You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.24 | বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি | ভারতের লোকসভার কার্যবিবরণী - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সুত্র তারিখ
২১৭। বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি ভারতের লোকসভার কার্যবিবরণী ২৪ মে, ১৯৭১

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাপনের বিবৃতি

প্রধানমন্ত্রী, পরমানু মন্ত্রী, গৃহমন্ত্রী তথ্য সূচনা ও প্রসারণ মন্ত্রী(শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী)ঃ জনাব ডেপুটি স্পিকার, জনাব, সংসদ স্থগিত হওয়ার সপ্তম সপ্তাহের মধ্যে, গোটা রাষ্ট্রের মনোযোগ বাংলাদেশের চলমান সংকটের দিকে স্থবির হয়ে আছে। সম্মানিত সদস্যরা আশার পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন, যা আমরা মার্চে দেখেছিলাম। আমরা সবাই অনুভব করেছি যে আমাদের দেশ দেশ দ্রুততার সাথে সুস্থির করা হয়েছে, অর্থনৈতিক সুবিধা এবং আমাদের জনগণের উপর অধিক উদ্বেগপূর্ণ দারিদ্রতার আক্রমণ। এমনকি আমরাও এই নতুন কাজের প্রতিস্থাপন করছিলাম, আমরা নতুন এবং দানবিক সমস্যা দ্বারা গ্রাস হয়ে যাই, যা আমাদের দ্বারা তৈরী ছিল না।

১৫ এবং ১৬ মে-তে, আমি আসাম, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ হতে আসা শরণার্থীদের ভোগান্তির অংশীদার হতে, এই বাড়ি এবং ইন্ডিয়ার জনগণের সৌহার্দ্য এবং সহায়তা তাদের নিকট পৌছে দেওয়া এবং তাদের দেখভাল করার জন্য কি ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা নিজের চোখে দেখার জন্য সফর করি। আমি দুঃখিত এই সময়ে অন্যান্য ক্যাম্প পরিদর্শন করা সম্ভব ছিল না। সকল সহজলভ্য স্কুল, প্রশিক্ষন কেন্দ্রসহ ভবন ব্যাবহার করা হয়। হাজারো তাবু টানানো হয়েছে এবং ৩৩৫টি ক্যাম্পে যত দ্রুত সম্ভব অস্থায়ী আশ্রয় স্থাপন করা হয়েছে, আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার পরেও, যারা এখানে এসেছেন তাদের সবাইকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব হয় নি, এবং সবাই এখনো আশ্রয়হীণ। জেলা প্রশাসন কঠিন ধকলে আছে। এখানে যারা আছে তাদের সাথে তাল মিলানোর আগেই, আরো ৬০০০০ আরো বেশি আসছে প্রতিদিন।

এই স্বল্প সময়ের মধ্যে, এত বিশাল পরিযাণ, লিখিত ইতিহাসে অভূতপূর্ব। গত সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ায় প্রতিদিন সাড়ে ত্রিশ লক্ষ মানুষ আসতেছে। তারা হিন্দু, মুসলিম্, বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টান প্রত্যেকটা ধর্মীয় বিশ্বাসের অনুসারী। তারা প্রত্যেক সামাজিক শ্রেনী এবং বয়সের। ্পার্টিশনের পর থেকে আমরা এই শব্দ বুঝতে পারি যে তারা শরনার্থীরা নয়। তারা যুদ্ধে শিকার যারা আমাদের সীমান্তে মিলিটারির ভয়ে পালিয়ে এসেছে।

অনেক শরণার্থী আহত এবং গুরুতর মেডিকেল চিকিতসা প্রয়োজন দরকার। ত্রিপুরা এবং পশ্চিম বঙ্গে সফরকালে আমি তাদের অনেককে মেডিকেলে দেখেছিলাম। আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর মেডিকেল সুবিধা ক্ষমতার ভিতরে, প্রসারিত করা হয়েছে। রাজেস্তানে সরকারের উদারভাবে দান করা, ১১০০ নতুন হাসপাতালের সরঞ্জামাদী দ্রূততার সাথে, ৪০০ শয্যার ভ্রাম্যমান হাসপাতালসহ, সে সকল এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বড় ক্যাম্পগুলোয় বিশেষ দল, ফিজিসিয়ান, নার্স এবং গণ-স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়োজিত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে বিশেষ পানি সরবারহ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে `এবং প্রতিষেধক স্বাস্থ্য পরিমাপ বিশাল পরিসরে হাতে নেয়া হয়েছে।

