You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.29 | বাংলাদেশ থেকে ডঃ জন, ই, রোড কর্তৃক সিনেটর উইলিয়াম বি, স্যাক্সবীকে লিখিত চিঠি | সিনেটের কার্যবিবরণী - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
বাংলাদেশ থেকে ডঃ জন, ই, রোড কর্তৃক সিনেটর উইলিয়াম বি, স্যাক্সবীকে লিখিত চিঠি সিনেটের কার্যবিবরণী ২৯ এপ্রিল ১৯৭১

এস ৫৮৪০ কংগ্রেসনাল রেকর্ড-সিনেট এপ্রিল ২৯, ১৯৭১
পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ

মিঃ স্যাক্সবী- মিঃ প্রেসিডেন্ট, সাম্প্রতিক সময়ে আমি পূর্ব পাকিস্তানে ইউএসএআইডি তে কর্মরত এক ডাক্তারের চিঠি পেয়েছি। তার চিঠিতে পুর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের গুরুত্বপূর্ণ চিত্র উঠে এসেছে। আপনি জানেন যে আমি গত বছর পাকিস্তানের কাছে ১৫০০০ ডলার সমমূল্যের সামরিক সরঞ্জামাদি বিক্রয়ের বিরোধিতা করেছিলাম, কেননা সেগুলোর দ্বারা সম্ভাব্য দুঃখজনক ঘটনার ব্যাপারে আমি ভীত ছিলাম। আমি মাত্রই সিনেটের সমসাময়িক প্রস্তাবনা ২১ এর সহ-পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এই সংঘাত থামার আগ পর্যন্ত পাকিস্তানে সব ধরনের সামরিক সহায়তা প্রদান বন্ধের আহবান জানিয়েছি।
আমি ডাঃ জন ই রোড এর কাছ থেকে পরিষদের কার্যবিবরণীতে এই চিঠির ছাপানো কপি সংযোজনের জন্য যথাযথ অনুমতি নিয়েছি কেননা আমি মনে করি সকল সিনেটরের এই চিঠি থেকে প্রাপ্ত ভিতরের খবর জানা উচিৎ।
হাডসন, ওহাইও, এপ্রিল ১৭, ১৯৭১
মাননীয় উইলিয়াম বি স্যাক্সবী
নিউ সিনেট অফিস বিল্ডিং
ওয়াশিংটন, ডিসি
প্রিয় সিনেটর স্যাক্সবীঃ দুই দিন আগে আমি সস্ত্রীক আমার তিন বছরের কর্মস্থল পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা থেকে অপসারিত হয়েছি, যেখানে আমি ইউএসএইডের অধীনে একজন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলাম। আমি জানি যে আপনি ২৫শে মার্চের সামরিক অভিযানের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। পুরোদস্তুর সেন্সরশীপ, সাংবাদিকদের অপসারণ, প্রধান রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং পূর্ব পাকিস্তানের বেসামরিক জনগণের উপর সামরিক অভিযানের তথ্য গোপন করার কারণে এর পরের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া নিশ্চিতভাবেই কঠিন হয়ে গিয়েছে। সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল এবং তার সহকর্মীগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিস্তারিত প্রকৃত তথ্য প্রেরণ করছেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠানোর আগে সব কটি রিপোর্ট অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সংগ্রহ ও যাচাই করা হয়। জনসম্মুখে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে তাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য নেই, কিন্তু আমি প্রতিদিন ঢাকা থেকে প্রকৃত তথ্যসমৃদ্ধ রিপোর্ট পাঠাতে দেখেছি। করাচিতে অবস্থিত মার্কিন কনসাল আমাকে জানিয়েছেন যে তারা সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব পাকিস্তান সংক্রান্ত রিপোর্ট পাওয়া শুরু করেছেন, যদিও আমি দেখেছি ঘটনার একদম শুরু থেকে ঢাকা অফিস তথ্য পাঠানো শুরু করেছে।
