল এবং সর্বোচ্চ আত্মসংবরন করেছে। এমনকি যদি অন্য দেশগুলো পুর্ব বাংলার লোকেদের দুঃখে বা ভারতের সমস্যাগুলোর প্রতি সাড়া না দিত, আমরা আশা করতাম যে তাদের এই অঞ্চলে শান্তি রক্ষার ইচ্ছা তাদেরকে উত্তেজনা কমাতে কিছু পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।

যাইহোক, ভারতের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পাকিস্তানের সামরিক শাসকগণ ইতিহাসের শক্তি, এবং ন্যায়ের প্রতি জনগণের গভীর প্রত্যাশা ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে বুঝতে পারেনি। সামরিক শাসকগণ এই বিষয়ে অসাড় যে তাদের নিষ্ঠুর নীতি গুলোর মাধ্যমে তারা স্থায়ীভাবে পুর্ব বাংলার জনগনকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

পাকিস্তান তার প্রচার চালাচ্ছে দুইটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করেঃ

প্রথমত, এটা ঘোষিত যে, পুরো সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে ভারতের উসকানিতে। এই অভিযোগটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন দ্বারা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে যেখানে আওয়ামী লীগ ১৬৯টির মধ্যে ১৬৭টি আসন পেয়েছে এবং ঢাকার অনেক বিদেশী সংবাদদাতা দ্বারা যারা সেখানে কি হচ্ছে তার প্রত্যক্ষদর্শী রিপোর্ট পাঠাচ্ছিল। দ্বিতীয়ত পুরো বিষয়টি ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হচ্ছিল। এটা মনে করা প্রাসঙ্গিক যে, পুর্ব বাংলার অধিকাংশ মানুষ যারা পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রহ করেছিল, তারা ইসলামে বিশ্বাসী এবং কম অনুগত মুসলিম নয়। প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের উভয় প্রদেশের মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগ এর পুর্ব প্রদেশে বাস করত।

পাকিস্তান সরকারের তাদের অবস্থানকে তথাকথিত হস্তক্ষেপের ফল হিসেবে ব্যাখ্যা করার পরও, এই বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌছানো থেকে আটকানর জন্য ভারত তার পক্ষ থেকে সব কিছু করেছে, এবং ক্রমাগত পাকিস্তান সরকার ও প্রকৃতপক্ষে নির্বাচিত পুর্ব বাংলার নেতাদের মধ্যে একটি রাজনৈতিক সমাধানকে সমর্থন দিয়েছে। যদি বিশ্ব এটাকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা নিয়ে চিন্তিত ছিল, তবে তার এটা নিশ্চিত করা উচিত ছিল যাতে পুর্ব বাংলার জনগণের এই বিশাল অংশকে তাদের ঘরবাড়ি ও স্বদেশ ছেড়ে আমাদের দেশে আসতে বাধ্য করা না হয়।

যখন বিভিন্ন দেশ আমাদের সাথে শান্তির কথা বলেছে, তারা নারী, পুরুষ ও শিশুদের হত্যাকে এড়িয়ে গেছে, তারা এক কোটি শরনার্থীর ভাগ্যকে ভুলে গেছে এবং এভাবেই পাকিস্তানি শাসকদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্বকে সম্পুর্ন উপেক্ষা করেছে। শরনার্থীরা স্বেচ্ছায় নিজেদের দেশে ফিরে যাবে, এই আশার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে যুদ্ধ বিরতির ডাক দেওয়ায় একটি পুরো জাতির ধ্বংসকে গোপন করা ছাড়া কোন উদ্দেশ্য আছে বলে ভারতের কাছে মনে হয়নি। কিভাবে এই ধরনের ভিত্তির ওপর শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়? ভারত হিংসাত্মকভাবে বাংলাদেশের অবদমিত জনগণের অধিকার হরণের অংশীদার হতে পারবে না। যদি জাতিসংঘ পুরো সত্যটা জানতে আগ্রহী হয় তাহলে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের কথাও শোনা উচিত। এটি কেন এর ঐতিহ্য থেকে সরে আসবে?

যেকোন উদ্দেশ্যের বিবেচনা এটাই প্রকাশ করবে যে, শান্তি পূনঃপ্রতিষ্ঠা ও লাখ লাখ শরনার্থীর ফিরে যাওয়ার জন্য জরুরী অবস্থা শুধুমাত্র পশ্চিম পাকিস্তানের সৈন্য প্রত্যাহারের মাধ্যমেই তৈরী করা সম্ভব। এটা আশা করা নিষ্ঠুরতা যে এই শরনার্থীরা যারা পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে এত অত্যাচার সহ্য করেছে তাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবা উচিত যখন এটা এখনো তাদের দখলে। যতদূর ভারতের সশস্ত্র বাহিনী প্রসংগ আসে, একটি যুদ্ধ বিরতি হতে পারে এবং ভারতীয় সৈন্য তাদের নিজ এলাকায় ফিরে যাবে যদি পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগণ বাংলাদেশ থেকে তাদের নিজেদের সৈন্য সরিয়ে নেয় এবং তাদের সাথে একটি শান্তিপুর্ন সমঝতায় আসে যারা কিছুদিন আগেও তাদের নাগরিক ছিল, কিন্তু এখন বাংলাদেশ সরকারের অনুগত যেটা ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা যথাযথভাবে গঠিত হয়েছে। প্রয়োজনীয় পুর্বশর্ত গুলো বিবেচনা না করে কেবলমাত্র শরনার্থীদের ফিরে আশার প্রত্যাশা করা এই মানুষগুলো যে সীমাহীন দূর্ভোগ সহ্য করেছে তার প্রতি নিদারুন অবজ্ঞা প্রকাশের সমান।

