You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমীটিতে ইউ.এন.এইচ.সি. আর এর প্রতিবেদনের উপর ভারতীয় প্রতিনিধি মিঃ সমর সেনের বিবৃতি জাতিসংঘ ডকুমেন্টস ১৮ নভেম্বর, ১৯৭১

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে ইউএনএইচআরও (UNHCRS) এর রিপোর্টের ওপর জনাব সমর সেনের বিবৃতি-
নভেম্বর ১৮,১৯৭১।
ভারতে পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীর বর্তমান পরিস্তিতি নিয়ে শরণার্থী বিষয়ক মহামান্য হাই কমিশনারের বিবৃতি আমরা অত্যন্ত আগ্রহের সহিত পড়েছি।কূটনৈতিক গোচর এবং দক্ষতা সত্ত্বেও হাই কমিশনার এই ভয়ংকর সমস্যার মখাবয়ব উন্মোচনের ওপর সবিশেষ গুরুত্ব নিশ্চিত করেছে।এটি আমাদের জন্য বিশেষভাবে সন্তোষ বিধান করে।তিনি মাত্রই ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন করেছেন যেখানে তিনি কিছু সংখ্যক শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন এবং বোধগম্যভাবে তার অপ্রতুল সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য তাকে সকল প্রকারের সুবিধা প্রদান ক্রা হয়েছিল।আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রিন্স সদর উদ্দিন আগা খান কৃত কাজের মূল্যয়ন করেছি।ভারতে তিনি ও তার প্রতিনিধি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভারত সরকারকে কাছে পেয়েছেন এখানে তার এই বিবৃতিতে আবারও ভারতের পূর্ণ সহযোগিতা নিশ্চিত করেছে।আমরা পূর্ব পাকিস্তানের মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে চাই না।যা পাকিস্তানের নাগরিকদের এক বিশাল অংশক তাদের কঠিনতম সময়ে তাদের আবাস স্তল ত্যাগ এবং ভারতে আসতে বাধ্য করেছিল।পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কর্তৃক আমাদের ওপর আরোকৃত অসহ্নীয় বোঝা বিহিত করার জন্য ভারতের প্রচেষ্টা সম্পর্কে কথা বলাই আমাদের ইচ্ছা।এইসব প্রচেষ্টার একটি লিখিত বিবৃতি সম্প্রতি জেনেভায় অনুষ্ঠিত ইউএনএইচসিআর(UNHCR) এর পরিচালনাকারী পরিষদের বৈঠকে উপস্তাপিত হয়েছে।বর্তমানে আমরা এই শরণার্থূদের দুর্দশা লাগবে জাতিসংঘ কর্তৃক নেওয়া পদক্ষেপ গুলা মনোনিবাস করব।
এই সমস্যার বিশালতা ও মর্মান্তিকতা হাই কমিশনারের ভাষায় বর্ণনা করা যায়।এই বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ইকোসোকের বৈঠকে তিনি বলেছিলেন-
“আমরা আধুনিক ইতিহাসের গণআন্দোলন গুলোর অন্যতম একটি আন্দোলনের মুখমুখি হয়েছি যেখানে মানবিক দুর্দশা ও ভোগান্তির সকল মুখাবয়ব জড়িত,এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
তিন মাস পর অক্টোবরে তার কার্যনির্বাহী কমিটিকে দেয়া বিবৃতিতে তিনি এটিকে “নজিরবিহীন প্রকান্ড চ্যালেঞ্জ” বলে অভিহিত করেন।
এবং একই সময়ে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সম্প্রচারিত বার্তায় একই কথা উল্লেখ করেন।
গত ছয় মাসে বাস্তুহারা মানুষের যে ঢল ভারতে অব্যন্তরমুখী হয়েছে তার বিশলতা বিশ্ব আগে কখনও প্রত্যক্ষ করেনি।
