You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
১৫৬। বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির বক্তব্য পুস্তিকা জুলাই, ১৯৭১

 

বাংলাদেশ সম্পর্কে বক্তব্য

প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধী ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ভাষণ ও বিবৃতি থেকে মন এহয় নয়াদিল্লীর আশা আন্তর্জাতিক চাপের ফলে বাংলাদেশের জনগণের সমস্যা আগামী ছয় মাসের মধ্যে শেষ হবে। এ মন্ত্রীদের ধারণা যে, যে ৭০ লাখ শরণার্থী পশ্চিম বাংলা, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরাতে এসেছে তারা ঐ সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাবে।

আওয়ামী লীগের নেতা যাঁরা মুজিবনগর থেকে বাংলাদেশ সরকার চালাচ্ছেন তাঁরাও এ রকমই আশাবাদী। এদের সকলেরই ধারণা ইয়াহিয়া গোষ্ঠী আজ ভীষণ চাপের তলায় আছে। শুধু যে দেশের আর্থিক সমস্যা প্রবল হয়ে তাদের দুর্বল করেছে তা নয়। রুশ ও আমেরিকা প্রমুখ শক্তিশালী দেশগুলিও মুজিবুরের সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়া বা মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছে।

কেউ কেউ একথাও বলেন ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবের নরমপন্থী সহযোদ্ধাদের সঙ্গে মীমাংসা না করে পারবেন না। পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক গোষ্ঠীকে বাঁচাবার এ ছাড়া আর পথ নেই। দেরী হলে বিপ্লবের নেতৃত্ব বামপন্থী বা চরমপন্থীদের হাতে চলে যাবে। তখন কোন মীমাংসাও হবে না আর এ গোষ্ঠীকেও বাঁচিয়ে রাখা চলবে না। মুক্তিফৌজের গেরিলা আক্রমণের জোর এখন আগের তুলনায় অনেক বেশী, ফৌজের শক্তিও বেড়েছে, অনেক নতুন লোক অস্ত্র শিক্ষা পেয়েছে। এ সমস্তই ঠিক কিন্তু উদ্দেশ্য হলো ইয়াহিয়া গোষ্ঠীর উপর চাপ বৃদ্ধি। গেরিলা আক্রমণের পক্ষে বর্ষাকাল খুবই উপযোগী। এক তো পাক সৈন্যের মনোবল ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। তার উপর গেরিলাদের তৎপরতা চলছে বেড়ে। ফলে পাক সেনাবাহিনী ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য। এ হলো আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার। ইচ্ছা পূরণ ছাড়া একে আর কি বলা যায়।

মুক্তিফৌজের যে সমস্ত নেতারা হাতে হাতিয়ার নিয়ে লড়াই করছেন তাঁরা কিন্তু এতোটা আশাবাদী নন। অল্প কিছুদিন আগে জাতীয় আওয়ামী পার্টির মৌলানা ভাসানী এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন যে অন্য বামপন্থী দলগুলি গ্রামে গ্রামে সর্বদলীয় কর্মপরিষদ গড়েছে। উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য গণপ্রস্তুতি।

তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে সংগ্রাম দীর্ঘস্থায়ী হলে কি নতুন নেতৃত্বের উদ্ভব হবে না। উত্তরে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন, বাঘ কখনো মানুষের রক্তের স্বাদ ভুলতে পারে না। বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ১৩ লক্ষ। হাতে হাতিয়ার পেলে মানুষের চাল-চলন, ধ্যান-ধারণা ও আচার-ব্যবহার সবই বদলে যায়। অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের জাতীয় আওয়ামী পার্টি, পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি(মস্কোপন্থী) ও অন্য কমিউনিস্ট গোষ্ঠী(যারা এককালে মাও নীতি ঘেঁষা ছিল) এ সমস্ত দলের নেতাদের ধারণা বিপ্লব কষ্টসাধ্য ও দীর্ঘায়িত হবে। এর জন্য প্রয়োজন সশস্ত্র মোকাবেলার উপযুক্ত রণকৌশল ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জনগণের রাজনৈতিক প্রতিরোধের কার্যক্রম। বৈপ্লবিক দলগুলির মধ্যে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি যার নেতা মতিন আলাউদ্দিন ও কমিউনিস্ট গ্রুপ যার নেতা আব্দুল জাফর ও রাশেদ খান মেনন। তৃতীয়টি হলো পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সিলেনিনিস্ট)-এর নেতা মহম্মদ তোহা। এ দলটি পিকিংপন্থীর কাছ ঘেঁষেই চলে। কাজেই বর্তমান বিপ্লব সম্পর্কে এর নীতি দ্বিধাগ্রস্থ ও অস্পষ্ট। কিন্তু তাতেও পাকিস্তানী জঙ্গী বাহিনীর হাতে এক মার খেতে হয়েছে।

