শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
পাকিস্তান সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিনিধি পরিষদে ই গালাঘের-এর বক্তৃতা | প্রতিনিধি পরিষদ-এর কার্যবিবরণী | ১০ জুন, ১৯৭১ |
১১ জুন, ১৯৭১ কংগ্রেশনাল রেকর্ড- ই ৭৯ মন্তব্যের বর্ধিতাংশ
পাকিস্তান সমস্যা নিয়ে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া
হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ-এ
১০ জুন,১৯৭১
সন্মানিত কর্নেলিয়াস ই. গালাঘের,-‘মিস্টার স্পিকার, “আজ আমি এখানে দাঁড়িয়েছি মূলত পূর্ব পাকিস্থানের অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করতে এবং ইন্ডিয়ায় রিফিউজি ক্যাম্পে আমার বর্তমান সফর সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন জমা দিতে।
এটা আমাকে বলতেই হচ্ছে যে, ফরেইন অ্যাফিয়ার্সের হাউস কমিটিতে আমার চাকুরির ১২ বছরে সাড়া বিশ্বের মধ্যে আমার দেখা এই পরিস্থিতিটাই সবচেয়ে বেশি খারাপ। বিশ্বের কোন দেশে আমাকে এই অবস্থা দেখতে হয় নি। গত মে তে এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক বিষয়ক আমার সাব কমিটির ২ দিন ব্যাপী শুনানির আয়োজন করা হয়েছিলো এবং আমাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হচ্ছে যে, আমি ভেবেছিলাম এই রিপোর্টে গণহত্যা, নৃশংসতা, এবং সীমাহীন মানব দুর্ভোগ সম্পর্কে বাড়াবাড়ি রকমের উল্লেখ করা হয়েছে।
আমাকে যদি কিছু বিবৃত করতে হয় তবে আমি আমার সহকর্মীদের বলতে পারি যে এই প্রতিবেদনে বাস্তবতার থেকে কমই উল্লেখ হয়েছে।[ আমি বিশ্বাস করি না আমাকে একজন পিশাচ অথবা – বলে ডাকা হবে এবং আমি আমার উত্তরসুরী –…]
আমি মাত্রাজ্ঞানহীনভাবে সাধারণীকরণকে অবিশ্বাস করতে শিখেছিলাম এবং স্ফীত আড়ম্বরপূর্ন ভাষাগুলোকে বাদ দিয়েছেলাম।
পূর্ব পাকিস্থানের সমস্যাটা এতোটাই সর্বনাশা ও ভয়ংকর যে এটা আর শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একার পক্ষে সমাধানের বিষয় নাই। কিন্তু, এমনটাও নয় যে এটা শুধুমাত্র পাকিস্তানের একার অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা এখন পুরো ভারত উপমহাদেশের শান্তির জন্যই হুমকিস্বরূপ, যা সমাজতান্ত্রিক আদর্শে উজ্জীবিত আন্দোলনের জন্য উর্বর প্রজনন ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়তা করছে[–] এবং মানবজাতির জন্য একটি ভয়ংকর নৈতিক পছন্দের দুয়ার খুলে যাচ্ছে।
যাইহোক, [—]
২৫ মার্চ, ১৯৭১ এর সন্ধ্যায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার পরের অধিকাংশ পদক্ষেপই আমার বক্তব্যে সমালোচনামূলক হিসেবে উঠে আসবে। কিন্তু এটাও সত্য যে শুরুতে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ডাকে দেয়া কর্মবিরতি থেকে তাদের নিবৃত্ত করা যায় নি যা পূর্বপাকিস্তানের অন্যান্য সাধারণ জনগন হত্যার কারণ হিসেবে বাঙ্গালীরা তা অস্বীকার করতে পারবে না এবং বিশ্ব সমাজ তাদের চেষ্টার মাধ্যমে এটা করতেও সামর্থ্য হয় নি।
গতানুগতিক মনস্তাত্ত্বিক-সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে আমি আর কোন বিষয় পুনারাবৃত্তি করতে দ্বিধা বোধ করছি। সত্যি বলতে কী বাস্তবিক অর্থেই আমরা প্রত্যেকেই অসচেতন ভাবে এবং বিনা আপত্তিতে [পশ্চিমপাকিস্তানীদের?]কৌশলগুলো মেনে নেয়াই এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী।
ঘটনা সংঘটনের পরের বোধদয় এ ব্যাপারে একেবারে স্পস্ট ধারনা দিচ্ছে। জীবনের এই নিম্নমূখী গতি সত্যিকারের ভয়ংকর এক পরিস্থিতির দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে পুর্ব পাকিস্তান, পশ্চিম পাকিস্তান এবং ইন্ডিয়া আজ মুখোমুখি। এবং জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ও বস্তুত পৃথিবীর প্রতিটি রাষ্ট্রই হয় সক্রিয়ভাবে নয়তো অনিচ্ছুকভাবে এর অংশীদার।
পটভূমি
