You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.24 | বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি | ভারতের লোকসভার কার্যবিবরণী - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
২১৮। বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি ভারতের লোকসভার কার্যবিবরণী ২৪ মে ১৯৭১

জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ
পাকিস্তানী সেনাবাহিনী পূর্ব সীমান্তে গোলা বর্ষণ করছে

শ্রী মুখতিয়ার সিংহ মালিক (রহটাক)ঃজনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আশা করছি যে তিনি এই ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিবেন।

২৫.০৫.১৯৭১ তারিখে মেঘালয়ের গারো পাহাড় জেলার ডুলু সেক্টরে পাকিস্তানি সৈন্যদের দ্বারা ভারী গোলা বর্ষণের খবর পাওয়া গেছে যাতে ৯ জন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী সহ ২২ জন নিহত হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও আভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী স্পীকার মহোদয়,
১৯৭১ এর ২৫ মে তারিখে পাকিস্তানী সেনারা ভারী মর্টারের গোলাবর্ষণের ছত্রছায়ায় ডুলু এলাকার ৫০০ গজ দূরে অবস্থিত কিলাপাড়া বিএসএফ চেকপোস্টে হামলা করে। বিএসএফ এর ডিটার্সমেন্টটি বীরত্বের সাথে প্রতিআক্রমণ করে কিন্তু সংখ্যায় কম হও্য়ার কারণে হেরে যায় এবং ঘাঁটিটি হাতছাড়া হয়।

আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে পার্লামেন্টকে জানাচ্ছি যে এই আক্রমণের ফলে ৯ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হয়েছে এবং দুইজন নিখোঁজ আছে। আসাম সরকার হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই আক্রমণে ১৩ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন।
যদিও ডুলুতে অবস্থিত বিএসএফ কন্টিজেন্ট পাকিস্তানী অগ্রগতি রুখে দেয় এবং তাদের ভারতীয় সীমান্ত হতে তাড়িয়ে দেয়।

শ্রী মুখতিয়ার সিংহ মালিকঃ স্পীকার মহোদয়, আমাদের ১৩ জন লোক অব্যাহতভাবে ৪ ঘন্টা ধরে যুদ্ধ করতে থাকে। তাদের মধ্যে একজন নিহত হয় এবং ৬/৭ জন আহত হয়। যুদ্ধের সময় তারা অতিরিক্ত সাহায্য চেয়েছিল কিন্তু পরিতাপের বিষয়, তাদের সাহায্যকারী পাঠানো হয়নি। এই দুর্বলতার পরিণামে বেসামরিক লোকজনও মারা গেছে এবং রক্ষী বাহিনীর ৯ জন সদস্যও নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন নিখোঁজ রয়েছে।

স্পীকার মহোদয়, এই দুর্বলতা না দেখানো হলে এবং আমাদের সরকার এইরূপ নিশ্চলভাবে দাঁড়িয়ে না থাকলে এই পরিণতি হত না। আমাদের সীমান্তে আজ যেসব ঘটনা ঘটেছে তার বর্ণনা এই সংসদে নিত্যদিন হচ্ছে, কিন্তু সমুচিত ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত এই সরকার গ্রহণ করেননি।

আমাদের সরকারী মুখপাত্র বলেছেন পাকিস্তানীরা গ্রাউন্ড রুলসের কোনো তোয়াক্কা করে না যখন আমরা তা কড়াকড়িভাবে অনুসরণ করতে চাই। এমতাবস্থায় আমাদের সরকার কি এরুপ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন যে, আগামীতে বিএসএফ-এর সাহায্যের জন্য নিজেদের সৈন্যও সামাবেশ করা হবে এবং যখনই দরকার হবে আমাদের সৈন্য তাদের মুকাবেলা করবে, পাকিস্তানের ভূ-খন্ডে গিয়ে তাদের ধাওয়া করে তাদেরকে সেভাবেই জবাব দেবে যেভাবে আজ তারা আমাদের সঙ্গে আচরণ করছে।

শ্রী কৃষ্ণচন্দ্র পনতঃ স্পীকার মহোদয়, আমি প্রশ্ন করিনি, আমি জবাব দেব। মাননীয় সদস্য একটু আগে বললেন, সৈন্যসাহায্য সেখানে পৌঁছেনি। আমি বলতে চাই সূত্রখংডীতে সৈন্যসাহায্য পৌছেছিল, ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক যিনি ছিলেন তিনি স্বয়ং সৈন্য সাহায্যে সমভিব্যাহারে সেখানে পৌঁছে উদ্ভূত পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে সক্ষম হন। তারপর তাদের প্রতি পালটা আক্রমণ আরম্ভ হয়। ফলে রক্ষীবাহিনী ওই সীমান্ত ফাঁড়ি পুনর্দখল করে নেয়। পাকিস্তান আর্মির একজন কনস্টেবলকেও গ্রেফতার করে। সুতারাং এতে দুর্বলতার বা প্রসন্নতার কোন কিছু নেই।

