You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিফৌজের অর্তকিত আক্রমনে শত্রুসৈন্য অতিষ্ঠ

আগরতলা, ২৯ শে মে (পিটিআই)- মুক্তিফৌজের গেরিলা ও কমান্ডোরাও শ্রীহট্ট, কুমিল্লা ও নোয়াখালী সেক্টরে পাকসেনাদের ঘাটিগুলির উপর প্রচণ্ড আঘাত হেনেছেন। আজ এখানে প্রাপ্ত খবরে জানা যায় যে, শ্রীহট্টে মুক্তিফৌজের আচমকা আক্রমনে ৪০ জন পাকসেনা খতম হয়, তিনটি মোটরযান বিধ্বস্ত হয় এবং প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র গোলাবারুদ মুক্তিফৌজের হস্তগত হয়। প্রকাশ, দুজন পাক অফিসার ও ৭০ জন পাকসৈন্য মারা গেছেন।

মুক্তিফৌজের গেরিলারা গত ২৫ শে মে রাত্রিতে কুমিল্লা সেক্টরে সৈদামানিতে পাকসৈন্যদের উপর আক্রমন চালান এবং ২৫ জন পাকিস্তানীকে খতম করেন। এই আক্রমনে ১৪ জন পাকিস্তানী আহত হয় ও একটি পাকিস্তানী জীপ ও একটি ট্রাক বিধ্বস্ত হয় এবং ধর্মনগরে দুটি বিধ্বস্ত হয়।

নোয়াখালী জেলার ফেনী এলাকায় মুক্তিসেনারা পাকসৈন্যদের তিনটি ঘাটির উপরও আক্রমন চালায়। বহু পাকিস্তানী সৈন্য হতাহত হয়।

মুক্তিফৌজের কমান্ডোরা যশোর এলাকার উথালীতে দুটি রেল সেতু এবং রংপুর সেক্টরে হিলি ও সান্তাহারের মধ্যে ১টি রেলসেতু উড়িয়ে দেন। রংপুর জেলার তাজপুরে পাকিস্তানীদের সঙ্গে মুক্তিসেনাদের সংঘর্ষ হয়।

মুজিবনগর থেকে ইউ-এন-আই জানাচ্ছেঃ মুক্তিফৌজের গেরিলা সৈন্যরা উত্তর ও পশ্চিম রনাঙ্গনে বিগত ৪দিনে কয়েকটি সড়কপথ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় কয়েকটি স্থানে পাকসৈন্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।

কয়েকবার আচমকা আক্রমনে তারা অনন্তপক্ষে ৮১ জন পাকসৈন্যকে খতম করেন।

মুক্তিসেনারা বিরণ ও কাঞ্চনপাড়া ষ্টেশনের মধ্যে রেললাইন বিধ্বস্ত করে দেন। পশ্চিম রনাঙ্গনের তুলাই ও কিশোরীপুরের মধ্যেও তারা রেলপথ অকেজো করে ফেলেন। রংপুর সেক্টরে পাকসৈন্যবাহিনীর একখানি ট্রেন আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ট্রেনখানি স্বর্ণমতির দিকে যাচ্ছিল। এই ঘটনায় অনন্ত ১০ জন পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়।
-যুগান্তর, ৩০ মে, ১৯৭১

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!