শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
১৯৮। বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ শরনার্থীর আগমনের উপর আলোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিবৃতি | ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় প্রকাশিত পুস্তিকা | ১৫ জুন, ১৯৭১ |
শরনার্থীদের দায়ভার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর বিবৃতি
১৫ জুন, ১৯৭১
বাংলাদেশ থেকে আগত লক্ষ লক্ষ শরনার্থী প্রসঙ্গে আলোচনায় হস্তক্ষেপ করে রাজ্যসভায় ১৫ জুন, ১৯৭১ প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বলেনঃ
জনাব, আমি এই আলোচনায় হস্তক্ষেপ করতে চাইনি, কারন আমরা আমাদের নীতি পরিস্কার করে ব্যক্ত করেছি। আমাদের নীতি পরিস্কার নয়, একজন সদস্যের এমন বক্তব্যে আমি খুবই অবাক হয়েছি। আমি মনে করি আমাদের বক্তব্য সম্পুর্ন পরিস্কার। আমাদের দেশে, আমাদের মানুষদের মাঝে বিশ্বাসের এই অভাব যা আমাদের সদস্যবৃন্দ নিয়মিত দেখিয়ে যাচ্ছেন তা আমাকে অবাক করেছে। আমরা কি এই মহান দেশের নাগরিক? আমরা কি এমন নাগরিক যাদের নিজেদের আত্মবিশ্বাসের এমন অভাব রয়েছে? বিতর্কের আলোচনা শুনে আমার মাঝে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, বাংলাদেশ থেকে আগত শরনার্থীদের উপর কী ঘটছে এই বিষয় তার থেকে অধিক গুরুত্বপুর্ন। কারন, আমাদের যদি আত্মবিশ্বাস না থাকে তাহলে আমরা কী বলছি তা গুরুত্বপুর্ন নয়, আমারা তা প্রয়োগ করতে পারব না।
আমি এই খানে আমার নাগরিকদের এবং সরকারের উপর প্রচণ্ড বিশ্বাস রেখে কথা বলতে চাই। আমার কোনরূপ সন্দেহ নাই যে আমরা আমাদের উপর আসা এই সমস্যা সম্পুর্ন রূপে সমাধান করতে পারব। এটা তাহলে কী বুঝায়? এর মানে কী এই যে, এখানে আসা শরনার্থীদের কোন সমস্যা হবে না? এটা তা বুঝাতে পারেনা। যখন কোন দেশকে হঠাত করে আসা অসংখ্য শরনার্থীর ঢল, অনেকদিন ধরে নয় বরং খুব অল্প সময়ের মাঝে- যা ছ’ সপ্তাহের মত হবে, প্রায় ষাট লক্ষ মানুষ, তখন তা কোন কৌতুকের বিষয় নয়; এটা কোন ছোট বা সাধারন ব্যাপার না। আমি মাননীয় সদস্যবৃন্দের কাছ থেকে শুনতে চাইঃ তারা কি এমন কোন দেশের কথা জানেন যা ইতিপুর্বে এর একদশমাংশ পরিমান সমস্যার ভিতরে পরেছে? বাস্তব সমস্যা অনুধাবন না করে এই ভবনে বসে থেকে খুব সহজেই শুধুমাত্র সমালোচনা করে যাওয়া খুব সহজ। এমনকি যদি ইউরোপের কোন দেশে দশ হাজারের মত শরনার্থী প্রবেশ করত তাহলে পুরো ইউরোপ তার সংবাদপত্র, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবাই গর্জে উঠত। আমরা এইখানে ষাট লক্ষ শরনার্থীদের আশ্রয় দেবার চেষ্টা করছি, যারা ভয়ের রাজ্য থেকে আহত হয়ে, রোগ নিয়ে, ক্ষুধার্ত হয়ে, জীর্ন হয়ে পালিয়ে এসেছে। এবং তারা এমন এক দেশে এসেছে যারা নিজেরাই পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশ। আমাদের এই যুদ্ধের শরনার্থী বা তাদের যাই বলি না কেন তাদের প্রতি সম্পুর্ন সহানুভুতি রয়েছে।
