শিরোনাম | সুত্র | তারিখ |
নিরাপত্তা পরিষদে বিভিন্ন রাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব | জাতিসংঘ ডকুমেন্টস | ৪-৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ |
যুক্তরাষ্ট্রে কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব
এস ওয়ান ১ ডিসেম্বর, ১৯৭১
নিরাপত্তা পরিষদ,
ভারত এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিগণের বিবৃতি শুনে উপলব্ধি করেছে যে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের যুদ্ধবিগ্রহ আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ।
১। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করার জন্য ভারত এবং পাকিস্তানের সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
২। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অপরের ভূখন্ডে উপস্থিত সশস্ত্র ব্যাক্তিদের প্রত্যাহার করার আবেদন করছি।
৩। ভারত এবং পাকিস্তান সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে যুদ্ধবিরতি এবং সৈন্য প্রত্যাহারের বাস্তবায়নের উপর প্রতিবেদন দেয়ার জন্য মহাসচিব ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিবেন।
৪। পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীরা যাতে স্বেচ্ছায় ফেরত যায় এমন পরিবেশ তৈরী করার জন্য ভারত ও পাকিস্তান এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের আহবান জানাচ্ছি।
৫। এই অঞ্চলের শান্তি নষ্ট করতে পারে এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া থেকে সকল রাষ্ট্রকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি।
৬। উপমাহাদেশে নিরাপত্তা এবং শান্তি বজায় রাখতে মহাসচিবের দেয়া প্রস্তাবে ভারত এবং পাকিস্তানের সরকারকে ইতিবাচক সাড়া দেয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
৭। এই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিবেদন দিতে মহাসচিবের প্রতি অনুরোধ করছি।
বেলজিয়াম, ইতালি এবং জাপান কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব
নিরাপত্তা পরিষদ,
৩ ও ৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১ এ মহাসচিবের প্রতিবেদন (S/1Q410 and Add. 1 and S/10412) লক্ষ করেছি।
ভারত এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিগণের বিবৃতি শুনে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন যে ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে চলতে থাকা যুদ্ধবিগ্রহ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ। জাতিসংঘের সনদের সংশ্লিষ্ট বিধানে বর্ণিত দায়িত্ব মাথায় রেখে
১। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সংশ্লিষ্ট সরকারদের অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি এবং সকল সামরিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করার জন্য আহবান জানাচ্ছে।
২। লক্ষ লক্ষ শরণার্থী দ্রুত এবং স্বেচ্ছায় তাদের বাড়িতে ফেরত যেতে পারে এমন অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য জাতিসংঘ সনদের নীতি অনুসারে সংশ্লিষ্ট সরকারদের তাদের চেষ্টা জোরদার করার আহবান জানাচ্ছে।
৩। শরণার্থীদের দুর্দশা লাঘব এবং তাদের সাহায্য করার জন্য সকল রাষ্ট্রকে মহাসচিবকে পূর্ণ সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
৪। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত রাখার জন্য মহাসচিবকে অনুরোধ করছে।
৫। পরিস্থিতির উপর চোখ রাখা এবং যথাশীঘ্র আবারো সাক্ষাৎ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব
এস/১০৪১৮, ডিসেম্বর ৪, ১৯৭১
নিরাপত্তা পরিষদ,
নিরাপত্তা পরিষদের নয় সদস্যের চিঠি এবং মহাসচিবের প্রতিবেদন (এস/১০৪১৮) বিবেচনা করে
পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক সমাধানের আবেদন করছে যা অবধারিতভাবে যুদ্ধবিগ্রহকে বন্ধ করবে।
পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি সৈন্য দ্বারা সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধ করার জন্য পাকিস্তান সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছে যা পরিস্থিতির আরো আবনতি ঘটিয়েছে।
আর্জেন্টিনা, নিকারাগুয়া, সিয়েরা লিওন এবং সোমালিয়া কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব
এস/১০৪১৮, ডিসেম্বর ৪, ১৯৭১
নিরাপত্তা পরিষদ,
মহাসচিবের ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ এর প্রতিবেদন (S/10410, S/10410/Add.1) প্রতিবেদন লক্ষ করেছি।
ভারত এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিগণের বিবৃতি শুনে ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে চলতে থাকা যুদ্ধবিগ্রহ নিয়ে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন।
