You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.09 | গণচীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চী-পেং ফেই- এর বক্তৃতা | চায়না, পাকিস্তান এন্ড বাংলাদেশ - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
গণচীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চী-পেং ফেই- এর বক্তৃতা চায়না, পাকিস্তান এন্ড বাংলাদেশ ৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১

দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশের পরিস্থিতি গত কয়েকদিনে আরও অবনতি হয়েছে।ভারতীয় সরকার চারিদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আক্রমণ চালু করেছে এবং ত্বরিত ও বেপরোয়াভাবে বাংলাদেশ নাম দিয়েছে যা ভারত সরকার নিজেই এক হাতে উদ্ভাবন করেছে।ভারত সরকারের কাজ সম্পূর্নভাবে তার বন্য সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূর্ব পাকিস্তান সংযুক্তির বিষয়ে তুলে ধরেছে।ভারত সরকারের কর্মশক্তিসম্পন্ন সমর্থন এবং রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেএে সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের সমন্বয় সাধন আছে যার কারণে ভারত সরকারের আক্রমণাত্মক দাম্ভিকতা এমন সীমা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ অপ্রচ্ছন্নভাবে ভারতীয় সম্প্রসারণবাদীদের অভিভাবকের ভূমিকা গ্রহণ করেছে এবং নিষ্ঠুর ও একরোখা পদ্ধতিতে অভিনয় করেছে।তারা বৈচিএ্যময় লজ্জাহীন প্রদর্শনী পেশ করেছে তাদের সম্পূর্ণ অরুপ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে যা বড় শক্তির উগ্র সাম্রাজ্যবাদ এবং স্বৈরতন্ত্র অনুশীলন করে।কিন্তু সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় সম্প্রসারণের দ্বারা বাধা সত্বেও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অবশেষে একটি অপ্রতিরোধ্য সংখ্যাগুরু দ্বারা একটি যুদ্ধ বিরতির আহ্বান ও সেনা প্রত্যাহারের জন্য সমাধান গৃহীত হয়েছে।অধিকার ও ন্যায় আসলে দেশের নিরষ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা কর্তৃক সমর্থিত যা সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ ও ভারত সম্প্রসারণবাদ অভূতপূর্ব অবিচ্ছিন্নতার মাধ্যমে অবতরণ করেছে।এটি সাধারণত প্রবণতা ও বিশ্বের জনপ্রিয় অনুভূতির প্রতিনিধিত্ব করে।

সম্প্রসারণবাদের অপরাধ মূলক কাজ ও সশস্ত্র আক্রমণের জন্য চীনা সরকার ও জনগণ দৃঢ়ভাবে ভারত সরকারের নিন্দা করে এবং ক্ষমতার রাজনীতি ও স্বৈরতন্ত্র দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করে।ভারত সরকারের অবিলম্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং আক্রমণাত্মক সৈন্য অবিলম্বে শর্তহীনভাবে পুরোপুরি পাকিস্তান অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।আমরা বিশ্বাস করি ভারত সরকার নিশ্চিতভাবে তার সৈন্য প্রত্যাহার করবে যারা পাকিস্তানি অঞ্চলে প্রবেশ করে পাল্টা আক্রমণের জন্য এবং তারা নিজ দেশে ফিরে যাবে।বিশ্বের শান্তিপ্রেমময় দেশ ও মানুষকে সংগে নিয়ে চীনা সরকার ও জনগণ দৃঢ়ভাবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও ন্যায় প্রতিরক্ষার জন্য অবদান রাখবে। 

আমরা পরামর্শ দিতে চাই যে ভারত সরকারের সৎ ভাবে জাতিসংঘের সমাধান মেনে নেওয়া ও পৃথিবীর সকল মানুষ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে না দেওয়া উচিত।তারা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বিবেকবর্জিত কাজ বজায় রাখে এবং হাল না ছাড়ে তাহলে তারা শেষে নিশ্চিতভাবে তাদের তৈরি তিক্ত ফল ভোগ করবে।