যদিও কোনাল ব্লাডের রিপোর্টে বর্তমান পরিস্থিতির অনেক বিস্তারিত বিবরণ আছে, গত সপ্তাহে ঢাকায় আমার পর্যবেক্ষণগুলো আমি আপনাদের জানাতে চাই। আমি এবং আমার স্ত্রী ২৫শে মার্চ রাতে আমাদের ছাদ থেকে গোলন্দাজ বাহিনীর গোলার আঘাতে জ্বলতে থাকা ঢাকা শহরের আগুনের শিখা আর রক্তিম আলোয় দেখেছি ক্যান্টনমেন্ট থেকে ঢাকার রাস্তায় নেমে আসা ট্যাঙ্কের সারি, দেখেছি জনাকীর্ণ বস্তি আর বাজারে মুহুর্মুহু মর্টার শেল নিক্ষেপ। দুই দিনব্যাপী চলমান বিকট বিস্ফোরণ এবং মেশিনগানের অবিশ্রান্ত গর্জনের পর আমরা কারফিউর বিরতির মাঝে শহরের রাস্তায় নেমে আসি। শরণার্থীর বহরের মাঝ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাবার সময় গুলশান-মহাখালী রেলক্রসিং এর দুপাশে পুড়ে যাওয়া খুপড়ি ঘর দেখেছি আমরা। কাছেই বাস করা আমার এক বাঙ্গালী বন্ধু দেখেছে আর্মিরা কিভাবে এই ঘর গুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আর আগুনের হাত থেকে বাচার জন্য বাইরে বেরিয়ে আসা মানুষগুলোকে “কুকুরের মত” গুলি করে মেরেছে। সে তার ১২ জনের পরিবার সহ আমাদের বাসায় এসে থাকার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। পুরান ঢাকার নায়ের বাজারে গিয়ে আমরা শুধু দেখেছি লোহা লক্কড়ের স্তুপীকৃত জঞ্জাল, অথচ সেখানে প্রচুর হিন্দু-মুসলিম কাঠুরেরা কাজ করতো। গোলার আঘাতে ঝাঝরা হয়ে যাওয়া শাঁখারীবাজারে বেচে থাকা হিন্দু দোকানদার ও কর্মকারেরা আমার কাছে তাদের সাহায্য করার জন্য রীতিমত মিনতি জানাচ্ছিল, যেখানে আমি যাবার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই আর্মি অভিযান চালিয়ে গেছে সবাইকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। এদের একজন পেটে গুলি খেয়ে আমরা পৌছার মাত্র আধা ঘন্টা আগে মারা গেছে, বাকিরা রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছিল। আমাদের সরিয়ে দেবার আগের দিন আমি দেখেছি শাখারি বাজারে টিকে থাকা বাড়িগুলোতে উর্দুতে লেখা মুসলিম নাম ঝুলছে, অথচ এই পুরো এলাকাটি ছিল হিন্দু অধ্যুষিত। ২৯ তারিখে রমনা রেসকোর্সের মাঝে অবস্থিত প্রাচীন হিন্দু মন্দির রমনা কালী বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আমি দেখেছি মেশিনগানের গুলিতে ছিন্ন ভিন্ন আর পোড়া নর-নারী আর শিশুর লাশের স্তুপ, যাদের সেদিন ভোরেই হত্যা করা হয়েছে। তার কয়েক ঘন্টা পরে আমি সেখানে দাঁড়িয়ে সেসব দৃশ্যের ছবি তুলি।
সদরঘাট, শাখারিপট্টি, রায়ের বাজার, নায়ের বাজার, পাইলপাড়া আর ঠাটারি বাজারের হাজার হাজার মানুষের থাকার ঘরবাড়ি সব মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।
২৯ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আমরা দুটি ছাত্রাবাস, জগন্নাথ হল আর ইকবাল হলের ভিতর দিয়ে হেটে গিয়েছি – যেখানে ট্যাঙ্ক থেকে গোলা নিক্ষেপ করেছে সামরিক বাহিনী। ভিতরে থাকা সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা যে দেয়াল ভেঙ্গে ট্যাঙ্ক ঢুকেছি, ট্যাঙ্কের চাকার ছাপ আর হলের সামনে বিশাল গণকবর দেখেছি। একজন লোক, যাকে আর্মিরা বাধ্য করেছিল নিহতদের লাশ টানতে, তার গণনা মতে ১০৩ জন হিন্দু ছাত্রকে সেই গণকবরে চাপা দেয়া হয়েছে। বাইরে গোলার আঘাতে বড় বড় গর্ত নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রাবাসের দেয়াল, আর ভিতরে তখনো বারুদের গন্ধ আর মেঝে জুড়ে ছড়িয়ে থাকা রক্তের পুরু আস্তর। আমরা ইকবাল হলেও ট্যাঙ্ক আক্রমণের প্রমাণ দেখেছি, যেখানে মৃতদেহগুলো তখনো সমাহিত হয়নি।
