শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
৩নং সেক্টরের ও ‘এস’ ফোর্সের যুদ্ধ বিবরণ | সাক্ষাৎকারঃ মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ | ——–১৯৭১ |
কটিয়াদি অ্যামবুশ, ৭ই আগস্ট
পাকিস্তান সেনাবাহিনী বেলাবোতে জয়লাভের পর এক প্রকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। তারা এমনি আত্মতৃপ্তি নিয়ে চলাফেরা করত যে,তারা মনে করেছিল যে তাদের চলাফেরায় বাধা দেবার আর কেউ নাই। আমাদের সৈনিকরাও চুপ করে ছিল না। তারও সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ৭ই আগস্ট থেকে আমাদের সৈনিকরা পাকসেনাদের গতিবিধি লক্ষ্য করেছিল। অবশেষে ১৬ আগস্ট সে সুযোগ আসে। ঐদিন পাকিস্তানী সৈনিকরা কয়েকখানা মটর লঞ্চে করে কটিয়াদীর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। আমাদের সৈনিকরাও নদীর পাড়ে তাদের অপেক্ষায় ওঁৎ পেতে বসে থাকে। সমস্ত মটর লঞ্চ যখন ঐ ফাঁদের ভিতরে চলে আসে তখন চারদিক থেকে তাদের উপর গোলাবর্ষণ শুরু করা হয়। এই গোলাগুলিতে বেশ কয়েকখানি লঞ্চ ডুবে যায় এবং বহু শত্রুসেনা হতাহত হয়। কিছু সংখ্যক পাকিস্তানী সৈনিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং মনোহরদী রিইফোর্সমেন্ট এসে আহতদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই উদ্ধারকারর্যের জন্য পাক সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। পরে জানা যায় যে, ১৪৩ জন নিহত এবং বহুসংখ্যক আহত হয়েছিল।
এ অ্যামবুশে নেতৃত্ব দিয়েছিল হাবিলদার আকমল আলী। আমাদের সৈনিকরা এ যুদ্ধে বিশেষ সাহসের পরিচয় দেয় এবং বেলাবোতে আমাদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তার প্রতিশোধ গ্রহণ করি।