শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
১৫৯। জনসঙ্ঘের সভাপতি বাজপায়ি কর্তৃক অবিলম্বে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি | স্টেটসম্যান | ১২ জুলাই ১৯৭১ |
প্রধানমন্ত্রি বাংলাদেশের কাছে করা প্রতিশ্রুতির প্রতি অবজ্ঞা করেছেনঃ বাজপেয়ী
(নিজস্ব প্রতিবেদক)
ভূপাল, ১১ই জুলাই, জনসংঘের সভাপতি অটল বিহারী বাজপেয়ী অভিযোগ করেন যে প্রধানমন্ত্রি সংসদে বাংলাদেশের সমস্যা নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার যে অঙ্গীকার করেছিলেন, তা অনেকটা বিদ্রূপের মত।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ হবার সম্ভাবনাও আছে।
শক্তিশালী দেশগুলোর চাপের কারনে ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারছেন না।
মুক্তি ফৌজ ও পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের দীর্ঘ গেরিলা যুদ্ধের কারনে দেশের পূর্বাঞ্চলের অংশ বিশেষ পশ্চিম বাংলা, আসাম, নাগাল্যান্ড এবং বিহারের অবস্থাও খারাপ হতে পারে। অস্ত্র ও গোলাবারুদ নকশাল ও অন্যদের দ্বারা ভারতের পাশাপাশি রাজ্যগুলোতে পাচার হচ্ছিল।
তিনি প্রধানমন্ত্রির প্রতি জোরালো আবেদন করেন যেন প্রধানমন্ত্রি দ্রুত জাতিয় ঐক্য পরিষদের এক সভা ডাকেন এবং কমিউনিজমকে উৎখাত করতে গিয়ে যাতে বাংলাদেশের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে দূরে ঠেলে না দেন।
এজেন্সি আরো যোগ করে যে, তিব্বতের মত অবস্থা দেখতে না চাইলে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন দিতে দেরি করা উচিত নয়। স্বীকৃতি দেওয়ার পর সব ধরনের সাহায্য এবং সামরিক সাহায্য দেয়া যেতে পারে বলে যোগ করেন বাজপেয়ী।
বাজপেয়ী অভিযোগ করেন যে মিড টার্ম পোলের আগে আহামেদাবাদে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে প্রতারনার মাধ্যমে প্রায় ৪২ লক্ষ রুপি তোলা হয়েছে।
সংবাদকর্মীদের তিনি বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন ৮০ লক্ষ রুপি তোলা হয়েছে কিন্তু গতকাল চিঠির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ওয়াই বি চ্যাবন জানান যে টাকার পরিমান ৪০ লক্ষ।
বাজপেয়ী বলেন যে, চিঠিতে চ্যাবন উল্লেখ করেছেন যে কর্মচারীসহ কিছু মানুষকে আটক করা হয়েছে এবং কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
যদিও বাজপেয়ী ব্যাংক এর নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন যে দিল্লির স্টেট ব্যাংক শাখার ঘটনার সাথে এই ঘটনার মিল রয়েছে।
তিনি একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করে এই দুই মামলার অনুসন্ধান করার দাবি জানান।