মিস্টার স্পীকার! এ-বিষয়ে আমাকে রাজনৈতিক পটভূমিটি ব্যাখ্যা করতে দিন। পূর্ব পাকস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান কম করে হলেও ১১,০০ মাইল ইন্ডিয়ান ভূমি দ্বারা বিভক্ত। এবং আমরা এখন জানি তারা সামাজিকভাবে, বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে, এবং দর্শনগতভাবে একেবারেই পৃথিবীর ভিন্ন মেরুতে। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে স্পস্টভাবেই জয়ী হয়েছে। যারা সংবিধান লেখার মাধ্যমে বেসামরিক আইন প্রণয়ন করবে। আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসন পায় এবং যারা মাধ্যমে তারা পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান মিলে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকিস্তানের সামরিক সরকার দ্বারা পরিচালিত এ ভোটে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ এর প্রার্থীরা প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পায়।
আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জনের জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা ও তার সমর্থকরা পুরো পাকিস্তানে সিস্টেমের মধ্যে থেকেই কাজ করেছে। সুতরাং সাধারনভাবে আমরা বিচ্ছন্নতাবাদী বা বিদ্রোহী শব্দগুলো যে অর্থে ব্যবহার করি তা তাদেরকে বলা উচিৎ নয়।
উপরন্তু, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার দেয়া প্রতিশ্রুতি মতো ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের নির্বাচন জয়ের পরপরই আওয়ামী লীগ নেতাদের সরকার গঠন করা কথা ছিলো এবং তন্মধ্যে একজনের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা। এটাই সত্যি যে তিনি [/বঙ্গবন্ধু] এটা চান নি, এটাই সত্য যে তিনি নিয়মতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কথার উপর নির্ভর করে ছিলেন; এবং এটাও সত্য যে তিনি কখনোই বিচ্ছিনতাবাদ নিয়ে কিছু বলেন নি। তিনি পাকিস্তানের মধ্যে থেকেই স্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র হিসেবে শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিলেন। সম্ভবত এই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণ পৃথিবী কেউ কখনোই জানতে পারবে না যার উপর আওয়ামী লীগ এরুপ আস্থা রেখেছিলো। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা এটাই সাক্ষ্য দেয় যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব কখনোই “বাঙলাদেশ” প্রশ্নে অনড় থাকেনি যতক্ষণ পর্যন্ত না সেনাবাহিনী বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছে।
এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক বিষয়ক কমিটির সন্মুখে দেয়া হাভার্ড ইউনিভার্সিটির ড. রবার্ট ডোর্ফম্যানের দেয়া প্রামাণিক সাক্ষ্যপত্র পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পটভূমি উন্মোচন করে। তিনি পাকিস্তানের দু’অংশে সম্পদের বন্টন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করেন। তিনি অত্যন্ত সততার সাথে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, বেশ ব্যাপক কিন্ত অদূরদর্শী ঘটনাবহুল ভাবে। যাতে দেখা যায় আমেরিকান সাহায্য সহ প্রতিশ্রুতিশীল অধিকাংশ বিনিয়োগ সম্ভাবনা পশ্চিম পাকিস্তানকে দেয়া হতো। এতে করে পূর্ব পাকিস্তান নিজেকে পশ্চিম পাকিস্তানের একটি কলোনী হিসেবে বিবেচনা করতো, যা উত্তেজনাকে বর্ধিত করে।
নজীরবিহীন ভয়াবহ কর্মযোগ্য
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের মুখপাত্র দাবী করেছে যে ২৫ মার্চের সামরিক অভিযান পাকিস্তানের আইন-শৃঙ্খলা পুনঃস্হাপনের জন্য দরকার ছিলো এবং এটা ছিলো একটা দ্রুত, স্বচ্ছ, এবং ছোটখাটো সামরিক ছেদন মাত্র। তারা এটাও দাবী করছে যে যা কিছু এখনো অবশিষ্ট আছে তা শুধুমাত্র পূর্বপাকিস্তানকে একীভূতপাকিস্তানে তার স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে।
.
