You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিফৌজ ঘনীভূত হচ্ছে

মুজিবনগর ৯ জুন
ইউ এন আইয়ের ভাষ্য মতে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের ছোট ছোট দল এবং সেনা চকির উপর গেরিলা হামলা জোরদার করেছে। যশোর সেক্টরে এক আর্মি লেফটেন্যান্ট কে ঘিরে ধরে কয়েকদিন আগে ফরিদপুরে মেরয় ফেলা হয়। জুনের ৬ তারিখ মুক্তিবাহিনী একটি সেনাবহরের উপর এম্ব্যুশ করে। এই হামলায় একজন জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার সহ ৮ জন সৈন্য নিহত হয়।গেরিলারা জুনের ৭ তারিখ যশোরে কিছু পাকিস্তানি সৈন্যের উপর গুলি চালায়।পঞ্চগড় এবং রুহিলে মুক্তিবাহিনী ২ টা ব্রিজ উড়িয়ে দেয় এবং রংপুর সেক্টরে পাকিস্তানি সৈন্যদের ব্যাপক হাতাহতের ঘটনা ঘটে।পত্নীতলা হতে ১৫ মাইল দূরে মুক্তিবাহিনী মর্টার এবং ছোট অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যদের উপর হামলা করে।ধরলা নদীর উত্তর পশ্চিম দিকের এলাকায় গেরিলা রা বেশ সক্রিয় ছিলো। তেঁতুলিয়া এলাকায় তারা ২ জন পাকিস্তানি এজেন্ট কে গুলি করে হত্যয় করে।অতি বৃষ্টির কারনে কঁাচা রাস্তা ঘাট কর্দমাক্ত হয়ে যা এবং যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে।কুমিল্লা এলাকায় পাঞ্জাবি এবং পাঠান সৈন্যদের মধ্যেদের গোলাগুলি হয়েছে। পিটিআই এর মতে গতকাল রংপুর এরিয়ায় ভুরুঙ্গামারিতে মুক্তিফৌজ এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে কালে বেশ কয়েকজন পাকি সৈন্য নিহত হয়।খুলনা কালিগঞ্জে মুক্তিবাহিনী ৮ টি সেনা বাঙ্কার উড়িয়ে দেয়। রির্পোটারের ভাষ্য মতে ৮ জন সৈন্য কে মুক্তিবাহিনী হত্যা করে। ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের ভিত্তি তে রাজাকারদের খোঁজে শিবপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এবং ৬ রাজাকার কে অতর্কিত হামলা করে হত্যা করে।বারেঙ্গাপাড়া তে মুক্তিবাহিনী একটি সেনা পোষ্টে হামলা চালায়, দুই পক্ষের গোলাগুলি তে অনেক পাকিস্তানি সৈন্যের হতাহতের ঘটনা ঘটে।জয়ন্তপুরে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি সৈন্যদের অবস্থানে অভিযান চালায়।মাইনের আঘাতে এক পাকি অফিসারের দেহ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।ছটলেখানে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডোরা হামলা চালালে ৫ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়।

-হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড, ১০ জুন, ১৯৭১

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!