You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সুত্র তারিখ
জাতিসংঘ উপসংস্থার (ইউ এন সাব কমিশন) কাছে বেসরকারি বিশ্বসংস্থাসমুহের  আবেদন জাতিসংঘ ডকুমেন্টস ২০ জুলাই,১৯৭১

জুলাই ২০,১৯৭১ তারিখে জাতিসংঘ উপসংস্থা (ইউ এন সাব কমিশন) এর কাছে বেসরকারি বিশ্বসংস্থাসমুহের আবেদন
২২ টি আন্তর্জাতিক বেরসরকারি প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদান ও বৈষম্য দুরীকরনের আবেদন নিয়ে জাতিসংঘ উপসংস্থার অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের কাছে পেশ করবেন বলে একটি পরামর্শে এসেছেন। যেন এই বিষয়ের উপরে অগাস্ট ২,১৯৭১ এর ২৪ তম সেশনে একটি গঠনমুলক পদক্ষেপ নেয়া হয়।
এই রিপোর্টটি “পুর্ব পাকিস্তানে সৃষ্ট সামগ্রিক অনাচার, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা ‘’বিষয়ক।
জুলাই ২০ ,১৯৭১ নিউ ইয়র্ক থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ,এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলে যে, তারা এই রিপোর্টটি দেখে খুব অবাক হয়েছেন। । ‘ইউ থান্ট’ এর এক বর্ননায় একটি সাম্প্রতিক ঘটনা উঠে এসেছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু পুর্ব বাংলা থেকে ভারতে আসছে। এই ঘটনাকে ‘মানব ইতিহাসের অন্যতম ট্র্যাজিক ঘটনা ‘ হিসেবে বলা হয়েছে। তারা বিস্ময়ের সাথে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, এই দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের মানবাধিকারের প্রতি জাতিসংঘের কোনো সংস্থা নজর দেয়নি ও একটি কথাও বলেনি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয় যে, তাদের সংস্থা বুঝে গেছে যে, জাতিসংঘ তাদের নিজেদের সার্থে পুর্ব বাংলার মানুষ এবং বাস্তুহারাদের মানবাধিকারের বিষয়ে তারা বিরক্তি দেখাচ্ছে। ২৪ তম সেশনে সাব কমিশন কতৃক নিম্নোক্ত বিষয় সমুহে আলোক পাত করার জন্য বলা হচ্ছেঃ
(১) আলোচ্য এরিয়ার আক্রান্ত মানুষদের অধিকার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানানো।
(২)মানবাধিকার লংঘন ও মৌলিক স্বাধীনতার সম্পর্কিত আনা অভিযোগ সমূহ যাচাই বাছাই করা।

(৩) পুর্ব বাংলার স্বাধীনতা ও মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্য সাব কমিশনের কাছে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রনয়ন করা।
(৪)অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের রিজোলিউশনের অধীনে একটা কর্মগোষ্ঠী (ওয়ার্কিং গ্রুপ) নিয়োগ করুন ও আদেশ করুন যেন তারা আলোচনার মাধ্যমে পুর্ব বাংলার মানুষের মানবাধিকারের অবস্থা পর্যবেক্ষন করে।
(৫) সমস্ত দিক বিবেচনা করে আক্রান্ত এলাকা পর্যবেক্ষোণ করুন এবং সংখ্যালঘুদের, সেসব দেশের মানুষদের উপর গনহত্যার বিষয়টি বিশ্লেষণ করুন।
সাবকমিশনে পাকিস্তান ছাড়াও অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ইঊএসএসআর,কানাডা,ফ্রান্স,ফিলিপিন্স,যুগোস্লাভিয়া,সুদান,রোমানিয়া,নাইজেরিয়া,কেনিয়া,তানজানিয়া এবং অস্ট্রিয়া
প্রতিষ্ঠানসমুহের মধ্যে আছে আন্তর্জাতিক আইনশাস্ত্র কমিশন,আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংঘ, আন্তর্জাতিক নারী স্বাধীনতা ও শান্তি পরিষদ, বিশ্ব খ্রিষ্টান শিক্ষার্থি সংঘ, বিশ্ব নারী ক্যাথলিক ঐক্য সমিতি,আন্তর্জাতিক নারীআইনজ্ঞ সংঘে এবং আন্তর্জাতিক ক্যাথলিক ইউনিয়ন অফ প্রেস।
 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!