আমারা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে তাদের জন্য চেষ্টা করব। এমনকি যদি আমাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, যদি ক্ষুধার্ত থাকতে হয়, আশা করব আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গন তাদের এক বেলার আহার পরিত্যাগ করে তা শুরু করবেন। একই সময়ে আমাদের নিজেদের জনগণকেও দেখে রাখতে হবে, তারা যেন মারা না যায়। আমাদের এক্ষেত্রে দ্বৈত দ্বায়িত্ত পালন করতে হবে, এক আমাদের নিজ জনগন ও অন্য দিকে বর্ডারের ওপার থেকে আসা শরনার্থী।
একজন সন্মানিত সদস্য আমাদের অন্যদেশ থেকে ভিক্ষার থলি নিয়ে আনা সাহায্যের কথা বলেছেন। জনাব, ভিক্ষা করার অভ্যাস আমার নেই। এবং আমার ভিক্ষার উদ্দেশ্যও নেই। যদি আমাদের দেশ থেকে কোন কূটনীতিক অন্য দেশে যান, তিনি দুর্বল স্বরে কথা বলেন না; ভিক্ষা করেন না। আমরা কূটনীতিক পাঠাই কারন এটা একটা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি। এবং আমরা বহির্বিশ্বকে এই পরিস্থিতি পাশ কাটিয়ে চলে যেতে দিতে পারিনা। তারা তদের দায় এড়িয়ে যেতে পারেনা। তারা সাহায্য করতে পারে, আবার নাও করতে পারে। কিন্তু তাদের পৃথিবীর এপ্রান্তে যা ঘটছে তার ফল ভোগ করতে হবে। তাদের কাছে এই পরিস্থিতি সঠিক ভাবে আমাদের তুলে ধরতে হবে। আমরা অবশ্যই সাহায্য চাই, এবং যত বেশি সাহায্য পাব তত ভালভাবে আমরা শরনার্থীদের দেখভাল করতে পারব। কিন্তু এ পর্যন্ত সাহায্যের পরিমান অতি অপ্রতুল; যা প্রয়োজন তার শুধুমাত্র একদশমাংশ পাওয়া গিয়েছে। আমি আশা করি এই সাহায্যের পরিমান বাড়বে। জীবন বাচানোর দিক থেকে এটা অবশ্যই অতি গুরুত্বপুর্ন, যথাসম্ভব পুষ্টি প্রদান করা এবং কলেরা ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত লোকজনের চিকিৎসা অতি দরকারি। কিন্তু এটা শুধু সাহায্যের পরিমানের ব্যাপার নয়। ঘটনার সঠিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আমাদের এ আবেদন আরো বেশি গুরুত্বপুর্ন। আমরা কী নিয়ে উদ্বিগ্ন? আমরা শরনার্থীদের জীবন এবং অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন, কিন্তু আমরা আরো বেশি চিন্তিত গণতন্ত্রের এই অবস্থা নিয়ে, মানবাধিকার নিয়ে, মানুষের সন্মান নিয়ে, যা আমাদের ও বিশ্বের সামনে মর্মভেদী এবং হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি নিয়ে এসেছে। এবং যদি আমাদের প্রতিনিধিরা যান, তা উনারা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বা অরাজনৈতিক বা অন্য কেউ, তা সর্বোতভাবে ঘটনার সঠিক দৃষ্টিকোন থেকে বর্ননা করে বহির্বিশ্বের সামনে নিয়ে আসতে হবে, এবং আমি মনে করি আমাদের এই প্রচেষ্টা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলিতে এই পরিস্থিতির বিবরন আসতে শুরু করেছে, এবং তা আরো অধিক পরিসরে; আমি মনে করি যে এই অবস্থার পরিবর্তনে আমাদের কিছু করনীয় ছিল। সুতরাং, আমাদের যা কিছু অর্জিত হয়েছে তাতে নাক সিটকানো উচিত নয়। যেমনটা আমি এর আগেও এখানে বলেছিলাম যে, আমি আমাদের সন্মানীয় সদস্যবৃন্দ এবং বাইরের ব্যক্তিবর্গের দুঃখ এবং আবেগের জায়গাটা বুঝতে পারি। এটা বুঝা সম্ভব এবং আমি সহমর্মিতা প্রকাশ করি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আমাদের আরো দূর পর্যন্ত ভাবা উচিত। এটা আমাদের কানাগলিতে নিয়ে যেতে পারেনা, এমনটা ভাবতে পারিনা যে আমরা কিছুই করতে পারিনি, কিছুই করা হয়ে উঠেনি এবং আমরা কিছুই করতে পারব না। আমরা একটা প্রকান্ড ভার বহন করছি, এবং আমি বলি- আমি জানিনা এই বিশ্ব