মুক্তিফৌজের নেতাদের মধ্যে কারু কারু অভিমত যে জমি ও শিল্প নিয়ন্ত্রণ জাতীয় শ্রমিক কৃষকদের নিজস্ব দাবী মেনে নিলে ভারতে শরণার্থীদের সংখ্যা কিছু কম হতো। প্রকৃত চাষীদের মধ্যে জমি বণ্টন করে দেওয়ার কথা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এখনো ঘোষণা করা সম্ভব। শিল্প ও অন্যান্য শ্রমিক এরা অনেকেই স্বদেশ ছেড়ে এদেশে আসেনি ও মধ্যম শ্রেণীর স্বার্থ পোষণ কার্যক্রম গ্রহণ করতে রাজী নন। তাঁদের যুক্তি এ কাজ করলে মুক্তিফৌজের মধ্যে অন্তর্বিরোধ দেখা দেবে। এর অর্থ হলো জোতদার, ব্যবসায়ী, দোকানী ও সম্পদশালী ব্যক্তিরা যাঁরা এখন আওয়ামী লীগের সমর্থক তাঁরা লীগ গড়া ছেড়ে দিতে পারেন। আওয়ামী লীগের নেতারা বামপন্থীদের আরও একটি দাবী মানতে রাজী নন। বামপন্থীরা চেয়েছিলেন সমস্ত প্রতিরোধকারী শক্তিদের নিয়ে জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট হোক। দাবী প্রত্যাখ্যানের যুক্তি জনগণের সমর্থন শুধু আওয়ামী লীগেরই আছে।

বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের অস্থায়ী সভাপতি মহম্মদ শাজাহান বলেন, বাংলাদেশ সংঘবদ্ধ শিল্প শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষ। এদের মধ্যে বেশীর ভাগই ইউনিয়নের সদস্য। সামরিক শাসন বাধা দিতে পারেনি। এক লাখের উপর শ্রমিক পাকিস্তানী জঙ্গী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে। তাঁর বক্তব্য ১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগ নারা লাগান যার জমি তার। ১৯৭০ সালে ঢাকার মে দিবস সমাবেশে শেখ মুজিব যে বানী তাতে একথা বলা ছিল, সেদিন আর দূরে নয় যেদিন শ্রমিকরাই হবে উৎপাদন শক্তির মালিক। এর উপর সামাজিক কর্তৃত্ব স্থাপনের প্রধান ধাপ হিসেবে তিনি ব্যাংক, ইনসিওরেন্স কোম্পানি, পাট রফতানী ব্যবসায়ী, মূল শিল্পসমূহ ও জনস্বার্থ সম্পৃক্ত সেবা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতির রাষ্ট্রীয়করণ সমর্থন করেন। আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টো ন্যায়ভিত্তিক সাম্যবাদী সমাজ গঠনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে আস্থাশীল। প্রথম প্রদক্ষেপ হিসাবে কোন কোন শিল্প ব্যক্তিগত মালিকানা লোপ করা হবে তারও ফিরিস্তি আছে ম্যানিফেস্টোতে।

উপরন্তু মুজিব নাকি ৭ই মার্চ তারিখে নির্দেশ দেন যে আওয়ামী লীগের নেতারা হঠাৎ গ্রেফতার বা নিহত হলে জনগণ যে বিভিন্ন মতাবলম্বী লোকদের নিয়ে বিভিন্ন স্তরে কর্মপরিষদ গড়ে ফেলে। সর্বতোভাবে পাক সৈন্যদের সঙ্গে অসহযোগ করে রেল ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা বানচাল করে দিয়ে এবং প্রত্যেক গ্রামকে প্রতিরোধের দুর্গে পরিণত করে।

