1976.02.27 | শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট | সাপ্তাহিক বিচিত্রা
শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট
প্রচ্ছদ কাহিনী / মাহফুজ উল্লাহ
আমাদের দেশে শিক্ষা এবং শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট নিয়ে বিতর্কের অবসান নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সমস্যাগ্রস্ত। এই সমস্যা শিক্ষার সর্বস্তরে।
বার বার সরকার পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা নতুনভাবে দেখা দিলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা সর্বজন গ্রহনযোগ্য হয় নি। বৃটিশ আমল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার সমস্যা মোচনের এবং শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও কোন ব্যবস্থাই স্থায়ী বলে প্রমাণিত হয়নি। ভিত্তি যেখানে পরিবর্তনশীল সেখানে উপসৌধ হিসেবে শিক্ষার স্থায়িত্ব সহজেই অনুমেয়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের স্বাধীনতা যেমন শুধু পতাকা বদল আর পরিচিতি বদলে রূপান্তরিত হয়েছে, তেমনি ভাবে বদলেছে শিক্ষা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি। সমস্যার গভীরে কখনো প্রবেশের চেষ্টা করা হয়নি। অপর দিকে অতীতের সরকার গুলোর সঙ্গে জনগণের বিরাজমান দূরত্ব সব কিছু সম্পর্কে উপেক্ষার দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দিয়েছে। সব প্রচেষ্টাকেই জনগণ গ্রহণ করেছেন চাপানোর প্রচেষ্টা হিসেবে।
জনগণের জীবনে শিক্ষা কোন মৌলিক পরিবর্তন এনে দিতে পারেনি। শিক্ষাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘকালীন বিতর্ক এবং শিক্ষাখাতে ব্যয় সত্ত্বেও আজো প্রচুর মানুষ অক্ষর জ্ঞান বর্জিত এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন। এ দেশে শিক্ষা এখনো অনুৎপাদনশীল এবং এমন এক শ্রেণী গড়ে তোলে যারা পাঠক্রম শেষে হয়ে পড়ে সমাজ এবং জাতি থেকে বিচ্ছিন্ন।
আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান ভূমিকা হওয়া উচিৎ জাতীয় চেতনার সৃষ্টি। এই বাস্তবতা প্রতিটি অনুন্নতশীল দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এর সঙ্গে অবশ্য রাজনৈতিক প্রশ্নও জড়িত। দেশের চলমান রাজনীতিতে যদি এই মানসিকতা অনুপস্থিত থাকে কিংবা গোঁজামিল দেয়ার চেষ্টা চলে তখন শিক্ষার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে বাধ্য। তার চেয়েও বড় কথা যে দেশে নিরক্ষরতা বড় সমস্যা সেখানে জরুরী ভিত্তিতে নিরক্ষরতা দূরীকরণ না করে বিশালকারে কমিশন রিপোর্ট ছেপে কি লাভ?
আজ পর্যন্ত যতগুলো শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বেরিয়েছে, একটু তলিয়ে দেখলেই দেখা যাবে কোন কমিশন রিপোর্টেই এই জাতীয় চেতনা গড়ে তোলার ব্যাপারে কোন কর্মসূচী উথ্বাপন করা হয় নি। এজন্য সরকার যেমন দায়ী, তেমনি দায়ী শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট যারা প্রণয়ন করেন সেই সব বিশেষজ্ঞরা। এরা অদ্ভুতভাবে বাস্তবতাকে বিসর্জন দিয়ে সত্যকে গোপন করে এমন সব প্রস্তাবনা করেন যেগুলো কখনোই বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়। তাই ১৮৩৫ সালের মেকলের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টে এমন এক শ্রেণী গড়ে তোলার প্রস্তাব দেয়া হয় যারা জাতিতে ভারতীয় হয়ে হবে ইংরেজ প্রভুদের বশংবদ এবং শাসন ও শোষণ অব্যাহত রাখতে বিদেশী প্রভুদের সংযোগ মাধ্যম। দেশীয় ভারতীয়দের প্রয়োজনের কথা সেখানে অনুপস্থিত।