আমাদের সংবেদনশীল সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয়, যারা ধকলের সম্মুখীন হচ্ছে, স্থানীয় প্রশাসনের স্বাভাবিক এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মনোযোগ চ্যুতি হয়ে ক্যাম্প প্রশাসন, বেসামরিক সরবারহ এবং নিরাপত্তা সমস্যার দিকে চলে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের লোকজন শরণার্থীদের কষ্ট তারা নিজেরাই গ্রহণ করে নিয়েছে, এবং পাকিস্তান চরদের সাম্প্রদায়িক শত্রুতা সৃষ্টিতে উস্কানির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। আমি নিশ্চিত যে এই সুন্দর চেতনা বজায় থাকবে।

বর্তমানে প্রস্তাবিত, কেন্দ্রীয় কোষাগারের ব্যয় শুধু ছয়মাসের সময়ে ত্রানই ১৮০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যাবে। সব কিছু, সম্মানিত সদস্যরা গ্রহণ করবে, যে অপ্রত্যাশিত বোঝা আমাদের উপর আরোপিত হয়েছে।

আমি দেয়াল-ঘেরা বাংলাদেশের জনগণের জন্ম দুর্দশা এবং ভবিষ্যতে তাদের আশা আছে কিনা সে ব্যাপারে নিরুতসাহিত হয়েছিলাম। এটা প্রস্তাব করা ক্ষতিকর যে ইন্ডিয়াকে বাংলাদেশের জন্য যেকোন কিছু করতে হবে। এটা বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খা এবং স্বতঃস্ফূর্ত আত্নদানের জন্য অপমানজনক হবে, এবং পাকিস্তান শাসকেরা পরিকল্পিতভাবে ইন্ডিয়াকে তাদের অপকর্মের বলির পাঠা বানানোর প্রচেষ্টায় সফল হবে। এটা বিশ্ব সমাজকে ধোকা দেওয়ার মতও অমার্জিত প্রচেষ্টা হবে। বিশ্ব প্রেসও পাকিস্তানি প্রতারণা দেখেছে। তথা-কথিত ইন্ডিয়ান অনুপ্রবেশকারীর বেশিরভাগই মহিলা, শিশু এবং বয়স্ক।

এই আইন-সভা আমাদের দেশের অনেক প্রয়োজনীয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা বিবেচনা করেছে। কিন্তু কোন ঘটনাই আমাদের বাংলাদেশের মত গভীরভাবে স্পর্শ করতে পারে নি। যখনই আমরা এরকম গাম্ভীর্যপূর্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, এই আইন-সভায় প্রতিটা শব্দ বিবেচনায় এটা বিশেষভাবে জরুরি, এবং আমাদের সকল জনগণের সাথে এই সমস্যা জড়িত এবং এর দায়িত্ব এখন আমাদের উপর দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে।

এই তেইশ বছরেরও বেশি সময়ে, আমরা পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিনি। এমনকি যদিও তারা একই রকমের সংযত আচরণ করে নি। এবং এখনো আমরা কোনভাবেই এমন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আকাঙ্খা করি না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কি হয়েছিল? যা আমরা দাবি করেছিলাম পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন সমস্যা ইন্ডিয়ার জন্যও এখন অভ্যন্তরীন সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। যদিও, আমাদের পাকিস্তানকে তাতক্ষনিকভাবে এর কার্যকলাপ থেকে ক্ষান্ত হওয়ার জন্য অভিহিত করতে হবে যা তারা অভ্যন্তরীন অধিকারের নামে করছে, এবং যা ভয়ানক ভাবে আমাদের লক্ষ লক্ষ নিজস্ব নাগরিকদের শান্তি এবং সুবোধকে প্রভাবিত করছে। পাকিস্তানকে তার নিজস্ব রাজনৈতিক অথবা অন্যান্য সমস্যা ইন্ডিয়ার ব্যয়ে এবং ইন্ডিয়ার মাটিতে সমাধানের সুযোগ ভারত দেবে না।

শতাধিক নয়, হাজার নয় লক্ষাধিক মানুষকে বেয়নেটের মুখে ফেলে তাদের নাগরিকদের তাদের নিজস্ব আশ্রয় থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার অধিকার কি পাকিস্তানের আছে? আমাদের জন্য এটা অসহনীয় পরিস্থিতি। বাস্তবতা হচ্ছে যে আমরা এই লক্ষাধিক অভাগা মানুষদের আশ্রয় এবং ত্রাণ দিতে বাধ্য এবং আরো মানুষদের আমাদের সীমান্ত থেকে তাদের ধাক্কা দেওয়ার জন্য কোন অজুহাত দিতে পারি না।

আমরা আমাদের সহনশীলতার সংস্কৃতিতে গর্বিত। আমরা সবসময়ই অনুতপ্ত এবং লজ্জা অনুভব করেছি আমাদের অসহনীয় মুহুর্তের জন্য। আমাদের জাতি, আমাদের জনগণ শান্তির জন্য মরিয়া এবং যুদ্ধের ব্যাপারে কথা বলতে তারা আত্ননিবেদিত। কিন্তু আমার উচিত হবে আমাদের জনগণকে হুশিয়ার করা যে তাতে করে আমরা হয়ত শরনার্থিদের বহন করার থেকেও ভারী বোঝা ডেকে আনতে পারি।

যে সমস্যা আমাদের মুখোমুখি তা কেবল আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং পশ্চিম-বঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়। এইগুলো জাতীয় সমস্যা। নিঃসন্দেহে মৌলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যাও বটে।

আমরা আমাদের বিদেশের প্রতিনিধি এবং ইন্ডিয়ায় বিদেশী সরকারের প্রতিনিধি দ্বারা বিশ্বের বিবেক জাগ্রত করার জন্য চেষ্টা করেছি। আমরা জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেছি, এবং, অবশেষে মনে হচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে আমরা সমস্যার প্রকৃত মাত্রা ও সংবেদনশীলতা অনুভূতি তৈরি করতে পেরেছি। যদিও, আমি দুঃখের সাথে স্মরণ করছি এটা বুঝতে আন্তর্জাতিক বিশ্বের লম্বার সময় ক্ষেপণের কারণে।

শুধু ইন্ডিয়াই না প্রতিটা দেশ এটার গুরুত্ব বিবেচনা করেছে। আমার মনে হয় আমি এই আইন-সভার এবং আমাদের মানুষদের অনুভূতি প্রকাশ করেছি যখনই আমি এই শান্তির বিনাশকারীর অসচ্চরিত্রের বিরুদ্ধে আমার আওয়াজ তুলেছি। ভাল প্রতিবেশিসুলভ সুহৃদয়তা এবং মানবিকতার মৌলিক নীতি পাকিস্তানের সামরিক শাসনের অচৈতন্যমুলক কর্মকান্ড দ্বারা প্রত্যাখ্যাত। তারা ইন্ডিয়ার বিশাল মানবিকতা ও শান্তির স্থিতিশীল অবস্থাকে হুমকি দিচ্ছে।

আমরা সেক্রেটারি জেনারেল. উ থান্ট-এর সাধারণের প্রতি করা আবেদনকে স্বাগত জানাই। আমরা আনন্দিত যে কয়েকটি রাষ্ট্র এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ বিবেচনা করছেন। কিন্তু এখানে সময়ের ব্যাপারটা গুরুত্তপূর্ন। এই লাখ লাখ মানুষের ত্রান দেয়াও বিশাল সমস্যা। ত্রানকেও চিরস্থায়ী করা যাবে না; আমরা এমন করার ইচ্ছা করি না। আরো শরণার্থীদের অন্তঃপ্রবাহ থামাতে শর্ত অবশ্যই তৈরী করতে হবে এবং তাদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য গোড়ার দিকেই বিশ্বাসযোগ্য নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ফেরত পাঠাতে হবে। আমি সকল দায়িত্বের সাথে বলি যে যদি এটা না ঘটে, তবে এই উপমহাদেশে কোন স্থায়ী স্থিতিশীলতা ও শান্তি থাকবে না। আমরা অন্যান্য শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য মিনতী করেছি। যদি বিশ্ব আমলে না নেয় তাহলে আমরা আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা এবং আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের উন্নতির কাঠামো সংরক্ষনে যাবতীয় দমনমূলক ব্যাবস্থা গ্রহন করব।

