শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
২ নং সেক্টরে সংঘটিত যুদ্ধ সম্পর্কে অন্যান্যের প্রদত্ত বিবরণ | বাংলা একাডেমীর দলীলপত্র | ——–১৯৭১ |
সাক্ষাৎকারঃ মেজর আইনউদ্দিন
গোপিনাথপুর এমবুশ (কসবা, কুমিল্লা)
সেপ্টম্বর মাসের প্রথম সাপ্তাহে খবর পেলাম যে, কুমিল্লা থেকে দুটি কোম্পানী পাকসেনা কসবা হয়ে সকাল ১০টার দিকে গঙ্গাসাগর আসবে। খবর পেয়ে মনতালি থেকে ৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ২টি মেশিনগানসহ এবং বেঙ্গল রেজিমেন্টের কিছু ছেলে নিয়ে রাতের বেলায়ই কোথায় কোথায় এম্বুশ করতে হবে তার স্থান নির্দিষ্ট করে দেই। স্থান হিসেবে গোপিনাথপুর গ্রামের কাছে রেললাইনের ব্রীজের উত্তর ও দক্ষিণে এম্বুশ করার কথা বলি। পাকবাহিনী এম্বুশ-এর আওতায় আসার পরপরই মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে আঘাত হানে। পাকসেনাদের দুটি কোম্পানীর মাত্র ১০/১২ জন বেঁচে যায়। এ এম্বুশের জন্য কৃতিত্বের অধিকারী ছিল হাবিলদার আবুবকর। এম্বুশকালে সেই পাকসেনাদের কাছ থেকে ১২টি এল এম জিসহ প্রায় দেড়শ’ অস্ত্র উদ্ধার করে। কিছু অস্ত্র পানিতে ডুবে যাওয়ায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই এম্বুশে পাকবাহিনীর একজন মেজর নিহত ও একজন ক্যাপ্টেন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে একজন আহত হয়। এই অপারেশনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বেড়ে যায়।