পরবর্তী প্রতিটি শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের প্রধান দূর্বলতা জাতীয় চেতনার অনুপস্থিতি। কমিশনের রিপোর্টে জাতীয় চেতনা গড়ে তোলার কথা বলা হলেও, যে সব সুপারিশ করা হয়েছিল তা বাস্তবতা বিবর্জিত। ১৯৫৯ সালে শরীফ কমিশন রিপোর্টে বলা হয়েছিল “যে সমস্ত আদর্শ পাকিস্তানের জন্ম দিয়েছে ঐগুলির সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এক মৌলিক ভূমিকা গ্রহণ করিতে হইবে। এবং আমরা যে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি এ ধারণাকেও জোরালো করিতে হইবে।” যে সময়ে এ প্রস্তাবনা করা হয়েছিল সে সময়ে এ প্রস্তাবনার ভিত্তিতে ঘুণে ধরেছে। ধীরে ধীরে মানুষের মন থেকে মুছে যাচ্ছে সাতচল্লিশের চেতনা। একই ভাবে ডঃ কুদরত ই খুদার কমিশন রিপোর্টেও বলা হয়েছে “এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের প্রবর্তন করতে হবে যা জাতীয় চেতনা ও ঐক্যবোধকে সংহত ও প্রসারিত করবে। গোষ্ঠী চেতনার উর্ধ্বে জাতীয় ঐক্যবোধ সু-নিশ্চিত করার জন্য একই পাঠক্রমের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। “
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, জাতীয় চেতনা সৃষ্টির অঙ্গীকার নিয়ে যে সময় কমিশন রিপোর্ট গুলো প্রকাশিত হয়েছে সে সময় জাতীয় প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। তার চেয়ে বড় কথা, তখন গোঁজামিল প্রকাশ হয়ে পড়েছে। জনগণের কাছে জাতীয় চেতনা ভিন্ন ভাবে দেখা দিয়েছে।
বাস্তবতার ভিত্তিতে বলতে গেলে বলতে হয়, জনগণ তাদের উপলব্ধি মাফিক এমন এক ভিত্তি তৈরী করেছেন, যেখানে জাতীয় চেতনা অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আসলে অতীতে কখনোই জাতি, জাতিগত পরিচয়, জাতি সত্তা – এর কোন কিছুই কখনো বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে নির্ধারণ হয়নি।
বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের পর সংগত কারণেই জাতীয় চেতনা সৃষ্টিতে সক্ষম একটি শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট তৈরীর দাবী ওঠে। কেননা সে সময়ে সবেমাত্র এ দেশীয় জনগণ পাকিস্তানী মোহ কাটিয়ে উঠেছে। অপর দিকে তখনো অতীতের কয়েকটি শিক্ষা কমিশন রিপোর্টকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের স্মৃতি সংশ্লিষ্ট মহলের মনে ভাস্বর।
শিক্ষা কমিশন রিপোর্টকে কেন্দ্র করে এ দেশে দেশব্যাপী আন্দোলনের কাহিনী কারো অজানা নয়। শুধু তাই নয়, ১৯৭০ সালে শিক্ষা কমিশন রিপোর্টকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী দূর্ঘটনার কথাও অজানা নয়। এ দেশে প্রতিটি শিক্ষা কমিশন রিপোর্টই বিতর্কিত এবং বিশেষ করে ছাত্র সমাজ দ্বারা বর্জিত।
বর্তমানে শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের ভবিষ্যত সম্পর্কেও ইতিমধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ কেননা এ পর্যন্ত এ রিপোর্টের ওপর যতগুলো অভিমত প্রকাশিত হয়েছে তার কোনটিতেই এই রিপোর্টকে গ্রহণ করা হয় নি। কিছু কিছু অভিমত অবশ্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং নতুন ভাবে জাতীয় চেতনাকে বিভ্রান্ত করতে সচেষ্ট।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ১৯ জন সদস্য ২৯৪ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন। উপরন্তু বোনাস হচ্ছে ১০১ পৃষ্ঠার পরিশিষ্ট।