ঐ বিতর্কে দুটি সাধারণ তথ্য সজোরে উপস্থাপন করা হয়। প্রথমত, যারা নির্বাচন জিতেছে তাদের দমন করতে পাকিস্তান সরকার দ্বারা অনুসৃত নিছক শরণার্থী সংখ্যাই পাশবিক নীতির অকাট্য প্রমাণ। এবার গত কয়েক সপ্তাহে হিন্দু শরণার্থী দের পরিষ্কার বৃদ্ধিতে জেহাদের দায়িত্ব নিয়েছে বোঝা যায়। এখন ভারতে ৫ মিলিয়ন শরণার্থী রয়েছে সাথে প্রতিদিনই অনেকেই বর্ডার পার হচ্ছে। শরণার্থী দের প্রস্থচ্ছেদের সাথে আমার পরিচালিত ইন্টার্ভিউ এর ভিত্তিতে,আমি এখন বিশ্বাস করি যে, বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবী দের জীবন ধ্বংস করতে একটি পূর্ব নির্ধারিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে কারণ বহু পরিমাণে প্রফেসর, ছাত্র ছাত্রী এবং আর্মি দ্বারা যেকোনো পার্থক্যে হত্যা।
উপরন্তু, আর্মি দ্বারা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা অনুপ্রাণিত এবং উজ্জীবিত করতে একটি পূর্ব নির্ধারিত সন্ত্রাস রাজত্ব আকস্মিক হিন্দু প্রধান শরণার্থী দের উত্থান থেকে প্রসূত হয়। এই উত্তেজনা স্বাভাবিকভাবে বিদ্যমান, ১০ মিলিয়ন হিন্দু ছোট সংখ্যালঘু ছিল এবং এটা তর্ক করা বোকামি যে বাঙ্গালী তার ভূখণ্ডে অবাঙ্গালিদের বিরুদ্দগে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যাহক আমি বিশ্বাস করি যে, দীর্ঘ সংরক্ষিত ভাবাবেগ মানুষের ইচ্ছার ব্যাহত হওয়াত জ্বলে উঠেছিল। এবং বাঙ্গালির সংরক্ষিত হিংস্রতার মতোই ভয়ংকর ছিল সম্ভবত,কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো পদক্ষেপ যাচাই করতে তারা ব্যবহৃত হয়নি।
মানবজাতির একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়:
বিতর্ক অগ্রসর হয়েছে যে বিশ্ব-সমাজ ভোগান্তি উপশম করতে কোনো ব্যাবস্থা নিতে পারেনা এবং নেয়া উচিত নয় কারণ এটি পাকিস্তানের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।
পূনরাবৃত্তির ঝুকিতে আমাকে আবার শরণার্থী দের দিকে যেতে দিন। ভারতীয় উৎস হতে সমসাময়িক, একমাত্র উৎস যে সত্যিই কথা বলতে পারে কর্তৃত্বের সাথে, এখন ৫ মিলিয়ন দাড়িয়েছে। এটা তর্ক করা যায় না যে,একটি নীতি যা পর্যাপ্ত সন্ত্রাস উৎপাদন করে ৫ মিলিয়ন মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে উড়ে যেতে বাধ্য করে তা যথাযথ ভাবেই একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি শব্দার্থক নিরর্থক অভ্যন্তরীণ নীতি ডাকা যা শুধুমাত্র শরণার্থী তৈরি অব্যাহত রাখে এবং যার আকার দিনে ১০০,০০০ দাঁড়ায়। এটা তর্ক করা যায় না যে এই অবস্থাকে ভারতে রাখা অবিশ্বাস্য আলিঙ্গন বিশ্বের বৈধ উদ্বেগ হতে পারেনা।
সম্পূর্ণ নিশ্চয়তায়, জনাব স্পীকার, পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়।
উপরন্তু, আমাকে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির এশিয়ান এবং প্যাসিফিক এফেয়ার উপকমিটি ১১ মে’র পূর্বে উদ্ধৃত করতে দিন।
আমরা সিনেটর কেনেডিকে প্রদর্শন করতে বলেছি কারণ শরণার্থী দের উপর অসমাপ্ত কাহ তার উপকমিটি কর্তুক করা হয়েছে।সিনেট কমিটিতে মানুষের উপর এবং যুদ্ধ পরিচালিত এলাকায় মানবিক চাহিদায় আইনজীবী নীতির প্রভাব প্রকাশ করতে। সিনেটর পরিক্ষিত
