You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.08 | বিভিন্ন সেনাঙ্গনে মুক্তিসেনাদের আমচকা আক্রমণ | যুগান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

বিভিন্ন সেনাঙ্গনে মুক্তিসেনাদের আমচকা আক্রমণ

কলাকাতা, ৭ মে (ইউএনআই)-সীমান্তের ওপার থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশের বিভিন্ন রণাঙ্গনে মুক্তিফৌজের পক্ষ থেকে কমাণ্ড আক্রমণে প্রায় ১৫ জন পাক ফৌজ খতম হয়েছে। এরমধ্যে ময়মনসিংহে কালুমাখানায় পাকবাহিনীর আমচকা আক্রমণ করে কমাণ্ডোরা ৮ জনকে হত্যা করে এবং ৩০টি রাইফেল ছিনিয়ে নেয়।

এর পরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে রংপুরে। এখানে সরাই নামক স্থানে মুক্তিফৌজ পাকবাহিনীকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে অন্ততঃ৭ জন সৈন্যকে হত্যা করে।

শ্রীহট্ট অঞ্চলের বিবির বাজার ও কাজিপুরে জোড় সংঘর্ষ হয়। হতাতের খবর পাওয়া যায়নি।

সেতু ধ্বংসঃ রংপুরের আমরখানা, মোগলহাট, লাবলাহাট ও তুগরাইহাট অঞ্চলে মুক্তিফৌজ গেরিলা আক্রমণ চালিয়েছে। তারা ঐ জেলার বাজানপুর সেতুটি ধ্বংস করে দেয়। দক্ষিণ-পূর্ব রণাঙ্গনের রাদম্পুর ও বরিশালের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পটুয়াখালির অঞ্চলে ও এখানে সেখানে যুদ্ধ চলছে।

উত্তর রণাঙ্গনে মুক্তিফৌজের সাফল্যঃ জলপাইগুড়ি থেকে যুগান্তরের নিজস্ব প্রতিনিধি জানাচ্ছেঃ মুক্তিফৌজ বিগত ৪৮ ঘন্টায় উত্তর রণাঙ্গনে নেকীপাড়া, ডানাকাটা এবং বড়শশী সীমান্ত ফাঁড়িগুলি দখল করে নিয়েছেন। তাঁরা ভালাগঞ্জ থেকে পচাঁগড় পর্যন্ত ২০ ব্যাসার্ধের মধ্যে পাক সৈন্যদের চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে। বহুসংখ্যক মুক্তিফৌজ এখন তেঁতুলিয়ায় গেরিলা যুদ্ধে ট্রেনিং নিচ্ছেন।

প্রখ্যাত খেলোয়াড়ের মুক্তিফৌজে যোগদান

নয়াদিল্লী, ৭ই মে (ইউএনআই) এখানে প্রাপ্ত এক সংবাদে প্রকাশ, বাংলাদেশের খ্যাতনামা ফুটবল খেলোয়াড় ক্যাপ্টেন হাফিজউদ্দিন আহমদ মুক্তিফৌজে যোগ দিয়েছেন। তিনি এখন বাংলাদেশের কোন এক স্থানে মুক্তিফৌজের সঙ্গে আছেন। ক্যাপ্টেন আহমদ মুক্তিফৌজে যোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তান বাহিনী ত্যাগ করেছেন।
-যুগান্তর, ৮ মে, ১৯৭১