You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
ড: গ্রীনোর উদ্দেশে পররাষ্ট্র দপ্তর কর্মকর্তার চিঠি পররাষ্ট্র দপ্তর ২৬শে মে, ১৯৭১

ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট
ওয়াশিংটন ডিসি, ২০৫২০
২৬শে মে, ১৯৭১ ড:উইলিয়াম বি. গ্রীনো- ৩য় প্রধাণ, সংক্রামক ব্যাধি বিভাগ
স্কুল অব মেডিসিন দ্যা জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হসপিটাল
বাল্টিমোর, মেরিল্যান্ড ২১২০৫
প্রিয়ড:গ্রীনো,

গত ৬ই মে আপনি সেক্রেটারি রজার্স বরাবর ড: মিল্টন আইজেনহাওয়ার মারফত প্রেরিত পত্রে পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতির নানা দিক সম্পর্কে আপনার যেসব মতামত ব্যক্ত করেছেন সেই প্রসঙ্গে সেক্রেটারি সাহেব আমাকে তার জবাব দিতে বলেছেন।
সর্ব প্রথম আমাকে বলতে দিন যে, চিঠিতে লেখা আপনার চিন্তাকর্ষক ও বিশ্লেষণধর্মী ভাবনাগুলো আমরা অত্যন্ত আগ্রহ আর আন্তরিকতার সাথে পাঠ করেছি, এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমাদের বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত এধরণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুশীল আমেরিকান নাগরিক মতামতকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়ে থাকি।
পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অবনতিশীল সংঘাতময় পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনি যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তা নিশ্চিতভাবেই বোধগম্য, বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকা ও কলকাতায় স্বাস্থ্য গবেষণা ও মাঠ প্রশিক্ষণে নিয়োজিত আপনার সহকর্মীদের কাছ থেকে যেসব তথ্য আপনি সরাসরি পেয়েছেন তার আলোকে তো বটেই। আমাদের ষ্টেট ডিপার্টমেন্টও আপনার সাথে সমভাবে উদ্বিগ্ন এবং পূর্ব পাকিস্তানে বিগত মার্চ থেকে শুরু হওয়া গৃহদ্বন্দের পর থেকে আমরা নিষ্ক্রিয় বা নিশ্চুপ থাকিনি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের মুখপাত্র এই বিষয়টির নানা দিক তুলে ধরে বহুবার অফিশিয়াল ষ্টেটমেন্ট দিয়েছেন। যেহেতু এই বক্তব্যগুলোর সবকটিই প্রচার পায়নি যেটা পাওয়ার যোগ্য ছিল বলে আমরা মনে করি, ফলে আপনার জন্য এসব বক্তব্যের কিছু সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরা আমার পক্ষে সহায়ক হবে বলে মনে করছি।
পূর্ব পাকিস্তানে গৃহদ্বন্দ ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে সংঘটিত প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থা পূনরায় ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। এসব ঘটনার শিকার সকলের প্রতি বমরা আমাদের সহানুভূতি বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা আমাদের বিশ্বাসকে জোরালো করে বলেছি যে, সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান অর্জনে পাকিস্তান সরকারের সকল সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এসব ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগ লাঘবে যে কোন আন্তর্জাতিক মানবিক ত্রাণ তৎপরতায় আমাদের সহায়তা দেওয়ার ইচ্ছার কথা আমরা ঘোষণা করেছি। ইতোমধ্যেই আমরা পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে পাড়ি জমানো অসংখ্য উদ্বাস্তুর নুকট উল্লেখযোগ্য ত্রাণ সহায়তা বাড়িয়ে দিচ্ছি এবং অনুরোধ পাওয়া মাত্র পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের কাছে জরুরী সহায়তা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত আছি। এছাড়াও আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে পাকিস্তান সরকারের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
আপনার চিঠিতে তুলে ধরা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রসঙ্গের প্রেক্ষিতে আমি আপনাকে আস্বস্ত করে বলতে চাই যে, ডিপার্টমেন্ট এই ধরণের যৌক্তিক চিন্তা ভাবনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সবচেয়ে সহায়ক যে পথে আমি এই প্রত্যুত্তর দিতে পারি তা হলো আমাদের বৈদেশিক সম্পর্কের এই কঠিন ও জটিল সমস্যার বিভিন্ন দিকের প্রেক্ষাপটে কোন কোন অবস্থান নেয়াকে আমরা যথাযথ মনে করছি তা আপনার কাছে ব্যাখ্যা করা এবং এটাকে মোকাবেলা করতে যেসব পদক্ষেপগুলো আমরা নিচ্ছি তার কিছু উল্লেখ করা।
