You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
১১নং সেক্টরে সংঘটিত যুদ্ধের বিবরণ বাংলা একাডেমীর দলিলপত্র ……… ১৯৭১

 

সাক্ষাৎকারঃ লেঃ কর্নেল (অব:) আবু তাহের
১০-৬-১৯৭৫

জুলাই মাসের ২৫ তারিখে বাংলাদেশের পথে ভারতে রওনা হই। আমার সঙ্গে মেজর জিয়াউদ্দিন, ক্যাপ্টেন পাটোয়ারী, মেজর মঞ্জুর ও তার স্ত্রী-ছেলেমেয়ে এবং ব্যাটম্যান রওনা হন। পথে নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আমরা ২৭শে জুলাই দিল্লী এবং আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে মুজিবনগর পৌঁছাই।
আগষ্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এম,এম,জি, ওসমানী মেঘালয় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সরেজমিন যুদ্ধের অবস্থা অবলোকনের জন্য পাঠালেন।

পাকিস্তান থেকে আমরা যারা পালিয়ে এলাম তাদের মধ্যে মেজর জিয়াউদ্দিনকে ১ম বেঙ্গল রেজিমেন্ট, মেজর মঞ্জুরকে ৮নং সেক্টরের, ক্যাপ্টেন পাটোয়ারীকে ১ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পানী এবং আমাকে ১১নং সেক্টরের পরিচালনা ভার দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশে আমি আগষ্টের ১২ তারিখে মেঘালয় এসে পৌঁছাই। এই এলাকার মুক্তি বাহিনীর ছেলেরা ভারতীয় বাহিনীর কমাণ্ডে ইতিপূর্বেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। কামালপুর ছিল পাকিস্তানী সেনাদের মস্ত ঘাঁটি। সিদ্ধান্ত নিলাম কামালপুর আক্রমণের।

১৫ই আগষ্ট আমি নিজে মাত্র ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে সন্ধ্যার দিকে কামালপুর পাক ঘাঁটি আক্রমণ করি। আমাদের অস্ত্র বলতে ছিল এল-এম-জি, রাইফেল এবং কিছু স্টেনগান। আমাদের আক্রমণ দু’ঘন্টা স্থায়ী হয়। আমাদের আক্রমণে ১৫/১৬ জন পাকিস্তানী নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা আহত হলো ১৫ জন।

আমার আক্রমণের পূর্বে এই এলাকা কোন সেক্টরের আওতায় ছিল না। আমি সেনাবাহিনীর সদর দফতরে এই এলাকাকে একটি সেক্টরে পরিণত আবেদন করলে আবেদন মঞ্জুর হয়। আমার সেক্টরের নাম হলো ১১নং সেক্টর। কমাণ্ড আমাকেই দেয়া হল।

ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইল জেলা নিয়ে আমার সেক্টর গঠিত হয়। সেক্টরের দায়িত্ব নেবার পর সমগ্র এলাকাকে কয়েকটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করি। সাব-সেক্টরগুলো হলো: ১) মানকার চর ২) মহেন্দ্রগঞ্জ ৩) পুরাকশিয়া ৪) ডালু ৫) বাগমারা ৬) শিববাড়ি ৭) রংড়া এবং ৮) মহেশখালী।

সমগ্র এলাকাতে অফিসারের তীব্র অভাব অনুভব করলাম। সেপ্টেম্বর মাসে আমাকে দুজন অফিসার দেয়া হলো- ১) স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ এবং ২) লেঃ মান্নান। এই সময় মেজর জিয়াউর রহমান তার ব্রিগেড নিয়ে সিলেট এলাকাতে চলে যান। অফিসার দুজনকে আমি দুটি সাব-সেক্টরের দায়িত্ব দিলাম। মানকার চর সাব-সেক্টরের দায়িত্ব দিলাম স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহকে এবং মহেশগঞ্জ সাব-সেক্টরের দায়িত্ব দিলাম লেঃ মান্নানকে।