নিরপেক্ষতার নামে, আমাদের সরকারের মধ্যে কেউ বলেছে আমরা অবশ্যই আজ পাকিস্তানের সাথে যুক্ত নই। কিন্তু আমরা যুক্ত।আমাদের অস্ত্র হিংস্রতায় যুক্ত হয়েছে। আমাদের সাহায্যে পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়নে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অবদান রেখেছে এবার আজ আমাদের সরকার, সর্বোচ্চ অবস্থায়,সাহায্যের চেয়ে বেশি আলোচনায় যুক্ত। অতএব আমরা যুক্ত।
ঐ বিতর্কে দুটি সাধারণ তথ্য সজোরে উপস্থাপন করা হয়। প্রথমত, যারা নির্বাচন জিতেছে তাদের দমন করতে পাকিস্তান সরকার দ্বারা অনুসৃত নিছক শরণার্থী সংখ্যাই পাশবিক নীতির অকাট্য প্রমাণ। এবার গত কয়েক সপ্তাহে হিন্দু শরণার্থী দের পরিষ্কার বৃদ্ধিতে জেহাদের দায়িত্ব নিয়েছে বোঝা যায়। এখন ভারতে ৫ মিলিয়ন শরণার্থী রয়েছে সাথে প্রতিদিনই অনেকেই বর্ডার পার হচ্ছে। শরণার্থী দের প্রস্থচ্ছেদের সাথে আমার পরিচালিত ইন্টার্ভিউ এর ভিত্তিতে,আমি এখন বিশ্বাস করি যে, বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবী দের জীবন ধ্বংস করতে একটি পূর্ব নির্ধারিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে কারণ বহু পরিমাণে প্রফেসর, ছাত্র ছাত্রী এবং আর্মি দ্বারা যেকোনো পার্থক্যে হত্যা।
উপরন্তু, আর্মি দ্বারা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা অনুপ্রাণিত এবং উজ্জীবিত করতে একটি পূর্ব নির্ধারিত সন্ত্রাস রাজত্ব আকস্মিক হিন্দু প্রধান শরণার্থী দের উত্থান থেকে প্রসূত হয়। এই উত্তেজনা স্বাভাবিকভাবে বিদ্যমান, ১০ মিলিয়ন হিন্দু ছোট সংখ্যালঘু ছিল এবং এটা তর্ক করা বোকামি যে বাঙ্গালী তার ভূখণ্ডে অবাঙ্গালিদের বিরুদ্দগে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যাহক আমি বিশ্বাস করি যে, দীর্ঘ সংরক্ষিত ভাবাবেগ মানুষের ইচ্ছার ব্যাহত হওয়াত জ্বলে উঠেছিল। এবং বাঙ্গালির সংরক্ষিত হিংস্রতার মতোই ভয়ংকর ছিল সম্ভবত,কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো পদক্ষেপ যাচাই করতে তারা ব্যবহৃত হয়নি।
মানবজাতির একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়:
বিতর্ক অগ্রসর হয়েছে যে বিশ্ব-সমাজ ভোগান্তি উপশম করতে কোনো ব্যাবস্থা নিতে পারেনা এবং নেয়া উচিত নয় কারণ এটি পাকিস্তানের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।
পূনরাবৃত্তির ঝুকিতে আমাকে আবার শরণার্থী দের দিকে যেতে দিন। ভারতীয় উৎস হতে সমসাময়িক, একমাত্র উৎস যে সত্যিই কথা বলতে পারে কর্তৃত্বের সাথে, এখন ৫ মিলিয়ন দাড়িয়েছে। এটা তর্ক করা যায় না যে,একটি নীতি যা পর্যাপ্ত সন্ত্রাস উৎপাদন করে ৫ মিলিয়ন মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে উড়ে যেতে বাধ্য করে তা যথাযথ ভাবেই একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি শব্দার্থক নিরর্থক অভ্যন্তরীণ নীতি ডাকা যা শুধুমাত্র শরণার্থী তৈরি অব্যাহত রাখে এবং যার আকার দিনে ১০০,০০০ দাঁড়ায়। এটা তর্ক করা যায় না যে এই অবস্থাকে ভারতে রাখা অবিশ্বাস্য আলিঙ্গন বিশ্বের বৈধ উদ্বেগ হতে পারেনা।
