কিভাবে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে
১৯৬৯ | |
২৫শে মার্চ | : জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা গ্রহণ করে, দেশজুড়ে সামরিক আইন জারি করে এবং জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ বাতিল করে। |
২৭শে মার্চ | : সামরিক আইন ভঙ্গকারীদের উপর সামরিক বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান বিকেন্দ্রীকরণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। |
৩১শে মার্চ | :সরকারীভাবে সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। |
২৮শে নভেম্বর | : ইয়াহিয়া খান ১৯৭০ সালের অক্টোবরের ৫ তারিখকে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেন। |
১৯৭০ | |
৭ই ডিসেম্বর | : জাতীয় পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের দল, আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয় লাভ করেন। জেড. এ. ভূট্টোর দল ২য় হয়।
|
১৭ই ডিসেম্বর | : প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা অভূতপূর্ব জয় লাভ করে।
|
১৯৭১ | |
১৪ই জানুয়ারি | : ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন। |
১৩ই ফেব্রুয়ারি | : ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চকে পরিষদের অধিবেশনের জন্য নির্ধারণ করেন। |
১৬ই ফেব্রুয়ারি : | : রহমান আইনগতভাবে আওয়ামী লীগ দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন, ভূট্টো ক্রমাগতই দুই অংশের জন্য আলাদা আলাদা মন্ত্রীর প্রস্তাবনা দিয়ে যাচ্ছেন।
|
১লা মার্চ | : ইয়াহিয়া খান জাতীয় অধিবেশন স্থগিত করেন এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর ভাইস- এ্যাডমিরাল এস. এম. আহসানকে বরখাস্ত করেন। জাতীয় অধিবেশন স্থগিতকরণের প্রতিবাদে রহমান ঢাকায় সাধারণ হরতালের ডাক দেন।
|
২রা মার্চ | : জন-অসন্তোষ ঢাকা সহ অন্যান্য স্থানে সহিংসতায় রূপ নেয়, সৈন্যরা এ্যাকশনে নামে এবং কারফিউ জারি করা হয়। |
৩রা মার্চ | : আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলনে আরম্ভ করে, রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে ইয়াহিয়া খানের ১০ই মার্চের আমন্ত্রণ রহমান প্রত্যাখ্যান করেন।
|
৫ই মার্চ | : সেনাবাহিনীর হাতে ৩০০ জন নিহত হওয়ার খবর আসে। |
৮ই মার্চ | : অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। |
১৯শে মার্চ |
: ইয়াহিয়া খান ও রহমান সাংবিধানিক আলোচনা শুরু করেন।
|
২২শে মার্চ | : ইয়াহিয়া খান আবারও জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী স্থগিত করেন। |
২৬শে মার্চ | : গণহত্যা শুরু হয়। তখন থেকেই মুজিবের হদিস পাওয়া যায় না। |
১০ই এপ্রিল | : স্বাধীনতার ঘোষণাঃ বাংলাদেশ নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নিজেরা গণপরিষদ গঠন করে বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে হিসেবে ঘোষণা করে।
|
১৭ই এপ্রিল | :বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ প্রতিবেশী দেশগুলোর নিকট অবিলম্বে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানে অস্ত্র সরবরাহের এবং খুনী সেনাবাহিনীর হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করতে একটি নবজাত দেশকে সাহায্য করার আহ্বান জানান। |
মে/জুন/জুলাই/আগস্ট/
সেপ্টেম্বর/অক্টবর’৭১ |
: তখন থেকেই প্রায় দশ লক্ষাধিক নারী ও শিশুসহ লোক পাকিস্তানীদের দ্বারা নিহত হয়। আরো ৯০ লাখ এই গণহত্যা থেকে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে চলে আসে।
|