You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.11.10 | অধিকৃত বাংলাদেশে ত্রাণকর্মরত অপারেশন ওমেগা কর্মীর কারাবরণ | বাংলাদেশ নিউজলেটার - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
অধিকৃত বাংলাদেশে ত্রাণকর্মরত অপারেশন ওমেগা কর্মীর কারাবরণ বাংলাদেশ নিউজলেটার ১০ নভেম্বর, ১৯৭১

অপারেশন ওমেগা”র (একটি আন্তর্জাতিক রিলিফ মিশন,যাদের সদর দপ্তর ইংল্যান্ডে অবস্থিত)দুজন কর্মীকে দখলকৃত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের আর্মিরা গ্রেফতার করেছে।তাদের ওপর চোরাচালানের অভিযোগ আনা হয় এবং মিলিটারি আদালত তাদের দুই বছর কারাভোগের দণ্ড প্রদান করে।
৪ঠা অক্টোবর,ডানমট,নিউ জার্সির ২৭ বছর বয়সি এলেন ল্যাঙ্গল কনেট এবং ব্রিটিশ নাগরিক গরডন স্লেভেন কে যখন আটক করা হয়, তখন তারা দখলকৃত বাংলাদেশের ১০ মাইল অভ্যন্তরে কাপড় এবং ঔষধ বিতরন করছিলেন।
মিসেস কনেট ছিলেন দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় ত্রানবিতরনকারী স্বেচ্ছাসেবী যাকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে ত্রানসামগ্রী বিতরনের জন্য বিচার করা হয়।প্রথম জন জাকে কারাভোগের দণ্ড প্রদান করা হয়েছিল,তিনিও ছিলেন অপারেশন ওমেগার একজন; সানফ্রান্সিস্কোর ডানিওল ডিউ,যাকে গত সেপ্টেম্বরে বিচারাধীন করা হয় এবং বিতাড়িত করা হয়।
অপারেশন ওমেগার কর্মকর্তাদের মতে,এই দুইজন বন্দীর সঙ্গে কে “তৃতীয় শ্রেনি”র বন্দীদের মত আচরণ করা হচ্ছে যা সাধারনত সাধারন বন্দীদের সাথে করা হয়ে থাকে এবং বিষয়টি একজন আমেরিকান আইনজীবী অস্বীকার করেছেন।
১৭ই অক্টোবর একটি ব্রিটিশ দৈনিক “ডেইলি অবসারভার” এর একটি সম্পাদকীয়তে “Monstrous Punishment” শিরোনামে লেখা হয়-
“দুজন যুবক ত্রানকর্মীকে পাকিস্তান আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছে।তাদের কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল দুর্গতদের সহযোগিতা রাষ্ট্রের সকল রাজনৈতিক অবস্থার চেয়ে অগ্রাধিকারযোগ্য তা প্রচার করা।তাই তারা রোগশোক ও ক্ষুধায় কাতর অসহায়দের সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য অবৈধভাবে পূর্ব পাকিস্তানে প্রবেশ করে।
“পাকিস্তান সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করে তাদের কারাবন্দী করেছে।সমগ্রবিশ্বে বিষয়টি আলোড়ন তুলেছে এবং সারা পৃথিবীর মানুষ তাদের উদ্দেশ্য কে সমর্থন জানিয়েছে।দুই বছরের কারাদণ্ড ভয়াবহ এবং যা বর্তমান সরকারের জন্য কলঙ্ক বয়ে আনবে।