সেক্টরের দায়িত্ব নেবার পর পরই প্রাথমিক পর্যায়ে মানকার চর থেকে ডালু পর্যন্ত সরাসরি আমার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। অবশিষ্ট এলাকা ভারতীয় বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার সান্ত সিংহের কমাণ্ডে থাকে। ব্রিগেডিয়ার সান্ত সিংহের হেড কোয়ার্টার ছিল তুরাতে। ট্রেনিং ক্যাম্পের প্রধানও ছিলেন তিনি। সেক্টরে এসে লক্ষ করলাম মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন পাক পয়েন্টে বি-এস-এফ বাহিনীর নির্দেশে সরাসরি আক্রমণ পরিচালনা করছে। তৃতীয়তঃ বাহিনী বিশৃঙ্খল, বিপর্যস্ত। মুক্তি বাহিনীকে পুরোপুরি বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রামের জন্য বাহিনীকে পুনর্গঠিত করতে শুরু করলাম। সম্মুখ সমর বাদ দিয়ে গেরিলা পদ্ধতিতে আক্রমণ চালাবার নির্দেশ দিলাম। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হত্যা না করে বন্দী করে নিয়ে আসা এবং মুক্তি বাহিনীর বি-এস-এফ ক্যাম্পে দমন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলাম এবং যুদ্ধনীতির সাথে সাথে ছেলেদেরকে রাজনীতিতে সচেতনও করে তুলতে শুরু করলাম।

সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আমরা সেক্টরে প্রায় বিশ হাজারের মত মুক্তিযোদ্ধা কাজ করছিল। সর্বমোট বাহিনীর মধ্যে তিন হাজার নিয়মিত এবং ১৭ হাজারের মত গণবাহিনী ছিল।

মুক্তক্ষেত্রে আমি নিয়মিত ও গণবাহিনীকে একত্রে অপারেশনে পাঠিয়েছি। অপারেশনের দৃষ্টিকোন থেকে আমি মনে করি নিয়মিত এবং গণবাহিনীকে পৃথক করে ফিল্ড অপারেশনে পাঠানো ঠিক নয়। যারা অল্প দিনের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছিল তাদেরকে পৃথক ভাবে ফিল্ডে পাঠালে নিয়মিত বাহিনীর সঙ্গে থাকলে অভিজ্ঞতা তারা লাভ করতো সে অভিজ্ঞতা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছিল- আমি ঐ সব কারণে একটি মাত্র ফোর্স করলাম। আমি আরও সিদ্ধান্ত নিলাম নিয়মিত বাহিনী পুরোপুরি গড়ে না ওঠা পর্যন্ত গেরিলা পদ্ধতিতেই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার।

সামরিক দিক থেকে ময়মনসিংহের চাইতে টাঙ্গাইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ময়মনসিংহ রেখে টাঙ্গাইল- জামালপুর হয়ে ঢাকা পৌঁছান বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে করলাম। রংপুর এবং বগুড়া ৭নং সেক্টরের অধীনে থাকলেও যোগাযোগের সুবিধার জন্য ঐ সেক্টরের অনেক অপারেশন আমার মাধ্যমেই হয়েছে। আগষ্ট মাসেই টাঙ্গাইলের কাদের সিদ্দিকী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আমার সেক্টরের অধীনে আমার কমাণ্ডে থাকেন। ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকাতে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক মেজর অফিসারের দেশপ্রেম, সাহস ও কর্মনিষ্ঠা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণযোগ্য। সেপ্টেম্বর মাসেই ভারতীয় বাহিনীর ৯২ মাউন্টের ব্রিগেড আমার সাহায্যে আসে। ব্রিগেডের কমাণ্ডার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার। এই ব্রিগেডে তিনি ইসফ্যান্টি এবং ২টি আর্টিলারী রেজিমেন্ট ছিল। এই বাহিনীতে কর্নেল শোডি একটি ব্যাটালিয়ন কমাণ্ড করতেন। এই ব্রিগেডটি আসায় আমার এবং আমার বাহিনীর সাহস, উদ্দীপনা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। ভারতীয় অফিসারবৃন্দের সাহস, কর্মতৎপরতা এবং অমায়িক ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করে।

