You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
কংগ্রেস সদস্য মিঃ রেরিক কর্তৃক জাতিসংঘের সমালোচনা প্রতিনিধি পরিষদের কার্যবিবরণী ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১

ডিসেম্বর ১৫, ১৯৭১ ই ১৩৫০৭
কনগ্রেশনাল রেকর্ড — (বিস্তারিত মন্তব্য)
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা: আন্তর্জাতিক কমিউনিজম প্রসারের নিমিত্তেই প্রতিনিধিদের সম্মেলনে
ডিসেম্বর ১৪, ১৯৭১
জনাব রেরিকের বক্তব্য অনুযায়ী,
“মাননীয় স্পিকার, আমরা বারবার শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘের অকার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছি।
জাতিসংঘ বর্তমানে, কিংবা কখনোই শান্তি বজায় রাখতে সক্ষম প্রতিষ্ঠান ছিল না। বরং ইতিহাসের প্রামাণ্য তথ্য উল্টোটাই নির্দেশ করে – কোরিয়া এবং ভিয়েতনামের যুদ্ধ বস্তুত জাতিসংঘেরই যুদ্ধ ছিল।
মাননীয় স্পিকার, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় অনুদান কমিয়ে দেয়া নয়, বরং কমিউনিস্ট অধ্যুষিত এই প্রতিষ্ঠান থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে নেয়াটাই হল প্রকৃত সমাধান। ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত তিনবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনা হয়েছে; তিনবারই সোভিয়েত রাশিয়ার পক্ষ থেকে সে প্রস্তাবে ভেটো দেয়া হয়েছে।
এর ফলাফল সন্দেহাতীতভাবে স্পষ্ট। এখন যেহেতু চীনও নিরাপত্তা পরিষদে আসীন, আমরা ধারণা করে নিতে পারি যে, এই দুই কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের অন্তত যে কোন একটির পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত প্রস্তাবগুলোকেও ভেটো দেয়া হবে-যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা তাদের বৈশ্বিক কমিউনিস্ট কর্তৃত্বের কাছে নতি স্বীকার করছি।
না মাননীয় স্পিকার, জাতিসংঘ তহবিলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনুদান কমিয়ে দেয়া কোন সমাধান নয়। জাতিসংঘ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অঙ্গ-সংগঠন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণভাবে বেরিয়ে আসাটাই হল সমাধান।
আমার সহকর্মীদের আমি আবারও বলছি – ১০ নং ‘অব্যাহতি পিটিশন’ স্বাক্ষরের মাধ্যমেই তা করা সম্ভব, যা আমি মাননীয় স্পিকারের টেবিলে ইতিমধ্যে পেশ করেছি। আন্তর্জাতিক কমিউনিস্টদের এই বিতর্ক-সংঘে যুক্তরাষ্ট্র আদৌ সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় জনপ্রতিনিধি কমিটির ‘এইচ. আর. ২৬৩২’ প্রয়োগ করে হাউজের সদস্যদের ভোট দানে বাধ্য করা সম্ভব।“
 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!