১৩৭৯ সনের ১১ ই শ্রাবণ (১৯৭২ খৃঃ ২৬ শে জুলাই) তৎকালীন সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী এই কমিশন ১৯৭৩ সালের ৮ ই জুন অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট পেশ করেন। পরবর্তী কালে এই রিপোর্ট চূড়ান্ত ভাবে মুদ্রিত হয় ১৯৭৪ সালের মে মাসে। সঠিক তারিখ অনুযায়ী ‘৭৪ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর তারিখে। মুদ্রিত রিপোর্টের সংখ্যা ১৫ হাজার।
তারপর দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে। প্রায় এক বছর পর ‘৭৫ সনের ১৫ ই আগস্ট কমিশন নিয়োগকারী সরকারের পতন ঘটেছে। তারও পরে ২৪ শে অক্টোবর জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়েছে কমিশনের রিপোর্ট। ঘোষণায় এ রিপোর্ট বাজারে পাওয়া যাওয়ার কথা বলা হলেও পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ সরকারী মূল্য অনুযায়ী ১৫ হাজার রিপোর্ট থেকে সরকারী কোষাগারে আসতে পারতো তিন লক্ষ টাকা। (প্রতিটি বিশ টাকা হিসেবে) সম্ভবতঃ তা হয়নি।
বিলম্বে প্রকাশের ফলে অনেক কিছু বিকৃত হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা যে বাস্তবতার ভিত্তিতে রিপোর্ট প্রণয়ন করেছেন সে বাস্তবতা অপসৃত হয়েছে। কমিশন এমন অনেক কিছু ব্যক্ত করেছেন যা কার্যকারিতা হারিয়েছে।
সরকারের পরিবর্তন ঘটলে সরকারের পজেসিভ এবং ডিফেন্সিভ মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটে। এ রিপোর্টের বিশ্লেষণের সময় সে প্রসঙ্গও লক্ষ্যণীয়। অপর দিকে জনমত গ্রহণ করে রিপোর্ট প্রণয়নের পরও পুনর্বার জনমত যাচাইয়ের কথা বলা হয়েছে। এ শুধু কালক্ষেপণ প্রক্রিয়া। এ সবই কমিশন সম্পর্কিত প্রাতিষ্ঠানিক দূর্বলতা।
বাংলাদেশে শিক্ষার মানের ক্রমাবনতি, শিক্ষাঙ্গনে উশৃংখলতা, নৈরাজ্য কারো অজানা নয়। তেমনি অজানা নয় শিক্ষাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার কথা, ব্যবসায়িক মনোবৃত্তির কথা, সর্বোপরি পার্ট টাইম মানসিকতার কথা।
শিক্ষাকে কেন্দ্র করে আজ গোটা পৃথিবী জুড়ে চলছে বিতর্ক, সমাজতান্ত্রিক দেশে, পুঁজিবাদী দেশে। সর্বত্র শিক্ষাকে নিয়ে চলছে আন্দোলন। সে আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। উন্নত দেশগুলো শিক্ষার একটি বিশেষ পর্যায়ে পৌছেছে যা আমরা আজো অর্জন করতে পারিনি৷
বর্তমান কমিশন রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনার অবকাশ রয়েছে। সে আলোচনা এই পরিসরে সম্ভব নয়। যেগুলো অত্যন্ত জরুরী প্রসঙ্গ সে বিষয়ে আমরা আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখছি।
রিপোর্টে বলা হয়েছেঃ প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত যে অবৈতনিক শিক্ষা চালু রয়েছে তা’ ১৯৮০ সালের মধ্যে বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষা ১৯৮৩ সালের মধ্যে প্রবর্তন করতে হবে। ” এর কারণ হিসেবে কমিশন উন্নত দেশ সমূহের দৃষ্টান্ত দিয়েছেন।