আমার আওতায় রৌমারী থানা বরাবরের জন্য মুক্ত ছিল। এখানে একটি মুক্তি বাহিনীর ট্রেনিং ক্যাম্প খুলি এবং ট্রেনিং দেওয়া শুরু করি। নভেম্বর মাস পর্যন্ত সকলের হাতে অস্ত্র না দেওয়া গেলেও দশ হাজারের মত মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েছিল। এই থানাতে প্রশাসন পুরোপুরি চালু হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃবর্গের কাদা ছোঁড়াছুড়ির ফলে পূর্ণ প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি।

মেজর জিয়াউর রহমান তার ব্রিগেড নিয়ে চলে গেলে রৌমারী থানাকে মুক্ত রাখা বেশ মুশকিল হয়ে পড়েছিল। কারণ পাক ঘাঁটি চিলমারী থেকে পাকিস্তানীরা যেকোন সময় এসে রৌমারীর উপর হামলা চালাতে পারে। আর তাই চিলমারী শত্রু মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করলাম।

চিলমারী যুদ্ধঃ সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে প্রায় দুই ব্যাটালিয়ন মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় মাউন্টেন ব্রিগেডের একটি সেকশন সঙ্গে নিয়ে অতর্কিত চিলমারী আক্রমণ করলাম। এখানে পাকিস্তানীদের দুটি কোম্পানী ছিল- একটি বেলুচ রেজিমেন্টের, অপরটি মিলিশিয়া বাহিনীর। ব্যাপকভাবে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ ক্ষয় ক্ষতি হয়। মুক্তি বাহিনীর ৪ জন নিহত এবং বেশ কিছু আহত হয়। পাকিস্তানীদের ১০০ জন নিহত হয়।

অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে আরো পাঁচ জন অফিসার পেলাম। তারা হলেন ১) লেঃ কামাল ২) লেঃ আলিম ৩) লেঃ তাহের ৪) লেঃ মিজান এবং ৫) লেঃ হাশেম। লেঃ কামাল এবং লেঃ তাহেরকে ডালু সাব-সেক্টরে, লেঃ হাশেমকে পুরাকাশিয়াতে এবং লেঃ মিজানকে মহেন্দ্রগঞ্জ সাবসেক্টরে কাজ করতে বলা হলো।

আমার হেড কোয়ার্টারে কেবলমাত্র গরীব কৃষকদের নিয়ে একটি ট্রেনিং ক্যাম্প খুলি। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫০ জন কৃষক নিয়ে কাজ শুরু করি। এইসব কৃষক পরবর্তীতে যুদ্ধের ময়দানে ব্যাপকভাবে যেকোন সামরিক ট্রেইন্ড সৈনিকের চাইতে দক্ষতা প্রদর্শন করেছিল। তার কারণে বোধ হয় কৃষকের অধিকাংশই ছিল পাকিস্তানীদের দ্বারা অত্যাচারিত। আর তাই তাদের বুকে জ্বলছিল প্রতিহিংসার আগুন।

অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি ডালুর বিপরীতে হালুয়াঘাটের দক্ষিণে পাক সেনাদের একটি শক্ত ঘাঁটি ভারতীয় আর্টিলারীর সাহায্যে আক্রমণ করা হয়। মুক্তি বাহিনীর তিনটি কোম্পানী যথাক্রমে লেঃ হাশেম, লেঃ কামাল এবং লেঃ তাহের, অপরদিকে ভারতীয় দুটি কোম্পানীর (রাজপুত বাহিনী) সহযোগিতায় আক্রমণে করা হলো। পাকিস্তানীরা একটি কোম্পানী নিয়ে পূর্ণ সামরিক সম্ভারে প্রস্তুত ছিল। আমাদের বাহিনী পাক ঘাঁটি দখল করলেও বেশীক্ষণ অধিকার করে থাকতে পারেনি। পিছনে দিক থেকে পাকিস্তানীদের একটি ব্যাটালিয়ন তীব্রভাবে আক্রমণ চালালে মুক্তি বাহিনী ‘পকেট’ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়।