এটা সবার জানা আছে যে, কেউ কখনও কারো অনুভূতি বা বস্তুনিষ্ঠতাই আঘাত করার পর কখনো আগে এত অনেক মানুষ এমনভাবে একটি ছোট সময়ে একটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত বা অনুরূপ পীড়াদায়ক অবস্থায় পালিয়ে গিয়েছে।১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল আমরা প্রাণ হারানো শরণার্থীদের জন্য সহযোগিতার প্রয়োজনতার জন্য প্রথম জাতিসংঘের নিকটবর্তী হলাম,যা তখন অর্ধ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেল।এই সংখ্যা আরো বাড়তে থাকল যখন পাকিস্তানী সামরিক সরকার হত্যা, লুম্ঠন, ধর্ষন আর অন্য অকথনীয় পাশবিকতা নির্যাতন অব্যাহত রাখল।
২৬শে অক্টোবর প্যারিসে বিশ্ব ব্যাংক সভা-এর বিশেষ কনসোর্টিয়াম ঘোষনা করল যে”৯.৫ মিলিয়নের এর বেশী অনেক উদ্বাস্তু এখন ভারত প্রবেশ করেছেন এবং যা এখনও অন্তঃপ্রবাহ অব্যাহত”। সর্বশেষ চিত্রে ৫-ই নভেম্ব্রের চিত্র অনুযায়ী ৯,৬০৮,৯০১।সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড় অন্তঃপ্রবাহ ২৭,০০০ এবং অক্টোবর যা ছিল ১৭,০০০।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত এই সভার ভারতীয় অর্থনীতির উপর প্রভাব এবং পূর্ব পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু ও অব্যাহত অন্তঃপ্রবাহ নিয়ে আলোচনা চলে।আপনি অনুমতি প্রদান করলে উক্ত ইশতেহার প্রকাশ করতে পারি,যা ততটা দীর্ঘ নয়।

বিশ্ব ব্যাংক-এর সভাপতিত্বে অক্টোবর ২৬, ১৯৭১ভারত-এর অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্যারিসে ভারত সরকার আর আগ্রহী প্রতিষ্ঠান-এর একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সাম্প্রতিক কালের পূর্ব পাকিস্তান থেকে অন্তঃপ্রবাহ শরর্ণথীরা অবহ্যাত থাকাই তা ভারতের অর্থনীতির উপর প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয় এবং ডলারের হিসাবে এই ত্রান খরেচের মূল্যায়ন মার্চ ১৯৭২ অর্থ বছরের শেষে ৭০০ মিলিয়ন হয়। এই সভায় অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম,কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, ফেডারেল প্রজাতন্ত্র
নেদারল্যান্ডস. নরওয়ে, সুইডেন, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল(আইএফএম),জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ হাই কমিশনারের শরণার্থী বিষয়ক সংগঠন(ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘ শিশু তহবিল(ইউনিসেফ) এবং ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন(ওইসিডি)প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলে।অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড এর সরকারী প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়ের সচিব আই.জি. পাটেল ও জাতিসংঘ প্রতিনিধী চ্যারিস মেস(Charies Mace)শরণার্থীদের নিয়া দিয়া বিবৃতি শুনেন এবং উদ্বাস্তু উপশমের জন্য বিশ্ব ব্যাংক-এর গৃহিত মূল্য-এর ওপরে একটি প্রতিবেধন উপস্তাপন করা হল। ৯.৫ মিলিয়নের বেশী অনেক উদ্বাস্তু এখন ভারত প্রবেশ করেছে এবং অন্তঃপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিনিধিরা এই পরিস্থিতির গুরুতর পরিণাম-
এর ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন-এর জন্য প্রয়োজনে আরো বিশেষ সাহায্য-প্রদান ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃতি দেন যাতে উদ্বাস্তু উপশম-এর বোঝা পুষিয়ে নিতে পারে। সদস্যরা গুরুত্তারোপ করল যে উদ্বাস্তু উপশম-এর জন্য সাহায্য স্বাভাবিক উন্নয়ন সহযোগিতা্র অতিরিক্ত হওয়া উচিত। ।সমস্যার আকার আর প্রকৃতি বিবেচনা করে এই সাহায্য মন্জুরি-এর থাকা উচিত। ।উন্নয়ন ব্যয়-এর কঠোর হ্রাসকরণ ঠেকাতে ভারতে, বিশেষ সাহায্য প্রতিজ্ঞা অত্যাবশ্যকীয়ভাবে দরকার যার আকার আরেকটি ভারতীয় সরকার আর ভারতীয় অর্থনীতি-এর বাজেটে তৎক্ষণাৎ সাধারন প্রক্রিয়ায় সমর্থন দিতে পারে।
