You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.08.22 | মুজিবকে রক্ষার জন্যে বিশ্বের প্রতি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির আহ্বান | হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
১৬৬। মুজিবকে রক্ষার জন্যে বিশ্বের প্রতি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির আহ্বান হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড ২২শে আগষ্ট, ১৯৭১

মুজিবকে রক্ষা জন্যে বিশ্বের প্রতি সিপিআইয়ের আহ্বান

২১শে আগষ্ট, নয়া দিল্লী- সিপিআই গতকাল জাতীয় পরিষদের বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিকে নিশ্চিত করতে ভারত এবং বিশ্বের দেশসমূহের সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে – ইউএন।

গতকাল জাতীয় পরিষদের দীর্ঘ বৈঠকে – সপ্তাহান্তে এই আবেদন সংকল্প হিসেবে গৃহীত হয়।

এতে বলা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও পাকিস্তান একত্রিত হয়ে উপমহাদেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে হুমকি প্রদান করেছে এবং এই সন্ধিক্ষণে ইন্দো-সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তি জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসী পরিকল্পনার শক্তিশালী প্রতিবন্ধক স্বরূপ।

বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত সকল প্রকারের প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য জাতীয় পরিষদ বারংবার দাবী উপস্থাপন করে। এছাড়াও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণকে বাংলাদেশের জনতার পাশে দাঁড়াতে আহ্বান করা হয়েছে যারা উভয়ই অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল।

এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের নামে ও ডিভিস বন্যা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা সম্পূর্ণ করার জন্য সরকার কর্তৃক পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দের আহ্বান করা হয়।

জাতীয় কমিশন গঙ্গার মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নদগুলোর বন্যা ও খরা নিয়ন্ত্রণের পর্যাপ্ত পরিমাপক উদ্ভাবন পদ্ধতির জন্য ব্রহ্মপুত্র কমিশনের রূপরেখার উপর স্থায়ী কমিশন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।

এছাড়া, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন উচিত বলে আহ্বান করা হয়েছে।

কাউন্সিল গৃহীত সংকল্পের একটিতে গুরুত্বপূর্ণ বন্যা সুরক্ষা ও সেচ প্রকল্প কার্যকর করার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক হতে ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবী জানায়।

সর্ব ভারতীয় সংবাদপত্রের কর্মচারী সংঘ এবং অন্যান্য “যাদের আন্দোলন এবং সংগ্রাম সরকারকে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে তদ্বসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিল উত্থাপনে ধাবিত করেছে” সংবাদপত্রের সংশ্লিষ্টতার জন্য কেন্দ্রের প্রস্তাবকে আজ দলের কেন্দ্রীয় পরিচালকবর্গ স্বাগত জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে যে, আইনে থাকা নির্দিষ্ট ফাঁকফোকরগুলোর সমাধা করা উচিত এবং পরিচালনা পর্ষদের উপর একচেটিয়া কারবারীদের অসামঞ্জস্য প্রভাব বজায় রাখার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।