You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.18 | পাকিস্তানে অস্ত্র প্রেরণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: সিনেটর চার্চ-এর বক্তৃতা | সিনেটের কার্যবিবরণী - সংগ্রামের নোটবুক
                  শিরোনাম            সূত্র       তারিখ
পাকিস্তানে অস্ত্র প্রেরণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: সিনেটর চার্চ-এর বক্তৃতা সিনেটের কার্যবিবরণী   ১৮ মে, ১৯৭১

.এস ৭১২৮ কংগ্রেসের রেকর্ড-সিনেট মে ১৮,১৯৭১
আমাদের অবশ্যই পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করতে হবে
পূর্ব পাকিস্তানে হত্যাকাণ্ড
জনাব চার্চ,জনাব প্রেসিডেন্ট, আজ আমি সিনেটের ঐক্যমত্য প্রস্তাবনা ২১ এর পক্ষে কথা বলছি।পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৭১ এর ২৫শে মার্চ রাত থেকে যা ঘটে চলেছে,যখন অবর্ণনীয় মাত্রায় রক্তপাত শুরু হয়,তা বিশ্বাস করা কষ্টকর।আমরা জানি যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী অধিকাংশই আমেরিকান অস্ত্রদ্বারা সজ্জিত এবং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রশিক্ষিত অফিসারদ্বারা পরিচালিত,সহ মুসলিমদের উপর মারাত্মক ধরণের হিংস্রতা শুরু করেছে।অভ্যন্তরীণ সংঘাতের প্রথম সপ্তাহের পর,ফ্রান্সের সাধারণত শান্ত সংবাদপত্র লা মুণ্ডে,পাকিস্তানের ঘটনার শিরোনাম করেছে “রক্তস্নানের সপ্তাহ।”ধারাবাহিকভাবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা প্রকাশের পর শিকাগো সান টাইমস ঘটনাটির নামকরণ করে “পাকিস্তানের সুসংগঠিত হত্যা ও লুণ্ঠন।” এবং মে মাসের ৬ তারিখে পূর্ব পাকিস্তানের বর্তমান সামরিক আইন প্রশাসক লে জেনারেল টিক্কা খান স্বীকার করেন যে বর্তমান সংঘাত চলাকালে সেখানে “ সত্যই বেশ কিছু নির্দয় হত্যাকাণ্ড” হয়েছে।
ওয়াশিংটনে ক্রমাগতভাবে ঘটনাস্থল থেকে আসতে থাকা আমেরিকান,ইউরোপিয়ান ও উপ-মহাদেশের মানুষের বিবরণ বিস্তৃত ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। পেগি ডার্বিনের এরকমই একটা বিবরণ নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে। বেশ কিছুদিন পূর্ব পাকিস্তানে থাকার পরে তিনি মে মাসের ২ তারিখে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও আওয়ামী লীগের যথাযথ ভাবে নির্বাচিত নেতা শেখ মুজিবর রহমানের মধ্যেকার আলোচনা ভেস্তে যাবার পরে ঢাকা ও অন্যান্য শহরে সংগঠিত হওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে লিখেছেন। এই বাঙ্গালি রাজনৈতিক দলটি সম্প্রতি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা জিতেছেঃ৩১৩ আসনের জাতীয় পরিষদে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য সম্ভাব্য ১০০ সিটের মধ্যে ১৬৭ টি আসন লাভ করেছে যা সম্ভব হয়েছে পূর্বের জন্য আরো বেশি রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন দাবি করার মাধ্যমে।জনাবা ডার্বিন বলেন যে-
যে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বাঙ্গালিরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সেটা দমনে পশ্চিমের স্বার্থ-যুক্ত মহল ও পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক- রাষ্ট্রপতির প্রস্তুতি আধুনিক সময়ের অন্যতম রক্তাত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সীমায় উপনীত হয় যখন পাকিস্তানের সৈন্যবাহিনী চূড়ান্ত নির্মমতার সাথে ইসলামাবাদের কর্তৃত্ব পুনঃ-স্থাপনের উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু করে।
যত বেশি তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে ততই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে শুধু মাত্র প্রচুর হত্যাকাণ্ডই সংগঠিত হয় নাই বরং কেন্দ্রীয় সরকার বাঙ্গালিদের নেতৃত্ব প্রদানকারী অংশগুলোকে নির্বাচিত করেছিল নিশ্চিহ্ন করার জন্যে। পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস ও পাকিস্তানের সীমানা নিরাপত্তা বাহিনীর,স্থানীয় পুলিশের বহু সদস্যের সাথে হাজারো বাঙ্গালি বেসামরিক-অধ্যাপক,নির্বাচিত নেতা,ব্যবসায়ী,আইনজীবী,ইঞ্জিনিয়ার,রাজনীতিবিদ,সরকারি চাকুরীজীবী, ডাক্তার, শ্রমিক, ছাত্র, মহিলা, শিশুদের নির্মূল করা হয়েছে।