ভারত সরকার যুদ্ধবিরতি আহ্বান বিবেচনা করতে প্রস্তুত। অবশ্যই ভারত ১৯৪৮ এবং ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে। কেউই শান্তি বজায় রাখার নিশ্চয়তা দেয়নি। সর্বশেষ ১৯৬৫ সালেরটি, যেটি তাশখন্ডে একটি আনুষ্ঠানিক আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি অনুসারে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, আমাদের বহু কাঙ্খিত শান্তিপুর্ন সম্পর্ক বজায় রাখতে ব্যার্থ হয়েছে।

ন্যায়সংগত কারনেই ভারত ক্ষুব্ধ যে, যুদ্ধবিরতির আহ্বানে জাতিসংঘ আক্রমনকারী এবং এর ভুক্তভোগীর মধ্যে কোন পার্থক্য করে না। সে কারনেই বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।

৩রা ডিসেম্বর ১৯৭১ এ, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোলকাতায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পাটনায় এবং অর্থমন্ত্রী বম্বেতে ছিলেন, পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমন চালায়। সেদিন বিকাল ৫-৩০ এর দিকে, পাকিস্তান বিমান বাহিনী একযোগে নিম্নলিখিত শহরগুলোতে ভারতের বিমানবন্দরে হামলা চালায়ঃ অমৃতসর, পাঠানকোট, শ্রীনগর, অবন্তীপুর, উত্তরলাই, জোধপুর, আম্বালা ও আগ্রা। পশ্চিম পাকিস্তানি আর্মি সুলেমানকি, খেম করণ, পুঞ্চ ও অন্যান্য বিভাগ সহ আমাদের প্রতিরক্ষামুলক স্থানহুলোতে অনবরত গুলি বর্ষনের মাধ্যমে আক্রমন চালায়। পশ্চিম পাকিস্তান সরকার অভিযোগ করেছে যে, ভারত দুপুর ১২টায় আক্রমন করেছে, কিন্তু যেহেতু তাদের অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই তাই নিশ্চিতভাবেই তারা জায়গার নাম উল্লেখ করতে পারবে না। কিছু বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই। ভারত, যে কিনা আত্ম্রক্ষার স্বাভাবিক অধিকার প্রয়োগ করছে, কিছুতেই পাকিস্তানের সমকক্ষ হতে পারে না। ভারত এখনো বিনাউস্কানিতে পাকিস্তানের আর একটি আগ্রাসনের শিকার, এবং এর আত্ম্রক্ষার আইনি অধিকারে এর জাতীয় সার্বভৌমত্য ও আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষায় নিযুক্ত। মৌলিক গুরুত্বের আর একটি বিবেচনা আছে যেটিকে ভারত প্ররোচিত করতে চায়ঃ আন্তর্জাতিক আইন স্বীকার করে যে, যখন একটি মূল-রাষ্ট্র বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত এর এত বড় একটি অংশের জনগণের আনুগত্য চিরতরে হারিয়েছে এবং তাদেরকে শাসনের আওতায় আনতে পারছে না, তখন এমন একটি রাষ্ট্রের আলাদা অস্তিত্বের শর্তগুলো বিদ্যমান হয়। ভারতের ধারনা যে বাংলাদেশে ঠিক এটাই হয়েছে। বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠে নির্বাচিত বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ দৃঢ়ভাবে নিজেদেরকে পাকিস্তানের মূল-রাষ্ট্র থেকে নিজেদেরকে পৃথক করার পক্ষে ঘোষনা দিয়েছেন এবং বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

ভারত এই রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। নতুন রাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশে পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের প্রতিনিধি যাদের সশস্ত্র বাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে নিযুক্ত তাদের কথা শোনা এবং একই সাথে যুদ্ধ বিরতিতে যাওয়া কি ভারতের পক্ষে বাস্তবসম্মত ভারত আন্তরিকভাবে আশা করে যে, উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর আলোকে, জাতিসংঘ আরো একবার পরিস্থিতির বাস্তবতাকে বিবেচনা করবে, যাতে সংঘাতের মূল কারনগুলো দূর করা যায় এবং শান্তি পুনস্থাপিত হয়। বস্তুনিষ্ঠভাবে এই মূল কারনগুলো অনুসন্ধানের অভিপ্রায়ের প্রতিশ্রুতি দিলে, ভারত তার সর্বাত্মক সহযোহিতা প্রদান করবে না।

স্বাক্ষর সমর সেন।
.