সম্পূর্ণ নিশ্চয়তায়, জনাব স্পীকার, পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়।
উপরন্তু, আমাকে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির এশিয়ান এবং প্যাসিফিক এফেয়ার উপকমিটি ১১ মে’র পূর্বে উদ্ধৃত করতে দিন।
আমরা সিনেটর কেনেডিকে প্রদর্শন করতে বলেছি কারণ শরণার্থী দের উপর অসমাপ্ত কাহ তার উপকমিটি কর্তুক করা হয়েছে।সিনেট কমিটিতে মানুষের উপর এবং যুদ্ধ পরিচালিত এলাকায় মানবিক চাহিদায় আইনজীবী নীতির প্রভাব প্রকাশ করতে। সিনেটর পরিক্ষিত
নিরপেক্ষতার নামে, আমাদের সরকারের মধ্যে কেউ বলেছে আমরা অবশ্যই আজ পাকিস্তানের সাথে যুক্ত নই। কিন্তু আমরা যুক্ত।আমাদের অস্ত্র হিংস্রতায় যুক্ত হয়েছে। আমাদের সাহায্যে পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়নে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অবদান রেখেছে এবার আজ আমাদের সরকার, সর্বোচ্চ অবস্থায়,সাহায্যের চেয়ে বেশি আলোচনায় যুক্ত। অতএব আমরা যুক্ত।
# এখন সেখানে ৫ মিলিয়ন শরণার্থী দ্বারা ভারতের ভিতর পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত সমূহের উপর সিনেটরের বিবৃতি থেকে দ্বন্দ্ব দূর হয়েছে।আমার উপকমিটির সাক্ষ্যের পূর্বে প্রকাশ হয় যে, আমেরিকান সাহায্য পূর্ব পাকিস্তানে পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক শোষণে কাজে লাগে। আমাদের ৫ বিলিয়নের সহায়তা অকথ্য অন্তর্বেদনায় এখন সেই অঞ্চলে চলমান।
উদাহরণস্বরূপ, হ্যারিকেন এবং বন্যা দূর্গতদের জন্য গত শীতে ত্রাণ বণ্টনের জন্য সরবরাহকৃত আমেরিকান নৌযান বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞের অভিযানে সৈন বহনে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আমি তর্ক করেছি যে, এগুলো এর অনেক বিষয় ধারণাটি ধ্বংস করে যে এটি কেবলমাত্র পাকিস্তানের একটি অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বরং এটি এখন মানবতার অভ্যন্তরীণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় অবশ্যই আইন সর্বস্বতার পিছু হটবে না।সামরিক সরকারে আমেরিকার সকল সহায়তা বন্ধ করতে হবে।
জনাব স্পীকার, শোকাবহ ঘটনার মাত্রার আলোর ভেতর এটি নির্দয় প্রতীয়মান হতে পারে এবং নিষ্ঠুর সামরিক সরকারে আমেরিকান সাহায্য বন্ধ করা।অনেকেই শুনেছেন এবং জানেন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ এই অকথ্য নির্মমতার ব্যাপারে সম্পূর্ণ জাগ্রত রয়েছে এবং তাদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলো কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক সাহায্য চালিয়ে যাওয়া এবং বৃদ্ধি করা। এটা সর্বোপরি এখন পর্যন্ত সার্বভৌম জাতির বৈধ সরকার এবং যখন এই শাস্তিদান বোধগম্য হবে যে, প্রিয় চাবকানি অপ্রতিহত ভাবার মাধ্যম এবং সামরিক সাহায্যের পরম বিলম্ব এবং এমনকি খাদ্য সহায়তা একই আলোয় দেখা যায়নি।
কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের চলমান যুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিদিন ২ মিলিয়ন করে খোয়াতে হচ্ছে। এমনকি উপযুক্ত সময়ে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ বৈদেশিক সঞ্চয় করেনি। অতএব আমেরিকা কিংবা বিশ্বব্যাংক থেকে অর্থনৈতিক সাহায্য বধ করার ধারাবাহিতা রক্ষা প্রয়োজন। জেনারেল ইয়াহিয়া সম্প্রতি কিছু বন্ধুত্বপূর্ণ বিবৃতি তৈরি করেছেন এবং আমি বুঝেছি তিনি যুক্তরাষ্ট্র কে সাহায্যের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।যাহক, আমাদের নিরপেক্ষ হতে হবে দলিলে যথাযথ কথায় এবং কারণ আমরা পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক তৎপরতা অর্থযোগান কিংবা ভর্তুকি দিতে পারব না। আমেরিকার সহায়তা, আমার উপকমিটিরর পূর্বে প্রফেসর ডরফম্যানের সাক্ষ্যের অবগতিশ সামরিক তৎপরতার ধারাবাহিতার জন্য পূর্বশর্ত। এটা অবশ্যই, অতএব, কলস্টবল বন্ধ থাকবে যতক্ষণ না বাইরের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষকরা নীতির পরিবর্তন নিশ্চিত করছেন কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা।
.
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের ঘাটতি ছিল কারন বেশির ভাগ পুলিশ নদী পাহারা দিচ্ছিল যাতে কলেরায় মারা যাওয়া কারো লাশ নদীতে না ফেলা হয়।
স্টার রিপোর্ট , কৃষ্ণ নগর, ভারত এই ভয়াবহ বিষয়টি এভাবে তুলে ধরেন-
এই গুজব টি ছড়িয়ে পরেছে যে পাকিস্তানি এজেন্টরা বর্ডার এর ২০ মেইল এলাকা জুড়ে পানিতে কলেরার জীবাণু মেশাচ্ছিল যাতে তা মহামারির আকার ধারন করে।
গতকাল এক মুসলিম ৫০০ লোকের হাতে গন পিটুনি খায় যখন এই খবর টি ছড়িয়ে পরে যে সে কলেরা জীবানুর একটি বোতল নিয়ে তা কূয়ার পানিতে মিশিয়েছে।
মাননীয় স্পিকার, আমার ধারনা এসব গুজব মোটেও সত্যি নয়, কিন্তু মানুষ এসব বিশ্বাস করছে। কিন্তু এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, কলেরা মহামারি আকার ধারন করেছে এবং আমাদের অতি দ্রুত কোনো ব্যাবস্থা নিতে হবে।
এই রোগ যাতে মহামারি আকার ধারন না করতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে হবে।
এটি কখনোই একতরফা ভাবে যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষে করা সম্ভব ছিলনা। এদিকে পূর্ব পাকিস্তানের রেফ্যুজি দের সংখ্যা কমার বদলে বেড়েই যাচ্ছল যা থেকে সহজেই বুঝা যায় যে পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছেনা।
এছাড়া এটাও সহজে বোঝা যাচ্ছিল যে পূর্ব পাকিস্তানে কলেরা আক্রান্ত দের সংখ্যা অনেক। আমরা আসলে ভারতে কলেরা আক্রান্ত দের দেখার মধ্যে দিয়ে নামে মাত্র একটি পরিমান দেখতে পাচ্ছি।
পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়া বাকি ছিল-
পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা আরেকটু স্থির হবার কথা ছিল অথবা অবস্থা হয়ত আরো খারাপের দিকেই যাচ্ছিল, আমি প্রচন্ড ভাবে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছিলাম, যেভাবে রেফ্যুজি দের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছিল তাতে বিশ্ব সংস্থার পক্ষে তাদের আর খাদ্যের যোগান দেয়া অস্মভব হয়ে পরছিল।