উচিৎ ভবিষ্যতে পূর্ব পাকিস্তানের স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা , সাধারণত সেখানে কেবল অনেক আওয়ামী লীগ এর নেতা অথবা বুদ্ধিজিবি হবেনা দায়িত্ব নিয়ে নিতে। এক খুনে সপ্তাহে আর্মি একটা শুন্যতা সৃষ্টি করেছে, যা পুরন হতে একটা অথবা কয়েকটা প্রজন্ম সময় নিবে ।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা

জনাব চার্চ, জনাব প্রেসিডেন্ট, এই আশ্চার্য ঘটনায় আমেরিকার কি সম্পৃক্ত হয়েছে ? এটার রদবদল কিভাবে সম্ভব হবে?

বাঙালীদের উপর এটার কঠোর বর্বরোচিত হামলায় , পাকিস্তানী আর্মি আমদানীকৃত বন্দুক, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, মটার, আর্টিলারি, ট্রাক, সাজোয়া যান, ট্যাঙ্ক, উড়োজাহাজ, এবং গোলাবারুদ ব্যবহার করেছে । অফিসার ইন চার্জদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে যুক্ত্ররাষ্ট্র অথবা গ্রেট ব্রিটেনে । অধিকাংশ তোপ এবং সরবরাহ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, অর্জিত হয়েছে বছরের পর বছর ধরে সামরিক সহায়তার মাধ্যমে এবং ভর্তুকি অস্ত্র বিক্রয় কর্মসুচিতে । অন্যদিকে বাঙালীরা প্রতিহত করতে ব্যবহার করেছে তীর , ধনুক, ছুরি, পাথর ঘরে তৈরি বোম এবং দখলকৃত অস্ত্র ।

১৯৫৪ থেকে, যখন জন ফস্টার স্বরাষ্ট্র সচিব পাকিস্থানের সাথে একটা বিশাল অস্ত্র চুক্তি সম্পন্ন করে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠি(জেনালেরদের)-র সাথে একটা বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, সেই ভূষ্ঠামিরা তাদের অর্জিত সম্পদের ৮০ ভাগ ব্যয় করে মুষ্টিমেয় সরকারী কর্মচারিদের কল্যাণের জন্যে । আমরা তাদের সজ্জিত করেছি অগাধ পরিমান অস্ত্র এবং ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ ও খাদ্য সহায়োতা দিয়ে, যার অধিকাংশ পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সামরিক উপহার, যুক্তরাষ্ট্রে হিসেব অনুযায়ী প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার মুল্যের অস্ত্র , বহু বছর ধরে কংগ্রেস এবং আমেরিকার জনগনের সমর্থনে একটা ঢান হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে তাদের পাকিস্তান রক্ষা করার জন্যে এবং যুক্তরাষ্ট্র কে সম্রাজ্যবাদ আগ্রাশন থেকে বাচাতে। পয়াকিস্তান সেটো এবং সেনেটো তে যোগদান করে; বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার একটা সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং একটা বিমান বন্দর গড়ে তোলে পাকিস্তানের পেশোয়ারে মধ্য এশিয়া থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে, যা রাশিয়ান বেয়ার ও চাইনিজ ড্রাগন ধারীদের থেকে অনেক দূরে। যাইহোক পাকিস্থান ব্যবহার করেছে তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে । প্রথমত ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে এবং এখন তাদের নিজেদের জনগনের বিরুদ্ধে সামরিক সজ্জায় সজ্জিত হয়েছে , প্রকৃতপক্ষে, ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান পেশোয়ারে বিব্রত হওয়া ছাড়াই আমাদের ইলেকট্রনিক শ্রবন পদ বন্ধ করে দেয় রাশিয়ান ও চাইনিজ সরকারকে খুসি করতে । তারপর সকল দিক থেকে, আমাদের সামরিক সহায়তা নীতি ভেঙে পড়ে – কিন্তু আমলাতন্ত্র এবং পাকিস্তান সামরিক জান্তার অনুরোধে এটাকে বাচিয়ে রাখা হয়েছিল।