এই সভায় ভারতে উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে আন্তরিকতা ছিল একটি
আন্তর্জাতিক দায়িত্ব।সভায় উল্লেখ করা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী এই তারিখে অঙ্গীকার করল ২শ মিলিয়ন ডলার বেশি অংশগ্রহণ করে।
প্রতিনিধিরা ইউএনএইচসিআর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ এই বিষয় নিয়ে যেন তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে আনুমানিক ৭০০ মিলিয়ন ডলার ত্রাণ খরচ আবৃত করতে পারে।সভায় প্রতিনিধিত্ব দেশ তাদের বিশেষ আগ্রহের কারণে ভারত সম্পূর্ণ প্রয়োজন একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ করার প্রচেষ্টা করবে।
ভারতের এসে দেওয়া প্রস্তাবে আমরা গভীরভাবে মূল্যায়ন করেছি সেই সাথে ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করছি সব সরকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারী সংগঠন., ঐচ্ছিক সংস্থা আর ব্যক্তিগত ভাবে যারা সাহায্য করতে এসেছে।কিন্তু এই প্রতিক্রিয়া উদার হিসাবে এটা আমাদের চাহিদা অনুযাইয়ী একটি ছোট অংশ হিসাবে বিবেচনা করব।প্রয়োজনীয়তা হিসাবে বিশ্বব্যাংক ও অঙ্গীকার দ্বারা মূল্যায়ন মধ্যে এখনও পর্যন্ত করা প্রায় 500 মিলিয়ন ডলার পার্থক্য। যেহেতু প্রকৃত ব্যবধান ব্যাপকতর তাই সব সাহায্যের প্রতিশ্রুতি এখনো সম্পূর্ণরূপে রাখা হয় নি।
লাখ লাখ শরণার্থীর উপস্থিতিতে ভারতে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন এবং ভারতের স্থিতিশীলতার জন্য অব্যাহত হুমকি এবং নিরাপত্তা উপর যন্ত্রণাদায়ক প্রভাব বয়ে এনেছে।আমরা ভাবছি কিভাবে এই পরিস্তিতিতে বিশ্বের প্রায় দশ মিলিয়ন শরণার্থী গ্রহণ করে,আরো যে দিন আসছে্‌,এখনও ছয় মাসের জন্য ঠিকে আছে।একটি পদ্ধতিতে প্রতিবেশী দেশে হওয়া আর অনুরূপ অবস্থায় গৃহিত অবস্তা জীবন বিপদগ্রস্থ করত মিলিয়ন উপরে মিলিয়ন মানুষের চালনা কিন্তু একটি দেওয়ানি আক্রমণ কিছুই আর এটার ঘরোয়া ব্যাপারে একটি অসহনীয় হস্তক্ষেপ না।

যা আমরা আজ সম্মুক্ষন হচ্ছি ভারত পাকিস্তান-এর সামরিক সরকারের দ্বারা আগ্রাসনেরএকটি নতুন রকমের একটি শিকার হয়েছে। হাই কমিশনার ক্রিয়া এর দুটো প্রধান মাঠ: প্রথমটা ভারতে উদ্বাস্তু-এর জন্য জরুরী উপশম পদক্ষেপ, আর ২য়টা তাদের ঐচ্ছিক প্রত্যাবাসন-এর পদন্নোতির জন্য।উনাকে এখন পর্যন্ত উপশম পদক্ষেপের ক্রিয়ার জন্য নিয়া হাই কমিশনার-এর বিবৃতি পুরোপুরি বর্ণনা করা হয়েছে । স্বেচ্ছাসেবী-এর প্রত্যাবাসন হচ্ছে সমস্যায় একমাত্র স্থায়ী সমাধান। আমরা গুরুত্তারোপ করি যে এটা কিন্তু একটি অপরিহার্য সমাধান শুধুমাত্র সবচেয়ে ভালো না। আর যা শীঘ্র আসা উচিত। একটি সমগ্র হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হচ্ছে দায়ী উদ্বাস্তু-এর জন্য টানছে জন্য, আর যদি আজ ভারত পাকিস্তানী উদ্বাস্তু-এর বিশাল মিলিয়ন-এর পরে তাকাত, তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়-এর পক্ষ-এর ওপরে আর কঠোরভাবে সবচেয়ে ছোট সময়-এর সম্ভব জন্য এত একটি ন্যাসরক্ষক হিসেবে করছেন। এই অবস্থা যা তাদেরকে ঘরে ফিরতে রাজি করাবে আরো দেরী না করে তৈরি করতে হবে।