শ্রী সমরগুহ: আমি জানি না, পাকিস্তানের ক্রম আগ্রাসনের বিপরীতে ভারত সরকারের বর্তমান ভীরু আচারণ কখন শেষ হবে। কারণ আমি বুঝতে পারছিনা কখন পাকিস্তানী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সহিষ্ণুতা, ধৈয্য ও শান্তির বাণী আওড়ানো বন্ধ হবে। এটা রীতিমত দেখতে অসুস্থকর যে ৫৫ কোটি জনসংখ্যাবিশিষ্ট একটি জাতি শুধুই গোছাগোছা প্রতিবাদ পত্র পাঠাচ্ছে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কতৃক পাকিস্তানকে দেওয়া অতিরঞ্জিত হুমকির অনুষ্ঠান দেখছে……..

স্পীকার মহোদয়: মনে হচ্ছে তিনি একটা বক্তব্য দেবেন। আমি তাকে প্রশ্ন সুনির্দিষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত করতে অনুরোধ করছি।

শ্রী সমরগুহ: দয়া করে আমার ব্যাপারে একটু ধৈর্য করুন। আমি জানি না আমার ব্যাপারে আপনার এলার্জি আছে কিনা?

স্পীকার মহোদয়: প্রতিদিন না। কখনো কখনো।

শ্রী সমরগুহ: পঞ্চান্নকোটি জনসংখ্যার একটি জাতীর পক্ষে এটা দেখা সত্যি অসুস্থকর হয়ে গিয়েছে যে, পাকিস্তানকে গোছাগোছা প্রতিবাদ পত্র পাঠানো প্রায় একটি অনুষ্টানে পরিণত হয়েছে। সেই সাথে এটা দেখাও অসুস্থকর হয়ে গিয়েছে যে আমাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বলে পাকিস্তানকে অতিরঞ্জিত হুমকি দিছেন যে তারা (পাকিস্তান) আগ্রাসী মনোভাব এবং অনুপ্রবেশ বজায় রাখে, তবে পরিণতি খারাপ হবে। এইসব অতিরঞ্জিত হুমকির জবাব পাকিস্তান নিয়মিত পুনঃপুনঃ নতুন আগ্রাসনের মাধ্যমে দিয়ে যাচ্ছে।

এই সীমান্তের এই ঘটনা গুলোকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে না দেখে বরং বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অংশ হিসেবে দেখা উচিত। আমি জানি না গতকাল প্রেস ব্রিফিং এর দায়িত্বে কে ছিলেন। যিনি সীমান্তের বহিরাক্রমণ বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন যে, শরণার্থীদের প্রবাহ দৈনিক ষাট হাজার থেকে নেমে পঞ্চাশ হাজারে পৌছেছে। এই ভদ্রলোক পাকিস্তানীদের নির্মমতার ধরণ সম্পর্কে জানেন না। তারা নিয়মিত মানুষ হত্যা করছে, যাতে লক্ষ লক্ষ লোক-সংখ্যালঘু এবং আওয়ামীলীগ সমর্থক পালানোর উপর আছে। পাকিস্তানীরা এই লোক গুলোকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দিচ্ছে না। কিন্তু যখনই তারা সুযোগ পাবে আবারো তারা লক্ষে লক্ষ্র ভারতে প্রবেশ করবে।

এই সমস্ত বিষয় গুলো বিবেচনা করে সরকার কী আমাদের সীমান্তে পাকিস্তান আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশের সমগ্রতা অনুভব করবে এবং এই চক্রান্তকে আমাদের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দেওয়া হুমকি বলে মেনে নিবে? যদি তাই হয়, তবে পাকিস্তানী বাহিনীর দ্বারা সীমান্ত নীতির ইচ্ছাকৃত লঙ্ঘন আমাদের সেনারা কেন বসে বসে দেখছে আর একতরফা ভাবে রীতি মেনে চলছে?

দ্বিতীয়ত, অস্ত্র শস্ত্র এবং জনগণের দিক থেকে দূর্বল বিএসএফ এর হাতে অস্ত্র ও লোকবল উভয়ই দিক থেকেই শক্তিশালী পাকিস্তানি বাহিনী মোকাবেলার দায়িত্ব না দিয়ে সেনাবাহিনীকে কী পাকিস্তানী আগ্রাসন মোকাবেলা করার জন্য ডাকা হবে? যদি না হয় তবে কেন?