এই পরিস্থিতিতে উদ্ভূত রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক যেসব জটিলতার প্রতি আপনি ইঙ্গিত করেছেনন আমরা অবশ্যই সেসব বিষয়ে পুরোপুরি অবগত আছি। তবে একটি সরকার হিশেবে অন্যদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা এড়িয়ে চলার জন্য আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, ঠিক যেরকমভাবে আমরা চাই না যে তারাও আমাদের কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। আপনি জানেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাকিস্তান সরকারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলে যারা দেশটির উভয় অংশেই বিচারিক ও নির্বাহিক নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করছে। সেজন্য আমরা পূর্ব পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে আবশ্যিকভাবেই তাদের একান্ত আভ্যন্তরিক বিষয় হিশেবে দেখছি এবং এগুলো নিয়ে পাকিস্তানীরা নিজেরাই তাদের করণীয় ঠিক করবেন। এটয় আমাদের একান্ত আশা যে, স্বাভাবিক কূটনৈতিক চর্চার পরিমণ্ডলে থেকে আমাদের নীতিমালা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানবিক দুর্ভোগ সম্ভাব্য অনেকটা কমিয়ে আনা ও একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরীতে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছেই আমরা সহায়ক হয়ে উঠতে পারবো। সংঘাতের দুই পক্ষেই মানুষের প্রাণহানি ও ধংসের মতো বিয়োগাত্মক ঘটনাগুলো ঘটছে, আমি আপনার সাথে একমত যে এই অবস্থার উত্তরণে করণীয় কি কি হতে পারে সামনে তার উপায় আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে।
অর্থনৈতিক সহায়তার প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই যে, দানগ্রাহী দেশগুলোর জনগণের সুবিধার্থে নির্দিষ্ট কিছু উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই আমাদের কর্মসূচীগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্যান্য সরকারগুলোর উপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এগুলো যেমন সম্প্রসারণ করা যায় না, তেমনি প্রত্যাহারও করা যায় না। আমাকে অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে, পূর্ব পাকিস্তানেরর পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে আমাদের অনেক সহায়তা কর্মসূচী কাটছাঁট করতে হয়েছে এবং আমরা আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বা পরিস্থিতি অনুকূল হলে আবারও সেগুলোকে আমরা শুরু করতে পারবো। পাকিস্তানেরর সম্ভাব্য স্থলগুলোতে আমরা একদিকে যেমন বিদ্যমান কর্মসূচীগুলো চালিয়ে নিচ্ছি, পাশাপাশি এসবের প্রতিষ্ঠিত উন্নয়ন মানদণ্ড পূরণ নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষণ যাচাই-বাছাই অব্যাহত রেখেছি। আমাদের জানা মতে পূর্ব পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধের কোন পক্ষের সামরিক কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য আমাদের আর্থিক সহায়তা ব্যবহৃত হচ্ছে না।
আমি আপনার সাথে একমত যে, আমাদের সবার এখন যেই বিষয়টির উপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে তা হলো পূর্ব পাকিস্তানের মানবিক দুর্যোগ লাঘবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু এবং সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের আগমন প্রতিরোধসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরে আসার সহায়ক একটি আবহ তৈরি করে একটি রাজনৈতিক সমাধানের দিকে অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমি আপনাকে আস্বস্ত করতে চাই যে, এরকম একটি ত্রাণ কর্মসূচী এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন সরকার সক্রিয় রয়েছে। গত মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব কর্তৃক প্রণীত আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টায় আমরা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে নিজেদেরকে সংগঠিত করে নিয়েছি। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী থেকে সহায়তা কর্মসূচী গ্রহণ করার জন্য পাকিস্তান সরকারকে আমরা চাপ দিয়েছি। আমরা খুব উদ্বেলিত হয়েছি যখন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া মহাসচিব উথান্ট অবহিত করে বলেছেন যে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে আসা সাহায্যকে স্বাগত জানাবেন এবং বর্তমানে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে চাহিদার পরিমাণ নিরুপন করছেন। আমরা এই বিষয়গুলো অত্যন্ত নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছি এবং এরুপ একটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ তৎপরতায় যেসব সামগ্রী আমাদের দেয়া লাগতে পারে সেসব জিনিস আমরা এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংগ্রহ করছি।