এছাড়া শুধু খাবার ই নয়, বাসস্থান,চাকরি, পয়নিষ্কাশন ব্যাবস্থা আরো অন্যান্য যেসব সুবিধা মানুষের বেচে থাকার জন্য দরকার সব কিছুর ই অভাব ছিল।
পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের খাবার এর চাহিদা মেটানোর জন্য রিলিফের ব্যাবস্থা করা গেলে তাহলে তা এত ব্যায়বহুল হতনা।
এই দুর্ভিক্ষের সমূহ সম্ভাবনা ও তাতে ৩০ লাখ মানুষ যদি মারা যায় তাহলে পূর্ব পাকিস্তান আর স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরে যেতে পারবেনা।
মহামান্য স্পিকার, আমাদের এটাও ভাবতে হবে, পূর্ব পাকিস্তানের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক না হলে সেখানে রাজনৈতিক অবস্থা কেমন হবে। আর্মিদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে থাকা পূর্ব পাকিস্তান দিন দিন একটি ভুতূরে শহরে পরিণত হচ্ছিল।
আওয়ামিলীগ এর নেত্রিত্ত থেকে আমরা শিখতে পারি গন্তন্ত্র আসলে কি এবং তারা কিভাবে সঠিক উপায়ে গনতন্ত্রের প্রয়োগ করেছিল।
বন্যা ও সাইক্লোন এর সময় সেই দূরযোগ মোকাবেলায় পাকিস্তান বাহিনি উপযুক্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি, ২৫ মার্চ , ১৯৭১ এর বর্বরতার মাধ্যমে তারা আসলে প্রমান করেছিল, রিলিফ এর ব্যাপারে তাদের উপর ভরসা করা যাবেনা,
এই মিলিটারি সরকারের আমেরিকার কোনো সাহায্য গ্রহন করার মানে হল, মানুষের বহু আকাঙ্কখিত গনতন্ত্রের বিলুপ্তি ঘটা, সাধারন নির্বাচন প্রথার বিলুপ্তি ঘটা, কারন এই একরোখা সামরিক সরকার তা চায়না।
ভারতের চমকপ্রদ জবাব
পাকিস্তান সরকারের তৈরি করা দুর্দশা গ্রস্থ পরিস্থির জবাব ভারত অনবদ্য ভাবে দিয়েছিল। পাক হানাদার বাহিনির বর্বরতার বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করে ও রেফ্যুজিদের আশ্রয় দেয়। ভারত সরকার এর ব্যাবহার ছিল নৈতিক ও মানবতাবাদি। প্রথম রিফ্যজি যখন ভারত সীমানার কাছে আশ্রয় গ্রহন করে তখন ই ইন্দিরা গান্ধী যথাযথ ব্যাবস্থা নিয়েছিল।
কিন্তু ভারতের পক্ষে প্রতিদিন লাখ লাখ রেফ্যুজিকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব ছিলনা। ভারতের বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে যেটি পূর্ব পাকিস্তান দ্বারা বেষ্টিত ছিল, তারা ধন সম্পদে অতটা সমৃদ্ধশালী ছিলনা। তাদের নিজেদের ই ছিল ছিল খুব অল্প যা তারা রফ্যিজদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছিল। রেফ্যুজিদের জন্য কোনো চাকরির সুযোগ ও ছিলনা। কলেরা ও তাদের মাধ্যমে ছড়িয়েছিল,গত কিছুদিন ধরেই আমি লক্ষ্য করছিলাম যে বর্ডার এর কাছে রেফ্যুজিদের ৫ মাইল লম্বা লাইন ছিল।
আমেরিকা সাহায্য পাঠালেও ১৫ মিলিয়ন রেফ্যজি কে ৩/৪ দিন এর বেশি খাদ্য পাঠানো সম্ভব ছিলনা। তাই ভারত সরকার জানায় এই অবস্থার একমাত্র সমাধান পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি অতি দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা।
পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আসলে কি ঘটছিল-
