শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
৯২। সীমান্ত পরিস্থিতি এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রশ্নে পশ্চিম বঙ্গ সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ওপর প্রতিবেদন | দৈনিক ‘আনন্দবাজার’ | ২২ অক্টোবর, ১৯৭১ |
অসামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ।
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক
(স্টাফ রিপোর্টার)
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাক ফৌজের ব্যাপক সমাবেশ ঘটায় পশ্চিমবঙ্গ তথা পূর্ব ভারতের প্রতিরক্ষা ও আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা সম্পর্কে বৃহস্পতিবার রাত্রে রাজভবনে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসে। আক্রান্ত হলে পাল্টা আঘাত হানার ব্যাপারেও ওই বৈঠকে কতকগুলি গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিন ঘন্টাকাল স্থায়ী এই বৈঠকে রাজ্যপাল শ্রী এ, এল, ডায়াস, মুখ্যসচিব শ্রী এন সি, সেনগুপ্ত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত সচিব শ্রী বি আর গুপ্ত ছাড়া দিল্লী থেকে আগত কয়েকজন পদস্থ ব্যক্তি যোগ দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায়ও এই বৈঠকে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
যে কোন মুহুর্তে ডাকলেই যাতে পাওনা যায় সেইজন্য অসামরিক প্রতিরক্ষায় লোকদের প্রস্তুত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মহাকরণে কেন্দ্রীয় অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল লেঃ জেনারেল মতিসাগর রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরের কয়েকজন পদস্থ অফিসারের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে ওই নির্দেশের কথা জানান।
এদিন লেঃ জেনারেল মতিসাগর রাজভবনে রাজ্যপাল শ্রী এ এল ডায়াসের সঙ্গেও মিলিত হন। পৌরসভা, পুলিশ ও দমকলের অফিসারদের সঙ্গে তিনি অপর একটি বৈঠক করেন। রাজভবনের বৈঠকে মুখ্য সচিব ও অন্যান্য পদস্থ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
আজ শুক্রবার সকালে মহাকরণে লেঃ জেনারেল মতিসাগর বিভিন্ন জেলার জেলা শাসকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। ওই বৈঠকে রাজ্যপাল শ্রী ডায়াস পৌরোহিত্য করবেন।
তাছাড়া এই দিন রাজ্য পুলিশের শ্রী রঞ্জিত গুপ্তের অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের তদারকির দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার থেকেই পুরাদমে এই দফতরের কাজ করার জন্য বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল শ্রী এ এল ডায়াস শ্রী গুপ্তকে নির্দেশ দেন। স্বরাষ্ট্র সচিবের অধীনে থেকে শ্রী গুপ্ত ওই তদারকির কাজকর্ম করবেন।