পরবর্তী দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ অধ্যাপক সহ প্রচুর বুদ্ধিজীবিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়, এদের মধ্যে দর্শন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডঃ জি সি দেব, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ডঃ নাকভী ও ইতিহাস বিভাগের প্রধান ডঃ আলী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইন্নাস আলী, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক, প্রাক্তন গভর্নর ও অর্থমন্ত্রী ডঃ এম এন হুদাকে তাদের নিজ নিজা বাসভবনে গুলি করে ফেলে রাখা হয় মৃত্যুর জন্য। এসব অধ্যাপকের অনেকের পরিবারের সদস্যদেরও গুলি করা হয়। ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে আর্মির কথোর তল্লাশীর কারণে এদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা বেশ কঠিন ছিল। সংবাদপত্রের কন্ঠ সম্পূর্ণভাবে রোধ করা হয়েছে, তিনটি বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার অফিস – The People, দৈনিক ইত্তেফাক এবং দৈনিক সংবাদ – সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে।
প্রথম দুই দিনের আক্রমণের পরও সামরিক অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা শুনেছি ১ এপ্রিল এও দুই ঘন্টা অনবরত কামান দেগে ঢাকার অদুরে বুড়িগঙ্গার ওপারে অবস্থিত, সন্ত্রস্ত ঢাকা শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া লক্ষাধিক বেসামরিক জনগণের ভীড়ে জনাকীর্ণ জিঞ্জিরাকে রীতিমত ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়েছে। রেডিও পাকিস্তান অব্যাহতভাবে ভাবে বলছিল যে ঢাকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে, কিন্তু বাস্তবে আমরা প্রায় জনশূন্য এক শহর দেখেছি।
আমরা যেখানে থাকতাম, ঢাকার সেই উপশহর গুলশানে আমরা দেখেছি রাস্তার ওপারে শিশুপার্কে অবস্থিত ইপিআর স্টেশনে ইপিআর সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ, আশেপাশের মার্কেট থেকে আর্মির খাদ্যদ্রব্য লুট করে নেয়া এবং সবশেষে কিছু ইপিআর সদস্যকে হত্যা, যাদের পাঞ্জাবী সৈন্যরা ট্রাকে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। কয়েক হাজার বাঙ্গালী পুলিশ এবং ইপিআর সদস্যদের হত্যার বিষয়টি ইতোমধ্যে নথিভুক্ত হয়েছে। আমাদের এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে আমরা গুলশান লেকে সাতার কাটতে থাকা কিছু ছোট ছেলের দিকে আর্মি সদস্যকে তিন রাউন্ড গুলিও ছুড়তে দেখেছি। প্রায় প্রতি রাতে আমাদের বাসার পাশে বিক্ষিপ্ত গোলাগুলির আওয়াজ পেয়েছি, যা আমাদের বাসায় থাকা ২৬ জন শরণার্থীর ভয় কেবল বাড়িয়ে দিয়েছে। দিনের বেলা মাথার উপর উড়ে যেত পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, তাদের বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তুর দিকে।