আমরা পারি না আর ভারতে তাদের অনির্দিষ্ট উপস্থিতি মেনে নেইনা। আমরা হাই কমিশনার-এর সাথে সম্মত হই যে উপশম কার্যকলাপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়-এর ওপরে আরেকটি স্থায়ী রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক বোঝা তথাপি হওয়া উচিত না।হাইকমিশনার বলেন সত্য এই যে যেহেতু বোঝা অধিকাংশ ভারত বহন করতে হয়েছে যা আরো অনেক কিছু ভারতের নিজের জন্য।
মহাসচিব তার বার্ষিক প্রতিবেদন ভূমিকায় বলেন যে, “প্রচেষ্টা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন এবা এতদূর অকার্যকর হয়েছে।যেহেতু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান তার মতৈক্য ঘোষনা করলেন পূর্ব পাকিস্তান উদ্বাস্তু মে ২৫-এর ওপরে ফিরতে অনুমতি দিতে, ভারতে উদ্বাস্তু-এর সম্পূর্ণ সংখ্যা ধীরস্থিরভাবে বেড়েছে। যে পূর্ব পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক আর সরকারকে প্রচেষ্টা ক্রমবর্ধমানভাবে একটি রাজনৈতিক মিটমাট-এর দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি-এর অভাব-এর দ্বারা ব্যাহত করা হয় হচ্ছে বিষয়-এর মূল কথা।অগ্রগতি-এর অভাবের জন্য এই কারণের প্রত্যাবাসনে,অন্তঃপ্রবাহ এই ছয় মাসের উপরে চলতে ছিল আরেকটি আর বেশী অনেক প্রাথমিক ব্যাখ্যা যোগ করা হয়। এটা একটি রক্তস্রাব হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। যদি না আমরা সমস্যা নির্ণয় করতে পারি, আমরা যেকোনো কার্যকর উপশম দিতে পারি না। নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক যে কারণ ব্যাখ্যা করে থেকে বিবৃতির আয়তন বিদ্যমান হয়, কিন্তু আমাদের সময় নেই সব খুঁটিনাটী আলোচনা করতে; সবচেয়ে বেশী মৌলিক মানব অধিকার-এর, জীবন-এর এটা অধিকার সহ বিশাল, নিয়মতান্ত্রিক আর বিরামহীন লঙ্ঘনে পেতে হচ্ছে মুখ্যত, মানুষ-এর এই অভূতপূর্ব চলন-এর প্রাথমিক কারণ। এটা একটি গণহত্যালোভী শাস্তিতে পরিমাণ যা ৭৫ মিলিয়ন মানুষে। খুবই কম সময় আগে, আর অবশ্যই কখনো পরে জাতিসংঘ দলিল প্রকাশ করেছিল, মানব অধিকার আর মৌলিক স্বাধীনতা এমনভাবে একটি বিশাল স্কেল-এর ওপরে আর এত অনেক নিষ্ঠুরতার সাথে লঙ্ঘন করা আছেন যেহেতু জায়গা নিয়েছে এই বছর পূর্ব পাকিস্তানে। বিংশ শতক -এর এই পরবর্তী অর্ধেক, যখন মানুষ জায়গা আর সময় জয় করতে প্রাণপণে চেষ্টা করছেন আমাদের দুর্ভাগ্য ছিল মধ্যযুগীয় রক্ত স্নাতের একটি অতিকায় কার্যকলাপ দেখতে। একটি চেষ্টা একটি মানুষকে দমন করা তে আর অপদস্হ করতে সাদামাটাভাবে একটি চেষ্টায় তাদের মুক্ত আর গণতান্ত্রিকভাবে বিশেষ উদ্দেশ্যে অভিলাষ দমন করতে আছে। আমি ঘটনা বলতে যে এই কঠোর নাটকে দিক নির্দেশনা দেয় মার্চের ২৫-এর মধ্য রাতে থেকে পূর্ব পাকিস্তানে যা ঘটাল যদিও আমরা সহজে আর তাৎক্ষণিকভাবে পুরো পরিস্থিতির সত্যতা অনাক্রমে আগে কামনা করি নাই যদিও এটা দিন থেকে দিন ভাঁজ খুলল। কিন্তু, আমরা গুরুত্তারোপ করেছি যে ভারত পূর্ব পাকিস্তানে মানব অধিকার-এর বিশাল লঙ্ঘন-এর প্রকৃতি আর মাত্রা আলোচনা করে
পূর্ব পাকিস্তান উদ্বাস্তু-এর সমস্যায় কোন সমাধান দিতে পারি নাই।

