শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে যুক্ত্রাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তনের আবেদনঃ মিসেস নিকসনকে লিখিত এম। এফ। ডানহামের চিঠি | ২৪ মে, ১৯৭১ |
ব্যাপকভাবে বিক্ষিপ্ত ভৌগলিকতা অনাড়ম্বরভাবে যেসব সংগঠনের জন্য আমরা নিরূত্তর কাজ করি তারা আমাদেরকে চুপ করিয়ে দিয়েছে যার ফলে আমাদের পক্ষে তাদেরকে শোনা কঠিন হয়েছে।তবুও আমাদের কাছে কিছু অর্ন্তদৃষ্টি এবং তথ্য আছে যা শুধুমাত্র যারা কিছু সময় বাংলায় ছিলতারা জানে।আমরা শিক্ষিত এবং বুদ্ধিমান আমেরিকান, ইউ এস সরকার , আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিভিন্ন মিশন , ব্যক্তিগত ফাউন্ডেশন ও কোম্পানির সাবেক কর্মচারী এবং অধ্যাপক, ডাক্তার, বিশেষজ্ঞ।আমাদের অনেকেই আমাদের কাজ থেকে ছুটি গ্রহণ করতেছি এবং নিজেদের চেষ্টায় রিস্ক নিয়ে পাকিস্তান আমাদের ফিরে যাবার ব্যাপারে ওয়াসিংটনে অবস্থানরত পশ্চিম পাকিস্তানের নির্দ্ধিধায় প্রবেশযোগ্য প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলছি।বাঙালিরা নিজেদের সরকারী চ্যানেলের মাধ্যমে কথা বলার অনুমতি নেই।বেশিরভাগ সরকারি আমেরিকান বিশেষজ্ঞদের যারা পাকিস্তানে আছে কার্যত পশ্চিম পাকিস্তানে আছে এবং তারা বিপথগামী পূর্ব প্রদেশের উপর মন্দ ওয়াকিবহাল।আমরা যারা সেখানে বসবাস করি তারা পশ্চিম এবং পূর্ব পাকিস্তানিদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ভুল বোঝাবুঝি ও আমেরিকা থেকে অতিমাত্রায় সরলীকৃত এইড প্যাটার্ন যা শুধুমাত্র তাদের মধ্যে একটি অর্থনৈতিক ব্যাবধানে উৎসাহিত করে।পাকিস্তানে আমাদের মনোযোগী ছি্লাম না এবং এখন আমরা নিদারুণভাবে মনোযোগী হতে চাই।অনেক মিলিয়ন মানুষের জীবন এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সংস্কৃতির অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।ধন্যবাদ মিডিয়া কভারেজকে যা বর্তমান সময়কালের ট্র্যাজেডিকে তুলে ধরেছে ফলে জ্ঞানী আমেরিকানদের চিন্তার মূল বিষয় এখন বাংলা।যাইহোক, খুব অল্প বিদেশী আছেন যারা এই এলাকার ব্যাপারে জানে এবং এখনও অনেক আছেন যারা বুঝতে পারছেন না যে পাকিস্তান দুটি ভিন্ন ধরণের এলাকার সমন্বয়ে গঠিত।তহবিল এর দায়িত্বপ্রাপ্ত আমেরিকানরা সাধারণত ছিল ওয়াশিংটনে বা পশ্চিম পাকিস্তানে।তারা কখনো কখনো পূর্ব পাকিস্তান পরিদর্শন করতেন তাও সংক্ষেপে এবং তারা সাধারণত সেখানকার জটিল পরিস্থিতি সম্বন্ধে অজ্ঞাত ছিলেন বা ভূল জানানো হত যা আসলেই এত অল্প সময় সেখানে অবস্থান নিয়ে জানা অসম্ভব।এখানে লক্ষ ডলারের রাজনীতিও জড়িয়ে পড়েছিল।