You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ প্রশ্নে ভেটোর সমালোচনা:জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গণচীনের প্রতিনিধি হুয়াং হুয়ার বক্তৃতা চায়না,পাকিস্তান এ্যন্ড বাংলাদেশ ১৫ ডিসেম্বর,১৯৭১

এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় একত্রিশ থেকে উনচল্লিশের জাতীয় পরিষদের কথা।জাতিসংঘ এখন ইতিহাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।দুটির মধ্যে কোনটি জাতিসংঘ?সকল দেশ ও জনসাধারণ যারা শান্তি ও ন্যায়কে তুলে ধরতে ভালোবাসে,তাদের গভীর চিন্তায় যথেষ্ট রসদ যোগানোর মতো প্রশ্ন এটি।
বিশ্ব মতামতের অবাধ্য হয়ে ও সকল পরিণতি উপেক্ষা করে,সোভিয়েতের নেতৃস্থানীয় গোষ্ঠী ভারতের পাকিস্তান বিরোধী আক্রমণকে সমর্থন যোগাচ্ছে।ভারতীয় সম্প্রসারণবাদীদের উগ্র উচ্চাকাঙক্ষা কাজে লাগিয়ে ইন্দো-পাকিস্তান উপমহাদেশ ও ভারতীয় মহাসাগর নিয়ন্ত্রণ করা ও মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে সীমান্তবর্তী আন্দোলনে উপমহাদেশে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা,অন্য মহাশক্তির মোকাবেলা করে মধ্যপ্রাচ্যে ও পৃথিবীর অন্যান্য অংশে তাদের অবস্থান জোরদার করা এবং যুদ্ধ শুরু করে পৃথিবীর নেতৃত্বের জন্য অন্য মহাশক্তির সাথে প্রচন্ডতম সংগ্রাম করাই তাদের উদ্দেশ্য।
কিন্তু সোভিয়েত সংশোধনবাদী সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদীদের খুব তাড়াতাড়ি আনন্দে আত্মহারা হওয়া উচিত হয় নি। এই সমস্যা দূর হওয়া তো দূরে থাক।ভারতীয় শাসক গোষ্ঠী নিজেই এখন তার ঘরের শত্রু বিভীষণ এবং এর জন্য ভারতীয় জনগণই সবার আগে ভুক্তভোগী হবে।সেদিন খুব বেশি দেরি নয় যেদিন অন্যদেশের সদস্যপদ বাতিল করানোর গুরুতর ফলাফল ভারত নিজেই ভোগ করবে।এত নিষ্ঠুর আচরণ করে,সোভিয়েত শাষকগোষ্ঠী শুধু আফ্রো-এশিয়ানজনগণের সমর্থন পাবে এবং সারা পৃথিবীর মানুষ পরিষ্কারভাবে সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের সত্য বৈশিষ্ট্য দেখবে এবং তাদের রাজনৈতিক উপলব্ধি অধিকতর জাগরিত হবে এবং এভাবেই অবধারিত ধ্বংসের দিকে এর অশুভ যাত্রা ত্বরান্বিত হবে।
ভারত পাকিস্তান পরিস্থিতির উন্নয়ন চায়না গভীর উদ্বেগ নিয়ে অনুসরণ করছে।ভারত পাকিস্তান উপমহাদেশে যাই হোক না কেনো,চায়না সরকার ও জনসাধারণ কঠোরভাবে পাকিস্তান সরকারকেই সমর্থন করবে এবং সেখানকার মানুষজন ভিনদেশি আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে এবং জাতীয় স্বাতন্ত্র্য ও ঐক্য প্রতিরক্ষা করবে।আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি যতই বাঁধা বিপত্তি আসুক না কেনো,যুদ্ধ শেষে জয়ের মালা পাকিস্তানি জনগণই পড়বে।
চীনা প্রতিনিধিদল ধারাবাহিকভাবে এটি তুলে ধরেছে যে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ত, স্বাধিনতা,জাতীয় ঐক্য এবং অখণ্ডতা সম্মান করতে হবে।ভারতীয় আগ্রাসন দ্রুত শেষ করার জন্যে চীনা প্রতিনিধিদল ভারত ও পাকিস্তানের একে অপরের রাজ্যক্ষেত্র থেকে সৌন্য প্রত্যাহারকেকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তানের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহবানের খসরার বিরোধিতা করবেন না। বিবেচনাধীন খসড়া বিধানটি সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙগ সভায় ১০৪ দেশের ইচ্ছার প্রতিফলন করতে ব্যার্থ হয়। পক্ষান্তরে এমন নিয়ম দ্বার করায় যেটি জাতিসংঘের দলিলপত্রের আদর্শের লঙ্ঘন করে এবং যা হানাদারদের আংশিক ধারন করে।চীনা প্রতিনিধিদল ঘোষণা করে যে কোনো খসড়া প্রতিবেদন যা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হোশটক্ষেপ করে এবং পাকিস্তানের জাতীয় ঐক্য ব্যাহত করে এবং পুতুল সরকার তথাকথিত বাংলাদেশ কে সমর্থন করে, চীনের এতে কোন ভূমিকা থাকবে না।
 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!