You dont have javascript enabled! Please enable it!

নোয়াখালী ও কুমিল্লায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ককেন্দ্র মুক্তিফৌজের দখলে

বাংলাদেশে পাক জঙ্গীশাহীর বিরুদ্ধে বাঙালি মুক্তিফৌজের স্বাধীনতা সংগ্রামের যে সব খবর মঙ্গলবার পাওয়া গেছে, তাতে প্রকাশ, প্রচণ্ড সংগ্রামের পর মুক্তিফৌজ নোয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংযোগস্থল ছাগলনাইয়া অধিকার করেছেন, বাহাদুরাবাদ ঘাট ও চিলমারী ঘাটের (যথাক্রমে ময়মনসিংহ ও রংপুর জেলা) কয়েকটি জলযান দখল করে সরিয়ে নিয়ে গেছেন, পাকবাহিনীর বহু অস্ত্রশস্ত্র হস্তগত করে তাদের অনেককে হতাহত করেছেন। ছাগলনাইয়ার যুদ্ধে শ’তিনেক এবং কুমিল্লা-চট্টগ্রাম সড়কের ওপর মীরবাজারের যুদ্ধে শ’দেড়েক পাকিস্তানী ফৌজ নিহত হয়েছে।

এদিকে যুগান্তরে জলপাইগুড়িস্থিত সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সীমান্ত পেরিয়ে সেখানে খবর পৌঁছেছে যে, লালমনিরহাটের কাছে পাকিস্তানী বাহিনীর মেজর এজাজ খানকে মুক্তিফৌজের গেরিলারা মেরে ফেলেছেন। মেজর এজাজ ছিলেন পাকবাহিনীর মেজর জেনারেল রিয়াজ খানের ছোট ভাই। তার স্মরণে পাক সামরিক কতৃপক্ষ লালমনিরহাট ও কাউনিয়ার মধ্যবর্তী তিস্তার রেল সেতুটির নামকরণ করেছেন এজাজ সেতু।

আগরতলা থেকে পিটিআই খবর দিয়েছেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে নোয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংযোগ কেন্দ্রে ছাগলনাইয়াতে তিন দিন ধরে পাকিস্তানী ফৌজের সঙ্গে প্রচণ্ড সংগ্রামের পর মুক্তিফৌজ সোমবার ঐ জায়গাটি দখল করে নেন। নোয়াখালী আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক ছাগলনাইয়াতে মুক্তিফৌজের এই সাফল্যের বিবরণ দান প্রসঙ্গে বলেন, ঐ যুদ্ধে অন্ততঃ ২১ জন পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়েছে। মুক্তিফৌজ মেশিনগান, রাইফেল, রকেট নিক্ষেপক প্রভৃতি প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাগুলি পলায়মান পাকিস্তানী বাহিনীর কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন। তাছাড়া গত ১লা মে নোয়াখালীর ফেনাঘাটা সেতুর কাছে মুক্তিফৌজের কমাণ্ডো বাহিনীর আক্রমণে আরও পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়েছে।

উত্তর-পশ্চিম রণাঙ্গনেঃ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম রণাঙ্গনে লাল্মনিরহাটের কাছে দলহাটিতে (তালাহাটি?) মুক্তিফৌজ ও পাকবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

-যুগান্তর, ৫ মে, ১৯৭১

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!