মুক্তিফৌজ ২ দিনে ৬০ জন পাকসেনা খতম করেছে
(অনুবাদ)
জুন, ২৭- গত দুই দিনে পূর্ব সেক্টরে তীব্র গেরিলা আক্রমণের মাধ্যমে মুক্তিফৌজ কমপক্ষে ৬০ জন পাকসেনাকে হত্যা করেছে এবং বেশকিছু অস্ত্রশস্ত হস্তগত করেছে। সীমান্ত এলাকা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, পূর্ব সেক্টরের সর্বত্র গেরিলারা কার্যকর ও আচমকা আক্রমণে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের নাস্তানাবুদ করে চলছে। গেরিলারা এখন ইসলামাবাদ আর্মির আতংকের কারণ এবং ঢাকা-চট্রগ্রামের মধ্য রেল যোগাযোগ প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।
অপরদিকে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান শরণার্থীদের প্রত্যাগমনের ব্যাপারে যতই জোরালো কথা বলুক না কেনো বাংলাদেশে তার সেনাবাহিনী খুন, ঘর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতনের মাধ্যমে বাঙালিদের প্রস্থান হার বজায় রাখার জন্যে পূর্বের ধারা বজায় রেখেছে। আর্মিদের মনোভাব কেবল এটাই নির্দেশ করে যে হিন্দু এবং প্রগতিশীল মুসলমানদের বিতাড়িত করার জন্যে ইসলামাবাদের পরিকল্পনা অপরিবর্তিত আছে যেটা ত্রিপুরায় উদবাস্তুদের লাগাতার সমাগম থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়।
এদিকে পিটিআই’এক রিপোর্টে জানা গেছে, গতকাল পাকিস্তানী কর্মকর্তারা যখন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সেক্টরের কুষ্টিয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা শহরে যাচ্ছিলো তখন মুক্তিফৌজের গেরিলারা তাদের বহনকারী জীপে এ্যামবুশ করে একজন অফিসারসহ পাঁচজন পাকসেনাকে হত্যা করেছে। সেনা জীপটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
-হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড, ২৮ জুন ১৯৭১
———————————————–