শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
৯৬। উড়িষ্যার বাংলাদেশের শরনার্থিদের আশ্রয়দান প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের অভিমত | দৈনিক ‘হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড’ | ২৩ ই জুলাই, ১৯৭১ |
ক্যাম্পের সমস্যা নিয়ে উড়িষ্যা কঠোর
স্টাফ সংবাদদাতা
ভুবনেশ্বর, ২২ শে জুলাই – উড়িষ্যা সরকার ময়ূরভঞ্জ জেলায় বাংলাদেশী শরণার্থীদের আশ্রয়দানের জন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের আহ্বান বস্তুত অগ্রাহ্য করতে যাচ্ছে এবং কেন্দীয় সরকারও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে উড়িষ্যার অন্য কোন স্থানে তাদের আশ্রয়দানের প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের দাবির কাছে নতিস্বীকার করছে।
প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা বিনাশক আচার্য সোহো রাজ্যসভার অনেক নেতাই বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয়দানের জন্য ময়ূরভঞ্জ জেলা মোটেও সুবিধাজনক নয় বলে মনে করেন। গতকাল বিকেলে এক প্রেস কনফারেন্সএ এই কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে তারা মিটিংএ কোরাতপুরে ২ টি ও বুধ-পুলবানী জেলায় ১ টি স্থানে উদ্বাস্তুদের আবাসনের ব্যাপারে একমত হন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে তিনি ময়ূরভঞ্জ ও উত্তর বালাসোর জেলায় উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে লেখা প্রধানমন্ত্রীর চিঠি নিয়ে আলোচনার জন্যে রাজনৈতিক নেতাদের আলোচনায় ডাকেন।
ইন্দিরাগান্ধীর লেখা চিঠির জবাবে তিনি তাকে অর্থনৈতিক, দাফতরিক, আইনি ও জননিরাপত্তার অবস্থা রক্ষায় নানা সমস্যার কথা জানান। এর আগে গরুমহিসানিতে কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিকদের স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করে দেয়ায় সেখানে আর কোন উদ্বাস্তুর আশ্রয়কেন্দ্রের জায়গা করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে ইউনিয়ন পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান যে উড়িষ্যার প্রধান সচিব ৩৫০, ০০০ জন উদ্বাস্তুর জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য অন্য সম্ভাব্য তিনটি প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেছেন।