You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.06.23 | মুক্তিফৌজের ভয়ে পাকসৈন্য সদা-সন্ত্রস্ত | যুগান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

মুক্তিফৌজের ভয়ে পাকসৈন্য সদা-সন্ত্রস্ত

মুজিবনগর ২২ জুন (পিটি আই)-বাংলাদেশের বিভিন্ন খণ্ডে মুক্তিফৌজের গেরিলা বাহিনীর ক্রমবর্ধমান তৎপরতায় পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যবাহিনীর টহলদার দলগুলি আতঙ্ক গ্রস্ত হয়ে পড়েছ। মুক্তিফৌজ কমান্ডার জনৈক উচ্চ পদস্ত অফিসার বলেছেন যে মুক্তিফৌজ যে মুহুর্তে আচমকা আক্রমণ চালাতে পারে মনে করে পাকিস্তানী সৈন্যরা আজকাল যতদুর সম্ভব সর্তক হয়ে চলাফেরা করছে। মুক্তিফৌজ যাতে চিনতে না পারে সেজন্য পাকসৈন্যরা সময় সময় অসামরিক ব্যক্তির ছদ্মবেশে চলাফেরা করে থাকে। সৈন্যবাহিনী যখন সৈন্য ও সরবরাহ নিয়ে নদী পারাপারের জন্য বোট ব্যবহার করে তখন গেরিলাদের আক্রমণ রক্ষা পাওয়ার জন্য সর্তকতামুলক ব্যবস্থা হিসেবে নদী ও খালের উভয় তীরের রক্ষী মোতায়েনের ব্যবস্থা করে।

ভেড়ামারায় ২০ জন পাকসৈন্য নিহতঃ কৃষ্ণ নগর ২২ শে জুন কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার মহিষকুন্ডি অঞ্চলে এক কোম্পানী পাকসৈন্যের ওপর আক্রমণ চালিয়ে মুক্তিফৌজ অন্ততঃ ২০ জন পাকসৈন্যকে হত্যা ও বেশ কিছুকে জখম করেছে বলে আজ সংবাদ পাওয়া গেছে। স্থানটি কৃষ্ণ নগর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে ভারত মেঘনা সীমান্তের বিপরীত দিকে। সীমান্তের ওপার থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায় যে, পাকসৈন্যরা আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরভাগে পালিয়ে যায়।

মুক্তিফৌজ গত রবিবার মেহেরপুরের কাছে একটি সৈন্যবাহী ট্রাকের উপর গোলা বর্ষন করে এবং উহার ফলে প্রায় ২৪ জন পাকসৈন্য নিহত অথবা আহত হয়। ঐ দিনই মেহেরপুরের প্রায় ১৫ মাইল উত্ত্র-পূর্বে একটি অঞ্চলে মুক্তিফৌজ একটি সৈন্যঘাঁটির ওপর গুলিবর্ষন করে। এই আক্রমণে ১১ জন পাকসৈন্য খতম হয়।

রংপুরে লালমনিরহাট খন্ডে মুক্তিফৌজ একটি সৈন্য শিবিরের ওপর আচমকা আক্রমণ চালিয়ে কিছু অস্ত্রশস্ত্র গোলাবারুদসহ একটি ট্রাক দখল করে। এই আক্রমণে যে সকল পাকসৈন্য আহত হয় তাদের মধ্যে একজন অফিসারও আছেন।
-যুগান্তর, ২৩ জুন, ১৯৭১