আমরা অনুধাবন করেছি যে পূর্ব-বঙ্গ সমস্যার কোন সামরিক সমাধান সেখানে নেই। একটি রাজনৈতিক সমাধান অবশ্যই আনতে হবে। বিশ্ব শক্তিগুলোর রাজনৈতিক সমাধানের সামর্থ্য যাদের আছে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। পরাশক্তিদের একটি বিশেষ দায়িত্ত্ব রয়েছে। যদি তারা তাদের শক্তি সঠিক এবং দ্রুত ভাবে চর্চা করে তাহলেই আমরা কেবল উপমহাদেশে টেকসই শান্তির দিকে তাকাতে পারি। কিনুত যদি তারা ব্যর্থ হয় এবং আমি মন থেকে আশা করি যে তারা ব্যর্থ হবে না; তাহলে মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং চলমান বিশাল সংখ্যক বাস্তুহারা মানুষেরা শান্তির হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

এই অবস্থা পক্ষীয়-নীতিতে অথবা দলীয় রাজনিতীর শর্ততে সামলানো যাবে না। এই সমস্যা প্রতিটা নাগরিকের উদ্বেগকে জড়িত করেছে। আমি আশা করি যে এই সংসদ, আমাদের দেশ এবং আমাদের জনগণ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করতে প্রস্তুত আছে যাতে করে আমরা আমাদের জনগণ ও লক্ষ লক্ষ মানুষ যারা সন্ত্রাসের রাজত্ব থেকে পালিয়ে এখানে সাময়িক শরণার্থী হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি।

এই সকল বোঝা আমাদের উপর ভারী দায়িত্ব আরোপ করেছে এবং কঠোর আন্তর্জাতিক শৃংখলার প্রয়োজন। আমাদেরকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমাদের কারখানা এবং খামারগুলোকে অবশ্যই বেশি বেশি উতপাদন করেতে হবে। আমাদের রেলপথ এবং আমাদের যাবতীয় যোগাযোগ ও আঞ্চলিক সহায়তা বাড়াতে হবে। আমাদের অর্থনীতি বাচাতে, সামাজিক ও রাজনৈতিক গঠন এবং জাতীয় সংহতি শক্তিশালী রাখতে সবকিছু অধস্তনবর্তী করতে হবে। আমি প্রত্যেক নাগরিক, প্রত্যেক পুরুষ, নারী এবং শিশুর নিকট আবেদন জানাই সেবার মূলনীতি মেনে চলতে এবং ত্যাগ স্বীকারে অনুপ্রানিত করি – যা এই জাতি করতে সক্ষম।

শ্রী সমর গুহা (কনতাই)ঃ সকল বিরোধী নেতারা সকালে স্পিকারের সাথে সাক্ষাত করেছে যখন আমরা সমন্বয়ের ব্যাপারে চাপ দিয়েছি। স্পিকার আমাদের বলেছেন যে তিনি বাংলাদেশ সমস্যায় কিছু আলোচনার অনুমতি দিবেন। তারপর আমরা জানাই যে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিবেন। আমি জানতে চাই যে সেখানে বিবৃতির উপর ভিত্তি করে কোন আলোচনা হবে কিনা।

এনআইআর. ডেপুটি স্পিকারঃ আপনারা নিয়ম জানেন। যদি আপনারা আলোচনা করতে চান এবং স্পিকার একমত হন্, তাহলে আপনারা নোটিশ পাঠান।

শ্রী এস.এম. ব্যানার্জী(কানপুর)ঃ তিনি বলেছেন আজ নয়ত কাল।

শ্রী পি.কে. দেও (কালাহান্দি)ঃ বিবৃতি হয়ত প্রচারিত হবে।