সর্বশেষে যেমনটা ১৯৫০ সালে প্রয়াত পন্ডিত নেহরু করেছিলেন এর চেয়ে কম বিপদের সময়ে তেমনি সরকার কী পাকিস্তান সরকারকে একটি সময় বেঁধে দিবে যেন বাংলাদেশে ভারতীয়দের হত্যা, বাংলাদেশী মানুষদের উপর নৃশংস উত্পাটন সহ তাদের ভারতের দিকে যেতে বাধ্য করা বন্ধ করবে। এবং বর্বর গণহত্যা বন্ধ করবে? যদি তা বন্ধ না করে তবে কী ভারত সরকার সরাসরি পাকিস্তান আর্মির বিপক্ষে যুদ্ধে উদ্দ্যেগ হবে, যেন ভারতের জাতীয় নিরপত্তা এবং বাংলাদেশে বাঙালীদের জীবন, সম্মান এবং সম্পদ রক্ষা করতে পারবে। যদি তা না হয়, তবে ভারতের জাতীয় নিরপত্তা সহ বাংলাদেশের মানুষের সহায়-সম্পত্তি রক্ষা করতে বিকল্প পন্থা কী?

শ্রী ক. চ. পানতঃ শ্রদ্ধেয় সদস্য দ্বারা দুইটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। একটি হল, সেখানে শুধু বিএসএফ কেন ছিল এবং কেন তাদের কাছে শুধুমাত্র হালকা অস্ত্র ছিল। বিএসএফ ঐখানে ছিল কারন এই ব্যবস্থাপনা কয়েক বছর ধরে চলে আসছে যেখানে বিএসএফ বর্ডারে এবং আর্মি বর্ডারের কিছু দূরে থাকবে। আমার শ্রদ্ধেয় বন্ধু এই ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানেন।

শ্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত(আলিপুর)ঃ যা কী একতরফাভাবে শুধু আমরাই পালন করব?

শ্রী ক. চ. পনতঃ এই ক্ষেত্রে তারা গোলাবারুদ এবং মর্টারের সাথে সশস্ত্র থাকে। সুতরাং তারা যে পর্যাপ্ত অস্ত্র ছাড়া ছিল তা সঠিক নয়, এবং আমার তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শক্তি বিএসএফ এর তুলনায় অনেক বেশী। বিএসএফ তাদেরকে প্রতিহত এবং বিতাড়িত করে পিছু হাঠাতে সক্ষম ছিল। আমি তাকে অনুরোধ করব এইরকম প্রশ্ন না করতে এবং ফল থেকে তার উপসংহার টানতে।

দ্বিতীয়ত তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন, আমাদের নিরাপত্তার দরকারে আমরা সেনাবাহিনীর ব্যবহার করতে প্রস্তুত আছি কিনা। স্বাভাবিকভাবে তা নির্ভ্র করে আমরা সীমান্তে পাকিস্তানী আর্মি দ্বারা কীরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি তার উপর।

শ্রী সমর গুহঃ আমি গ্রাউন্ড রুলস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। কেন আমাদের সীমান্ত বাহিনী একতরফাভাবে গ্রাউন্ড রুলস মেনে চলছে যেখানে পাকিস্তানী আর্মি দ্বারা তা বারংবার লঙ্ঘন হচ্ছে।

স্পীকারঃ আপনি তাকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিয়ে যেয়েন মাঝে মাঝে।

শ্রী সমর গুহঃ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কেননা আমাদের এবং তাদের নিরপত্তা বাহিনীর মধ্যে দশ মাইল ফাঁক প্রতিপালিত হচ্ছে এবং তারা বারংবার গ্রাউন্ড রূলস লঙ্ঘণ করছে। আমি জানতে চাচ্ছি কেন আমাদের সরকার দ্বারা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হল না, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং এর উত্ত্র দেওয়া উচিত।

স্পীকারঃ এই প্রশ্ন গতকালও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।

শ্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্তঃ এই প্রশ্ন গতকালও করা হয়েছেল এবং তিনি এর উত্তর এড়িয়ে গিয়েছিলেন।

শ্রী ক. চ. পানতঃ যদি আমার সম্মানিত বন্ধু এই ব্যাপারে কিছু চিন্তা করেন তবে তিনি অনিধাবন করতে পারবেন তার প্রশ্ন

শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীঃ সংরক্ষিত লোকসভার কার্যবিবরণী জারিকৃত কপি অস্পষ্ট। সেটি পড়া সম্ভব হয়নি বলে এখানে তার অনুবাদ সন্নিবেশ করা গেল না।

শ্রী কৃষ্ণচন্দ্র পনতঃ মাননীয় সদস্য বলেছেন, আমার বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে যে, পাকিস্তান আর্মি এই চেকপোস্ট অতিক্রম করেছে। আমি আবার উল্লেখ করতে চাই, এই ফাঁড়ির চেকপোস্টে মাত্র ১১ জন লোক ছিল এবং যে সব শরণার্থী আসছে তাদের জন্য ওই চেকপোস্ট খোলা রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ৫০০ গজ দূরে ঢালুতে আমাদের বড় চেকপোস্ট ছিল। আক্রমণকারীরা ৫০০ গজ দূরত্বের কাছাকাছিও পৌঁছুতে পারে নি। ওই চেকপোস্টে যেখানে মাত্র ১১ জন লোক ছিল পাকিস্তানী সৈন্য তাদের ওপর আক্রমন চালায় এবং তাদের ছাড়িয়ে যায়। যেহেতু হামলাকারীদের সংখ্যা অনেক বেশী ছিল তাই চেকপোস্টের ১১ জনের পক্ষে তাদেরকে ঠেকানো সম্ভব ছিল না। আমি মনে করি, তারা সৈন্য কিংবা সীমান্ত রক্ষীবাহিনী যাই হত না কেন, মাত্র ১১ জন এত বেশী সংখ্যার হামলাকারীদের বাধা দিতে পারত না। তা সত্ত্বেও যে বীরত্বের সংগে তারা যুদ্ধ করেছে সেজন্য আমি তাদের প্রশংসা করি ও অভিনন্দন জানাই। তাদের পেছনে ঢালুতে অবস্থানরত সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর কন্টিজেন্ট হামলাকারীদের ৫০০ গজের মধ্যেও আসতে দেয়নি এবং পাকিস্তানী সৈন্যদের ভারতীয় সীমান্তের বাইরে তাড়িয়ে দিয়েছে।

গ্রাউন্ড রুলস-এর প্রশ্নে- আজ যে পরিস্থিতি, এমতাবস্থায় যদি আমাদের ওপর আক্রমণ হয় এবং কোথাও আমাদের সৈন্য পাঠানো জরুরি মনে করা হয় তবে সেখানে কোন পদ্ধতিগত বাধা হবে না। পরিস্থিতি যে রূপই নিক না কেন আমাদের তা এভাবেই মুকাবিলা করতে হবে। ভারতের এক এক ইঞ্চি জমির প্রতি আমাদের বাজপেয়ী মহাশয়ের যদি ভালবাসা থাকে তবে আমি এ কথা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই যে, আমরাও নিজেদের দেশের প্রত্যেকটি ইঞ্চি জমির প্রতি ভালবাসা তাঁর চেয়ে কম নয়, ….হৈ-চৈ…

শ্রী প. ভেনকোটাসুখভাই ( নান্দায়াল ) : সরকার কী এইটা বুঝতে পারছে যে, পাকিস্তান সম্পূর্ণ বাংলাদেশ দখল করে বিশ্বের মতামত ভ্রান্ত করতে সীমান্তে সংঘর্ষ ও নতুন রণকৌশল গ্রহণ করেছে বা, এটি কী আমাদের আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘণের বড় প্রচেষ্ঠা? যদি তাই হয়, তবে সরকার এই তথ্য অবগত যে, পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশ ও আমাদের দেশের ৬২০ মাইলের সিমান্তে সৈন্য ভীর করে তালগোল পাকাচ্ছে। সরকার কী এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে এবং আমাদের সৈন্যদের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার সীমান্তে সড়াবে?

শ্রী ক. চ. পনতঃ পাকিস্তানী সৈন্য বর্ডারে বিশৃখলা তৈরী করছে তা আমি স্পষ্ট বলতে পারছি না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এই ব্যাপারে আমার চেয়ে ভাল তথ্য দিতে পারবে। কিন্তু সাধারণভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশের অব্যন্তরে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের জন্য পাকিস্তানী আর্মি তার সৈন্যদের ক্ষুদ্র দলে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে পাঠানো সহজ হবে। তারা যখনই কোথাও। তাই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে সমস্ত বর্ডারে ছড়ানো খুবই কঠিন হবে, এটিই সাধারণ অবস্থা। এই সুনির্দিষ্ঠ প্রশ্নের জবাব আমি দিতে পারব না