You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
৭৯। জাতিসঙ্ঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং এর সাংবাদিক সম্মেলন ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২২ ডিসেম্বর ১৯৭১

 জাতিসঙ্ঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং এর সাংবাদিক সম্মেলন
ডিসেম্বর ২২, ১৯৭১

ফরেন মিনিস্টারঃ আপনাকে আপনাদের বেশিক্ষণ অপেক্ষায় রাখব না। আপনাদের অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমার কোন স্বাগত বক্তব্য দেয়ার ইচ্ছে নেই। আপনারা ইচ্ছেমত আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন।

প্রশ্নঃ আপনি কি মনে করেন গতরাতের সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রস্তাবনা কাজে আসবে?
উত্তরঃ আমি মনে করি এটা কাজে আসবে কারণ এটাতে মোটাদাগে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা দেখানো হয়েছে, বিরতির মূলনীতিগুলোও গৃহীত হয়েছে। এবং এটা বেশ ভাল একটা সমাধান। এখানে বর্তমান পরিস্থিতির বর্ননা দেয়া হয়েছে এবং এমন কিছু বলা হয়নি যা বাস্তবসম্মত না।

প্রশ্নঃ এখানে কিভাবে বাস্তবতা বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে পূর্ব ও পশ্চিমের জন্য দুইটি চুক্তির কথা বলা হয়েছে। পূর্বে অতি সত্বর মিলিটারি সরাতে হবে – এছাড়া যার কোন উপায় নেই। সেখানে সিভিল সরকার স্থাপিত হয়েছে ইতোমধ্যে। এইটুকুই আমি জানি। ১৯৭০ এর ডিসেম্বরের নির্বাচনে সমস্ত লোক তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সেনা সরাতেও কিছু সময় লাগবে।

প্রশ্নঃ আপনি কি শেখ মুজিবকে দেশে ফিরিয়ে আনানোর জন্যে অন্য দেশগুলোর সাথে কোন আলোচনা করেছেন? কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন কি?
উত্তরঃ আমি একটা প্রেস রিলিজে দেখেছি শেখ মুজিবর রহমানকে জেল থেকে সরিয়ে একটা ঘরে নিয়ে রাখা হয়েছে। হয়ত তাঁর শারীরিক সুবিধার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত উনি জেলে নাকি ঘরে সেটা কোন মুল্য বহন করেনা। আর এখন উনার দেশে ফেরত আসাটাই সবচে জরুরী।

প্রশ্নঃ আপনি কি চান যে শেখ মুজিব ফিরে আসার আগেই পাক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে যাবে?
উত্তরঃ আমি এর মাঝেই সিকিউরিটি কাউন্সিলের কাছে স্টেটমেন্ট দিয়েছি যে পশ্চিম পাকিস্তান সেনাবাহিনী যাদের পূর্ব পাকিস্তানে ফেলে রাখা হয়েছে, তাদের পশ্চিম পাকিস্তানে ফেরত নিয়ে যেতে হবে সমঝোতার মাধ্যমে। বাংলাদেশ সরকার গঠিত হবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা, যারা সিদ্ধান্ত নেবে তাদের কি প্রয়োজন এবং তার জন্যে একটা দিনেরও বেশি দরকার নেই।

প্রশ্নঃ আপনি কি বলছেন যে ওরা শেখ মুজিবর রহমানকে ছেড়ে না দিলেও আপনারা পাকিস্তানী সৈন্যদের ফেরত পাঠাবেন?
উত্তরঃ আমরা শেখ মুজিবর রহমানকে ছেড়ে দেয়ার উপত গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ তিনিই কেবল সারে সাতলক্ষ মানুষকে দিক নির্দেশনা দিতে পারেন। আর যেকোন মুল্যে তাঁর ফিরে আসাটা জরুরী এই দেশের মানুষের জন্যে।

প্রশ্নঃ জনাব পররাস্ট্র মন্ত্রী, আপনি গতকাল রাতে দুটো শর্তের কথা বলছিলেন যে দুটো অবশ্যই যুদ্ধবিরতির আগেই পূরণ হতে হবে। একটা ছিল রিফিউজিদের অবশ্যই নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো। কিন্তু আমি পরেরটা শুনতে পাইনি।
উত্তরঃ আসলে আমি গতকাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে তা উল্লেখ করেছি, কিন্তু এটা ভারতীয় সৈন্যদের বাংলাদেশে থাকার অযৌক্তিকতা বোঝাতে অসমর্থ হয়েছিল। আমি কিছু কারণ উল্লেখ করেছিলাম, একটা ছিল বাংলাদেশে তাদের স্বদেশী লোকেরা ফেরত আসবে আর অন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটা হল পশ্চিমা সেনাবাহিনি যারা এই মুহুর্তে বাংলাদেশে বেশ করুন অবস্থায় আছে এবং প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে তাদের রক্ষার জন্যে ইন্ডীয়ান সেনাবাহিনীর ওখানে থাকাটা জরুরী। যারা ন মাস ধরে অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করেছে তাদের পক্ষে এমন প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা স্বাভাবিক। এই বিশাল প্রতিহিংসার ঢেউ সামাল দেয়ার জন্যে কিছুটা সময় হলেও ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীকে ওখানে থাকতে হবে।

প্রশ্নঃ কতদিন লাগতে পারে বলে আপনার ধারণা?
উত্তরঃ নির্ভর করে আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সিদ্ধান্তের উপর। যত দ্রুত এটা সম্ভব হবে তত দ্রুত আমরা এই সমস্যা থেকে রেহাই পাব। বাংলাদেশ থেকে পাক সৈন্যদের বের করে নিয়ে আসতে পারব। কিন্তু এই বিবৃতিকে যদি পশ্চিম পাকিস্তান কোন পাত্তা না দেয়, এবং তারা মনে করে এখনো তাদের বাংলাদেশে সৈন্য পাঠানোর অধিকার আছে তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন মাত্রা ধারন করবে। বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারও ততবেশি দেরী হবে। আন্তর্জাতিক কমিউনিটি এটা যত দ্রুত বুঝতে পারবে তত দ্রুত বাংলাদেশ একটা সুঠাম কাঠামোতে দাঁড়াতে পারবে। এরপর ইন্ডিয়ান সৈন্যদেরও ফেরত পাঠানো যাবে।

প্রশ্নঃ জাতিসঙ্ঘের ধীরগতির কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে আপনার মতামত কি? বিশেষকরে গত গ্রীষ্মে সেক্রেটারি জেনারেলকে পুনরায় ডেকে এনে ইউ এন থেকে পদ্দক্ষেপ নেয়ার জন্যে বলা হয়েছিল।
উত্তরঃ আমি সেটা নিয়ে কোন বক্তব্য দিতে পারব না। আপনারা সবাই সেটা জানেন। আমি মনে করি মূল কারণ ছিল কিছু দেশ যুদ্ধ পরিস্থিতি ও গণহত্যা বন্ধে ও রিফিউজি সরাতে আপত্তি জানিয়েছিল। কারন তাদের সাথে পাকিস্তানের ঘনিষ্টতা ছিল। কিন্তু কিছু দেশের পারষ্পরিক সম্পর্কের কারনে বিশালাকার একটা সমস্যা যার মুখোমুখি ইন্ডিয়া হয়েছে এবং ইন্ডিয়ায় মজুদ এক কোটি ঘরহীন মানুষ, তখন এটা একটা বিশালাকার এক সমস্যা যা বিশ্ব কমিউনিটি সুরাহা করবে এবং এর কারণেই মূলত বাংলাদেশে পাক বাহিনীর উপর উলটো অত্যাচার শুরু হয়েছে যা একদিন পাকিস্তানী বাহিনী নিরস্ত্র ও নিরীহ বাংলাদেশের মানুষের সাথে করেছিল।

প্রশ্নঃ আপনি হয়ত দেখেছেন প্রেসের যে সব কমিটি-যতদুর মনে পরে ব্রিটিশ প্রেস থেকে বলা হয়েছিল- এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় যখন ভারত পাকিস্তান নিজেদের সমস্যা মেটানোর জন্যে ব্যস্ত সেই সময় বিশাল ক্ষমতাধর দেশের জন্যে এখানে একটা পথ খুলে গেছে।
উত্তরঃ আমরা ভারতীয়রা কখনোই ক্ষমতার সমতায় বিশ্বাস করিনা যেমন করে পশ্চিমাবাসীরা করে থাকেন। কারণ এটা ওখানে যারা বসবাস করে তাদের ভবিষ্যত ও ভাগ্যের সাথে জড়িত এবং সন্দেহাতীতভাবে গনতান্ত্রিক দেশগুলোর মাঝে ভারত যে ঐতিহ্য ধারন করে তা প্রয়োজনীয়ও বটে। আমরা ভারত পাকিস্তান মতবিরোধিতা নিয়েও বিশ্লেষন করেছি এবং আমাদের পাকিস্তানের সাথে কোন স্থানগত মতবিরোধ নেই। যদিও এখন আমরা বাংলাদেশের জন্যে সবাই কাজ করছি কিন্তু প্রথম থেকেই তো বলে আসছি যে এগুলো সব বাংলাদেশের মানুষের জন্যে-তাদের ভবিষ্যতের জন্যে। আর যদি উপমহাদেশের বিভিন্ন অংশের মানুষেরা আন্তর্জাতিক জোটসমূহের দ্বারা প্রলুব্ধ হয় এবং নিজেদের ভবিষ্যত ও ভাগ্যের সহায় হয় তাহলে বহিঃশত্রু কখনোই ওখানে প্রবেশ করতে পারবেনা। এবং আমি আন্তরিকভাবে আশা করি বহিঃশক্তিদের প্রভাব কখনোই কঠিন আঁকার ধারন করবেনা।