অক্টোবর মাসের শেষের মাঝামাঝি থেকে কামালপুর, জামালপুর, বাহাদুরাবাদ ঘাট, বকশীগঞ্জ এবং চিলমারীতে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেই। পাক সেনারাও বিভিন্ন স্থান থেকে সৈন্য নিয়ে এসে ঐ সব ঘাঁটিতে মোতায়েন করে প্রতিরক্ষা জোরদার করতে থাকে।

নভেম্বর মাসে মুক্তি বাহিনীর শক্তি সম্পর্কে আমি বেশ আশাবাদী হলাম। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পর্যায়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার ভাবনা অনুযায়ী নিয়মিত বাহিনীর একটি ব্রিগেড গঠনের অনুমতি চেয়ে সেনা দফতরে একটি আবেদন পাঠালাম। সেনাবাহিনী প্রধান আমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করলেন। অথচ এই সময় গেরিলা বাহিনীকে নিয়মিত বাহিনীতে রূপান্তরিত করার উপযুক্ত সময় এসেছিল।

১৩/১৪ নভেম্বর ৫টি কোম্পানী নিয়ে ভোর ৩টা কামালপুর আক্রমণ করা হয়। মুক্তি বাহিনীর লেঃ মিজান, ক্যাপ্টেন মান্নান এবং মুক্তিযোদ্ধা সাঈদের তিনটি কোম্পানী এবং ভারতীয় বাহিনীর দুটি কোম্পানী মিলে আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। ভারতীয় আর্টিলারী আমাদের সাহায্য করে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কামালপুর আক্রমণ করে পাকিস্তানীদের হত্যা করা- কামালপুর নয়। আমাদের তীব্র আক্রমণে পাক সেনাদের ২টি কোম্পানী একজন মেজরসহ নিশ্চিহ্ন হয়। আমরা জয়ের আনন্দে অধীর। তখন সময় সকাল ৯টা। গুলির আঘাতে আমি গুরুতররূপে আহত হই। আমার একটি পা নষ্ট হয়ে যায়। আমাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় আমি সুস্থ হয়ে উঠি। আমার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা- সাহায্য- সহানুভুতি কোনদিন ভুলবার নয়। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী পুনা হাসপাতালে মাকে দেখে নানা কুশল জিজ্ঞাসা করেন। বাংলাদেশ মুক্ত হওয়া পর্যন্ত আমি সেক্টরে ফিরে যে পারিনি। আমার অনুপস্থিতিতে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ সেক্টরের দায়িত্ব হাতে নেন।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরের আমার এলাকায় সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় ভালুকা এলাকাতে মেজর আফসার, রৌমারী এলাকাতে সুবেদার আলতাফ এবং টাঙ্গাইল এলাকায় কাদের সিদ্দিকী প্রচুর নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অপারেশন চালান।

বাংলাদেশের সামগ্রিক যুদ্ধকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

১) সশস্ত্র গণঅভ্যুত্থানঃ যেখানে বাঙ্গালী ট্রপস যোগ দিয়েছিল- মার্চ, এপ্রিল।
২) দ্বিতীয় স্তরঃ গেরিলা যুদ্ধ শুরুর প্রস্তুতি- মে, জুন, জুলাই
৩) তৃতীয় স্তরঃ গেরিলা যুদ্ধ অব্যাহত থাকে। আমাদের গেরিলা ফোর্সকে নিয়মিত বাহিনীতে নিয়ে যাবার যে পর্যায় এসেছিল তা কাজে লাগানো হয়নি।

** (পাকিস্তান স্পেশাল সার্ভিসেস-এ মেজর পদে কর্মরত থাকাকালে সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।)

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!