মহামান্য স্পিকার আমি এটা জানার চেষ্টা করেছি পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আসলে কি ঘটছে, বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সাথে কথা বলে , আমি জানতে পেরেছি যে,দেশে ‘শান্তি কমিটি” প্রবেশ করেছিল, যারা আমাদের বাড়িঘর এ আগুন দিচ্ছিল ও লুটপাট চালাচ্ছিল, আর আমরা বাঁধা দিলে পাঞ্জাবী সৈন্যরা আমাদের গুলি করে মারছিল।
‘শান্তি কমিটি’ আসলে কি? আসলে তারা ছিল স্থানীয় দুষ্কৃত কারি যারা পাকিস্তানি আর্মির নির্দেশে এমন লুটপাট ও অরাজকতা তৈরি করছিল। পাকিস্তান সরকার বলেছিল দুষ্কৃত কারি দের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে, কিন্তু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনি বরং এসব নাশকতায় উশকানি যোগাচ্ছিল।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, রেফ্যুজিদের বেশিরভাগ ছিল হিন্দু ধর্মের । ২৫ মার্চ রাতে হানাদার বাহিনি যে গনহত্যা চালিয়েছিল, যেটাকে তারা ‘আইন এর প্র্য়োগ’ বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে, এখনো সেই অবস্থা বিদ্যমান ছিল এবং তারা নির্বিচারে হিন্দুদের হত্যা করছিল।
এই অবস্থায় এটা আশা করা ভুল যে পূর্ব পাকিস্তান স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে বা পাকিস্তান সরকার নির্বাচিত আওয়ামীলীগ সরকার এর হাতে ক্ষমতা তুলে দিবে। এর জন্যি তারা মার্শাল ল- ১৪৮ জারি করে। পাকিস্তান অবজারভার এ ২৭ এপ্রিল প্রকাশিত একটি সংবাদ এর ক্ষুদ্র অংশ তুলে ধরা হল-
সরকারি সম্পত্তি বিনষ্টকারিদের মৃত্যু দন্ড দেয়া হবে।।
১- যেকোনো ব্যাক্তি বা সংগঠন যারা সরকারি রাস্তাঘাট, রেলপথ, টেলিযোগাযোগ, টেলিগ্রাফ, হ্রদ বা যেকোনো রকম সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে বা করার চেষ্টা চালিয়েছে, MLR- 1414 এর অধীনে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।
২- সেই এলাকা বা আশেপাশের এলাকায় বসবাস্কারী বাসিন্দা দের কেও শাস্তি ভোগ করতে হবে।
মহামান্য স্পিকার, সরকারের বিরুদ্ধে এমন কর্মকাণ্ড আমাদের ইউরোপ ট্র্যাজিডির কথা মনে করিয়ে দেয়। এছাড়া আমার মনে হয় পূর্ব পাকিস্তানের রিলিফ এর খাদ্য বন্টন কর্মসূচী কোনো আন্তরজাতিক সংস্থার মাধ্যমে করা উচিত ছিল, আর্মিরা পূর্ব পাকিস্তানে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাতে মনে হয়না যে তারা খাদ্যের সুষম বন্টন করবে। এর চেয়েও বড় বিষয় হল, পূর্ব পাকিস্তানের ভীত সন্ত্রস্ত লোকেরা এসব পাক হানাদার বাহিনীর কাছথেকে খাবার সংরহ করার মত সাহস পাবে কিনা। নভমবরের ভয়াবহ বন্যা ও সাক্লোন এর পরে খবর পাওয়া গিয়েছিল যে বাঙ্গালিরা পাক বাহিনীর কাছ থেকে কোনো রিলিফ নেয়নি। ২৪ মে, ১৯৭১ এ একজন বাঙ্গালির কাছেই গোপন সূত্র এই খবর পাওয়া গেছে।
তাই এভাবে সাহায্য পাঠানোর কোনো দরকার নেই কারন তা শুধু আর্মিদের কাছেই থেকে যাবে। পূর্ব পাকিস্তানের অনেক রেফ্যজিদের সাথে কথা বলে, আমি জানতে পেরেছি যে তারা কেউ ই আর্মিদের কাছ থেকে রিলিফ নিতে আগ্রহী নয়।
উপসংহার
জনাব স্পিকার পূর্ব পাকিস্তানের উপর ঘটে যাওয়া এই নারকীয় অত্যাচার, বন্যা, সাইক্লোন এসব কিছু মোকাবেলা করে তারা যেনো এগিয়ে যেতে পারে বিশ্বের অন্যান্য জাতিকে ও এ ব্যাপারে সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে।