You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.09.03 | লন্ডনের দি টাইমস পত্রিকায় লিখিত অক্সফামের পরিচালক মিঃ কার্কলের বিবৃতি | দি টাইমস, লন্ডন - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
লন্ডনের দি টাইমস পত্রিকায় লিখিত অক্সফামের পরিচালক মিঃ কার্কলের বিবৃতি দি টাইমস, লন্ডন ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

মিঃ এইচ.এল. কার্কলে, ডিরেক্টর, অক্সফাম-এর চিঠি
দি টাইমস, লন্ডন
৩রা সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
স্যার, আমি বার্নার্ড ব্রেইনি-এর অবেদনের(প্রবন্ধ, ১লা সেপ্টেম্বর) পক্ষে জোরালোভাবে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, পূর্ব পাকিস্তানে সর্বাত্মক দুর্ভিক্ষ এড়াতে এখনই ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ’ আবশ্যক।
পরিষ্কারভাবে এই অবস্থা ব্যক্তি ও বেসরকারি সংস্থার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, কিন্তু এখন সেখানে ছোটখাট গ্রুপগুলো দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে সরকারি এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্যে চাপ অব্যাহত রাখতে পারে।
মানুষের অবশ্যই যথেষ্ট পরিমানে সাহায্যের জন্যে ইচ্ছা থাকতে হবে যাতে তাদের সরকার জনগণের অর্থ জনস্বার্থে দুর্ভিক্ষের বিরুদ্ধে ব্যয় করে, যে দেশেই দুর্ভিক্ষের এই ভয়াল থাবা বিস্তার করুক না কেন।
ইতিমধ্যে পূর্ব পাকিস্তানে খাদ্য পরিস্থিতি অনিশ্চিত। একজন অক্সফাম প্রতিনিধি পরিদর্শনকালে, জানতে পারেন একটি পরিবার, ৮১ জন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তির আশ্রয়স্থল ছিল- স্পষ্ট করা যাক, এটি পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যেই অন্তর্গত ছিল।
বিপদ আরও বেড়েছে বন্যা, জলোচ্ছাস এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্ট যে অধিবেশনে নাই সে ঘটনার জন্যে। কারন গণসচেতনতা এবং সর্বোচ্চ স্তরে কার্যকলাপ বজায় রাখার জন্যে এই ফোরামের ভূমিকা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রকৃতপক্ষে, খাদ্যবস্তু ঘাটতি সবচেয়ে বড় সমস্যা নয়, যেটা এই প্রযুক্তিমনস্ক প্রজন্ম সহজেই লড়াই করতে পারবে, কিন্তু একদিকে আন্তর্জাতিক সহানুভূতির জগদ্দল চাপের শুরু এবং আরেকদিকে জনগণ ও সরকারের ইচ্ছা পূরণের দ্বিমুখী সমস্যা। জনগণের প্রতিক্রিয়া এক স্বতঃস্ফূর্ত দান-এর আকারে পরিচালিত হয় এবং তারপরে ভুলে যাওয়া হয়।
২৬শে জুলাই থেকে, ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থার মূল চালিকাশক্তি, খ্রিস্টান এইড, অক্সফাম এবং ওয়্যার অন ওয়ান্ট- পূর্ব পাকিস্তানে পূর্ণ সাহায্য প্রদানে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এটা কি বেশি আশা করা হয়ে যাবে যে, এই শেষ সময়ে, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়” হয়তোবা “আমরা কতটুকু খরচ করতে সমর্থ?”-এই নীতিবাক্য না মেনে ইতিবাচক “কি পরিমান লাগবে”- নীতিতে এগিয়ে আসবে?
আজকের এই সংকীর্ণমনা বিশ্বে, পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষুধা নিপীড়িত অনাহারী শিশু এবং বুড়ো মানুষের দুঃখ-দুর্দশা থেকে কেউই রেহাই পাবেন না, সেখানকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের মতামত যাই হোক না কেন। এবং এ কাজে বিশ্বের হাতে মাত্র এক বা দুই সপ্তাহ সময় আছে।
ইতি, আপনারই;
এইচ.এল.কার্কলে, ডিরেক্টর, অক্সফাম,
২৭৪, বানব্যুরি রোড, অক্সফোর্ড,