শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় চীনা সমর্থনের আশ্বাস,প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান-এর কাছে প্রেরিত প্রধানমন্ত্রী চৌ-এন-লাই-এর বার্তা। | পাকিস্তান হরাইজন উদ্ধৃতি: সাউথ এশিয়ান ক্রাইসিস-রবার্ট জ্যাকসন | ১৩ এপ্রিল,১৯৭১। |
চৌ এন লাই এর ইয়াহিয়া খানকে বার্তা, ১২ এপ্রিল,১৯৭১।
আমি মান্যববের চিঠি এবং মান্যববের তার সাথে কথোপকথননের উপর রাষ্ট্রদূত চ্যাং টাং এর প্রতিবেদনটি পড়েছি। আমি মান্যববের চীনা সরকারের উপর আস্থার জন্য কৃতজ্ঞ।
চীন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। চীনা সরকার ও জনগণ খুবই উদ্বেগের সঙ্গে পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করছে। মান্যবর এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন মহলের নেতারা পাকিস্তানের একীকরণে এবং এটির বিভক্তি রোধে প্রচুর প্রয়োজনীয় কাজ করেছেন।
আমরা বিশ্বাস করি যে মন্যববের বিজ্ঞ পরামর্শ এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন মহলের নেতাদের প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা স্বাভাবিক হবে।
আমাদের মতে, পাকিস্তানের একীকরণ এবং পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের ঐক্যই পাকিস্তানেনের সমৃদ্ধি ও শক্তি অর্জনের প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল বিপুল জনগণের মধ্য থেকে কতিপয় ব্যক্তি যারা পাকিস্তানের ঐক্য বিনষ্ট করতে চাচ্ছে তাদের পৃথক করা।
পাকিস্তানের একটি অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে মান্যবরের প্রসংগ উদ্ঘাতের জন্য এসব মতামত উপস্থাপন করতে চাই।
একই সময়ে, আমরা লক্ষ করেছি যে, ভারত সরকার আপনাদের দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যপারগুলোতে ব্যাপক হস্তক্ষেপ করছে। আর সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও একের পর এক একই করছে।
চীনা প্রেস যেমন অযৌক্তিক হস্তক্ষেপের প্রতিবেদন বহন করছে এবং Podgorny এর জবাবে মান্যবরের চিঠি প্রকাশ করেছে।
চীনা সরকার বিশ্বাস করে যে পাকিস্তানে যা কিছু হচ্ছে তা পুরোপুরি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার,যেটা শুধুমাত্র পাকিস্তানের জনগণই ঠিক করতে পারে এবং এক্ষেত্রে কোনো বৈদেশিক হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না।
মহামান্য মান্যবর আশ্বস্ত করতে পারেন যে, ভারতীয় সম্প্রসারণবাদী পাকিস্তানের বিপক্ষে আগ্রাসন আরম্ভ করতে সাহস করবে না। যেহেতু চীনা সরকার ও জনগণ সর্বদা, এবং দৃঢ়ভাবে পাকিস্তান সরকার ও জনগণের তাদের রাষ্ট্র এর সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষার ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে সমর্থন করে।
-পাকিস্তান হরাইজন, XXIV নং ২, পৃ ১৫৩-১৫৪