বিদ্রোহী জনগণ এ নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন ঘোষণার বিপ্লবের এ জাতীয় ভবিষ্যৎ পরিণতির কোনো আভাস বা ইঙ্গিত নেই বাংলাদেশের বিপ্লবী বামপন্থীদের এ খুঁত, এ ত্রুটি দূর করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, পাক সৈন্যদের নৃশংসতা বন্ধ করতে হলে চাই জনগণের হাতে অস্ত্র। আত্মরক্ষার জন্য জনগণের হাতে তুলে দিতে হবে হাতিয়ার। সমস্ত গণবিপ্লবেই এমন একটা সময় আসে যখন জনগণের হাতে হাতিয়ার তুলে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায়ই বিপ্লবকে বাঁচানো যায় না। বর্তমান ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসের জবাব দেবার এবং জনগণের মনোবল দৃঢ় করার জন্য চাই জনতাকে সশস্ত্র করা। আজ মুক্তিফৌজে আছে ৩০, ০০০ সৈনিক। আরও ৩০, ০০০-এর চলছে শিক্ষা পর্ব।

মুক্তিফৌজের নেতাদের আজ কাজ হলো গেরিলা আক্রমণের সঙ্গে স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধের সমন্বয় ঘটানো। জনগণের সক্রিয় সহযোগ ছাড়া শুধু গেরিলা আক্রমণ মারফৎ বিপ্লবের বিস্তৃতি ঘটানো সম্ভব নয়। জনগণকে এমন কিছু দিতে হবে যার জন্য তারা লড়তে ও মরতে রাজী হয়। শুধু স্বাধীনতার নামে এ কাজ হয় না, হতে পারে না। অন্য কথায় বলতে গেলে বর্তমান বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লবকে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে রূপ দেবার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।

ভারতে ৭০ লক্ষ শরণার্থীর প্রবেশ অসুবিধা ও বিপদ নিশ্চয়ই দেখা দিয়েছে। তাতে এখানকার বুর্জোয়া সরকারের সুবিধাও হয়েছে। এ সমস্যার উপর সমস্ত গুরুত্বারোপ করতে এমন বুর্জোয়া রাজনীতিক আছেন যারা বলেন- ইয়াহিয়া সরকার যদি বাংলাদেশে গনহত্যার জন্য দিনে ১ কোটি টাকা খরচ করে আমরা দৈনিক খরচ করছি ১ কোটি টাকা ৫০ লক্ষ শরণার্থীর প্রাণ বাঁচাতে।

এ অর্থ এখন আর শুধু বাংলাদেশ পাকিস্তানের ঘরোয়া ব্যাপার নয়। এটা এখন ভারতের ঘরোয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শরণার্থীদের ভরন-পোষণ ও আশ্রয়ে ব্যবস্থা করতে আজ ভারতের বুর্জোয়া শাসকরা ন্যায়ত ধর্মত দায়ী ভারতের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাস করেছিল বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি আন্দোলনের সমর্থনেও তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে।

নয়াদিল্লী অবশ্য বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দেয় নি। বিশ্বের দরবারে শরণার্থীদের জন্য সাহায্য ভিক্ষা করাই এর প্রধান কাজ। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিরা বিশেষ করে আমেরিকা ব্রিটেন যাদের পাকিস্তানের দুই অংশের প্রচুর মূলধনের বিনিয়োগ আছে তাদের বিবেককে শান্ত করার জন্য শরণার্থীদের জন্য কিছু ওষুধপত্র পাঠাচ্ছে।

