শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
সংকট গভীরতম হচ্ছে ফ্রিনিংঘুসেন | প্রতিনিধি পরিষদের কার্যবিবরণী | ২ ডিসেম্বর, ১৯৭১ |
মি। ফ্রেলিংঘুসেন ঃ জনাব স্পীকার, আমরা সকলে জানি যে গতকাল আমাদের সরকার ভারতকে আর্ম শীপমেন্টের লাইসেন্স প্রদান স্থগিত করেছে।অতি স্বাভাবিক যে এই সিদ্বান্ত আমাদের দেশে হেডলাইনে জায়গা পাচ্ছে।এটি আশা করা যায় যে এই সিদ্বান্ত ভারত উপর প্রভাব ফেলবে।
আমার মতে ,এই পদক্ষেপ সময়োপযোগী এবং যথাযথ।পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশ শান্তির বিরুদ্বে গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হয়ে দাড়াচ্ছে।যদি ঐ অঞ্চলের এখনকার রিপোর্টের যথযথতা খতিয়ে দেখবার সুযোগ নেই,ভারত নিজেই স্বীকার করেছে যে তার বাহিনী ৫ মাইলেরও বেশী ভিতরে প্রবেশ করেছে।এটি সুস্পষ্ট যে ভারত নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে পাকিস্তানের উপরে তার সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রয়োগ করছে।
এই সিদ্বান্ত দুঃখজনক এবং ঝুকিতে পরিপূর্ণ।ভবিষ্যতে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে জানা নেই।অন্তত আমার কাছে এতি অশুভ সংকেত।মি স্পীকার,মিসেস গান্ধী পাকিস্তানের নিজেরদের সীমানায় সৈন্য ঘাঁটি স্থাপনের অধিকারের উপ্র চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।
ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত,জনাব মহারাজকৃষ্ণা রাসগোপত্রা অতি দুঃখের সহিত জানিয়েছে যে “এটি কোনো কিছুই সমাধান করবেন না এবং বাংলায় কোনো রাজনৈতিক সমাধানের দিকে নিয়ে যাবে না”
প্রশ্নাতীতভাবে জনাব স্পীকার আমাদের সরকারের সিদ্বান্ত এই পরিস্থিতির কোনো ‘সমাধান’ আনবে না।তবে এটি সুস্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র সবার উপরে একটি রাজনৈতিক সমাধান চায়,যেটি আনা আমাদের ক্ষমতার বাইরে।
সমস্যা হল ভারত এমনভাবে আচরণ করছে যেন তারা সামরিকভাবেই এটি সমাধানের সিদ্বান্ত নিয়ে ফেলেছে।যদি এটি হয় তবে আমাদের স্বীকার করতে হবে যে আমরা তার এই মনোভাব বদলাতে পারব না।আর্ম শীপমেন্ট স্থগিত করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভারতের সিদ্বান্তের প্রতি ক্ষোভ জানাছে ।ভারতের নেয়া এই সামরিক হঠকারিতা একটি বড় ধরণের বিপর্যের প্ররোচনা দিচ্ছে এবং সর্বোপরি যুদ্বের সম্ভাবনা বৃদ্বি পাচ্ছে, যদি না এই অবস্থায় সংযত প্রদর্শন করা হয়।