এখানে কমিশন একটি প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন। তা’ হলো অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রসঙ্গ। আমাদের দেশ মূলতঃ কৃষি নির্ভর এবং ব্যপক সংখ্যক জনগণ গ্রামের অধিবাসী। অর্থনৈতিক অবস্থার কারণেই কৃষকের সন্তান নিজ পরিবাারের কাজে শ্রম নিয়োগ করেন। কৃষকের কাছে ছেলেকে স্কুলে পাঠানোর চেয়ে ক্ষেতে কাজ করানো অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক ব্যাপার। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাধ্যতামূলক শিক্ষার কথা বলেও বাস্তবে এর পেছনে অর্থনৈতিক প্রেরণা কতখানি? নিরক্ষরতা দূরীকরণে এর ভূমিকা থাকলেও অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় এ ব্যবস্থার ভূমিকা কতখানি? বাধ্যতামূলক শিক্ষা যদি অর্থনৈতিক ভাবে ন্যুনতম প্রেরণা সৃষ্টিতে সক্ষম না হয় তাহলে স্কুলের চেয়ে ক্ষেতের কাজ লাভজনক বলে বিবেচিত হবে। অপর দিকে এই বাধ্যতামূলক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার জন্য এই সময়ে যে দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন সে জনশক্তি আমাদের নেই। উপরন্তু যে পরিমাণ বাড়তি স্কুল প্রতিষ্ঠিত করতে হবে তার জন্য প্রয়োজন ব্যপক অর্থ জোগান। এর সঙ্গে জাতীয় উৎপাদন সরাসরি জড়িত। জাতীয় উদ্ধৃত অর্জনে সক্ষম হলেই তবে তা শিক্ষা খাতে নিয়োগ করা যাবে। শিক্ষার পাশাপাশি আরো যে দুটি মৌলিক উপাদান আমাদের জীবনে অনুপস্থিত তা হলো স্বাস্থ্য রক্ষা এবং জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় পরিবেশ। যার মধ্যে রয়েছে খাদ্য এবং বাসস্থান। এ দুটো প্রাথমিক শর্ত পূরণ না করা গেলে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবে না কেউ।
কমিশন অনেক অবাস্তব যুক্তি উথ্বাপন করেছেন যেগুলো এই সঙ্গে গ্রথিত পাঠকদের মতামত থেকে জানা যাবে।
বর্তমান কমিশন রিপোর্টের প্রধান গলদ হচ্ছে এ রিপোর্টের অনেকখানি অংশই আদর্শ উদ্দেশ্য ও বক্তব্যের দিক দিয়ে ১৯৫৯ সালের কমিশন রিপোর্টের হুবহু নকল। অতীতের তীক্ততার কথা জেনেও কেন কমিশন এ কাজ করতে গেলেন তা’ আমাদের জানা নেই৷ অপর দিকে এ মন্তব্য আমাদের জাতীয় মর্যাদার প্রতি বিরূপ মন্তব্য। বাস্তব হচ্ছে, কখনোই এ জাতিকে কর্মোদ্যোগী জাতি হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি। শাসক শ্রেণীর সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের জন্য জনগণকে দায়ী করা ঠিক নয়৷
কমিশন রিপোর্টে এমন সব মন্তব্য এবং সুপারিশ উথ্বাপন করা হয়েছে যেগুলো স্ববিরোধী এবং জাতীয় চেতনার সঙ্গে সম্পর্কহীন। উদাহরণ স্বরূপ, সমাজতন্ত্র কায়েম করার জন্য সমাজের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সামগ্রিক পরিবর্তন প্রয়োজন। সে জন্য সমাজের চেতনা জগতেও আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। “এ ব্যবস্থা যে বাস্তবতা বিবর্জিত তা কমিশন সদস্যদের জানা নেই৷ আসলে গলদ অন্যত্র। তৎকালীন রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় এ জাতীয় বাস্তবতা বিবর্জিত মতবাদই ছিল গ্রহণযোগ্য মতবাদ৷
শিক্ষা কমিশন রিপোর্টে মুক্তাঙ্গন শিক্ষার ওপর অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এই তপোবন শিক্ষা আমাদের দেশে কতখানি কার্যকর তা’ ভেবে দেখা প্রয়োজন। অবশ্যি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ এ নিয়ে চলছে ব্যপক হৈ চৈ৷
কমিশন অনেক সময় ব্যয় করে এই সুদীর্ঘ রিপোর্ট প্রণয়ন করেছেন। আমরা সরাসরি এ রিপোর্ট বাতিল করতে বলবো না। শুধু বলব, বাস্তবতার ভিত্তিতে এবং সম্পদের মূল্যায়ন করে রিপোর্ট সংশোধন করে নেয়ার কথা।
[pdf-embedder url=”https://songramernotebook.com/wp-content/uploads/securepdfs/2021/04/1976.02.27-bichitra.pdf” title=”1976.02.27 bichitra”]