এদিকে চীনের মাও আমলাতন্ত্র ইয়াহিয়া সরকারকে প্রকাশ্যে মদদ যোগাচ্ছে আর সোভিয়েত আমলাতন্ত্র তার দায় সেরেছে বাংলাদেশের জনগণকে মৌখিক সহানুভূতি জানিয়ে। পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির যে প্রতিনিধিদল সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির চতুর্বিংশতম সম্মেলনের জন্য মস্কো যায় সে দল গভীর আশাভঙ্গ নিয়ে ফিরে এসেছে। সোভিয়েত নেতাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন ঔৎসুক্য এ দল দেখেনি। সোভিয়েত নেতারা শরণার্থী পুনর্বাসনের জন্য আমেরিকার সঙ্গ সহযোগিতা ছাড়া আর কিছু করতে প্রস্তুত নন বলে এ প্রতিনিধিদলের ধারণা।

বিপ্লবের বিভিন্ন তাৎপর্য যতই পরিষ্কার হচ্ছে ভারতের রাজনীতিকদের মতামতে ততই পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। এখন আর বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামের সমর্থনে পূর্বের ঐক্যমতে নেই। বাংলাদেশের সংগ্রামের ভিতর এখন অনেক বিচ্ছেদ ও বিভেদের ভূত দেখছেন। তাদের শুধু একথা মনে করিয়ে দিলেই চলবে যে বিচ্ছেদ ও বিভেদ ইচ্ছা করলেই ঘটানো যায় না আর তা ঘটবার হলে কিছুতেই ঠেকানো যায় না। ইয়াহিয়া খানের হাতে কমপক্ষে ১০ লক্ষ লোকের প্রাণ গেছে। কিন্তু তাতে বাংলাদেশ সংগ্রাম কাবু হয়নি। আবার সিপিএম শত চেষ্টা করলেও পশ্চিমবাংলায় বাংলাদেশের গণবিদ্রোহ সৃষ্টি করতে পারবে না।

এখানে একথা অপ্রাসঙ্গিক নয় যে বাংলাদেশ সম্পর্কে এ দেশে প্রথম যে স্বস্তিবোধ দেখা দিয়েছিল তা সবটাই ন্যায্যা ও যুক্তিযুক্ত নয়। ধর্মীয় রাষ্ট্র পাকিস্তানের অবমাননায় অনেক ভারতবাসীই তাঁর উগ্র জাতীয়তাবাদের লাভ দেখেছেন। কিছু লোক হিন্দু সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশের বিদ্রোহকে দেখেছেন। আর পুঁজিপতিরা তো তাদের উৎপন্ন মালের জন্য বাজারের প্রসার হবে এ স্বপ্নে মশগুল। বাংলাদেশের বিপ্লবের প্রকৃত অর্থ যতই পরিষ্কার হবে ততই প্রতিক্রিয়াশীল দলগুলি এ সমস্যাকে সাম্প্রদায়িক মোচড় দেবে। বাংলাদেশে সফল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব পুঁজিপতিদের ভীষণ ভয়। এ বিপ্লবের ফল তাদের স্বপক্ষে হবে মারাত্মক।

এ কথা অবশ্যই স্বীকার্য যে বাইরের লোকের পক্ষে বাংলাদেশের বিপ্লবের রূপ ও তাৎপর্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব নয়।

ভারতের বিপ্লবী বামপন্থীরা যদি বাংলাদেশ বিপ্লবের স্বরূপ বুঝতে পারেন। বিপ্লব যে সামাজিক শক্তিগুলিকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছে তাদের গতিপ্রকৃতি যদি তাঁরা ধরতে পারেন তবেই বাংলাদেশ বিপ্লবের হবে সর্ববৃহৎ সাহায্য। এছাড়া অবশ্য ভৌতিক ও নৈতিক সমর্থন ও সাহায্য করতেই হবে মিথ্যা ভয় ও অপপ্রচারে বামপন্থীদের কোন লাভ নেই।

এ বিপ্লব এক অভূতপূর্ব গণতান্ত্রিক বিপ্লব। চীন বিপ্লবের পর এটাই এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। যদি এ বিপ্লবকে সফল করতে হয় তবে একে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে পরিণত করতে হবে আর সে কাজে নেতা হবে বাংলাদেশেরই শ্রমিক শ্রেণী।

বাংলাদেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সাফল্য চাই। ভারত, পশ্চিম পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণীর বিপ্লবী সংহতি চাই।

সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টি
(চতুর্থ কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক ভারতের সংখ্যা)

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!