১৯৭০সালের অক্টোবরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় পাকিস্তানে প্রাণঘাতী অস্ত্রের উপর যেটা আরোপ করা হয়েছিল ১৯৬৫ সালের ইনো-পাকিস্তান যুদ্ধের পরে । যখন এই নীতি ঘোষণা করা হয় , আমি সিনেটে সতর্ক করেছিলাম, যে আমি ১৯৬০ সালে পাকিস্তান ভাতর দন্দের মদদে যেটা পেয়েছিলাম, যে সমস্যা ও সহিংসতা ই হবে এর শেষ ফল। “এটা হতে পারে” আমি গতবছরের অক্টোবরের ১৪ তারিখ বলেছিলাম, “ একমাত্র সময়ের ব্যবধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদে বর্তমান ইতিহাস পুনরাবৃত্তি হওার আগে ।” এটাই ঘটেছে অন্য একটি একটি, অপরিণামদর্শী উপায়ে।

এই সম্পর্কে নতুন সর্বসাধারনের তথ্য প্রকাশ করে পাকিস্থানের ক্ষেত্রে .১৯৬৭ সালের এপ্রিলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক লেনদেনের ক্ষেত্রে তার অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা রদবদল করে। আমর বাণিজ্যিক বিক্রয় অনুমতি দেই যা অভিহিত করতে পারতো

“অমারাত্মক শেষ-পদ” এবং এখানে এই ব্যাখ্যা করা হয়েছে যেমন আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও পরিবহং সরঞ্জাম, এটা এখন পরিষ্কার যে পাকিস্তানে আপমার প্রত্যেক বছর গড়ে ৩১০ মিলিয়ন প্রায়, একমাস আগে রাষ্ট্র বিভাগ স্বীকার করে ২.৫ মিলিয়ন অর্থ গোলাবারুদের জন্যে খরচ হয়েছে ।সমিক্ষাকারিরা দেখেছে ওগুলো আমাদের অস্ত্র, যদিও একটি প্রাণঘাতী “শেষ পদ” ছিল না ।

আক্রমনের প্রায় একমাস পরে, ৫মে ১৯৭১ তারিখে রাষ্ট দপ্তর স্বীকার করেছে যে পাকিস্থান সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ট্যাংক ও জেট ফাইটার ব্যাবহার করছে তাদের অধিকাংশ মানুষদের উপর সামরিক শাসন আরপ করতে যারা পূর্ব পাকিস্তানে বসবাস করে। সাম্প্রতিক আমি ঢাকা থেকে একটা চিঠি পেয়েছি, এক আমেরিকান পর্যবেক্ষক লিখেছেন যে পাকিস্থান আর্মির শাফল তারা মুল সহরগুলো দখল করে ফেলেছে। “এটা প্রচন্ড ভাবে সি-১৩০ মানুষ এবং উপাদান ব্যাবহারের পদক্ষেপের সাথে জড়িত