যখন থেকে শোকাবহ ঘটনা শুরু করল, জনসংখ্যার এই অভূতপূর্ব চলন-এর মৌলিক আর মূল কারণ বিপথে চালিত করতে আরো বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বেপরোয়া আর অর্বাচীন মানুষের মর্মহতা বুঝি। আমরা পারি না তাদের প্রতি দ্যাবান হতে।প্রথমত সব ঘরোয়া এখতিয়ার আর অভ্যন্তরীণ ব্যাপার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবাদ করতে হলো। পরপরই, নাছোড়বান্দা প্রচেষ্টা একটি ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান-এর ভেতরে সমস্যা নিবেদন করতে তৈরী হয়েছে। তথাপি যে ভারত উদ্বাস্তু-এর প্রত্যাবর্তন ঠেকাচ্ছে, যেন ভারত যেকোনো পরিস্থিতি-এর নীচে সমর্থ হতে পারে, সময়-এর যেকোনো দৈর্ঘ্য-এর জন্য প্রায় দশ মিলিয়ন উদ্বাস্তু-এর পরে খাওয়াতে বা থাকতে হচ্ছে আরেকটি যুক্তি, আর এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য বিকারগ্রস্তভাবে আশায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয় যে প্রকাশ্য নিন্দার প্রভাব ছড়িয়ে দেয়া হবে, আর তা কমানো হবে। কিন্তু, সত্য গোপন করাটা কঠিন, উদ্বাস্তু-এর জন্য পাকিস্তান-এর প্রোপাগান্ডা সংখ্যা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান-এর দ্বারা অস্বীকার করা হয়েছে, প্রশ্নে আলোচনা করার সময় তিনি বলেন :, “দু বা তিন মিলিয়ন, এমনকি চার মিলিয়ন হয়তো থাকবেন।” প্রেসিডেন্ট আছেন স্পষ্টত সন্দেহে আর হচ্ছেন জ্ঞাত অপবার্তার যার একমাত্র উদ্দেশ্য একটি প্রক্রিয়ায় ভারত সংশ্লিষ্ট করা হচ্ছে যা যেকোনো উদ্বাস্তু সমস্যায় অনুসরন করা হয়েছে না, আর তথাপি তার প্রতিনিধিদল সংখ্যা দিতে যেন রাজনৈতিক কল্পনা ছাড়া যা কিছু-এর ওপরে ভিত্তি করা হয় তাদেরকে চলতে আছে। এটা সত্যিই একটি চমকপ্রদ কৃতিত্ব অনুপস্থিত মানুষকে গুনতে হত। এটা আছে উপরন্তু উল্লেখযোগ্য যে পাকিস্তান-এর সংখ্যা ২০০,০০০ উদ্বাস্তু-এর আগের তিন মাস-এর উপরে অপরিবর্তিত ছিল তাদের ঘরে ফেরা থাকতে। আর তখন সংখ্যা অভূতভাবে ভাগ করা হয় আর ১৪০০০০ মুসলমানে আর ৬০,০০০ হিন্দুতে ধরপাকড়ও করা হয় একই সময়ে যেহেতু হাই কমিশনার জানানো হয়েছে যে ৬৪০,০০১ অভ্যর্থনা কেন্দ্র আর ১৩৬,০০০ -এর মধ্য দিয়ে পাশ করা তাদের-এর ওপরে নিজেরা ফিরে আসল,। এখানে কেউ কাউ কে জানেন না,যেভাবে তারা আসলেন আরেকটি দৃষ্টান্ত; কিন্তু তখন মানুষক প্রথমে“ অপকর্মা ” , “ রাষ্ট্র-বিরোধী ” উপাদান, – “ “ ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী ” হিসেবে সব উদ্বাস্তুকে বর্ণনা করেন, যেহিসেবে সব মুক্ত ভোটার
নিরূপণ করে যে সব স্বাধীনতা ডাকে, হতে ও নীতিপরায়ণ সত্য-এর ব্যাপারে আশা করা হয় না।
জেনেভায় আগের মাস হাই কমিশনার তার নির্বাহী কমিটিতে একটি সংগত মন্তব্য তৈরি করেন ।প্রত্যাবাসন-এর ঙ্গতি প্রবাহ নিয়ে আলোচনা করতে প্রাথমিক অবস্থা তৈরি প্রত্যাবাসন সম্ভব আর সাধ্য, তৈরি করা হচ্ছে অবাস্তবানুগ আর আক্রান্ত না হওয়া উদ্বাস্তু-এর প্রত্যাবাসন সহজতর করা ব্যাপার নিয়ে।তিনি একই মন্তব্য পুনরায় বললেন- আমাদের গত অভিজ্ঞতায় যখন একটি নিষ্পত্তি উৎস-এর দেশে ঘটেছিল, পারস্পরিক সহযোগিতা আর সাহায্য-এর একটি পদ্ধতি ইউএনসিএইচআর -এর সক্রিয় অংশগ্রহণে যা প্রত্যাবাসন সহজতর করল সাথে আরো প্রতিষ্ঠিত করা হলো। যতক্ষন না এই পর্যায়ে পৌঁছানো হয়, উল্লেখযোগ্য আর ভাল সংগঠিত করা প্রত্যাবাসন যেকোনো বোধ বানাতে না পারে তখন তার গতিধারা হচ্ছে কঠিন উল্টাতে।
