You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.11 | কোলকাতায় ছাত্র যুবকদের বিক্ষোভ মিছিল | দৈনিক যুগান্তর - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
১১০। কোলকাতায় ছাত্র যুবকদের বিক্ষোভ মিছিল দৈনিক যুগান্তর ১১ এপ্রিল, ১৯৭১

 

কলকাতায় মিছিলঃ পাক জঙ্গীশাহীর বিরুদ্ধে ধিক্কার
(স্টাফ রিপোর্টার)

কলকাতা, ১০ই এপ্রিল-বাংলাদেশে স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা আন্দোলন অদম্য মুজিব সেনাদের জয়ধ্বনিতে আর মরীয়া জঙ্গীশাহীর বেপরোয়া হত্যালীলা ও বর্বরোচিত অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঘৃণায় ধিক্কারে এই শহরের রাজপথ আজ মুখরিত ছিল।

বঙ্গীয় প্রাদেশিক ছাত্র ফেডারেশন এবং গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের ডাকে এদিন ছাত্র যুবকরা মহানগরীয় পথে পথে বিক্ষোভ মিছিল করে।

তার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লনে এক বিরাট সমাবেশে একটি প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবে দাবি জানান হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীন সরকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে। অস্ত্রসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত রকম সাহায্য পাঠান হোক সীমান্তের বেড়া তুলে দিয়ে মুক্তি সংগ্রামকে সাহায্য করা হোক।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে যে, ইয়াহিয়া খাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তানের জঙ্গী শাসকচক্র একদিকে যেমন মার্কিন, অস্ত্রগুলি ব্যবহার করছে বাংলাদেশের জনসাধারণের বিরুদ্ধে। অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক রুশ ও চীনের অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রী দীনেজ মজুমদার, এমএলএ। প্রস্তাব পেশ করেন শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য। বক্তা ছিলেন সর্বশ্রী বিমান বসু, সুভাষ চক্রবর্তী, শ্যামল চক্রবর্তী প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয় লনে স্থানাভাব হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা কর্ণওয়ালিশ স্ট্রীটে ট্রাম লাইনে এসেও জমায়েত হয়।

সভায় বক্তারা দুই বাংলার সীমান্তে গিয়ে অহেতুক ভিড় না করার জন্য সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

সভার পর যুব ছাত্রদের মিছিল বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে এসপ্লানেড ইস্টে যায়। সেখান থেকে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি পাঠান হয়।

পাক ডেঃ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

পত্রিকা গ্রুপের সাংবাদিক এবং অসাংবাদিকরা আজ এখানে পাক ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসের সম্মুখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বাংলাদেশে অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করার দাবি জানাতে থাকেন।

অমৃতবাজার পত্রিকা, যুগান্তর এবং অমৃতের কর্মীরা যে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন, তাতে শ্রী দীপক বন্দোপাধ্যায় (অমৃতবাজার পত্রিকা) এবং শ্রী সুরজিত ঘোষালের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়েছে।