সিনেটর এডওয়ার্ড এম. কেনেডিঃ শরণার্থী সিনেট উপকমিটির সভাপতি এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন……
জনাব চার্চঃ এছাড়াও, পাকিস্তান সরকার ভারতকে প্রতিনিয়ত এসব অশান্তির জন্য দোষারোপ করে, এই সমস্যাটিকে আন্তর্জাতিক সমস্যায় পরিণত করেছে যা যুদ্ধের ব্যাপকতাকে আরও বিস্তৃত করে তুলতে পারে। ২১শে এপ্রিলের নিউ ইয়র্ক টাইমস এই বিপদ সম্বন্ধে উদ্ধৃত করেছেঃ

যথেষ্ট ন্যায়সঙ্গত কারণ রয়েছে যাতে বিশ্ব সম্প্রদায় অচিরেই হস্তক্ষেপ করে পূর্ব পাকিস্তানে এই রক্তপাত বন্ধ করে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি সংস্থাসমূহের কার্যক্রম শুরু করে।

পাকিস্তান সরকার নিজেই এই যুদ্ধে বাঙালিদের প্রতিরোধকে প্রতিবেশি ভারতের উপর দোষ দিয়ে আন্তর্জাতিক সমস্যায় পরিণত করেছে। যদি বাঙালিদের সুদৃঢ় এবং গভীর তাৎপর্যপূর্ণ দাবি দাওয়াগুলো পূরণের অনুমতি দেয়া না হয় তবে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উদ্বেলিত উত্তেজনা যুদ্ধে পরিণত হতে পারে যা খুব দ্রুতই এক বা একাধিক বড় শক্তিকে তাতে যুক্ত করে নিতে পারে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শুধুমাত্র অধিকার রয়েছে তা নয় বরং তাদের দায়িত্ব হল তাদের পক্ষে সম্ভব এমন যে কোন উন্নয়নের জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করা।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উপর এক বিরাট দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে যখন থেকে ওয়াশিংটন অস্ত্র সরবরাহ করে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে এবং মার্কিন অর্থনৈতিক সাহায্য পাকিস্তান সরকারের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ক্রমশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে। ইসলামাবাদে সেনাবাহিনীর অব্যাহত শাসন ভারতীয় উপমহাদেশে এই দেশের জন্য শুধুমাত্র ধবংসই বয়ে আনতে পারে।

তৃতীয়ত, আমাদের সামরিক সহায়তা কর্মসূচি সামনে পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলছে। গ্রীস এবং তুরস্ক, জর্ডান এবং ইসরায়েল, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদর, ইরান এবং ইরাক, ভারত এবং পাকিস্তান, ফ্রান্স এবং আলজেরিয়া, পর্তুগাল এবং এর আফ্রিকান উপনিবেশ এবং আরও অনেক যুদ্ধের সাম্প্রতিক ইতিহাসে মার্কিন সমরাস্ত্র তাদের মধ্যেকার সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে এক বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। “অন্যদের অস্ত্র প্রদান”, বাল্টিমোর সানের সম্পাদকীয়তে, “সবরকম সম্ভাব্যতা প্রকাশ করা হবে, কিন্তু এটি প্রয়োজনীয় নয় যে তা আপনাদের নির্দেশ অনুসারে প্রকাশিত হবে।” এই কারণেই ভবিষ্যতে কংগ্রেসের মার্কিন অস্ত্র রপ্তানি বহুলাংশে পরিবর্তন করতে হবে। নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের ঘটনাটি এক্ষেত্রে একটি নিদারুণ উদাহরণ। আমি এই বছরের শেষের দিকে এই ধরণের আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করার পরিকল্পনা করছি এই আশায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমরাস্ত্র কূটনীতির প্রতি আসক্তি শেষ হবে, এবং অন্য দেশকে যুদ্ধোপকরণ প্রদান হতে বিরত হবে।