আমরা পূর্ব পাকিস্তানে দুর্যোগ আর উদ্বাস্তু-এর বিরামহীন প্রবাহ মৌলিক কারণে আবার, ফিরি। “ প্রাথমিক সমস্যা ” নিয়ে মহাসচিব লিখেন, “ সমাধান করা হয় একমাত্র যদি মিটমাট আর মানবিক নীতি-এর শ্রদ্ধা একটি রাজনৈতিক সমাধান অর্জন করা হয় ”। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জিজ্ঞাসা করতে যদি কাজ করা হয় থাকতে প্রাথমিক ইস্যুতে যেকোনো সমাধান, যা এই মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ-এর সাথে ছিল। আমরা কোন কার্যকর চেষ্টা থাকা সে নির্দেশে বানানো দেখিনা; বিপরীত-এর ওপরে, অনেক সাক্ষ্যপ্রমাণ হচ্ছে উপস্থিত যে বড় ঠিক আর বড় ভ্রান্তি-এর মধ্যে কূটতর্কআর দিদ্বাদন্ধ আছে উৎসাহিত করা হচ্ছে সাহসের একটি অভাব গোপন করতে আর নিষ্ক্রিয়তা ন্যায্যতা প্রতিপাদন করতে। নিন্দিত সরকার-এর বোধগম্য জনপ্রিয় প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে গত মাস আর এটার পদ্ধতি যা পূর্ব পাকিস্তান-এর ভেতরে ধীরস্থিরভাবে বাড়াচ্ছে ঘটনা, এখন এটা পরিস্কার বানানো উচিত যে আত্মবিশ্বাস-এর একটি জলবায়ূ পূর্ব পাকিস্তানে বানানো হয় শুধু মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে নির্বাচিত করা আর পূর্ব বাংলার মানুষ-এর মেনে নেয়া নেতার সাথে মিটমাট। এটা আছে একটি কম বছর ফিরে যে পূর্ব পাকিস্তানী একটি নিশ্চিত নেতৃত্ব আর একটি ভাল নির্দিষ্ট জন্য প্রায় একটি মানুষে ভোট দিলেন, আর তারা হচ্ছেন পাকিস্তান-এর সমগ্র-এর জনসংখ্যার বেশিরভাগ প্রায়ই ৭৫ মিলিয়ন। দুঃখের সাথে, একমাত্র চেষ্টা যা পাকিস্তান-এর সরকার-এর দ্বারা এই নির্দেশে বানানো হয়েছে এই নির্দেশেতে হচ্ছে প্রোপাগান্ডা পদক্ষেপ একটি রাজনৈতিক সমাধান-এর জন্য বাড়ানো আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ছলনাময়তে। এই উদ্বেগ ছিল ব্যাপকভাবে আর সমাবেশ-এর জেনারেল বিতর্ক-এর সময় নিশ্চিতভাবে প্রকাশ করল। একই সময়ে, সামরিক দমন প্রতিশোধ গ্রহণ হিসেবে সম্পূর্ণ গ্রাম-এর পোড়ানো-এর সাথে চলতে আছে ভিতরে, আর অন্য নিষ্ঠুরতা নির্দিষ্ট সময় পরপর আর ঘন ঘন পররাষ্ট্র প্রেসে বিবৃতি প্রচার করা হয়।

সমস্যার এই প্রধান কারণ থেকে গতিপথ পাল্টে দেয়া মনোযোগ আমাদের আগে সমস্যা সমাধান করবে না। ভারত-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সজোরে নিক্ষেপ করতে আর ইচ্ছাপূর্বক ভারতীয় সীমান্তে ওপরে সামরিক সমাহরণ-এর মধ্য দিয়ে টান বানাতে যা হচ্ছে সম্পূর্নভাবে নেতিবাচক আর বিপজ্জনক নীতি। আমরা পূর্ব পাকিস্তানে মানব অধিকার-এর লঙ্ঘন হিসেবে এইটা ব্যক্ত করি।

আমরা প্রথম কমিটি এর আগে:, ডেনমার্ক-এর বিশিষ্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রী-এর প্রত্যেক শব্দ-এর সাথে সম্মত হই যখন তিনি নভেম্বার ১৬, ১৯৭১-এর ওপরে, যখন ডেনিশ সরকার আবেদন যেহেতু অন্যান্য পরিমিতাচার আর সংবরণ-এর জন্য পাকিস্তান-এর সরকারে একটি দৃষ্টিভংগী-এর সাথে করেছে, একটি শেষ পর্যায়ে আনতে পূর্ব পাকিস্তানে সহিংসতা। মানব অধিকার-এর জন্য শ্রদ্ধা আর মানুষের স্বাধীনভাবে একটি রাজনৈতিক নিষ্পত্তি পূর্ব পাকিস্তান-এর পরিস্কারভাবে সমস্যা সমাধান করতে পারে। উপমহাদেশ আর বিশ্বের বড় উৎসাহে দৃষ্টিভংগী-এর এমনভাবে একটি অভিব্যক্তি সমজতার একটি কাজ হিসেবে বলা হয় কি? কোন প্রোপাগান্ডা ভারত আর পাকিস্তান-এর মধ্যে একটি দ্বন্ধের একটি সমস্যা, যা হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে আর অপরিহার্যরূপে পাকিস্তান-এর সরকার আর পূর্ব পাকিস্তান-এর মানুষ মধ্যে একটি সমস্যা, বদলাতে পারে না। প্রাথমিক সমস্যা পূর্ব পাকিস্তান-এর ভেতরে আর সেখানে সমাধান করা হয় এটা এত যে উদ্বাস্তু জীবন, সম্পত্তি আর সম্মান-এর নিরাপত্তার জন্য বিশ্বাসযোগ্য প্রতিশ্রুতি-এর নিশ্চয়তায় অধীনে যেতে পারেন ।