এই ভার নেবে কিনা; যদি না হয় তাহলে দয়া করে গর্জে উঠুন, মহাত্নন- যেমনটা আমি সভাগুলোতে আমার লোকদের বা যে ক্যাম্পগুলোতে আমি গিয়েছি তাদের বলছিলাম যে আমরা নরকের পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে গিয়ে হলেও এর মোকাবেলা করব। কিন্তু এ নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই যে আমরা পারব কিনা, আমরা অবশ্যই পারব। এটা আমাদের বিভিন্নভাবে আঘাত করবে, অর্থনৈতিকভাবে, এবং আরো অনেক রকমভাবে, কিন্তু আমরা অবশ্যই এর থেকে পরিত্রান পাব যদি আমরা আমাদের সাহস, একাগ্রতা এবং ধৈর্য রাখি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের জনগনের এই সব সামর্থ্য রয়েছে, এবং, সেহেতু আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারব। কিন্তু, এটা খুব অল্প পরিশ্রম বা স্বল্প অর্থে করা সম্ভব হবে না। এই প্রচেষ্টা আমাদের সকল স্তরের নাগরিক দের প্রভাবিত করবে। এটা এমনকি আমাদের কিছু দরকারি প্রোগ্রামারদেরও প্রভাবিত করবে। কিন্তু এটা আমরা কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারিনা, কারন, আমি যেমনটা আগেই বলেছিলাম যে, বাংলাদেশে যা ঘটবে তার প্রভাব ইন্ডিয়ার উপর পড়বেই। আমরা গণতন্ত্রের সাধারন নীতি গুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি, কিন্তু আমরা এ নিয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করছি কারন বাংলাদেশের বর্ডারে যা ঘটছে তার প্রভাব এখানে অনেক বেশি পরবে যতটা না দুরের কোন দেশে ঘটলে তার প্রভাব এখানে পরত।
আমার সহকর্মী এইমাত্র পশ্চিম বঙ্গের সরকার দ্বারা পরিচালিত কয়েকটি পরিচিত অভ্যর্থনা কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করেছেন। আমি জানিনা তারা কি করতে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত, অল্প কয়েকজন ছাড়া আর কেউ শরনার্থীকেন্দ্র থেকে ফিরে আসেনি, প্রায় দুই হাজার লোক- যারা বিভিন্ন কারণে উত্তর ভারত থেকে গিয়েছেন, যা অবশ্য পশ্চিম বঙ্গের শরনার্থী কেন্দ্র গুলোর সাথে সম্পর্কহীন।
এ পর্যন্ত আমি যতদুর মনে করতে পারি, তিনি শ্রী গোরায়, অথবা একজন মাননীয় সদস্য- যিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন রাজনৈতিক সেটেল্মেন্ট বলতে আমরা কী বুঝি।
আমি মনে করি তিনি আমাকে ক্ষমা করবেন; তিনি হয়ত একটা অতি অসাধারন মানে করেছেন এই শব্দটার। তিনি কি এক মুহুর্তের জন্য বিশ্বাস করেছেন যে রাজনৈতিক সেটেলমেন্ট মানে বাংলাদেশের বুঝেছেন কিনা, যা গণতন্ত্রের শবযাত্রা অথবা তাদের যারা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়ছেন? ইন্ডিয়া কখনো এমনটা সমর্থন করে না। যখন আমরা একটা রাজনৈতিক সেটেলমেন্টের কথা বলেছি, আমরা বুঝিয়েছি এমন কিছু করা যা ঐসব মানুষদের জন্য সহায়ক, যারা নির্যাতিত। আমি এমন দৃষ্টিভঙ্গি বা মত প্রকাশ করছি না যে একটা সেটেলমেন্ট সম্ভব কিনা, কিন্তু পরিস্কার করছি যা আমরা প্রথম দিকে বলেছিলাম। যদি কোন রকমে বড় শক্তি বা যারা প্রয়োগ করছে তাদের উপর একটা আন্তর্জাতিক চাপ সম্ভবপর হত, তাহলে একটা সেটেলমেন্ট প্রথমদিকে সম্ভব হত। এখন, অবশ্যই, পার হয়ে যাওয়া প্রতিটা দিনের সাথে সাথে এই সম্ভবনা কমে যাচ্ছে।
