শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
ভারতের ভূমিকা সম্পর্কে কংগ্রেস সদস্য ফ্রিলিংঘুসের | প্রতিনিধি পরিষদের কার্যবিবরণী | ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১ |
১৫ ডিসেম্বর,১৯৭১ কংগ্রেশনাল রেকর্ড–অভ্যন্তরীণ এইচ১২৬৪১
ভারত আশার আলো দেখালো
জনাব ফ্রেলিংসন। মাননীয় স্পিকার, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক বাহিনীর কোন প্রকার তৎপরতা না দেখাটা অসম্ভব। প্রতিবেশী দেশ ভারত, আপাতদৃষ্টিতে সাফল্যের সঙ্গে দেশটির মধ্যে বিভাজন তৈরী করছে। যেহেতু এটি একটি বড় দেশ এবং সামরিক শক্তিও অনেক বেশি। সুতরাং দেশটির উন্নতি কোন বিস্ময়কর কিছু নয়।
সবচেয়ে হতাশাজনক ব্যাপার হল, প্রকৃতপক্ষে বিস্ময়কর-যে, পৃথিবীর সকল দেশ এই ব্যাপারটি বসে বসে কেবল দেখা ছাড়া আর কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। যদিও জাতিসংঘের বেশিরভাগ দেশ সামরিক শক্তি ব্যাবহারের বিরোধিতা করেছিল এবং অস্রবিরতি ও পারস্পরিক সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু এই সম্পর্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কতৃক প্রকাশিত কোন বিবৃতির বিবরণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
কিছু যুক্তি, মিস্টার স্পিকার, যেহেতু এটা অবশ্যম্ভাবী যে পূর্ব পাকিস্তান অবশেষে স্বাধীন হবে, সুতরাং এই স্বাধীন হওয়ার প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করার জন্য ভারতকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা যায়। কিন্তু আমি প্রথমত এই যুক্তি গ্রহণ করতে পারি না। আমার মতে, ভারতের কাজকর্ম পরিষ্কারভাবেই আক্রমনাত্মক। তাদেরকে ক্ষমা করা উচিৎ নয়। তাদের পুরাতন শত্রুর বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি ভারতের নিজের এবং জাতিসংঘের দেশগুলোর জন্যে অনেক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।