প্রশ্নঃ আপনি কি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন সম্পর্কে আমাদের কিছু বলবেন?
উত্তরঃ ভুট্টো সাহেব যদিও পাকিস্তানের গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা কিন্তু তার দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা পায়নি। এটা যোগ করা গুরুত্বপূর্ন যে নুরুল আমিনের অধীনে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার থাকার কথা ছিল, যেখানে নুরুল আমিন প্রধানমন্ত্রীত্ব পেয়েছেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পালটে গেছে। নুরুল আমিনকে এখন ভাইস প্রেসিডেন্টশিপ নিয়েই খুশি থাকতে হবে। এটা প্রমান করে যে ভুট্টো সাহেব নিজেকে পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা মনে করতেই পারেন কিন্তু কখনোই পুরো পাকিস্তানের নয়, কারন বাংলাদেশে তো তার পার্টি একটা সিটও পায়নি। সুতরাং যে পাকিস্তানের সর্বময় কর্তা হবে তাকে আমাদের মেনে নিতেই হবে। আর ভুট্টো সাহেবকে অন্য সকল মানুষের মতই ভাবতে হবে।

প্রশ্নঃ এই আপোষ অনুষ্ঠান কবে হচ্ছে সিং বাবু?
উত্তরঃ আমরা এখনি এটা করার জন্যে তৈরি তবে আমি জানিনা পাকিস্তান এটা এখনো করার জন্যে তৈরি কিনা। হয়ত বিশাল কোন পরিবর্তন না ঘটলে হয়ত খুব শিঘ্রই ওরা আলোচনায় বসবে না। আমাদের দিক থেকে আমরা তৈরি।

প্রশ্নঃ আপনি কি শেখ মুজিবর রহমানের মুক্তি আলোচনার আগেই সমাপ্ত হোক এটা চান?
উত্তরঃ আমার মতে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তান অনেক দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। সবক্ষেত্রেই মিলিটারি জেনারেল মিলিটারিদের মতই পদক্ষেপ নেবে। প্রেসিডেন্ট ভুট্টো দ্রুত পদক্ষেপ নেবে যেন শেখ মুজিব দ্রুত ছাড়া পায়। আর সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় শেখ মুজিবর রহমান দ্রুত ছাড়া পেতে পারেন। আমরা চাই তিনি ছাড়া পান।

প্রশ্নঃ ভুট্টো সাহেবের যুদ্ধনীতি কি আপনাদের সবাইকে বিরক্ত করেছে?
উত্তরঃ আমি খুশি হবোনা যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হবার পরের ভাষনেই প্রথম উক্তি হিসেবে যদি বলেন তিনি যুদ্ধ করতে চান। আমি জানিনা যুদ্ধটা কিজন্যে চালাবেন উনি? আর পাকিস্তান ডেলিগেশন গতকাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বক্তব্যগুলো মেনে নিয়েছে। এটা প্রমাণ করে যে তাদের মূল গন্তব্য এবং পথচলা এক নয়, ঠিক যেমন ভুট্টোর চরমপন্থী বক্তব্যও ঠিক নয়।

প্রশ্নঃ এই আপোষ অনুষ্ঠান কোথায় হতে পারে?
উত্তরঃ যেকোনখানে। আমাদের তেমন কোন পছন্দ নেই। যেকোনখানে আমরা যেতে রাজি আছি। আমরা ইসলামাবাদে যেতে রাজি আছি। আবার আমরা তাদের দিল্লীতে অভর্থনা জানাব যদি তারা চায়।

প্রশ্নঃ আমাদের দয়া করে বলবেন যে আপনি সেক্রেটারি জেনারেলের সমান পদমর্যাদা সম্পন্ন লোকেদের উপস্থিতি কামনা করেছেন-কি কারনে?
উত্তরঃ যতদুর সম্ভব সেক্রেটারি জেনারেলের রিপ্রেজেন্টেটিভকে মানবিক দিক বিবেচনায় রাখা হচ্ছে এবং এটা হলে আরও ভালো হবে। কিন্তু ইন্ডিয়া পাকিস্তান নিয়ে অন্যান্য তর্ক গুলো দ্বিপাক্ষিক, এবং অতীতে ফিরে তাকালে দেখা যাবে জাতিসংঘও এই সমস্যা নিয়ে হাবুডুবু খেয়েছে। দুই পক্ষেই যুদ্ধবিরতি হয়েছে, যদিও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