সবচাইতে ভালো প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানের কয়েক মাসের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে এবং সেখানকার বন্দর ও অভ্যন্তরীণ পরিবেশন ব্যবস্থাগুলো অনুমোদন করলেই সেখানে অতিরিক্ত সরবরাহ পাঠানো হবে। খাদ্যের প্রতীক্ষায় থাকা মানুষের কাছে যেন খাবার পৌঁছে দেয়া যায় সেজন্য বন্দর ও বিতরণ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা যা করতে পারি তা করার জন্য অন্যান্য আগ্রহী দেশগুলোকে সাথে নিয়ে আমরা এখন তৈরি হচ্ছি।
ভারতীয় অঞ্চল অতিক্রম করা অসংখ্য উদ্বাস্তুর সহায়তার জন্য আমীা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেখানে প্রায় ৩,০০,০০০ উদ্বাস্তুর খাদ্য যোগান দিতে তাৎক্ষণিক চাহিদা মোকাবেলায় সেখানে পিএল-৪৮০ শীর্ষক ২য় ষ্টক থেকে খাদ্য সংগ্রহ করার জন্য আমরা তিনটি আমেরিকান স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ভারতে নিযুক্ত করেছি। উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘ দূত কর্তৃক আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণের জন্যও আমরা তৈরী হচ্ছি।
আপনি যেমনটা উল্লেখ করেছেন যে, পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চল যেগুলো গত নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ে বিলীন হয়ে গেছে সেখানে ত্রাণ ও পুনর্বাসন শুরুর ক্ষেত্রে আমাদের ধারাবাহিক বিশেষ আগ্রহ আছে।আমাদের ব্যাপক পিএল-৪৮০ খাদ্যশস্য সহায়তার অনেক অংশই এখনও দেয়ার বাকি রয়ে গেছে, এর বাহিরেও এইড এবং বেশ কিছু সংখ্যক আমেরিকান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা বাড়িয়ে দিয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানে গৃহদ্বন্দ ছড়িয়ে পড়ার পূর্বে এরকম অনেক পরিকল্পিত কর্মসূচীই সেখানে চালু হওয়ার প্রস্তুতি নিতে সক্ষম হয়নি । এসব অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ করতে পারা মাত্র ইতোমধ্যে শুরু হওয়া ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচীগুলো পুনরায় চালু করা যাবে বলে আমরা আশা করি। এছাড়াও আমরা যেসব অঞ্চলে অতিরিক্ত কর্মসূচী চালুর লক্ষ্যে গঠিত ডলার ও রুপী তহবিল থেকে অর্থ সংগ্রহের আশা করি, যার উপর সরকারের সাথে আমাদের আলোচনা এখনও শেষ হয়নি। ইতোমধ্যে আমরা পূর্ব পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ত্রাণ তৎপরতা চালু হওয়া মাত্র ঘূর্ণি দুর্গত অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী পৌছানোর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি।
সামরিক সরবরাহ প্রসঙ্গে বলতে চাই, পূর্ব পাকিস্তানে আমেরিকান কিছু কিছু অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে এবং পাকিস্তানের সাথে খুব গোপনে কাজ করেছি বলে যে খবর বেরিয়েছে সে বিষয়ে আমাদের মুখপাত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সাথে আমাদের সামরিক সহায়তা কর্মসূচী বাতিল হওয়ার পর থেকে আমরা পাকিস্তানে এরুপ অস্ত্র সরবরাহের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ করিনি এবং এর পর থেকে আমরা পাকিস্তানে কোন ধরণের অস্ত্র বিক্রি করিনি। ১৯৬৭ সাল থেকে আমরা পাকিস্তানের সাথে একটি সীমিত সামরিক বিক্রয় কর্মসূচী পরিচালনা করছি যার আওতায় পাকিস্তানকে আমরা কিছু আক্রমণাত্মক যন্ত্রপাতি, গোলাবারুদ ও পূর্বে সরবরাহ করা যন্ত্রপাতির খুচরা যন্ত্রাংশ দিয়ে আসছি। প্রতিরক্ষা দপ্তর আমাদেরকে অবহিত করেছে যে, সংকট শুরুর পর থেকে এই বিক্রয় কর্মসূচীভূক্ত কোন জিনিসই পাকিস্তানকে দেয়া হয়নি এবং পাকিস্তানের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রির প্রশ্নটি তাদের পর্যালোচনায় রয়েছে।
পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থিতির উপর আমাদের মুখপাত্ররা গত দু’মাস ধরে যেসব অফিশিয়াল বিবৃতি দিয়েছেন তার একটি সংকলন আপনার তথ্যসূত্রের জন্য এতদসঙ্গে সংযুক্ত করা হলো। এছাড়াও পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে পাড়ি দেয়া উদ্বাস্তুদের সহ পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জন্য আমরা যেসব মানবিক ত্রাণ প্রচেষ্টা নিচ্ছি এবং নেয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি, সে সংক্রান্ত একটি বিবৃতিও সংযুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমি আশা করি এসব তথ্য পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থিতির বিষয়ে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পেতে এবং এ বিষয়ে আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি ও নেয়ার পরিকল্পনা করছি, তা বুঝতে আপনার জন্য সহায়ক হবে।
বিনীত,
ক্রিস্টোফার ভ্যান হলেন
উপ-সহকারী সচিব
নিকট পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া
বিষয়ক ব্যুরো।
সংযুক্তি:
১। বিবৃতির সংকলন
২। মানবিক ত্রাণ প্রচেষ্টা সংক্রান্ত বিবরণী
 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!