আমরা শরনার্থীদের অস্থায়ী ভিত্তিতে সাহায্য করছি। তাদের এখানে স্থায়ী করার আমাদের কোন অভিপ্রায় নেই, অথবা তাদের ফিরে যেতে দেওয়া যেখানে তাদের হত্যা করা হবে।
একজন সন্মানিত সদস্য বলেছেন যে চীন আমাদের উপর শিথিল। আমি জানি না উনি কী বুঝাতে চেয়েছেন। আমি যতদুর জানি চীন অতটা বিদেশী জাতিগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে ছিলনা যতটা আমরা ছিলাম। তাঁরা প্রায় সর্বদাই স্বাধীন ছিল। এটা সত্য যে পুর্বে তাঁরা সমাজতন্ত্রীদের শাসনে ছিল না। কিন্তু তাঁরা সর্বদাই স্বাধীন ছিল।
সন্মানিত সদস্যবৃন্দের মনে কিছু সংশয় আছে যে শরনার্থীরা কি আসলে স্থানান্তরিত হবে না যেখানে এখন আছে সেখানেই থাকবে। এটা এই মুহুর্তে বলা সম্ভব নয় কারন এটা একটা বিশাল ব্যাপার। যদিও বা আমরা তাদের স্থানান্তর করতে চাই, এটা বাস্তবিক অর্থে সম্ভব না। প্রতিটা ট্রেন ১২০০ বা তার কিছু বেশি বহন করতে পারবে। কিন্তু, সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও আমরা হয়ত ক্ষুদ্র একটা অংশকে শুধু সড়াতে পারব। আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন রাজ্য কেন্দ্র সরকারের ভুমিতে তাদের সরিয়ে নিতে, কিন্তু এটা সহজসাধ্য কোন কর্ম নয় এবং তথাপি যে রাজ্য গুলোতে তাঁরা এখন আছে সেসব রাজ্যের উপর চাপ রয়েই যাবে।
আমরা ট্রাক ব্যবহার করেছি; এখন বিমান ব্যবহার করছি; আমরা মাল গাড়িও ব্যবহার করছি। কিন্তু এতদসত্তেও, তাঁরা ষাট লক্ষ মানুষ- আপনি তাদের সহজেই সরিয়ে নিতে পারেন না।
এই দেশে, বাস্তবিক অর্থে আমাদের সবকিছুই অপ্রতুল যা উনাদের সাহায্যের জন্য দরকার। আমাদের তাবুর ঘাটতি রয়েছে; আমাদের লোহার পাতের ঘাটতি রয়েছে,; আপনি যা কিছু চিন্তা করতে পারেন তার সব কিছুই আমাদের ঘাটতি রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এইসব কিছু যোগার করার; আমরা ঐসব কেম্প গুলোতে পাঠাবার ব্যবস্থা করছি। কিন্তু আমরা যাই করিনা কেন-
আমি এটা দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে- এইসব কারনে শরনার্থীদের কোন ভাবেই নুন্যতম যত্নে রাখতে পারছি না। এবং আমি সন্তোষের সাথে জানাচ্ছি যে, আমি যেখানেই গিয়েছি, কেম্পের স্পিরিট ভাল দেখেছি। তাঁরা অতি কঠিন পরিস্থিতে আছেন, কিন্তু উনারা আমাদের সমস্যাটা বুঝেন। সুতরাং, আমরা চেষ্টা করছি যতটুকু পারি তা সর্বোচ্চ ভাল্ভাবে করতে, কিন্তু আমাদের অবশ্যই এই ঘটনার দীর্ঘমেয়াদী পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখতে হবে, এবং আমাদের সকলের ও জনগনের উপর এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব। আমাদের সকলের নেতা হিশেবে, সংসদের বা রাজনৈতিক দলের সদস্য হিশেবে, এ দেশের নাগরিক হিশেবে অবশ্যই জনগণকে এই কঠিন পরিস্থিতির জন্য তৈরি করতে হবে, কারন এছাড়া আমরা না পারব শরনার্থীদের সাহায্য করতে, না পারব এ দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যা মোকাবেলা করতে।
এই হাউজের সর্বদাই বোঝার সক্ষমতা আছে। আমি জান যে, সময়ে সময়ে আবেগে উদ্বলিত হবার দরকার আছে। এটা স্বাভাবিক এবং বোধগম্য, কিন্তু যখন সব কিছুই বলা হয়েছে, আমি হাউজের কাছে তার বোধগম্যতার পরিচয় দেবার জন্য এবং সহযোগী হবার জন্য আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।