আমার প্রতিনিধিদল উপরন্তু কার্যকলাপ গভীর উৎসাহ-এর সাথে ইউএনইপিআরও লিপিবদ্ধ করছে- ইউনাইটে্ড নেশান্স ইস্ট পাকিস্তান রিলিফ অফ অপারেশন।

কিন্তু, আমি খুব সংক্ষিপ্তভাবে বিবেচনা করেছি ইউএনইপিআরও একটা বা দুটো অবস্থান তৈরি করা উচিত। প্রথমে সব বিষয়ে পূর্ব পাকিস্তানে নিশ্চিত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে জাতিসংঘ উপশম কার্যকলাপ সেখানে ভূলবশত সামরিক সরকার সাহায্য করতে পারে।উদাহরনস্বরূপ,নভেম্বর ১৭ পূর্ব পাকিস্তান থেকে নিউইয়র্ক টাইমস-এর আমাকে একটি প্রতিবেদন নির্দেশ করে লিখেন মিঃ বাউনি।

একদা জিনিসপত্র সর্বশেষ ভাণ্ডার পৌঁছায় বিদেশী উপশম সংস্থার দায়িত্ব শেষ
করে আর বন্টন বাহিনী বা এটার রাজনৈতিকভাবে নির্ভরযোগ্য ` শান্তি কমিটি ‘ এই বিষয় শুধু জাতিসংঘের দ্বারা অনিয়মিত স্পট যাচাই কর্মকর্তার দ্বারা সামাল দেয়া হয়। এটা ধারণ করতে বিদ্রোহী এলাকা থেকে ব্যাপকভাবে অভিযুক্ত করা যে বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে থেকে সত্যই মানবিক উদ্দেশ্যে।
মিঃ বাউনি মন্তব্য করেন- ” খাওয়ানো সাহায্যে পূর্ব পাকিস্তানিদের ছিল সমস্যা,একটি বিদেশী ত্রাণ কর্মী সম্প্রতি রংপুরের উত্তর জেলা পরিদর্শন করে গুরুত্ব আরোপ করেন,পরিবহনের অভাব প্রতীয়মান করা হলো,যেখানে কাছের দুর্ভিক্ষের ক্ষোভ বিবৃতি করা হয়েছে করা হয়েছে।
আমরা ব্রীজের স্তম্বের পাশে অপেক্ষারত ছিলাম তখন অন্য দিক থেকে একটি ট্রাক আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে।এই ট্রাক রংপুর থেকে দূরে দক্ষিণে যাচ্ছিল, এবং তারা তাতে বাসমতী চাল বোঝাই করেছে।

যদিও পূর্ব পাকিস্তান সবসময় চালের অভাব ছিল,এই প্রদেশের খুব উচ্চ বৃদ্ধি মানের বাসমতি চাল যা ভাল বাজার সচরাচর তা বিদেশে ভোগ করে,পাকিস্তান এই রপ্তানি দ্রব্য চাল অনেক মূল্য বিক্রি করে,চীন ও অন্যত্র থেকে সস্তা চাল নিজের খরচে তারা আমদানি করে।

পূর্ব পাকিস্তানে চাল পাঠাতে দাতা দেশ গুলোর খুব বেশি বেগ পেতে হত না,যে কারনে ইসলামাবাদ সরকার
দেশে উৎপন্ন চালের উপর মুনাফা করতে থাকে।
সরকারকে খাদ্য শষ্য ও অন্যন্য সাহায্য দিয়া বাঙালীদের কাছে ততটাই বিতর্কিৎ ছিল,যতটা যুক্ত্ররাষ্ট্রের পশ্চিম
পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক বিমান পরিবহনের আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা ছিল।
অপারেশন এই দিকে ক্রমাগত প্রেক্ষিতে পর্যালোচনা করা হবে।আমরা আনন্দিত যে ইউএনইপিআরও প্রতিনিধির
বিবৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমস্যার স্বীকৃতি দিয়েছেন।সংভাদটি পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসেছে কিন্তু তা
ভরসাজনক নয়।
দ্বিতীয়ত ভারতে ইউএনএইচসিআর এর অপারেশন এবং ইউএনইপিআরও এর মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক বৈশিক
অথবা বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন কিনা এই ব্যাপারে আমাদের সন্দেহ আছে।সাধারণ সম্পাধক ইউএনইপিআরও একটি
মানবিক অপারেশন হিসাবে শুরু করেছিল এবং এটা কখনও পূর্ব পাকিস্তানের ভিতরাকার রাজনৈতিক
সমাধানের পরিপূরক হতে পারে না।যদি দাতা দেশ গুলো ইউএনইপিআরও কে ভারতে শরণার্থী সমস্যা
সমাধানের উপায় হিসাবে মনে করে তবে তা একই সাথে অবাস্তব ও দূর্ভাগ্যজনক।আমি নিশিত যে এই
কমিটি এই ধরণের প্রভাবকে এড়িয়ে যাবে।পূর্ব পাকিস্তানে চাল ও অন্যন্য খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও জনগণ এর
বাইরে শরণার্থী হত এবং তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে ততক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যক্ষান করত যতক্ষণ পর্যন্ত
রাজনৈতিক অস্তিরতা বিরাজ করছে।লোকজন ভারতে পালিয়ে ছিল কারণতারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছিল এবং
খুন,গুম বিভিন্ন উপায়ে হেনস্ত হচ্ছিল।
ম্যাডাম চেয়ারম্যানের সংকলনে ভারতের উপর পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বারা আরোপিত উদ্বাস্ত বাড়তে
থাকে এবং তা অসহনীয় হয়ে উঠেছে যদিও আমরা জানি স্বল্প সময়ে এটি মানব ইতিহাসের সবছেয়ে ব্যাপক
আন্দোলন।২৬ তন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অসংখ্য প্রতিনিধি তার বিবৃতি মূল্য্যন করেন।এট স্পষ্টভাবে
প্রদর্শিত হয়েছে যে আমাদের সংগঠন সম্পূর্ণ পদক্ষেপে বর্তমান প্রবণতাইয় পাকিস্তান সরকারের বিপরীত করা
উচিত।অবশ্যই এটাও না গভীর হতাশা এই যে জাতি সংঘ কিংবা যুক্তরাষ্ট্র পৃথক যে এখনও সরকারের
পদক্ষেপ নিয়ে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে।আমরা ভারত, যারা অন্য কোন দেশ দ্বারা নির্মিত সমস্যার অধিকাংশ
বিদ্বেশপূর্ণ প্রভাবে সম্মুখীন হয়েছি,মানবিক সম্ভবতার দিক দিয়ে মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছি যা নিজেদের
জন্য মহান কর্ম।সমস্যাটা গোলকদাধার মত,না একা দ্বারা সহানুভূতি প্রকাশ করা না আর্থিক বা অন্য কোন
জরুরি সহায়তা উপস্তাপন করা এবং না সেই সাথে স্পষ্টাস্পষ্টী সিদ্ধান্ত যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যথারূপ প্রতি
১০ লাখ অসহায়ের জন্য কাজ করতে এবং দুঃখজনক ভাবে উদ্বাস্তরা অস্তায়ী ভাবে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ
করছে।কারণ এটি করতে পাকিস্তান সরকার মানাবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা স্বীকার নীতিগুলোর সঙ্গে\
সংগতিপূর্ণ।আইনে স্পষ্ট যুক্তি যে মৌলিক সমস্যার উপল্বদ্ধিকে এবং কমিটি একটি নির্ধারিত প্রচেষ্টা করবে যে
বা জাতিসংঘ এই বিষয়ে সত্যিই পূর্ব পাকিস্তানের লক্ষ লক্ষ সহন প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করতে
পারবেন।পরিশেষে আমি আবারো বলতে চাই যে কারণ পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট মিথ্যাও হতে পারে, তবে এটা
শুধু মাত্র পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের নির্বাচিত ও গৃহিত নেতাদের সঙ্গে শযোগিতার মধ্য দিয়ে তাদের অবাধে
প্রকাশের ইচ্ছা অনুযায়ী সমধান করা যেতে পারে।এদিকে যতদিন আমরা খাব ততদিন শরণার্থীরাও কাবে।
 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!