আমার পক্ষে হয়তো আরো অনেক সুনির্দিষ্ট নৃশংসতার বিবরণ দেয়া সম্ভব হত, কিন্তু আমরা আমাদের অনেক কাছের বন্ধুকে সেখানে ফেলে এসেছি, যাদের জীবন হয়তো তাতে আরো সংকটাপন্ন হবে। এটা স্পষ্ট যে পূর্বপাকিস্তানে এখন জঙ্গলের আইন বিরাজমান, যেখানে প্রতিনিয়ত চলছে বেসামরিক জনগণের উপর নির্বিচার গণহত্যা, বুদ্ধিজীবি নিধন আর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়া।
কনসাল ব্লাডের রিপোর্টে সমস্ত ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ আছে, যা কংগ্রেসম্যান হিসেবে আপনারা দেখতে পারেন। একই সাথে তিনি আমাদের সরকারের পক্ষে করণীয় গঠনমুলক পদক্ষেপ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনাও জমা দিয়েছেন। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোন ধরনের প্রস্তাবনা না দিয়েও তিনি বলেছেন, যা আমরাও সমর্থন করি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনভাবেই নীরবতার মাধ্যমে এই সামরিক অভিযানকে উপেক্ষা করা অব্যাহত রাখা যাবে না। আমরা ঢাকা অফিসিয়াল কমিউনিটির পক্ষ থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠানো খোলা বার্তাও আপনাদের পড়ে দেখবার আহবান জানাবো, যেটা সবার জন্য উন্মুক্ত এবং যাতে পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা সম্পর্কে নির্মোহ সত্য বর্ণিত হয়েছে।
কোন বিবৃতি না দিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাঙ্গালী জনগণের উপর পশ্চিম পাকিস্তানী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অনৈতিক অভিযানকেই প্রকারান্তরে সমর্থন দিচ্ছে।
পাকিস্তানের বাণিজ্যিক বিমান দিয়ে আমাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আমাদের এমন বিমানে চড়ানো হয়েছে যা মাত্রই বিমানভর্তি সৈন্য আর সামরিক রসদ নামিয়েছে। আমেরিকান এইডের ডলারে এই সামরিক অভিযানের রসদ জোগাড় হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে পাকিস্তানের সমর্থন থাকায় আমি তেহরানে থাকা অবস্থায় আপনাকে এই তথ্যগুলো টেলিগ্রাম করতে পারিনি।
আমাদের সরকারের পক্ষে বাঙ্গালির উপর চালানো মরিয়া আগ্রাসনের সক্রিয় বিরোধিতা বা হস্তক্ষেপ করার অসমর্থতার কথা আমি বুঝতে পারছি। তা সত্ত্বেও, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, আপনি যেন কংগ্রেস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি জনগণের উপর চলমান অমানবিক অত্যাচারের প্রতিবাদ করার জন্য আহবান জানান।
কোন রাজনৈতিক বিবেচনাই মানবতার পক্ষে দাড়ানোর জন্য বাধা হতে পারে না, প্রতিটি মানুষের জীবনের মুল্য এবং সরকার গঠনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গী পুনর্ব্যাক্ত করেই আমি এ কথা বলছি। পূর্ব পাকিস্তানের ৯৮% ভোটারের ম্যান্ডেট নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া যা কাজ করছেন, তাতে নিজেদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে গর্বিত একটি দেশের উদ্বিগ্ন হওয়াই উচিৎ।

পূর্ব পাকিস্তানে বেসামরিক নাগরিকের উপর চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদ করার জন্য আমরা আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

আপনার বিশ্বস্ত,
জন, ই, রোড, এমডি।