প্রশ্নঃ সোভিয়েত কি ইন্ডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে? আমি বলছি ইন্ডিয়ার নিরপেক্ষতার ইস্যুতে?
উত্তরঃ ইন্দো সোভিয়েত চুক্তির ফলে সোভিয়েত এর সাথে জোট নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ভারতের অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে। এই চুক্তিই প্রমাণ করে যে ইন্ডিয়া জোট নিরপেক্ষ দেশ। এবং ইউ.এস.এস.আর সম্ভবত প্রথম কোন নথি পেশ করল যেখানে বিশ্বস্থিতিশীলতার ব্যাপারে জোটনিরপেক্ষতার প্রয়োজনীয়তা প্রকাশিত হল। সুতরাং ইন্দো সোভিয়েত চুক্তি প্রমান করে যে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায় এর গুরুত্ব।

প্রশ্নঃ আমার ধারনা ওয়াশিংটন এভাবে ভাবছেন না।
উত্তরঃ ওয়াশিংটনের পরিস্থিতি অনুধাবন করার নিজস্ব পদ্ধতি আছে, এবং আমি মনে করি সময় হলে ওয়াশিংটন বুঝতে পারবে। ইন্ডিয়া এখন নিজের পারিপার্ষিক পরিস্থিতিতে পরিপক্ক্ব হয়েছে এবং নিজের খুশিমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এজন্যে অন্য কোন দেশের সাপোর্ট প্রয়োজন হয়না, অন্য কোন পক্ষের শত্রুতে পরিণত হওয়ার ভয়ও পায়না। এ বিষয়গুলো ইন্ডিয়ার মত দেশকে দেখতেই হয়, সময় গেলে এ বিষয়গুলো ধীরে ধীরে লোকচক্ষুর সামনে উন্মোচিত হবে।

প্রশ্নঃ আপনি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার কথা বলছেন, এটা কি দ্বিপাক্ষিক হবে নাকি ত্রিপাক্ষিক?
উত্তরঃ কিছু বিষয়ে ত্রিপাক্ষিকও হবে বিশেষ করে বাংলাদেশ বিষয়ে। তবে পশ্চিমের বিষয়গুলোতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে।

প্রশ্নঃ মাননীয় মন্ত্রী, আমরা শুনেছি, জম্মু কাশমীর ইস্যুটি এখানে উঠে আসবে এবং সরকার ও নতুন করে ভাবতে শুরু করবে।
উত্তরঃ জম্মু কাশমীর ইন্ডিয়ার অন্তর্গত অংশ, এই দুটি ইন্ডিয়ার সরকারী নিয়ম অনুসারে চালানো হয়। আর বাংলাদেশে যে নৃশংস গনহত্যা চালানো হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানের মিলিটারি দ্বারা, সেখানে তারা গনতান্ত্রের দমন নীতি দেখিয়েছিল। তারা অনেক স্বপক্ষযুক্তি দেখায় যার সবকিছু অযৌক্তিক। আমি মনে করি বাংলাদেশের বিষয়ের সাথে জম্মু কাশমিরের কোণ সম্পর্ক নেই।

প্রশ্নঃ আপনি সিকিউরিটি কাউন্সিলে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের ভুমিকা নিয়ে কি মনে করেন?
উত্তরঃ ব্রিটেন ও ফ্রান্স এই পরিস্থিতিতে সবকিছু বুঝেছে এবং তাদের সমর্থণ ও পাওয়া গেছে এই বিষয়ে।
কারণ তাদের উদ্দেশ্যই ছিল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে কোন একটা সমাধানে আসা। এবং একটা বাস্তবসম্মত সমাধানে আসা গেছে। ইন্ডিয়া এই সমাধানে আসার জন্যে তাদের প্রতি আন্তরিকতাও প্রকাশ করেছে। বাস্তবতা ছিল বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি জনগণের ভাগ্য।

প্রশ্নঃ জনাব পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এমন একটা উত্তেজনাপূর্ন বিষয়ের কথা বলার জন্যে…
উত্তরঃ এটা তেমন উত্তেজনাপূর্ণ ছিলোনা।

প্রশ্নঃ আপনি নতুন সেক্রেটারি জেনারেল সম্পর্কে কি মনে করেন যেহেতু তার সাথে আপনাকে অনেক কাজ করতে হবে?
উত্তরঃ আমি এম্বেসেডর ওয়াল্ডহেমকে অনেকদিন ধরে চিনি, এবং মনে করি উনি খুবই ভাল একজন মানুষ এবং বিশ্ব কমিউনিটিতে উনি ভালো অবদান রাখবেন।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!