উপলব্ধি করেছি ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে চলতে থাকা যুদ্ধবিগ্রহ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ।
যে সকল কারন যুদ্ধবিগ্রহ বাড়িয়েছে সেগুলোকে জাতিসংঘ সনদের মধ্যে থেকে পরবর্তী ধাপে যথাযথভাবে সমাধান করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি।
অবিলম্বে যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ এবং সশস্ত্র বাহিনীকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নিজেদের পাশে প্রত্যাহার করতে প্রাথমিক পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা আরো উপলব্ধি করছি।
১। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের অপর প্রান্তে থাকা সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের প্রান্তে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ভারত এবং পাকিস্তান সরকারকে আহবান জানাচ্ছি।
২। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত রাখার জন্য মহাসচিবকে অনুরোধ করছি।
আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, বুরুন্ডি, ইতালি, জাপান, নিকারাগুয়া, সিয়েরা লিওন এবং সোমালিয়া কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব
এস/১০৪১৮, ডিসেম্বর ৪, ১৯৭১
নিরাপত্তা পরিষদ,
৩ ও ৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ মহাসচিবের প্রতিবেদন (S/10410 and Add. 1 and S/10412) প্রতিবেদন লক্ষ করে
ভারত এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিগণের বিবৃতি শুনেছি।
ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন যে ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে শুরু হওয়া যুদ্ধবিগ্রহ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ।
যে সকল কারন যুদ্ধবিগ্রহ বাড়িয়েছে সেগুলোকে জাতিসংঘ সনদের মধ্যে থেকে পরবর্তী ধাপে যথাযথভাবে সমাধান করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি।
অঞ্চলের স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃস্থাপন এবং শরণার্থীদের তাদের বাড়ি ফেরার জন্য একটা রাজনৈতিক সমাধান উপলব্ধি করেছি।
জাতিসংঘ সনদ, বিশেষ করে প্রবন্ধ ২, অনুচ্ছেদ ৪, এর প্রতি মনোযোগী।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা জোরদারের উপর ঘোষনা, বিশেষ করে অনুচ্ছেদ ৪,৫ ও ৬, প্রত্যাহার করছি।
অবিলম্বে যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ এবং ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের নিজেদের প্রান্তে সশস্ত্র বাহিনীদের প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আশু পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
জাতিসংঘ সনদের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদের দায়িত্ব মনে রাখছি।
১। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের অপর প্রান্তে থাকা সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের প্রান্তে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ভারত এবং পাকিস্তান সরকারকে আহবান জানাচ্ছি।
২। স্বেচ্ছায় পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীদের তাদের বাড়িতে ফেরত যাবার মত অবস্থা দ্রুত তৈরী করার জন্য সনদের নীতি মোতাবেক জোরদার চেষ্টার আহবান করছি।
৩। শরণার্থীদের দুর্দশা লাঘব এবং তাদের সাহায্য করার জন্য সকল রাষ্ট্রকে মহাসচিবকে পূর্ণ সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
৪। এই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত রাখার জন্য মহাসচিবকে অনুরোধ করছি।
৫। পরিস্থিতির উপর চোখ রাখা এবং যথাশীঘ্র আবারো সাক্ষাৎ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
চীন কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব
এস/১০৪১৮, ডিসেম্বর ৫, ১৯৭১
নিরাপত্তা পরিষদ,
ভারত এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিগণের বিবৃতি শুনেছি।
বিশেষভাবে লক্ষ্য করছি যে ভারত পাকিস্তানের উপরে বৃহদাকারে আক্রমণ করেছে এবং এভাবে ভারত-পাকিস্তান উপমহাদেশের শান্তি অবনমন ঘটাচ্ছে।
ভারত সরকারের তথাকথিত ‘বাংলাদেশ’ গড়ার এবং পাকিস্তানকে পরাজিত ও বিচ্ছিন্ন করার কাজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ভারত সরকারকে তার সশস্ত্র বাহিনী ও প্রেরিত সশস্ত্র ব্যাক্তিদের পাকিস্তানী এলাকা থেকে প্রত্যাহার করার অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে আহবান জানাচ্ছি এবং প্রতি-আক্রমণের জন্য ভারতীয় এলাকায় পাঠানো পাকিস্তানী সশস্ত্র বাহিনীকে প্রত্যাহারের জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে প্রত্যাহারের জন্য এবং একে অপরের বিরুদ্ধে লিপ্ত না হয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার অমিমাংসিত বিষয় শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভারত ও পাকিস্তানকে যথাক্রমে আহবান জানাচ্ছি।
ভারতের আঘাত থামানোর জন্য পাকিস্তানের জনগণের ন্যায় সংগ্রামে সকল রাষ্ট্রকে সমর্থন দেয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
এই প্রস্তাবের বাস্তবায়নের উপরে যথাশীঘ্র সম্ভব প্রতিবেদন দেয়ার জন্য মহাসচিবকে অনুরোধ করছি।
বেলজিয়াম, ইতালি, জাপান, নিকারাগুয়া। সিয়েরা লিওন এবং তিউনিসিয়া কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব
এস/১০৪১৮, ডিসেম্বর ৫, ১৯৭১
নিরাপত্তা পরিষদ,
ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন যে ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে শুরু হওয়া যুদ্ধবিগ্রহ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ।
১। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সংশ্লিষ্ট সরকারদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহবান জানাচ্ছি।
২। এই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত রাখার জন্য মহাসচিবকে অনুরোধ করছি।
৩। এই অঞ্চলে শান্তি পুনঃস্থাপনের জন্য অধিকতর পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে
খসড়া প্রস্তাব এস/১০৪২৫ সংশোধন
৮/১০৪২৬ ডিসেম্বর ৬, ১৯৭১
চলতি অনুচ্ছেদ ১ এ ‘সংশ্লিষ্ট সরকার’ শব্দগুলোকে ‘সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষ’ দিয়ে পুনঃস্থাপিত করুন; একই অনুচ্ছেদের শেষে ‘এবং সকল সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ’ যোগ করুন।
২। চলতি অনুচ্ছেদ ১ এবং ২ এর মধ্যে নিম্নোক্ত লেখাটি অনুচ্ছেদ ২ এবং ৩ হিসেবে যুক্ত করুনঃ
“(২) ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ দ্বারা প্রকাশিত ইচ্ছার স্বীকৃতি দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি একইসাথে আহবান জানাচ্ছি”।
“(৩) প্রস্তাবের চলতি অনুচ্ছেদ ১ ও ২ অনুচ্ছেদকে একক হিসেবে ঘোষণা
দিচ্ছি”।
৩। অন্যান্য চলতি অনুচ্ছেদকে এইসাপেক্ষে পুনঃতালিকা করুন।
সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে
খসড়া প্রস্তাব ৮/১০৪২৫ পুনঃসংশোধন
এস/১০৪২৬, পুনঃ ১, ডিসেম্বর ৬, ১৯৭১
১। চলতি অনুচ্ছেদ ১ এ ‘সংশ্লিষ্ট সরকার’ শব্দগুলোকে ‘সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষ’ দিয়ে পুনঃস্থাপিত করুন; একই অনুচ্ছেদের শেষে ‘এবং সকল যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ’ যোগ করুন।
২। চলতি অনুচ্ছেদ ১ এবং ২ এর মধ্যে নিম্নোক্ত লেখাটি অনুচ্ছেদ ২ এবং ৩ হিসেবে যুক্ত করুনঃ
“(২) ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ দ্বারা প্রকাশিত ইচ্ছার স্বীকৃতি দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি একইসাথে আহবান জানাচ্ছি”।
“(৩) প্রস্তাবের চলতি অনুচ্ছেদ ১ ও ২ অনুচ্ছেদকে একক হিসেবে ঘোষণা
দিচ্ছি”।
৩। অন্যান্য চলতি অনুচ্ছেদকে এইসাপেক্ষে পুনঃতালিকা করুন।
সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব
এস/১০৪২৬, ডিসেম্বর ৬, ১৯৭১
ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধবিগ্রহ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ।
১। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষকে যুদ্ধবিরতি এবং সকল যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করার আহবান জানাচ্ছি।
২। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ দ্বারা প্রকাশিত ইচ্ছার স্বীকৃতি দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি একইসাথে আহবান জানাচ্ছি।
৩। প্রস্তাবের চলতি অনুচ্ছেদ ১ ও ২ অনুচ্ছেদকে একক হিসেবে ঘোষণা
দিচ্ছি।
৪। এই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত রাখার জন্য মহাসচিবকে অনুরোধ করছি।
৫। এই অঞ্চলের শান্তি পুনঃস্থাপনের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপের নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
আর্জেন্টিনা, বুরুন্ডি, জাপান, নিকারাগুয়া, সিয়েরা লিওন এবং সোমালিয়া
কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব
এস/১০৪২৯, ডিসেম্বর ৬, ১৯৭১
নিরাপত্তা পরিষদ,
এস/এজেন্ডা/১৬০৬ নথিতে থাকা আলোচ্যসূচি বিবেচনা করেছি।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৬০৬ ও ১৬০৭ তম সভায় স্থায়ী সদস্যদের মিলের অভাব একে আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব পালন থেকে বাধাগ্রস্থ করেছে।
৩ নভেম্বর, ১৯৫০ এর সাধারন অধিবেশন ৩৭৭-এ (ভি) মোতাবেক ২৬তম সাধারন অধিবেশনে এস/এজেন্ডা/১৬০৬ নথিতে থাকা প্রশ্ন পড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।